অপেক্ষারা আপেক্ষিক
কোনো এক তারিখ আর সময়কে ঠিকানা করে ,
মাতৃজঠরে দশমাসের অপেক্ষা জুরে,
শেষমেষ নবকিশলয়, নব জীবনের সূচনা হয়।
তারপর শৈশবে পরি কি মরি প্রানে,
হুটোহুটি ছুটোছুটি, স্কুল জীবনের খুনসুটি,
নিজ নিজ ছুটির টানে সকলকে পিছনে ফেলে
অপেক্ষা কে করেছিল কবে? মুখরিত কলরবে।
এরপর শৈশব জীবন শেষে, যখন যৌবন আসে
শরীরে কাম নামক এ্যলাপিড নিউরোটক্সিনের সঞ্চার হয়,
তখনই তো কথাটা দিয়েই ফেলি
ওগো,আর কেও নয় এই পৃথিবীতে শুধু তুমি আর আমি,
আমি আর তুমি সারাজীবনে দুজনে দুজনের তরে
চিরন্তন সত্য হয়ে থাকবো নিশ্চয়।
কিন্তু সময়ের সীমানায় কখনো দুই নদী মেলে এক সুরে,
কখনো বা মেলে অন্য ঠিকানায়.....
অপেক্ষার অবসান হয়।
আাসলেকেও থেমে থাকে না কী মিলনে কী বিরহে ,
মনে পড়ে ছোটো বেলায় পড়া সেই কথা....
"সময় চলিয়া য়ায় নদীর স্রোতের ন্যায় "
আর ঐ কান্নাকাটি,মান-অভিমান জীবনের চিরন্তন সত্য,
সবকিছুই জায়গা পায় আইনস্টাইনের মতো
মহাজ্ঞানীর বিজ্ঞানের আপেক্ষিকতায়.....
সবই আপেক্ষিক !
মহাবিশ্বে চিরন্তন সত্য কিছুই নয়
তাই যৌবনের প্রেমের অপেক্ষারও অবসান ঘটে।
মনে হয়,আসলেই তুমি আমার ছিলেনা কখনোও
কখনোও তুমি আমার নয় ,
তাই নতুনের সাথে জীবনের তরে করি পরিচয়
কিন্তু, তারপর সংসারে যখন বার্ধক্য আসে...
সাতজনমের সাথী, বহু দিনের ভালোবাসাকেও
পিছনে ফেলে চলে যেতে হয়।
কেও অপেক্ষা করে না , মানি আর নাই মানি !
জন্ম থেকেই তো খুঁজে চলেছি মৃত্যুর নিশানা
কারো তরে কেও থেমে থাকে না
প্রেম, ভালোবাসা, দেওয়া কথা,একসাথে চলা, একসুরে বলা,
সমস্ত অপেক্ষা আপেক্ষিক হয়েই রয়।
No comments:
Post a Comment