Tuesday, November 30, 2021

সম্পাদকীয় প্যানেল

ধর্মীয় বিশ্বায়ন কোনো না কোনোভাবে শিল্পেরও বিশ্বায়ন ঘটায়। সেভাবেই অগোচরে ছড়িয়ে পড়ে আঞ্চলিক সংস্কৃতি। এই স্নিগ্ধ সুন্দর বিষয়কে জানতে পারা এই ডট কমের যুগে এক প্রযুক্তিগত অর্জন। যারা এতে সহযোগিতা করেন তাদের কৃতজ্ঞতা।

মনন স্রোতের এই সংখ্যায় আমরা নির্বাচিত লেখাকেই স্থান দিয়েছি এই ধারণা ছড়ানোর জন্য। যারা লিখেছন, তাঁদের নমস্কার। ভালো থাকুন। সামাজিক কর্মেও মনন স্রোত আপনাদের সহযোগিতা কামনা করে।

ধন্যবাদ। নমস্কার।

শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা সহ
জয় দেবনাথ
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
মনন স্রোত, ত্রিপুরা

দিপিকা রায়

বিষাদ 

ভাঙ্গা পুতুলের মতো গড়ছি স্বপ্ন। 
একাকীত্বের ভিড় চলছে লোক সঙ্গমে। 
হাসি, কান্নার খেলায়, 
অংশগ্রহণ এখন সামান্য মাত্র। 
খালি মঞ্চে আমার চিৎকার, 
প্রতিধ্বনিত হয়ে , 
ঘিরে থাকে মঞ্চের দেওয়াল।

কখনো দ্বেষ - বিদ্বেষে
যানের মতো চালিত জীবনও
থমকে যায় , 
দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাফিক সিগন্যালে।
প্রতিঘাতে নিমজ্জিত আঘাত গুলোও
হারিয়ে যায় , 
উপচে পরা ভিড়ে। 

হারিয়ে যায়, 
সমুদ্র গহ্বরে তলিয়ে যাওয়া
ভেজা কাজলও।
তলিয়ে যায় যা কিছু স্থাবর অস্থাবর স্মৃতি!

সৃজিতা নন্দী

নিঃশব্দ ক্ষত

তোমার অসুখের দিনে 
বালিশে মাথা রেখে ঘুমাও তুমি। 

প্রচন্ড জ্বর তোমার শরীরে... 
আমি একাকী দাড়িয়ে সবটা শুধু দেখে যাই। 
নিষেধ আছে তোমাকে স্পর্শ করার! 
খুন হয়েছে আমার প্রিয় গোলাপ। 
তুমি কথা বলো নি... 
মায়া যে বড় শিহরণ জাগায়। 

সূর্যের গ্লানি মেখে মোহ অস্ত গেছে 
অন্য মেয়ে মানুষের চোখের মণি তে

সম্রাট শীল

মনের ভাবনা
          
ক্ষনিক আনন্দের সুর,
গড়ায় বহুদূর
হৃদয় উঠোনের মাঝে।
বার বার উত্তেজনা,
দেয় আনাগোনা
মন খারাপের সাঁজে।।
ভালোবাসার ছোট্ট প্রহর,
জড়িয়ে দেয় আপন শহর
মাতিয়ে রাখে উল্লাসে।
মিষ্টি প্রহরের হঠাৎ ইতি,
হৃদয় গায় বিষাদ গীতি
হঠাৎ করে সেই ক্ষন চোখে এসে ভাসে।।
এমন মিষ্টি ক্ষনিক সুর,
হৃদয়ে গেঁথে প্রচুর
অল্পতে হয় জানা-অজানা।
যদিও হয়েছে সুষ্ঠু বপন,
হতে পারে হঠাৎ চোখের গোপন
থেকে যাবে শুধু মনের ভাবনা।।

অতনু রায় চৌধুরী

এসো কখনো

ভাঙ্গা ঘরের এক ফাঁকে আটকে থাকে 
একটা ছেঁড়া কাপড়।
সেই কাপড় ভেদ করে ভোরের আলো 
স্পর্শ করে আমার মুখ।
ঠিক সেই মুহূর্তে
আমি ফিরে আসি সেখান থেকে
যেখানে আমার মত করে আমি বাঁচি।
থাকি আমার মনের মানুষের কাছাকাছি।
সেখানে খারাপের মাঝেও শান্তি আছে 
আছে এক গভীর বিলাসিতা।
সেটাই আমার স্বপ্নের দেশ।
এসো কখনো তুমিও, হবে তোমার সাথেও কথা।

মিঠু মল্লিক বৈদ্য

রাজপথ

পদভার সইতে সইতে অভ‍্যস্ত আমি,
অনুভূত প্রতিটি পায়ের স্বণ,
যাচ্ছে কে ক্ষুধার্ত পেটে কাজের খোঁজে-
কে বা আসছে ফিরে আপন নীড়ে
মুক্তির উল্লাসে স্নেহসুধা লয়ে
অনুভব করি নীরব অন্তরে।

শূন‍্য ঝুলিতে নিদারুণ যাতনায়
ফিরে যে একা,অশ্রু ভেজা চোখে
অনুভব করি তারও পদ ধ্বনি।
একে একে সবে পৌঁছে আপন গন্তব‍্যে
খানিক বিশ্রামে এলিয়ে দেয় কায়া,
আমি রাজপথ,ক্লান্ত,অবসন্ন তবুও জিরানের নাই অবসর।

একে একে আমি  চিনি সকলেরে
অপেক্ষায় প্রহরগুনি বড্ড ভালোবেসে,
সময়ের ডাকে  হয়তো বা কেউ 
ফেলবে পদচিহ্ন আমার  'পরে 
একটি বারের তরে বুঝবে আমারে;
দেখবে ফিরে ;পরমস্নেহে চুমবে ললাট।

দিগন্তব‍্যাপী শায়িত আমি অনন্তকাল
প্রতীক্ষার আর হল না শেষ,
তবুও আশায়  বাঁধি বুক, 
হয়তো আসবে কেউ ,স্নেহপরশে
এঁকে যাবে সুখছবি,চুমবে ললাট
একদিন হয়তো অন‍্য কোনদিন।

পান্থ দাস

কালি

মা তুমি জগতের
ডাকি কালিকে,
ক্রোধে ভষ্মিভূত অশুভ 
শক্তি তুমি শিবে ৷

গলায় মুন্ড মালায়
থাকো সু সজ্জিত তুমি,
শান্তি মেলে মনে
যখন যাই মাতা বাড়ি ৷

মহা পিঠ তারা পিঠেও
আছো তুমি,
দক্ষিণেশ্বরের বাতাসেও
আছো তুমি ৷

রক্ত জবায়ই
তোমার পূর্ণতা,
রামকৃষ্ণও সাক্ষী যার
করো দুর তুমিই সব অক্ষমতা ৷

সংগীত শীল

আর্তনাদ 

মরনের সাথে মিছিল করেও
মিথ্যার আঁধারে মানবতাবোধটুকু বন্দী  কারাগারে,
ঘটে যাওয়া অন্যায় অবিচার,
সাদা কালো ফ্রেমে চিত্রপটে ছবি!
ক্ষমতা যেন চাবুকের ন্যায়;
গোলকের জালে ধূলোময়!
বিষ্ময়কর আগ্নেয়গিরির বুকে
হঠাৎ বিস্ফোরণে মনের অন্তপুর কেঁপে উঠে।

শতাব্দী দেবনাথ

শৈশব
          
শৈশবে দিন গুলোই কিই না  মজার ছিল, 
সহজ সরল নিষ্পাপ জীবনের 
গন্ডি পেরিয়ে আজ আমরা অদ্ভুত  জটিলতায় প্রবেশ করেছি। 
ভাবতে অবাক লাগে সেদিন গুলো যেন এক ঘুমন্ত শিশুর নরম ছোঁয়া, 
ক্ষনিকের মধ্যেই যেন হারিয়ে গেলো দিনগুলো। 
আঁকড়ে ধরে রাখতে ইচ্ছেটা ও যে ব্যর্থতার রূপ নেই,
শুধু জমানো কিছু স্মৃতিতেই ফুটে উঠে। 
বর্ষার দিনে কাগজে নৌকা বানিয়ে ভাসানো, 
রোদের দিনে কাগজের এরোপ্লেন বানিয়ে আকাশে ওড়ানো, 
সে এক আলাদা জীবন। 
ফিরে যেতে ইচ্ছে করে তাই ক্ষনিকের জন্য দিন গুলোকে মনে করলে বাস্তব জগৎ কে ভুলে যেন এক খুলে দীপ্ত মান আকাশে বিরাজ করি।। 
আহা.. আহা..কোমলতায় ভরা উপভোগ

লিটন শব্দকর

ভোরে-দুই

চাদরের খুঁটে জমাট ভালোবাসার মতোই
খোলা মাঠে অনেক জন্মের কুয়াশার ভীড়,
রাস্তার পাতায় ঝাট পড়বে কিছুক্ষণ বাদে।
এখনও ভবঘুরে গোলাপের সবুজ ডাঁটায় 
প্রেমিকের হাতের উষ্ণতাকেই ডেকে যায় 
এই কার্ত্তিক মাসে, তিথি তুমি বোঝো ঠিক
ডাহুকের খমকে প্রাঞ্জল হয়ে ওঠা সংলাপ।
আমলকি পাতার সরু গলিটা হেটে এলেই
লুকিয়ে দেখা করার এমন স্বর্গীয় দুরুদুরু 
শুধু ভোরবেলা তোমার হাত ধরা সহজতর। 

মোহাজির হুসেইন চৌধুরী

সুখে আছি
     
সাগরের কথা যত বলি তত দেখিনা 
যাপনের সুখের মতো
শুধু গল্প বলা - গল্পচ্ছলে ভাসি সুখে 

আমার মেয়েটা তমুক স্কুলে পড়ে 
অমুক বিষয়ে বেশ ভাল নম্বর পেয়েছে... 
মাঝেমাঝে কথা আসছে
তবে এবয়সে.....!  মন ধরছেনা.....
সংসার জটিল.... কচি মন নিয়ে... 
ধাত সইতে পারবে তো.... 

হাতসাফাই জানা জামাইর স্বপ্ন

এসব কিছু সুখের কাহিনী
কল্পনাবিলাস ভাবনা চিন্তা বলতে বলতে
হাঁটতে থাকি বন্ধুদের সাথে 
কারো মুখে ফুটে হাসি 
কারো কপালে হিংসার ভাঁজ
বুঝি সকলেই সুখে আছি তবে....।                                       

রাহুল দেবনাথ

বাঁকামোর

নিত্য নতুন পথের উপর। 
কোন সে বাঁকামোরে।
পথভুলা এ অজানা পথিক। 
ঠিকানা খুঁজে বেদনার বালুচরে। 
এক যে ছিল, সাহিত্য সারথি। 
ভুল ঠিকানার মাঝে। 
অতীত খাতায় হিসেবে লিখে। 
আধার প্রাতের সাঁঝে। 
দিবা ফুড়ালো আকুল আধারে। 
যেতে হবে এবার, কোন বাঁকামোরে।
খুঁজে মরে মোর ক্লান্ত চরণ। 
নিশিথের এ আধারে।।

গঙ্গা সাহা

পরিচয়

পরিচয় হয়েছিল তোমাতে আমাতে।
  সেই সোস্যাল মিডিয়ার হাতটি ধরে।
  জানা শোনা হয়েছিল তোমাতে আমাতে।
  সেই মেসেঞ্জার এর কথোপকথনে।
  দেখেছিলাম তোমাকে প্রথম বারে।
  সেই সোস্যাল সাইডের পিকচারেতে।
  জানা শোনা পরিচয় হয়ে অবশেষে ,
  ধীরে ধীরে ভালোলাগা দুজন দুজনে।
  সেই  ভালোলাগা  ক্রমে  ক্রমে,
  পরিনত হয়েছিল আমাদের প্রণয়ে।
  অবশেষে ছয়মাস অপেক্ষা করিয়ে।
  একদিন হঠাৎ সাঁঝের বেলাতে,
  এলে তুমি আমারও সমূক্ষে, 
  সেই এক অচেনা গলির‌ মোড়ে।
  চোখে চোখ রেখেছিলাম দুজনে,
  সেই দিন সেই প্রথম বারে।

Monday, November 29, 2021

আলমগীর কবীর

ইচ্ছে ছিলো 

জীবনে বহু ইচ্ছে ছিলো বর্তমান এলে তলিয়ে যায়
সমুদ্রের ওই অতল গহিনে আর কি তাহা ফিরে পাই।
ইচ্ছে ছিলো মানুষ হবো মানুষ আর আমি হলাম কই
এখন দেখি মানুষের চেয়ে বেশি  অমানুষই সর্বত্রই।

মানুষ হওয়ার ইচ্ছেটাকে ধরে আছি শক্ত হাতে
লেগে থাকি আঠার মতো দেখা যাক কি হয় তাতে।
ইচ্ছে ছিলো দরিদ্রতা একদিন জীবন থেকে চলে যাবে ভেবেছিলাম মনের আশা ভালোবাসা সব পূরণ হবে।

দেখেছি কতো বাবা মায়ের জীবন যুদ্ধের কঠিন লড়াই
অভাব থাকা সত্তেও যে পাইনি কভু ঘাটতি মোরা।
স্কুলের পরে বাকি সময় গরু চড়াই মাঠে গিয়ে
কত রকম গ্রাম্য খেলা খেলতাম মোরা লোকালয়ে। 

কতো রকম ভাবনা তখন আসতো মনের দড়জা বয়ে 
আমিও যদি পড়তে পারতাম দূরের কোনো স্কুলে গিয়ে।
এমন করে ধিরে ধিরে শেষ হইলো স্কুল জীবন
শুরু হইলো পরের ধাপে পড়াশুনার বীজ বপন। 

এরই মাঝে কতো রকম ইচ্ছে ছিলো হারিয়ে গেছে
আরো ইচ্ছে জন্ম নিলো এখনো তা বেঁচে আছে।
ইচ্ছে ছিলো ইচ্ছে আছে ইচ্ছে একটাই মানুষ হব
এ ইচ্ছেটাই পূণ্য পেলে জীবনে অনেক শান্তি পাবো। 

দুলাল চক্রবর্তী

সাবরুম এর সাংস্কৃতিক জগৎ


সাবরুম এর সাংস্কৃতিক জগতে পথপ্রদর্শক হিসেবে যার নাম করতে হয় তিনি হলেন স্বর্গীয় নিতাই বড়ুয়া। কর্মজীবনে উনি শিক্ষা দপ্তরের একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ছিলেন। আমি যখন সাবরুম জে , বি ,স্কুলে চতুর্থ/পঞ্চম শ্রেণীতে পড়াশোনা করি তখন স্কুলে ব্রতচারী নৃত্য শেখানোর জন্য একজন প্রশিক্ষক এসেছিলেন, তার সাথে আমরা নিতাই দার সান্নিধ্য পেয়ে ছিলাম।১৯৬৪/
৬৫ সনের কথা । নিঃসন্তান নিতাই দা শিশুদের মধ্যে সাংস্কৃতিক জগতে ডুবে থাকতেন। তিনি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের
প্রসার কল্পে ছোটদের জন্য একটা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করলেন। যার নাম "সুর ছন্দ নৃত্য সংস্থা" । সাবরুম শহরের বর্তমানে জেতবন বৌদ্ধবিহারের পাশে
প্রতিষ্ঠানটা স্থাপিত হয় । ধীরে ধীরে শিশুরা এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে ভর্তি হতে লাগলো। প্রতি বৎসর যেকোনো সরকারি অনুষ্ঠানে এই সংস্থার ঢাক আসতো। নিতাই দা- ও উৎসাহিত হয়ে শিশুদের নিয়ে গান, নৃত্য ও অন্যান্য অনুষ্ঠান করেছেন। জয় করেছেন সাবরুম শহরের আপামর জনসাধারণের মন। লোক - সংস্কৃতির বিভিন্ন নৃত্য তিনি করাতেন। এর মধ্যে প্রধান ছিল ধামাইল নৃত্য ইত্যাদি। কোথায় পোশাক-আশাক,
কোথায় টাকা পয়সা--কিভাবে যে ব্যবস্থা করতেন, না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। 
উনার সাথে পরবর্তীতে এই সংস্থায় যুক্ত হন স্বর্গীয় অরুন নন্দী। গানের ভালো গলা ছিল। ও মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের গান শেখাতো। নৃত্যের জন্য নিতাই দা নিজেই প্রশিক্ষণ দিতেন। পরে এর পরিসর যখন আরো ব্যাপ্তি লাভ করলো, তখন অনেকেই এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হলেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বেঁচে আছেন, কেউ মারা গেছেন। বর্তমানে সঠিক দায়িত্ববান ব্যক্তির অভাবে প্রতিষ্ঠানটি অনাদরে আছে।
পাশাপাশি, পরবর্তী সময়ে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিলেন স্বর্গীয় সুভাষ দাস মহাশয়। কর্মজীবনে উনি শিক্ষা দপ্তরের অধীনে প্রাথমিক স্তরের একজন প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তবলা, গান, নৃত্য এই তিন বিভাগেই সুভাষদা অত্যন্ত পারদর্শী ছিলেন। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের পরিসর বাড়াতে তিনিও স্থাপন করেন "সংগীতা "
নামে একটা স্কুল। সাবরুম এর অনেক ছেলে মেয়েরা এই প্রতিষ্ঠান থেকে নৃত্য, গীত ও তবলা শিখে সমৃদ্ধ হয়েছে। সরকারি/বেসরকারি বহু অনুষ্ঠানে তার শিল্পীরা অংশ নিয়েছে । তিনি একজন দক্ষ প্রশিক্ষক ছিলেন। সাবরুম এর বাইরেও তিনি সুনামের সঙ্গে অনেক অনুষ্ঠান করেছেন। প্রতিযোগিতামূলক অনেক অনুষ্ঠানে তার ছাত্র ছাত্রীরা সম্মানিত হয়েছে। সাবরুম এর আনন্দ পাড়ায় তাঁর এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয়েছে। এছাড়াও আরো অনেকেই ছিলেন তাঁদের নাম ও উল্লেখ করতে হয় রঞ্জু রায়চৌধুরী, প্রণব মজুমদার, প্রণব বসাক, সুবীর ভট্টাচার্য--আরো অনেকে ।
এদের মধ্যে অনেকেই আবার যাত্রা/
নাটক ইত্যাদিতেও অংশগ্রহণ করতেন। আজও সেটা ছবির মত চোখের সামনে ভাসছে। এইসব গুণীজনদের দাক্ষিণ্যে
আজ একটা সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল এই শহরে গড়ে উঠেছে। কিন্তু বর্তমানে প্রকৃত তত্ত্বাবধায়কের অভাবে এই কর্মকাণ্ড যেন কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছে।

অভীককুমার দে

হিরণ্যকশিপু

না রাত, না দিন
ঘুমন্ত মানুষ;

শরীরের ভেতর ঢুকে পড়েছিল মৃত্যু সংকেত,
বুকের স্পন্দন বাড়িয়ে দিয়েছে এক মুহূর্তেই !

বারংবার কেঁপে উঠছিল 
উপর শরীর থেকে ভেতর শরীর,

শরীরের জন্য শরীর খুঁড়ে দেখছিল-
একটি অদ্ভুত ঘড়ি তখনও চলছিল 
টিক-টিক, টিক-টিক...

অতঃপর মানুষের ভেতর ছটফট করছিল 
আতঙ্কিত হিরণ্যকশিপু।


উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...