Saturday, May 26, 2018

Notification

দীপক দাস

কল্যাণব্রত বসাক

ড. রঞ্জিত দে

অমিত রুদ্র পাল

পুজা মজুমদার

সুব্রত দেববর্মা

ইন্দ্রানী চাকলাদার

রাজীব দত্ত

ড. শৌভিক বাগচী

ড. সোনালী রায় বাগচী

অনুপম রায়

রতন চক্রবর্তী

শান্তনু চক্রবর্তী

সুস্মিতা রায়

তিমির বরণ চাকমা

পার্থ ঘোষ

উত্তম বণিক

মনন স্রোতের বৈশাখী সংখ্যার Download Link

[Google Drive] is good,have a look at it! https://drive.google.com/drive/mobile/my-drive?tab=jo

বার্তা

বিনয় শীল

সরবশূন্য স্বীকারোক্তি

বাবা-মা, আমার প্রণাম নিও |
সেই কবেই পৃথিবীতে-
তোমাদের অন্ন-জল ফুরিয়েছে |
জীবন সায়াহ্ন্যে -
সবকিছু শেষ করে চলে গেলে |
সেই দুঃসময়ের ঘন অমানিশা
আজ বহুবিধ চোরাগলি পথে-
কপট কসরতে ,
স্ব-অর্জিত বিচিত্র সুখের-
প্রখর রশ্মিছটায় -
একেবারেই বিলীন |
আজ আমার মাথার উপর
সুখ জ্যোৎস্নার -
শীতল শুভ্র রজত-কণার
অবিশ্রান্ত ধারা |

বাবা, তুমি তিন 'স'-এর অর্থকে
জীবনসঙ্গী করতে বলেছিলে না ?
সততা, সরলতা, সমরসতা-
এদেরকে পরমাত্মীয়
করতে বলেছিলে না ?
কিছু মনে করো না বাবা,
আমি তোমার সেই বস্তাপচা
উপদেশ পালনে -
অক্ষম হয়েছি |
উপরিউক্ত তিন জনকেই
আমার জীবন থেকে
ঝাঁটা পিটিয়ে বিতাড়িত করেছি |

সগৌরবে বলতে পারি,
আজ আমি তিন 'ম' দ্বারা
সমৃদ্ধ |
'ম্যান পাওয়ার'- অবশ্যই আমার সমভাবাপন্ন |
'মাসুল পাওয়ার'- অবশ্যই আসুরিক শক্তি সম্পন্ন |
'মানি পাওয়ার'- অবশ্যই কুটিীল-কপট পথে লব্ধ |

আমি তোমার মত নির্বুদ্ধিতার
পরিচয় দেয় নাই |
দুবৃত্তের লাস্ট্ প্যাভেলিয়ন-
বলতে যা বোঝায় ,
তার কর্ণধারগণ-
আমার হাতের মুঠোয় |
আদায় করেছি -
উপার্জনের স্বীকৃত পথ |
কিন্তু বাবা, এই স্বল্প কালের মধ্যে যা করেছি-
তা ঐ স্বীকৃত পথে -
উপার্জনের অর্থে অসম্ভব !!

আমার চাল-চলনে চমক রাখি,
আমার কথা বলনে ধমক রাখি |
শঠতা-কপটতা-লোভ-লালস- আমার প্রিয়জন |
এরাই আমাকে পৌঁছে দিয়েছে
সকলের মাথার উপর-
অনধিকার চর্চার আসনে |

কতো জনার কতো নায্যপ্রাপ্য
প্রবঞ্চক নীতিতে আত্মসাৎ করেছি,
কতোজনার কতো সম্পদ
দুচ্ছেধ্য কুটজালে করায়ত্ব করে-
স্বীয় বিত্তকোষ পুষ্ট করেছি |
কার সাধ্য তা ধরতে পারে ?

আজ দীপাবলি |
আমার বাড়ীতে আলোর বন্যা |
মাছ-মানি-মদ-মহিলা-মাংস
এই পঞ্চ 'ম' কারের-
উষ্ণ আয়োজন |
চোখ ধাঁধাঁনো আলোর মালায়
জিগজ্যাগ করা ,
তোমাদের স্মৃতিসৌধের-
সম্মুখে আমি দণ্ডায়মান |
ভাবছি, আজ যদি-
তোমরা বেঁচে থাকতে ,
আসুরিক শক্তির-
ঐশ্বর্য ও উল্লম্ফন দেখে
স্তম্ভিত হতে !!

তোমার বৌমার মনটা দুর্বল |
সে আমাকে বলে- "কীগো, আমার ভয় লাগছে" |
জিজ্ঞাসা করলাম - কেন ?
উত্তরে বললো- "সব কিছুতে কেমন জানি বাড়-বড়ন্ত হচ্ছে না ? শুনেছি অতির পশ্চাতে না কী ইতি 'র ও আগমন ঘটে ?"
তাকে বললাম- "বাজে কথায় কর্ণপাত করো না |
ক্লীবতার পরিচয় দিও না |
দুর্বলতা পরিহার করো |
আমি কাঁচা মাছ খাই না,
কাঁচা কাজও করি না |
গুপ্ত কাজের তীক্ষ্ণ সূত্রে
নিপূণ না হলে -
উপার্জন আর জীবন শৈলীর
উদযাপনের মধ্যে-
আস্মান-জমিন ফারাক্
কী করে সম্ভব ?
তাও কী বুঝো না ?

তবে বাবা, একটি কথা
মনে আনতে চাই না |
তবুও অনাহুত কথাটা-
আজকাল মনের কোনে
উঁকি-ঝুঁকি দেয় বার বার |
আর সেটা হল-সব কিছুরই না কী শেষ থাকে ?
কখনও কখনও সে 'শেষ'- না কী-
চরম ভয়ংকর আবহ রচনা করে  !

সৌমেন চক্রবর্তী

নূপুর


শিমুল তুলোর মত উড়ে যাও বাতাসের হাত ধরে,
কখনো কি দেখেছ
সুতো ছেঁড়া ঘুড়ি এক হয়েছে দেশান্তরী
তোমার খোঁজে?

পাহাড়ের কোল ঘেঁষে আশ্রয় নিতে যদি
তুমি ছোট নদী,
মেঘ হতাম প্রতিবেশী আকাশে,
ঝরে যেতাম বন্য আলিঙ্গনে,
চিরহরিৎ স্নান শেষে এক জোড়া নূপুর বেঁধে দিতাম,
কলকল সুরে বাজতো নদীর পায়ে

তারাপ্রসাদ বণিক

স্বপ্নরা হেঁটে যায়



আলপথ ধরে হাঁটছি-- নগ্ন পা উদোম শরীর
এ পথে একদিন সাঁই সাঁই ছুটেছিল রক্তপায়ী রাইফেলের গুলি,
ঝলসে ওঠা গ্রেনেড ঝলকে ঝলকে
ছড়িয়েছে রাক্ষুসে আলো।
সেই রক্তের দায় মোচনে আজও হাঁটি
আগাছাপূর্ণ অকর্ষিত জমির আলপথ ধরে।

একদিন এখানে কাদামাটিতে ফলেছিল অজস্র স্বপ্ন
এখন চোখ রাঙায় প্রাগৈতিহাসিক দুঃস্বপ্নরা
মিছে আলো ফিরি করে মূর্তিমান অন্ধকার
একদিন যেখানে ফলেছিল অজস্র স্বপ্ন।

অন্তরে বাইরে বিভাজিত, আলেকিত ধর্মস্থলে
পিছলে যায় লালাঝরা লকলকে জিভ
মধ্য দুপুরে তীক্ষ্ণ রাত্রি নামে প্রকম্পিত হৃদপিণ্ডে
তবুও সংশ্লেষ আশায় গ্রীষ্ম-দগ্ধ পাতারা
প্রাণপণে অন্তরে পুষে রাখে সালোক-সবুজ
স্বপ্নরা হেঁটে যায় আদিগন্ত দুঃস্বপ্নের পথে।

ড. সুচরিতা চৌধুরী

ডুব সাঁতার


সোনার পাথরবাটি'র জলে আকাশ কুসুম ভাসে
ঘর সাজানোর মিথ্যে পালা'র শেষে।
ভাবনা সুতোয় স্বপ্ন - ঘুড়ির উড়ান জীবন জুড়ে,
মেঘলা আকাশ বোঝে,
কেন সূর্য - ঘড়ি বাজে আপন সুরে।

বৃষ্টি হলে মেঘলা আকাশ বোঝে
ঐ জল কে কেন চাতক পাখি খোঁজে,
বৃষ্টি জলে সৃষ্টি মাখামাখি -
আনন্দ আর দুঃখ মেশে একসাথে বেশ! দেখি।

ডুব সাঁতারে ভাসিয়ে দিলাম গা,
ঐ যেখানে সাঁঝে, বিহানে ভালো মন্দের দেখা
হয় রোজ দিন, পৌঁছে যাবো -
ভাবছি আপনমনে।
কবে? কে ই বা জানে!

সঞ্জীব দে

রবীন্দ্রনাথের আরেক নাম ভাবনার সাগর -
       
        "ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা
        ওরে সবুজ ওরে অবুজ, আধমরাদের ঘা মেরে তুই
         বাঁচা ।"
                        --------------রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  
       
        সেই সুপ্রাচীন কাল থেকে আমরা ইতিহাসের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলে দেখতে পাবো সমাজের উত্থান-পতনের ক্ষেত্রে দু'টি অনুভব কাজ করছে। এক ধরণের শুভ অনুভব রয়েছে যা সমাজকে উন্নতির সোপান বেয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আবার আর এক ধরণের তীব্র অশুভ অনুভব রয়েছে যা সমাজকে পেছনের অন্ধকারের দিকে গতিমুখ ফেরানোর চেষ্টা করছেন। যদিও অশুভ অনুভবগুলি ধ্বংসের মুখে একদিন নিদারুণভাবে নিঃশেষ হয়ে যার কিন্তু শুভ অনুভবগুলি শেষ পর্যন্ত চিরন্ত সবুজতা লাভ করে অমরত্বের অধিকারি হয় সৃষ্টির পথ ধরে। দেশের সেরা সম্পদ হচ্ছে যুব শক্তি। এই শক্তি যদি বিপথগামী হয় তা হলে দেশ ও দশের বিপদ। যুব শক্তিই পারে দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার অতিক্রম করে সমস্ত অসাধ্যকে সাধন করতে। তাই যে বা যাঁরা দেশের কাণ্ডারী তাদের উচিত যুব শক্তিকে ন্যায়ের পথে পরিচালনা করা। যুব সমাজই পারে উন্নত শিরে সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে বিজয় মাল্য পরতে। চির যুবক কবিগুরু ছিলেন সেই শুভ অনুভবের মাঝে উজ্জ্বল ভাস্কর। তাই তো গুরুদেব বলেছেন মানুষের বিপদে উঠে দাড়াতে -- বিপদে মোরে রক্ষা করো এই নহে মোর প্রার্থনা
                বিপদে যেন নাহি করি ভয় ----
        সংগীত,শিল্প ,কবিতা নৃত্য এরা মিলে আনে আত্মার পূর্ণ সৌকর্য । কবিগুরুর এই --সবগুলি গুনই বিদ্যমান ছিল। তাই তিনি যুবক যুবতী সহ সবাইকে মনের সংকীর্ণতা বর্জন করে আত্মার পরিপূর্ণ সৌকর্যের দ্বারা মানুষের কল্যালে আঠারোর উত্তাপকে বিপদ মুক্ত করে দেশ সেবায় নিজেকে প্রস্তুত করে তোলা। কবিগুরু শুধু যুবকদের বলেননি তিনি তাঁর সাহিত্য মঞ্চে দুনিয়ার সুক্ষাতি সুক্ষ এমন কিছু তার দৃষ্টির অগোচরে ছিলনা যা উপস্থাপন করেন নি। তাঁর সাহিত্য বীনার মধুর সুরে বিশ্ব হৃদয় মোহিত ও প্রাবিত । তাঁর সঞ্চয়িতাকে আমি মনে করি প্রত্যেক মানুষের জীবনের একটি মনস্তাত্বিক ঔষধ।  ভাবনা প্রকাশের যতগুলি মাধ্যম রয়েছে গুরুদেবের এমন কোন মাধ্যম নেই যার মধ্যে তাঁর পদচারণা নেই। অংকন, সংগীত, নৃত্য, বিজ্ঞান, ক্ষিতি অপ তেজ মরুত ব্যোম, ব্রহ্ম মঙ্গল সহ সব সব ক্ষেত্রে ছিল তাঁর  অবাধ বিচরণ । রবীন্দ্রনাথ তাঁর জীবনের 12 বছর অংকন শিল্পে ব্যস্ত ছিলেন। 400 ছবি নিয়ে ইংল্যান্ড আর্ট প্রদর্শনী তে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। সংগীতে কবি একাই অর্ধেক আকাশ দখল করে আছেন। কবিগুরু সংগীত যেমন রচনা করেছেন তেমনি সুর, তালও সৃষ্টি করেছেন সম্পূর্ণ নিজস্ব ভঙ্গীতে। যেমন, "নিবিড় ঘন আধারে জ্বলিছে ধ্রুবতারা....... " রবীন্দ্র সৃষ্টতাল -- নবতাল =মাত্রা -9 ,বিভাগ -4. ছন্দ--3/2/2/2
                          ঠেকা
     ৩                  ২               ২              ২
ধা দেন তা / তিট কতা /গদি গনে /ধাগে তেটে / ধা

আবার ৫/4 ছন্দে গান রচনা করেছেন -"ব্যাকুল বকুলের ফুলে ভ্রমর মরে পথ ভুলে....... "
                   ঠেকা
        ৫                                  ৪          
      ধা ধি না ধি না / ধা  ধি ধি  নানা /
অন্যদিকে তিনি ষষ্ঠী, একটানা ছন্দ, রূপক, রূপকড়া, ঝম্পক, অর্দ্ধঝাপ, সহ চতুর্মাত্রিক তালে ও গান রচনা করেছেন - সবারে করি আহ্বান..... গানটিকে তিনি চতুর্মাত্রিক তালে বেধেছেন। তিনি তবলায় ঠেকা দিয়েছেন -ধা ধিন /নানা কতা/ ধা।

       এই ভাবে কবিগুরু নিজেকে প্রকাশ করতে করতে সাহিত্য সমুদ্রে নিজেই আরেক সমুদ্র হয়ে বসে আছেন উজ্জ্বল আসনে। এক সময় তিনি স্বরচিত গান ধরলেন নিজের সৃষ্টি "ষষ্ঠী" তালের উপর --" হৃদয় আমার প্রকাশ হলো অনন্ত আকাশে ---"
        সত্যিই তো তার বিশাল সাহিত্যের ভান্ডার এই এক বিশ্ময়। আবার তিনি কখনো বলে উঠেন মুক্ত হৃদয়ে --এসো হে আর্য, এসো অনার্য, হিন্দু -মুসলমান,
এসো এসো আজ তুমি ইংরাজ ,এসো এসো খৃষ্টান,।
এসো ব্রাহ্মণ শুচি করি মন, ধরো হাত সবাকার।

    কত বড় মানবিক গুনসম্পন্ন হলে,কত বড় হৃদয় হলে এত বড় মানবিক আহ্বান করতে পারেন সবার প্রাণের কবি বিশ্বকবি এই গানটি তারই জলন্ত প্রমান।
        আবার কখনো কবিকে বলতে শুনা যায় ধর্মের বিকৃতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে, এক চিঠিতে তিনি লেখেন " শস্তায় পাপমোচন ও পুন্যফল পাবার হাজার হাজার কৃত্রিম উপায় যে দেশের পঞ্জিকায় ও ভাটপাড়ার বিধানে অজস্র মেলে সে দেশের বীর্য্য সাধ্য সত্য সাধ্য ত্যাগ সাধ্য বুদ্ধি সাধ্য ধর্ম সাধনা বিকৃত না হয়ে থাকতেই পারে না "।
        প্রয়োজনে তিনি কলম ছেড়ে বঙ্গভঙ্গের সময় সবাই কে একসূতায় বাধার অঙ্গিকার বদ্ধ হয়েছেন আবার দেখা গেছে যুদ্ধের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাতে। 

অশোকানন্দ রায়বর্ধন

দক্ষিণ ত্রিপুরার লিটল ম্যাগাজিন চর্চার ইতিহাস --



  লিটল  ম্যাগাজিন আধুনিক সময়কালের সাহিত্য আন্দোলনের এক তেজস্বী ধারা ৷ এর উৎস নিহিত রয়েছে বাংলা সাময়িকপত্রের প্রবহমান ইতিহাসের বুকে ৷ সে কারণে বাংলা সাময়িকপত্রের ইতিহাসকে বাদ দিয়ে বাংলা লিটল ম্যাগাজিনের ইতিহাস রচনার প্রয়াস অসম্পূর্ণ থেকে যায় ৷ সে হিসেবে ' দিগদর্শন' কে পর্থম বাংলা সাময়িকপতের হিসেবে ধরে নেওয়া যায় ৷ শ্রীরামপুর মিশনের উদ্যোগে শ্রীরামপুর থেকে 1818 সালের এপ্রিল মাসে প্রথম এই সাময়িকপত্রটি প্রকাশিত হয়েছিল ৷ এর সম্পাদক ছিলেন জন ক্লার্ক মার্শম্যান ৷ চার পৃষ্ঠার এই সাময়িকপত্রটি বাংলা- ইংরেজি দ্বিভাষিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশ পেয়েছিল ৷ বাঙালি সম্পাদক কর্তৃক প্রথম প্রকাশিত সংবাদপত্র হল ' বেঙ্গল গেজেট' ৷ এটি প্রকাশিত হয় 1225 বঙ্গাব্দ ৷1818 সালের মে মাসে শ্রীরামপুর মিশনারিদের দ্বারা প্রকাশিত প্রথম বাংলা সাপ্তাহিক ' সমাচার দর্পণের প্রায় সমসাময়িক  সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে বেঙ্গল গেজেট প্রকাশিত হয় ৷ সম্পাদক ছিলেন গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য ৷ এখন পর্যন্ত  বেঙ্গল গেজেট এর কোনো সংখ্যা পাওয়া যায় নি ৷ ফলে এটির সঠিক প্রকাশকাল জানাযায় না ৷ 14 মে1818 প্রকাশিত বেঙ্গল গেজেট- এর একটি বিজ্ঞাপন থেকে জানা যায় যে এই সাপ্তাহিকটি ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে ৷ প্রথম প্রকাশিত এই পত্রিকাট সম্ভবত এক বৎসরকাল স্থায়ী হয়েছিল ৷ শ্রারামপুর মিশন থেকে প্রকাশিত জন ক্লার্ক মার্শম্যান সম্পাদিত বাংলাভাষার প্রথম সাপ্তাহিক সংবাদপত্র হল ' সমাচার দর্পণ' ( 1818-1852) ৷
ব্যতিক্রমী চিন্তাধারার সাহিত্য আন্দোলনকে মুদ্রিত আকারে রূপ দেওয়ার লক্ষে সৃষ্টি হয়েছে লিটল ম্যাগাজিন ভাবনা ৷ উনিশ শতকের প্রথমার্ধ থেকে ইউরোপ- আমেরিকায় লিটল ম্যাগাজিনের সূত্রপাত ঘটে ৷ Ralph Waldo Emarson  ও Margaret Fuller সম্পাদিত The Dial ( Boston,1840-1844)  এর মাধ্যমে ৷ Emarson এর নব্য দর্শন Transendentalism- এর যাঁরা অনুসারী তাঁরাই Dial ম্যাগাজিনে লিখতেন ৷ লিটল ম্যাগাজিনের প্রথম দিকের আর একটি পত্রিকা ছিল ইংল্যান্ড থেকে প্রকাশিত 'Savoy' ৷  ভিক্টোরিয়ান পুঁজিবাদী ব্যবস্থা বিরুদ্ধে সোচ্চার উদারপন্থী ও সাম্যবাদী লেখকদের প্রধান মাধ্যম ছিল লিটল ম্যাগাজিন ৷ সাহিত্যক্ষেত্রে বিশ শতকের শুরুর দিকের সবচাইতে মূল্যবান লিটল ম্যাগাজিন ছিল Poetry:  A Magazine Of Verse (  Chicago-1912) ৷ এই পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন হেরিয়েট মুনরো এবং এজরা পাউন্ড ৷
পশ্চিমা ধারায় বাংলাদেশে প্রথম লিটল ম্যাগাজিনের স্রষ্টা প্রমথ চৌধুরী ৷ তাঁ সম্পাদিত ' সবুজপত্র' ( 1914)  - কে  বাংলা আধুনিক লিটল ম্যাগাজিনের প্রথম ফলক হিসেবে চিহ্নিত করা হয় ৷ অবশ্য এ  নিয়ে দ্বিমতও রয়েছে ৷ অনেক সাহিত্য আলোচক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত ' বঙ্গদর্শন' 1872) - কে বাংলাভাষার প্রথম লিটল ম্যাগাজিন হিসেবে দাবি করেন ৷ পরবর্তীকালে কল্লোল ( 1923) , শনিবারের চিঠি ( 1924) , কালিকলম ( 1927) , প্রগতি ( 1927) , পূর্বাশা ( 1932)  এবং কবিতা ( 1935)  ইত্যাদি লিটল ম্যাগাজিন প্রবাহে গতিসঞ্চার করে ৷
উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ত্রিপুরা থেকে ' ত্রিপুরা জ্ঞান প্রসারিণী' নামে একটি মাসিক সাময়িকপত্র প্রকাশিত হয় ৷ তবে এই পত্রিকাসহ পরবর্তী সময়ের বেশ কিছুটা কাল পত্রিকা প্রকাশের পিছনে রাজন্য পৃষ্ঠপোষকতা ছিল ৷ এমনি করেই মহারাজা বীরচন্দ্র মাণিক্যের আমলে রাধারমণ ঘোষের সম্পাদনায় ' বার্ষিকী' ( 1876)  নামে একটি সাহিত্যপত্র প্রকাশিত হয় ৷ মহারাজা রাধাকিশোর মাণিক্যের আমলে  হাতে লেখা ' পঞ্চপন্ডিত' নামে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হয় ৷ তারপর মহারাজকুমার মহেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মার সম্পাদনায় ' ধূমকেতু' ( 1903) , সুরেন্দ্র দেববর্মা সম্পাদিত ' বঙ্গভাষা' 1903) , চন্দ্রোদয় বিদ্যাবিনোদের সম্পাদনায় 'অরুণ' ( 1905) ,  ভূপেন্দ্রচন্দ্র সেন সম্পাদিত ' সাধনা' ( 1912)  ভারতচন্দ্র দেববর্মা সম্পাদিত ' শিক্ষণ' ( 1912)  ইত্যাদি সাময়িকপত্র প্রকাশিত হয় ৷ 1924 সালে মহারাজকুমার নরেন্দ্রকিশোর দেববর্মণ সম্পাদিত ' রবি' পত্রিকা সেকালের বাঙালি বিদগ্ধ পাঠকসমাজে বেশ আগ্রহের সঙ্গে স্থান করে নিতে পেরেছিল ৷ দেশের স্বাধীনতাকালে ত্রিপুরা স্বাধীন রাজ্য ছিল ৷ এই সময়ে বেশ কয়েকটি সাময়িকপত্র ত্রিপুরা থেকে প্রকাশিত হয়েছিল ৷ পরবর্তী সময়ে অসংখ্য সাময়িকপত্র ও লিটল ম্যাগাজিন ত্রিপুরার সাহিত্যকে পুষ্ট করে আসছে ৷ ত্রিপুরা রাজ্যের ভারতভুক্তির পরবর্তী সময় থেকে আজ পর্যন্ত গান্ধার, জোনাকি, নান্দীমুখ, সৈকত, অগ্রণী,গ্রুপ সেঞ্চুরি, বাংলা কবিতা, ভাষা সাহিত্য, জলজ, স্রোত ইত্যাদি প্রতিনিধিস্থানীয় লিটল ম্যাগাজিনগুলো সময়ে আন্দোলন সৃষ্টি করে চলেছে ৷
' জাতস্য হি ধ্রুবো মৃত্যুঃ
' বলে একটা চিরন্তন প্রবাদ রয়েছে ৷ লিটল ম্যাগাজিনের ক্ষেত্রেও যেন এ কথাটি অক্ষরে অক্ষরে সত্য ৷ চরিত্রের দিক দিয়ে সে যতোটা দৃঢ় হোক না কেন, আয়ুষ্কালের ক্ষেত্রে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই ৷

By Manansrote


Friday, May 25, 2018

বৈশাখী সংখ্যার সূচীপত্র

AKASH

বৈশাখী সংখ্যার সূচীপত্র


সাদা রঙের স্বপ্ন


কারো স্বপ্নে ঘর থাকে
ইট থাকে বালি থাকে
দামী একটা গাড়ি থাকে।
প্রেমিক থাকে - বউ থাকে
রঙিন কিছু সময় থাকে।
অ্যাপস্ থাকে - গ্যাপস্ থাকে
কিউট একটা বাচ্চা থাকে
রিমোট থাকে - জীবন থাকে
সাঁতার কাটার পুকুর থাকে

আবার কিছু স্বপ্ন এমনও হয়
যে স্বপ্নে শুধু - ভাত থাকে
সাদা সাদা ভাত ।

-------------------------------------------------------------------
J O Y D E B N A T H
240520180740

Welcome

welcome to manansrote

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...