Tuesday, August 31, 2021

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়


মানুষেরা কখনও সখনও বুদ্ধদেব। হুটহাট পথ দেখিয়ে চলে যান। এর মধ্যে কেউ কেউ বুদ্ধদেব গুহ। সুস্থ হতে হতে স্থির হয়ে গেলেন রবিবার। অন্তিম অভিবাদন জানাই।

ছেড়ে যাওয়া এক পার্থিব নিয়ম। বিয়োগের বছরে আর কত বেদনা আমাদের আছে জানি না। আগষ্ট আজীবন স্মরণের। মাথা নত করার মাস। হারানোর মাস। এ মাসের মনন স্রোতের ই-সংস্করণে সকলকে স্বাগত জানাই।


শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা-সহ
জয় দেবনাথ
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
মনন স্রোত

জয় দেবনাথ

অভিশাপ

আমাদের হাত পা বেঁধে জলে ফেলে রেখেছে যারা;
তাঁদের একটি বন্যা দাও!

আমাদের জলপঁচা দেহের দুর্গন্ধ দাও নির্দিষ্ট নাকে। আমরা মরে গেলে তাঁদের বাঁচিয়ে রাখো বহুকাল।

তুমুল দারিদ্রতার সাথে দীর্ঘায়ু কামনা করি বিশ্বাস নিয়ে এ যাবৎ খেলে গেছে যারা।

বাঁচিয়ে রাখার শুভকামনা ছাড়া আমাদের কোনো অভিশাপ নেই!

দিপিকা রায়

আমাদের স্বাধীনতা

স্বাধীন ভারতের স্বাধীনতা
বাজছে আকাশ, পাতাল ডঙ্কা। 
হুঙ্কার গর্জন কন্ঠে, 
স্পর্শিত আকাশ চূড়ায়
আমাদের জাতীয় পতাকা। 

জাতি,ধর্ম ভুলে একত্রিত সবাই, 
জনগণমন সংগীত স্তম্ভের বাঁধনে। 

মুক্তির পথ ধরেছিল এইদিন, 
কত কান্না ফিরে পেল হাসি। 
কত মহাপুরুষের আত্মবলিদানে, 
পরাধীন জঞ্জাল পথগুলোও
আজ স্বাধীন রাজপথ। 

স্বাধীন দেশের স্বাধীন জয়গান, 
মুক্ত পথের মুক্তিযোদ্ধা
কাঙ্ক্ষিত হয়ে উঠোক, 
স্বাধীন বলিদানের বুকে। 
জলাঞ্জলিতো পরাধীনতার বুক চিরে, 
প্রজ্জ্বলিত হবে স্বাধীন প্রদীপ।

সুশান্ত কবিরাজ

অপেক্ষারা আপেক্ষিক 

বাংলা অথবা ইংরেজি ক্যালেন্ডারের
কোনো এক তারিখ আর সময়কে ঠিকানা করে ,
মাতৃজঠরে দশমাসের অপেক্ষা জুরে, 
শেষমেষ  নবকিশলয়,  নব জীবনের সূচনা হয়।

তারপর শৈশবে পরি কি মরি প্রানে,
হুটোহুটি ছুটোছুটি, স্কুল জীবনের খুনসুটি, 
নিজ নিজ ছুটির টানে সকলকে পিছনে ফেলে
অপেক্ষা কে করেছিল কবে? মুখরিত কলরবে।

এরপর শৈশব জীবন শেষে, যখন যৌবন আসে  
শরীরে কাম নামক এ্যলাপিড নিউরোটক্সিনের সঞ্চার হয়,
তখনই তো কথাটা দিয়েই ফেলি
ওগো,আর কেও নয় এই পৃথিবীতে শুধু তুমি আর আমি,
আমি আর তুমি সারাজীবনে দুজনে দুজনের তরে
চিরন্তন সত্য হয়ে থাকবো নিশ্চয়।

কিন্তু সময়ের সীমানায় কখনো দুই নদী মেলে এক সুরে,
কখনো বা মেলে অন্য ঠিকানায়.....
অপেক্ষার অবসান হয়। 
আাসলেকেও থেমে থাকে না কী মিলনে কী বিরহে , 
মনে পড়ে ছোটো বেলায় পড়া সেই কথা....
"সময় চলিয়া য়ায় নদীর স্রোতের ন্যায় "
আর ঐ কান্নাকাটি,মান-অভিমান জীবনের চিরন্তন সত্য,
সবকিছুই জায়গা পায় আইনস্টাইনের মতো
মহাজ্ঞানীর বিজ্ঞানের আপেক্ষিকতায়.....

সবই আপেক্ষিক !
মহাবিশ্বে চিরন্তন সত্য কিছুই নয় 
তাই যৌবনের প্রেমের অপেক্ষারও অবসান ঘটে।
মনে হয়,আসলেই তুমি আমার ছিলেনা কখনোও
কখনোও তুমি আমার নয় , 
তাই নতুনের সাথে জীবনের তরে করি পরিচয়
কিন্তু, তারপর সংসারে যখন বার্ধক্য আসে...
 সাতজনমের সাথী, বহু দিনের ভালোবাসাকেও
পিছনে ফেলে চলে যেতে হয়। 
কেও অপেক্ষা করে না , মানি আর নাই মানি !
জন্ম থেকেই তো খুঁজে  চলেছি মৃত্যুর নিশানা 
কারো তরে কেও থেমে থাকে না
প্রেম, ভালোবাসা, দেওয়া কথা,একসাথে চলা, একসুরে বলা,
সমস্ত অপেক্ষা আপেক্ষিক হয়েই রয়।

মোঃরুবেল

শিরদাঁড়া
                   
আমি গাছকে স্বাধীনতার কথা বললে,
গাছ তার পরিধির বাইরের  ডাল-পালা দেখিয়ে দেয়।
পাখিকে স্বাধীনতার কথা বললে,
পাখি ভ্রাম‍্যমান আকাশে ডানা ঝাপটাতে শুরু করে।
নদীকে স্বাধীনতার কথা বললে,
নদী বাঁধ ভাঙা হিল্লোলে বয়তে থাকে অনাকাঙ্ক্ষিত দিকে।
পাহাড়কে স্বাধীনতার কথা বললে,
পাহাড় শিরদাঁড়া সোজা করে আকাশের গালে চুমু আঁকতে চায়।
মানুষকে স্বাধীনতার কথা বললে,
মানুষ ঠোঁট চেপে বলে এমন শব্দ বলতে নেই, কেবল অন্তরে পুষে রাখতে হয়।

কাজী নিনারা বেগম

জারজ গনতন্ত্র

‘‘বেপরোয়া বিহঙ্গ উড়ে চলেছি এক স্বাধীন  অমলিন ভালোবাসা খুঁজে। 
স্বাধীনতা যুদ্ধের একবিংশ শতাব্দীতে রচিত একটি নতুন অধ্যায়ে বর্ণিত এক রক্তের রাঙা সূরুযে।। 
সেই জারজ গণতন্ত্রের  একনিষ্ঠতার সহোদরা হয়ে,, 
 তেপান্তরের মাঠে ঠক্ ঠ্ক করা ঘোড়ার খুরে।
 বৈশিষ্ট্য ও একনিষ্ঠ গণতন্ত্রে আজ মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়,
 বৈষম্য  আর    রাজনীতিবিদদের কূটনৈতিক চালে ভারতের মাটি আজ পচনশীল ।
 বুমেরাং আজ স্বাধীনতাসংগ্রামী নারী ও পূরুষের রক্তের দাগ।
 গান্ধীর নরমপন্থী আন্দোলন ও সুভাষচন্দ্র বসুর চরমপন্থী আন্দোলন ,,
আজ মাটিতে চাপা পড়া জীবাশ্ম !
 আবিষ্কৃত হবেনা আর স্বাধীন ভারতের ,,
সেই সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাস !’’

গৌতম মজুমদার

জাত

লড়াইটা হোক ভাতের জন্য
জাতের জন্য নয়,
সকলের পাশে দাঁড়ানোটাই এখন
মানুষের পরিচয়।

ভুখা পেট নিয়ে দিন কাটে যাদের
জোটেনাকো তব আহার,
মুখে তুলে দাও অন্ন তাঁদের
দাও তব অধিকার।

মাঠে ঘাটে তারা দিনরাত খাটে
হাতে তুলে নেয় কাজ,
দিনের শেষে ঘরে ফিরে দেখে
উনুন জ্বলেনি আজ।

ফসলের দাম পায়না ন্যায্য
ফড়িয়াদের ফাঁদে পড়ি,
ঋণী হয়ে যায় মহাজনের কাছে
বেচেঁ থাকে পায়ে ধরি।

দিন কাটে তাঁদের উপোস থাকিয়া
ঋণ হয়ে যায় পাহাড়,
ঘৃণা বুকে নিয়ে হারিয়ে ফেলে
বেচেঁ থাকার অধিকার।

বাচিঁয়ে তোল খাদ্য রসদদের
মুখে তুলে নিতে রুটি,
হাত ধরে তাঁদের বুকে তুলে নাও
জাতের উর্দ্ধে উঠি।

পান্থ দাস

দেশ প্রেম

পরাধীনতার
বিশদ মনে
অসীম প্রতিবাদের
আগুন জ্বলে ৷

দেশ জননীর
চরন তলে
যেন প্রাণ ঢেলে দেই
রক্তদলে ৷

হলেন শহীদ
শত অমর কিশোর
হে বীর প্রসবিনী !
ভয়টা কি তোর ?

গোপাল দে

কবিতারা এখন কথা বলে
                          
দীর্ঘদিনের অব্যক্ত অভিমান,
যন্ত্রণা আর অপমান 
ওরা মুখ বুজে সহ্য করেছে। 
প্রতিনিয়ত গেয়েছিল প্রেমের গান,
ভালবাসার গান, প্রকৃতির গান। 
আদরে বুকে জড়িয়েছিল 
আপন থেকে পর সবাইকেই। 
জানা-অজানা স্বপ্নে মোড়া ছিল
সেই শান্ত-স্নিগ্ধ সময়। 

এখন আকাশে অনেক কালো মেঘ। 
বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে স্বার্থপরতা,
লোভ,লিপ্সা,কাম,ক্রোধের বিষাক্ত বাতাবরণ। 
চারিদিকে শুধু শোষণ অত্যাচার
আর আঘাত প্রত্যাঘাতের গল্প। 
কবিতারা এখন আর চুপ থাকবে না। 
শানিত কন্ঠে ওরা জবাব চাইবে
হিসাব চাইবে প্রতিটা আঘাতের। 
ভালোবাসা আর বিনয়ের বাণী অনেক হলো। 
বজ্রকন্ঠে ওরা এখনো প্রতিবাদী।
কবিতারা এখন কথা বলে।

টিটু বনিক

অদৃশ্য প্রেম 

শরীরের বাহিরে যে প্রেম থাকে ,
যাহার দ্বারা আমি সম্মোহিত হয়।
হৃদয়ের বন্ধন যেখানে বিচ্ছিন্ন হয় না
সতত জীবিত চিরসবুজ বৃক্ষের মত।
অনিলের মত শুধু অনুভূতিতে যে,
শরীর যার বিহীন অসহায়,
জ‍্যোৎস্না হয়ে সরণি দেখায় যে
অনুভবে সতেজ থাকে সে নিত‍্য ।
চিরকাল হতে যে জীবিত থাকে,
প্রদ্বীপের মতো যে জ্বলে আছে,
আকাশের মত যে অস্পৃশ‍্য,
অক্ষিতে যার মূল্যহীন,স্পর্শে সে শূন্য।
ঝড়ে যাওয়া শরীর যার খাদ্য নই,
জীবন-মৃত‍্যুর আবাস যার শুধু চিত্ত।

নেহা মজুমদার

হায় রে মেয়ে


হায় রে মেয়ে কেন এলি তুই এ ভুবনে?
নিজের ইচ্ছার কোন দাম নেই যে তোর জীবনে!
পরের তরে নিজের জীবন করলি যে তুই দান
তবু কেন সমাজ তোকে করে না সম্মান?
তোকে দেবীরুপে পুজি তুই মাসিকে অশুচি..
তোর রুপের আগুনে আবার পাল্টে যায় রুচি
আপন কর্মে হলে ক্ষতি নিজেই করলি র্সবনাশ
পরকর্মে হলে দুর্গতি এ তোর ভাগ‍্যের পরিহাস..
কোথাও দেখি কুমারি পূজো দুর্গা পূজোয় গিয়ে
কোথাও দেখি নাবালিকার দিয়ে দিচ্ছে বিয়ে 
কোথাও আছে কাল্পনা চাউলা হয়ে দেশের গর্ব
প্রিয়াঙ্কা রেড্ডি আবার দেশের কলঙ্কের এক পর্ব!
নীরজা যখন শিশুকে বাঁচাতে নিজের দিল বলি..
চলুন না আমরাও তাদের মতো পথ ধরে চলি
কন্যা সন্তান যদি হয় পরিবারের বোঝা 
পৃথিবীতে পুরুষের বেঁচে থাকা হবে না অতো সোজা।

অভিজিৎ রায়

বেকার ছেলে
               
আমরা হলাম বেকার ছেলে
বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখি হিংসা বিভেদ ভুলে

সমাজের চুখে আমরা নাকি নিষ্কর্মা
কিন্তু আমরা জানি আমরা  এক একটা বিশ্বকর্মা

চাকরি পেলেই নাকি স্ব-রোজগারি
আমরা নাকি বাবা মায়ের কোষাগার খালি করি

আমরা পারি না কোন ভালো কাপড় পড়তে
পড়তে হয় ছিড়া জামা কাপড়  মানুষের নানাহ অজুহাতে

ভালো কাজ করলেও সবাই বলে এটা আমরাও পারি
খারাপ কাজেও আমাদের নাকি অনেক পাল্লা ভারি


বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ালে বলে সবাই এসব নমুনা
দুর্দিনে পাশ কাটিয়ে গেলে সবাই বলে ওদের থেকে এটাই পাওনা

আগে গেলেও সমস্যা মোদের পিছনে নেই কোন ঠাই
বেকার বলে নেই কোন দাম কপালটা মোদের পুড়ে ছাই

কৃষ্ণেন্দু অধিকারী

রাধিকার সন                      
                                      
বাজে শ্যামের বাঁশি বৃন্দাবনে
 সুরের সুধা হাওয়ায় ভাসে,
 গোপিনীর দলে ঘুম ভেঙে যায়
 প্রাণ ভরে যায় কানহার বেশে।

রাধার চোখে প্রেম আভূষণ
 ওরে শোন রে সখি বাঁশির বাদন,
 কৃষ্ণ শুধায় কোথায় প্রিয়ে?
 ওই স্নিগ্ধ বদন বিমল শোভন।

ব্রজের বালক রাখাল কানহা
 নন্দ দুলাল চক্রপাণি,
দোলের ক্ষণে রঙের মেলায়
 কৃষ্ণ সাজে রাধারানী।

রাখাল গড়ে রাসের কুঞ্জ
 অমৃত সুধা ঢেলে,
 গোপিনীর মনে রাধিকার সনে
 প্রেমের খেলা খেলে।

ফুলের ভিড়ে কুঞ্জে কুঞ্জে
 ইন্দু রাশি মাখায় আলো,
 বংশীধারী বংশী হাতে
 ধরার মাঝে প্রেম জাগালো।

মিঠু মল্লিক বৈদ‍্য

ধৃষ্টতা

যদি আকাশ হতেম
ভালোবাসার রামধনু ছড়িয়ে
রাঙ্গাতাম  প্রেমরঙ্গে।

যদি সূর্য হতেম
দীপ্ত আভায় ভরিয়ে
জ্বালাতাম বোধের বহ্নিশিখা।

হতেম যদি অংশুমালী
আলোর সিত ধারায়
ভরিয়ে দিতাম ধরনী।

যদি মুক্ত খেচর হতেম
আপন হরষে উড়তাম নভমাঝে,
সোহাগী কন্ঠে গাইতাম প্রেমগান।

যদি হতেম রিমঝিম বৃষ্টি,
শান্ত বরিষণে সকল দৈন‍্যতা
ঘুচিয়ে, শান্তির উড়ুপ বাইতাম।

হতেম যদি স্রোতস্বতী নদী,
উন্মুক্ত কবরীর শীতল প্রবহণে
সকল পাপাচার ভাসিয়ে দিতাম।

যদি মারুত হতাম,
উদাসীনতার বিসর্জনে
শুদ্ধতার বীনা বাজাতাম।

কিন্তু আমি কেবলই দ্বিপদী,
বিবেকের উদারতা ক্ষয়িষ্ণু,
ঘুনেভরা চেতনায়; আমিত্বের ধৃষ্টতা।

প্রীতম শীল

রক্তাক্ত স্বাধীনতা

অর্জিত স্বাধীনতার বস্ত্র খুলে,
উলঙ্গ করেছো যখন।
আমার দুচোখ দিয়ে অশ্রু জল,
গড়িয়ে পড়ছিলো তখন।
ধর্ষিতা স্বাধীনতা চিৎকার দিয়ে,
পায়নি কোনো বীরত্ব।
নখের আঁচরে খামছে স্বাধীনতা,
শরীর বেয়ে পড়ছে রক্ত।
এটাই যদি তোমাদের স্বাধীনতা হয়? 
আমি তবে হবো ঝাঁসি।
বোনের নগ্ন শরীর দেখার জন্যই কী?
ক্ষুদিরামের হলো ফাঁসি?
তবে আরও একবার ভিক্ষে চাইবো,
স্বাধীন ভারতের কাছে।
যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি,
ধর্ষকের কাছে কি মিছে।
তবে আমাদের স্বাধীনতা কোথায় পাবো?
কার সাথে করে যুদ্ধ।
এমন স্বাধীনতার বাণী আমাদের,
করেনা আজ মুগ্ধ।

কৃষান নম:

আতঙ্ক
 
আবার এসেছে দেশবাসীকে, 
যন্ত্রণা ব্যথা দিতে আতঙ্কিত ভাইরাস।
আবার কিছু আতঙ্কের প্রতিশ্রুতি, 
আমাদের সেই স্বপ্নভঙ্গ। 
আবার মাঝরাতে অ্যাম্বুলেন্স আওয়াজ, 
ডাক্তারদের বিরক্তের চাবিকাঠি।
সমাজটা সভ্যতার মতো এগিয়ে চলছিল, 
তখনি আতঙ্কের দালাল এসে জগৎকে বিকরে দিলও।
অস্বস্তি কর, যন্ত্রণার পৃথিবীর বুকে অন্ধকার করে আনে, 
রং মাখা আনন্দ উল্লাস গলি গুলিতে।
নিয়ে আসে এক আতঙ্কের ছায়াযুদ্ধ, 
একটি প্লাস্টিক মোরানো লাসের গোপন গুহা।
সেখানে শুধু শোনা যায় অচল শরীরে নিঃশব্দ গজনের, 
শুধুই চারদিকে আতঙ্ক আতঙ্ক।

প্রণব দাস

নেতা হবো

ছোটবেলায় মা বলতো,
পড়াশোনায় যাচ্ছেতা,হবিটা কি তুই? 
বোয়াল দেখলে কাতলা বলিস আর ইলিশ দেখলে রুই!
হেসে মেসে বললাম শেষে,চয়েস আমার এক,আশা ডজনখানেক।
দারুণ হেসে মা বললো,বল বল বল শুনি তবে কি? 
বুক চাপড়ে বলে দিলাম
নেইযে কোনো ভীতি,করবো রাজনীতি
নেতা হয়ে ঘুরবো আমি,দেখাবো প্রেম প্রীতি।
অবাক হয়ে বলল মা,তুই হবি নেতা!
শেষে জুটবে না তোর 'খ্যাতা'।
হাহা করে বললাম আমি,চিন্তা নেই মা 
হবে গাড়ি হবে বাড়ি, চশমা চোখে চুল দাড়ি,
পাঞ্জাবিটা থাকবে পড়া,দামী কোর্ট আর চটি জোড়া,
এদিক সেদিক থাকবে টাকা,লাইফটা হবে ঝাকানাকা,
করুন কন্ঠে বলল মা সহজ নয়রে বেটা
ক্ষমতা তোর থাকবে কদ্দিন,কঠিন ব্যাপার সেটা,
চুপি চুপি বললাম হেসে,আদর্শটা ডুবুক গিয়ে
মন্দ কি আর তবে ?
এদল ওদল বদলে নেবো,
তবুও নেতা আমি হব।

বিনয় শীল

মিথ্যে মুখ

কাজল
সজল
জয়নাল ফজল,
গো বেচারায় মিশে ।
আলিম
জালিম
মঈদুল হালিম,
ওরা বা কম কিসে !

সরল
তরল
গুপ্ত গরল,
মিথ্যে শব্দ চাষী ।
লেখক
শেখক
নৈশ পেঁচক,
ভয় ভীতিকর হাসি ।

মালা
ঝোলা
তিলক তোলা,
মুখে সদাচার ।
হরি
হরি
আহা মরি,
কতো কদাচার ।

চিল্লা
চিল্লা
হামদুলিল্লা,
ওয়াজ মাহফিলে ।
ঘেউ
ঘেউ
বিষের ঢেউ,
মুমিন হুজুর মিলে ।

কথায়
কথায়
তোর কবিতায়,
মানবতার মলম ।
আবুল
বাবুল
কান্দে কাবুল
চুপ কেন তোর কলম !

দিপ্সি দে

তবুও প্রেম

প্রতিটি অন্ধকারে তোমাকে অনুভব করি শূন‍্যের শেষ বিকেলে হতাশা নিয়ে হাঁপিয়ে উঠে শহর
 
জলমগ্ন ছাঁদে হাটুগেরে বসে দেখেছি একটুকরো মেঘ বৃষ্টিকে ছুঁয়ে আদর করে পাশ কেটে চলেছে,

সমুদ্রমন্থনে হিমালয় অভিযানে তুমি আমি পাশাপাশি হেটে যায় বিশ্রামাগারের খোঁজে।

কখনও মেঘ কখনও বসন্ত কৃষ্ণচূরা গাছ অভিযোগ  নিয়ে দাড়িয়ে থাকে,
এ শহর প্রেম বুঝে না!
প্রেম যে প্রেম! খোলা আকাশ বারন্ত শরীরের লাবণ‍্য,
তা ভুলে গেছে উতলা কৃষ্ণচূড়া।
শেষ বিকেলে সে ডাস্টবিনে অযথা সময় নষ্ট করে 
খুচরো ভালোবাসার সন্ধানে ।

অভীককুমার দে

এক্কই তালে 

ছা-র, ও ছা-র...
যেন্নে যেন্নে শিকাই দিছেন
আন্ডাঅ চিল্লাইছি গলা হাডাই
ব্যেকে মিলি এক্কই তালে, 

নঅ বুজি
নঅ হুনি
নঅ জানি
চিল্লাইতে কন হোয়াদ ?
আগে যেই হরেঅ হেই 
আজাইর্গ্যা হরিশ্রম...

আরিগ্গা চলকেট দেন থাইকলে, 
মিডা কম অইলেই অইবো; 

চুইতাম... 

আগেরগুন চুইতে চুইতে
এক্কারে মিডা অই গেছিগোই; 

হিম্বায় ধরের অন !

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...