শরৎ- ১৪২৭
শরৎ নাকি বিসর্জনের ঋতু,
স্বাদ-গন্ধহীন গোটা বছরই'তো কেটে যাচ্ছে খুঁড়িয়ে
তার চেয়ে কি ধূসর কিছু আছে?
কাকে কাছে পেলে হাঁটা যায় মাইলফলকের পরেও?
কেউ কি বলতে পারে সুসময়ের গ্রহ নক্ষত্রগুলো কোন পঞ্জিকায় বাঁধা?
এসব অনিশ্চয়তার কথা লেখা হোক বালুচরে
জলের তোড়ে মুছে যাবে তো যাক,
চিরস্থির কিছু কি আছে এই মন্থনে?
কোজাগরী চাঁদের স্বপ্নে গা ভেজাও
শীতল পাটির কাছে সমর্পিত হয়েছ এবার
কোন জনমের ঋণ শোধ করবে বলে
এই দুর্দিনেও চাঁদবমি করে শুক্লপক্ষীয় রাত।
এতসব গোঙানির শেষেও শরৎ আসে মায়ের মতো
মুমূর্ষু বাতাসে অলৌকিক শুশ্রূষা।
আমি জেদ ধরে থাকি বোধন ও ভোরের শিশিরের আশায়,
দেখবো আর কতটা দীর্ঘ হতে পারে এই কালো রাত!
No comments:
Post a Comment