Thursday, June 21, 2018

কল্যাণব্রত বসাক

ফেনী ব্রিজ (২য় পর্ব)

পাড়ার ছেলেরা যারা নদীর চরে বিকেলে খেলতে যায় তারা বখাটে ছেলে হিসেবে পরিচিত।  রামগড়ের ছেলেদের সঙ্গেই,দারি বাঙা, কবাডি, বল খেলা চলত। ক্রিকেট খেলা তখনও খুব বেশী জনপ্রিয় হয়ে উঠেনি আমাদের পাড়ায়। খেলা নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া, হাতাহাতি, মারামারি হত।

ওপারের ছেলেদের কাছেই তখন ট্রেনিং পেয়েছি খিস্তি খেউরের। আমরা বলতাম 'মুখ খারাপ'।  শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, সামাজিক সব সম্পর্ক উঠে আসতো সেই গালাগালি বা 'মুখ খারাপ' এ।  ওদের সাথে গারাগালিতে কিছুতেই পেরে উঠতাম না।  যাহোক ক্রমেই ওরা আমাদের বন্ধু হয়ে উঠে। সবকিছু ছাপিয়ে রামগড়ের বন্ধুদের আন্তরিকতা ছিলো অসাধারণ।

একদিন শাহ আলম, ফারুকের সঙ্গে আমরা ডানপিটে তিন বন্ধু ওপারে ওদের বাড়িতে যাই। বিকেলে। পিঠেপুলি, সেমাই এর পায়েস, আরো অনেক কিছু খেতে দেয়।  শাহ আলমদের বাড়িতে আলাদা ঠাকুর ঘর নেই। জিজ্ঞাসা করলাম কি ব্যাপার?  ঠাকুর ঘর কোথায়!

(সাব্রুমে এখন পর্যন্ত কোন মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের বসবাস নেই। তখন নিজেই জানতাম না আমি / আমরা কি?)

শাহ আলমের আম্মা বললো 'বাবা আমাদের ঠাকুর ঘর নেই - মসজিদ আছে'
বললাম --- সেটা কি?

আম্মা বললেন -- তোমাদের যেমন ঠাকুর ঘর তেমনই। তোমাদের যেমন পূজা হয় আমাদের হয় আযান।

বললাম --- আম্মা!  আযান ঠাকুরকে আমাদের বাড়িতে খুব মানে।

চলবে..........
(পরের পর্ব - পরের সংখ্যায়)

Friday, June 15, 2018

অমিত রুদ্র পাল

বাসনা

কোথাও এক  নীলা পাহাড়ে
ইচ্ছে গুলো  খেলা করে ,
চড়তি গিয়ে   আঁচড়ে ঝরে
তবু আবার   দাঁড়িয়ে পরে।

কোথাও এক  নদীর পারে
কুঁড়ে ঘরে যৌবন, বসত করে
বৃষ্টি হলে   চুইয়ে  গড়ে
তবু নাহি   দমকে সরে।

কোথাও এক  মরু স্তরে
অনুভব ধূলোয়   উড়ে ঘুরে
ঝেড়ে আবার  খোঁজে ফিরে
আসবে না হয়  আপনা  করে।

কোথাও এক  প্রদোষ ঘাটে
জ্যোৎস্না রাঙায় অক্ষি ,
বাসনায়  প্রহরা  কাটে।
আসবে যেথায়   প্রাণ কাঁদে
নৈশ ভীমরতি  ললাট বেঁধে।

বিজন বোস

হাহাকার কখনো স্থায়ী হয় না


অনেক রকমের ভয় আছে
অন্ধকার গলিতে একা হাঁটার ভয়
নিঃসঙ্গ হয়ে যাওয়ার ভয়
ফতুর হয়ে যাওয়ার ভয়
সব থেকে বড় ভয় মৃত্যু ভয় ।

নেপোলিয়ান হিটলার ছিলেন
সভ্যতার বিপদ
ওদের তেড়া  চোখে ছিল
পৃথিবীকে হাতের তালুতে বন্দী করার ফন্দী
স্বপ্নই থেকে গেল শেষ পর্যন্ত
বিধ্বস্ত হল স্বৈরাচার ।

এখনো পৃথিবীর দিকে দিকে
সক্রিয় নব্য ফ্যাসিবাদ
শুধু শাষনে নয়;
চিন্তা মননে দর্শনে
সামন্তবাদ সমাজকে
টুকরোা টুকরো  করার ফন্দি আটে  ।
রক্তপাততো মানুষকে সুস্থির করে না
মানুষকে খুন করে উপরে উঠা যায় না
হাহাকারও কখনো স্থায়ী হয়না ।
ভয়কে জয় করে মানুষ এগিয়ে যাবে
" সবার উপরে মানুষ সত্য "
একথা খাঁটি অকাট্য
মানুষরূপী শ্বাপদের বিরুদ্ধে
শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যেতে হয় ।

Thursday, June 14, 2018

সঞ্জীব দে

আঁধার-বনে
              

যেমন করে তাকিয়ে ছিলে নদীর ধারে ,
দূরের ঐ শূন্য আকাশ, ফসলহীনা মাঠটি জুড়ে --
সন্ধ্যাবেলা--
অমনি আমি চুপটি করে, পেছন দিকে --
দুহাত দিয়ে দুচোখ ধরে, শব্দহীনা কৌতুহলে,
দারুণ খেলা।

ভীতু তুমি! বুঝতে পেরে, দুহাত তুলে --
হাতটি ধরলে আলতো করে , হাসিমুখে নিঃসঙ্কোচে,
ধীরে ধীরে,
অবাক আমি! বলেই ফেললে নামটি আমার !
চোখটি ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে, বালুচরে একলা একা
নদী- নীরে।

দাঁড়িয়ে তুমি দুচোখ মুছে সু-নয়নে
চেয়ে আছো  নিস্পলকে ,স্নানটি আ-মা-র
উদাস মনে!
আস্তে আস্তে নিভে গেলে আকাশ বাতি ---
কোথায় যেন হারিয়ে গেল , মনটি আমার
আঁধার বনে।

অশোকানন্দ রায়বর্ধন

রা   ই

জানি তোমার ডিমরঙা দুপায়ের চপল নুপূর
বেঁধে রেখেছ কাঁচুলি খুলে ৷ শব্দ না ছড়ায় যেন

ঝড়ে ভেঙে তোমার পাহাড়চুড়ো উথাল পাতাল
উপত্যকা জুড়ে দামাল গড়াগড়ি খায় ৷
টের পেয়ে বসন্তের কিশোর নবীন বাতাস
দখিনসাগর ছেড়ে ছুটে আসে নিকুঞ্জবনে ৷
পাতায় পাতায় মাতন আশ্লেষবিলাসে
গানে গানে মগ্নতা আনে কোকিল আর ভ্রমর

বাতাস আস্টেপৃষ্ঠে চেটে খায় তোমার বসন্তবিস্তার
কদমের পাতা বলে, রাই! তোমার প্রেম কোন্ ছার।

শচী চৌধুরী

মৃত্যু

ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে দেহ।
মাটির রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে যাচ্ছে তামাম অস্থিরতা ।
যতদূর ভাবতে পারছি –
এক জাঁহাবাজ দুনিয়ার নাগরিকত্ব
কেউ এক ফুঁয়ে উড়াচ্ছে ছিঁড়ে ।

সমস্ত অশ্রুই বঞ্চনার
সমস্ত অশ্রুই অভিযোগ
সমস্ত অশ্রুই নিখাদ আত্মপ্রেম ;
হে মৃত্যু ,তোমার বিমল অশ্রু আমি সমর্থন করি ।

তারাপ্রসাদ বণিক

চলো ঘুমিয়ে পড়ি



পথ ভুল করে বার বার
প্রারম্ভিক বিন্দু আসে ফিরে
ছুঁতে পারিনা মায়াবী গন্তব্য---
রাত্রির জঠর থেকে ছিঁড়ে আনতে পারিনা
শঠতা বিহীন একটি তীক্ষ্ণ সকাল।

তবে চলো অন্তরে জমে থাকা
আলোকিত সব পবিত্র ক্রোধ
নিরেট রাত্রির পেটে বন্ধক রেখে
ঢলে পড়ি অন্তহীন ঘুমে।

নিদ্রা যদি ফাঁকি দেয় অবাধ্য চোখ
সবাই মিলে অন্তত
একটা মিছিলে দাবি উঠুক
ঘরে ঘরে চাই সহায়ক মূল্যে অব্যর্থ নিদ্রা-বটিকা।

মিঠুন দেবনাথ

অনুরাধা  (দুই)




           হেমন্তের মধ্যকাল ; বিকেলের আকাশটা প্রায় পড়িতেছিল | সারাদিনের কর্মকান্ডে ইতি টানিয়া সূর্যটাও লালুদের বাগানের ভিতর দিয়া রক্ত কম্বলের ভিতর দেহটাকে লুকাইবার এক প্রকার বন্দোবস্ত সাড়িয়াছে | পুকুরের জল স্বস্তির নিশ্বাস ফেলিতে লাগিল , ঘোষদের কূপ হইতে আপন মনে গান গাহিতে গাহিতে গাঁয়ের ঝি'রা কলসী লইয়া গৃহে ফিরিতে লাগিল ,  মাঠ ঘাট হইতে সমস্ত পক্ষীকুলও গৃহাভিমুখে রওনা হইল | তুলসীতলায় প্রদীপ জ্বালাইবার নিমিত্তে বরেনের বৌ পুজার ঘটিবাটি ধুইয়া হস্তপদে জল ঢালিল ; তখনও বালিকা ঘরে ফেরে নাই ! 


         ইতিপূর্বে বালিকা কখনোই এত দেরী করে নাই তবুও বিন্দু মাত্র চিন্তার কারণ নাই কেন না বহুদিনের চেনা জানা লোক , যদিও একটু দূর সম্পর্কের তবুও আত্মীয় বটে | পদের পর পদ ফেলিয়া গুণিলে বড়জোড় এবাড়ি হইতে ওবাড়ি পর্যন্ত আধ ক্রোশ হইবার পারে | বিগত তিন বৎসর কাঁধে ব্যাগ ঝুলাইয়া সেই পথেই পদের পর পদ ফেলিয়া গায়েত্রী মন্ডল বাড়ির বড় ছেলের নিকট হইতে ইংরেজির পাঠ গ্রহণ করিত |


          বিদ্যা রত্নে মধ্যম ; সবে মাত্র নবম শ্রেণিতে উঠিয়াছে | তবে বর্তমান যুগে নবম শ্রেণিতে বালিকারা যে প্রকারে শারীরিক গঠণের অধিকারী হইয়া থাকে গায়েত্রী তাহার তুলনায় কিঞ্চিত ডাগর হইয়া উঠিয়াছিল | 


         আশ্বিনি ঝড়ে বর্ষা বিদায় লইয়া মাস দুই পার হইলেও তখনও হটাৎ হটাৎ আকাশে মেঘ করিয়া অসময়ে বৃষ্টি নামিত | বরেনের দো চালাটা জীর্ণ শীর্ণ দেহ লইয়া বর্ষা কাটাইলেও হেমন্তে আসিয়া থমকে দাঁড়াইল ! 


           সূর্য ডুবিল | কাঁধের উপর শণের ভাঁড় লইয়া ইষৎ অন্ধকারে বরেন গৃহে ফিরিল | গৃহে ফিরিয়া গিন্নির মুখে কন্যার না ফেরার কথা শুনিবাই বরেন উচ্ছ্বল হইয়া কোনো প্রকার ইতস্তত না করিয়া কাঁধে গামছা ততসঙ্গে হস্তে একখানি টর্চ লইয়া গায়েত্রীর খোঁজে চরম বেগে ধাবিত হইল।

চলবে.......


Sunday, June 10, 2018

কুমার নচিকেতা শীল

A RABBIT AND BABY ELEPHANT

                                    Kumar Nachiketa Sil
                                       (Class-III, Age-9)

One day a rabbit and a small baby elephant are friend . And one lion have
this lion eat many many animals to kill and eat. But one day a lion sleeping. And all animals lived in the jungle and eating grass. And the lion saw the animals are their  eating grass and lived  then the lion run away.  And eating all animals .

       The rabbit coming and saying- hain, " you are a lion no hain lion, I am see there one lion." Then the rabbit and the lion going to the pond and the lion see. Oh ! their two one lion have . Then the lion killed. The lion then these  lion also killed him. Then the lion going to the pond. The lion are not coming.  Then the rabbit and the small baby ELEPHANT are happy.

রঞ্জিত দেবনাথ

যোগি সম্প্রদায়                                          
                            

ধন্য হলাম জন্ম নিয়ে
যোগি পরিবারে।
যৌবন পেলাম এই সমাজে
আনন্দে আদরে।।

যোগি সপ্রদায়ের কথা,
কি বলিবো ভাই।
দেব শ্রেষ্ঠ রূদ্র যে তার
তুলনা না যায়।।

রূদ্র পুজা নিজেই করি
নেইতো কারোর প্রয়োজন।
তাঁতে কাপড় বুনে করি
মোদের লজ্জা নিবারণ।।

জন্মগত  তাঁতী  মোরা
এটাই মোদের জীবিকা।
যোগি বাড়ীর সকল নারী
ভোলানাথের  সেবিকা।।

বিন্দুনাথের বংশ মোরা
তাই গর্বের এই কারণ।
দুষ্ট রাজা বল্লাল সেন
কেন করলো প্রতারণ।।

সবাই মিলে এসো ভাই
শপথ  গ্রহণ  করি ।
আপন জাতির স্বার্থে মোরা
প্রাণ  তেজিতে  পারি ।।

শিব গোত্রধারী আমরা
মোদের কিসের ভয় ।
এসো সবাই মিলে গাই
ভোলানাথের জয় জয়।।

যোগী হয়ে যে না করে
আপন কর্তব্য কর্ম  ।
দুখঃ পাবো আমি অতি
তার যে হবে অধর্ম।।

ভুলে যেওনা আমরা সবাই
একেই গাছের ফল ।
আমি তোমার তুমি যে আমার
শেষের  দিনের  সম্বল।।

আমরা যোগী সবার সেরা
নয়  কিছুতেই  কম ।
একাই একশ দেখে ভয়ে
পালিয়ে যাবে যম ।।

শান্তনু চক্রবর্তী

ছায়া


সামনে একটা গভীর খাদ।
একটা ছায়া তার সামনে ঘোরাঘুরি করছে।
ঝাঁপ দেবে কি দেবে না। এই মৃত্যু উপত্যকা যাদের অনিবার্য গন্তব্যস্থল তাদের এক না এক দিন এই গভীর খাদের সামনে এসে দাঁড়াতে হয়।যেমন দাঁড়ানো এই ছায়াটি।হয়ত এই ছায়াটিরও একটা নাম থাকতে পারে। থাকতে পারে ঠিকানা। থাকতে পারে একটি অগোছালো পরিবার। ছায়াদের কোনো নাম হয় না। ছায়াদের কোনো ঠিকানা হয় না। ছায়া মাত্রেই নামহীন। ছায়া মানেই অনির্দিষ্টতা। ছায়া মানেই অন্ধকারে মিশে যাওয়া। প্রকৃত প্রস্তাবে আলো থেকে জন্ম নিয়ে তমসায় বীলিন হওয়া ছাড়া ছায়ার সাথে আমার আর কোনো মিল নেই। পেছন ফিরে তাকাই। দেখতে পাই কেউ একজন ধাক্কা দিচ্ছে আমাকে। বুঝতে বাকি থাকে না যে সে আর কেউ নয় সময়। সময়ের হাত ছায়াটিকে ক্রমান্বয়ে নিয়ে যাচ্ছে খাদের কিনারে। এভাবেই লেখা হচ্ছে মহাকালের ইতিহাস। এভাবেই জন্ম নিচ্ছে গল্প। গল্প আর ছায়া মিলেমিশে একাকার হলে একটি ব্যক্তির জন্ম হয়। ব্যক্তি ভেসে যায় কলসীর মত নদীর বুকে। পাড়ে যাবার ইচ্ছা তারও থাকে কিন্তু কোনো হাত সে কলসীকে টেনে নেয় না। কলসী ব্রাত্য থাকে। আর ব্রাত্য থাকে কলসির ভেতরে থাকা ছাইভস্ম। যে ছাইভস্মের প্রতিটি কণায় লেখা আছে একটি জীবনের গল্প। একটি উপন্যাস যে কিনা কোনো পাতার উপর কালিতে রূপান্তরিত হতে পারেনি।

Saturday, June 9, 2018

মদন দাস

লবণাক্ত প্রেম

দলিত-স্খলিত-লবণাক্ত হয়ে প্রেম
বিকাচ্ছে আজ চৌরাস্তার মুড়ে ।
যে ফেনিল উচ্ছাস প্রেমরাশির ঢেউ
উত্থিত হয়েছিল অন্তরে
সাধনার অভাবে তা
রয়ে গেল পূজার অর্ঘ্য থেকে বহু দূরে ।
তাই আশ্রয় নিল সে হৃদয়গর্ভের অভ্যন্তরে ।                                
                                                                          কেঁচোর মতো মাটি খুঁড়ে
উঠতে চেয়েছিল উর্ধ্বে 
বর্ষার বর্ষণে ভেসে যেতে লাগল তখন ।
সে ভেসে যাওয়া হৃদয়ের তরী বেয়ে
যেতে চাইল আটলান্টিক মহাসাগরে ।
সন্ধান করতে চাইল -
অন্তরের বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলসের রহস্য ।

দুলাল চক্রবর্তী

ভুলি নাই প্রিয়া


বেঁচে আছি বুক ভরা আশা নিয়ে
নির্ঝরের স্বপ্ন ভঙ্গ হলে
হয়তো তোমায় পাবো।
জীবনে হারায়েছি অনেক
পাইনি কিছুই
অবাঞ্চিতের মতো ফিরে এসেছি বার বার।
আমার বার্তা হৃদয়ে তোমার্
স্হান পায়নি
আমি শুধু ডানা মেলে উড়েছি পাখীরমতো
নতুন কিছু পাবো বলে।
আশার মৃত্যু নেই
আমার হৃদয় কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে
বিদীর্ণ করে দিচ্ছে আমার দেহ মন
বাস্তব আর সত্যের মাঝে
মিল খঁজে চলেছি
নদীর স্রোতের মতো প্রবহমান
তা ধরা দেয়না।
মনের বাসনাকে নিঙরে
মুছে ফেলতে চেয়েছি।
না পাওয়ার যন্ত্রনাকে যেন
ভুলে যাই।
দেহ মনে আবার নাড়া দিয়ে ওঠে,
মন বলে হতাশার বশে
হারিয়ো না
পেয়ে যাবে কোন একদিন্
তোমার অজান্তেই।

সুস্মিতা রায়

ডেট অফ বার্থ

            

'ডেট অফ বার্থ' মানেই শুধু একটা জন্মতারিখ নয়
এক নতুন জীবনের লাবডুব দিয়ে শুরু করে
পুরো কেস হিস্ট্রি ঘেঁটে
একটা জ্বলজ্যান্ত নির্ভেজাল ডেথ সার্টিফিকেট!

দমবন্ধ করা ফ্যাচফ্যাচে হিসেব অসহ্য লাগে
বলাই যায় - জাস্ট পোষায় না একদম
বয়সের ভারে ন্যুব্জ কলকব্জাও অভ্যস্ত নিত্যনতুন চালে

তাই বয়স জিজ্ঞেস করা কোনও আগন্তুককে
সেদিন বলেই দিলাম
বর্তমান সময় থেকে ষোল বছর পিছোলেই
এই আহাম্মকের বয়স আপনার হাতের মুঠোয়
রসকষহীন অনাস্বাদিত সময়ের চোখ চলে
দ্বিতীয়বার '-রা' করার সাহস না পেয়ে
নিজের 'ডেট অফ বার্থ' নিজেই গুলে খেয়েছিলেন হয়তো !

অনুপম রায়

দীর্ঘ শান্তির ঘাম

শরীরে তেজালো, ঝাঁঝালো রক্ত
যৌবনেই ক্লান্ত পথিক,
নীরবতা পালনে বিমুখী প্রাণ
শান্তির বার্তা ক্ষণিক;
বিশ্ব-পরিস্তিতিতে মুখো-মুখো সাপ
সিরিয়াও আক্রান্ত,
জীবন যুদ্ধে বেশ্ অনিশ্চয়তা
চারিদিক অশান্ত;
আশায় পুরুষ,ভরসায় কুলবধূ
অনেকখানি পথের দাম,
বাজিমাৎ বেগে ,রাজেশ্বরী হৃদয়ে
মনন-স্রোতে ধেয়ে ধেয়ে
অবশ্যই ফিরে আসবে সেই
দীর্ঘ শান্তির ঘাম

ড. উমাশঙ্কর রায়

জীবন থেকে ধার নেওয়া


তুমিই তো বলেছিলে, "ভাবো। স্বপ্ন দেখো। স্বপ্নই যদি না দেখলে - তবে গড়বে কী করে ?"
ব্যস্ , সেই রাতেই ছেড়ে দিলাম মনখারাপি।

স্বপ্নকে পুজো করলাম।পেয়েও গেলাম দেখা। অদৃশ্য জগতের মাঝে একমাত্র স্বপ্নকেই মনে হল সহজলভ্য দেবতা।তাঁকে পুজো দিয়ে প্রসাদ পেলাম। বলতে পারো, সেই প্রসাদে আমার চৈতন্য হল।সেই চৈতন্যে ধরা দিল অব্যক্ত শক্তি ! সেই শক্তিবলে, সেই মহিমাবলে আমি পেয়ে গেলাম একটি ঘোড়া !

আহাঃ ঘোড়ার কথা শুনেই এমন ভিরমি খেলে কেন ? ঘোড়া দিয়ে কী হবে ?!

অনেক কিছুই হবে ঘোড়া দিয়ে।যুগ যুগ ধরে ঘোড়ারাই তো ছুটেছে যুদ্ধে। কত অপথ কুপথ পেরিয়ে গেছে জীবন বাজি রেখে !

দেখো, স্বাধীনতার এত বছর পর আজও গন্তব্যে পৌঁছানোর মার্গ তৈরি হয়নি ! এই ভারতের আত্মা বা প্রাণ যা-ই বলো, সে তো -  ঐ গ্রাম। ঐ আত্মার সঙ্গে সংযোগ গড়বে কী করে ? যেতেই হবে গ্রামে।দেখতে হবে। ঘুরতে হবে। বুঝতে হবে।ছুটতেই হবে এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত।কী করে ছুটবে ? গাড়ি দিয়ে ? রাস্তা চাই ? আহাঃ রাস্তা কোথায় ? রাস্তাই যে তৈরি হয়নি এতদিনেও !

বুঝতে পারলে তো এখন, ঘোড়াটা কেন এনেছি ?

এবার তোমাকে শুধু একটু কসরৎ করে ঘোড়ার পিঠে চড়া শিখতে হবে। ছুটতে হবে যে দ্রুত। হ্যাঁ, ঘোড়া ছুটবে।

দ্রুত পৌঁছে যেতে হবে ঐ দেশটায়। যাকে স্বপ্নে আমি দেখেছি এতদিন।

ধরে নাও আমরা ছুটছি যুদ্ধ ক্ষেত্র দিয়েই। শুধু যুদ্ধের জন্যই তৈরি যে পথ !

এটাই যুদ্ধ। স্বপ্নও বটে। এ যুদ্ধে যে ঘোড়াই চাই। স্বপ্নেও চাই।সেই স্বপ্নঘোড়া ছুটতে ছুটতে একদিন ঠিক পৌঁছে যাবে সেই দেশটায়।

এবার তুমি উঠে বসো ঘোড়ার পিঠে।তুমি দেখতে পাবে সেই দৃশ্য !  কীভাবে ঐ স্বপ্নের দেশের স্বপ্ন দেখতে দেখতে একটি কুড়ি বছরের যুবক এই বন্ধুর পথে অর্ধ শতাব্দী কাটিয়ে দিল !

না, ভয় পেয়ো না।সেই ঘোড়ার পিঠে বসে নিশ্চয়ই তুমি দেখতে পাবে অগুনতি লাশ।রক্তস্রোত। ঐ দেশটায় পৌঁছতে গেলে সেই স্রোত তো পেরোতেই হবে !

ঘোড়ার পিঠে আজ আমি স্বদেশ, তুমি স্বাধীনতা।

ড. শৌভিক বাগচী

গণিত

এক এর পরে শূন্য দিলে  
দশ হয় আর মন এর পরে মন বসালে
বশ|
রোজ রাতে বুক ফাটিয়ে যে কোলাজ বানায়
তার অঙ্ক মেলে না |
সে দানা পানি খাওয়া
পোষা গণিত কে উড়িয়ে
অপ রসায়নের যোজ্যতা
মাপে |
নিক্তিতে বুঝে নেয় জীবনের রং কে ,এই রঙের আবির ওড়ে না
কখনো |
শুধু রঙভুক পতঙ্গ রা
জিভ দিয়ে খায় |
যোজ্যতা বাড়ে,যোজ্যতা কমে আর গণিতের চোখ
রাঙানি ছেড়ে সে গ হয়ে
দিন কাটায় |

সোনালী রায় বাগচী

নীড়

সেদিন বটগাছের ঝুরি বেয়ে
অসংখ্য বৃষ্টিবিন্দু ঝরে পড়েছিল
অবিরল ধারায় ।
ছায়ায় , স্নেহে , প্রেমে , আদরে , জড়িয়ে রাখা একঝাঁক পরাযায়ী পাখি
যখন উড়ে যাচ্ছিল দেশান্তরের পথে ,
তখন এক নির্নিমেষ গোপন ব্যথা
ফোঁটা ফোঁটা রক্ত হয়ে
জমাট বেঁধেছিলো
তার কালচে সবুজ পাতায় পাতায় ।
তার শক্ত , প্রাচীন গুঁড়িতে ,
তার ডালপালায় ,
তার কোটরে কোটরে
জড়িয়ে ছিলো নীল বেদনার এক অন্তহীন হাহাকার । 
অথচ সেই শালপ্রাংশু দেহের অন্তর্ক্ষরণ বোঝেনি কেউ ।
হয়তো বা বুঝতেই চায়নি ।
শুধু একটিমাত্র লতা ...
তার অক্ষম আবেগে ,
দুর্বল আকর্ষগুলি দিয়ে 
আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরতে চেয়েছিলো
বটবৃক্ষের কঠিন শরীরটাকে ।
বুকের ঢাকনা সরিয়ে নির্দ্বিধায় দিতে চেয়েছিলো সেই উষ্ণতার আস্বাদ ,
যে উষ্ণতায় হয়তো কোনদিন
তৈরি হবে ,
এক চিরস্থায়ী পাখির বাসা ।
          
             

পার্থ ঘোষ

ষড়যন্ত্র


প্রতিটি বৈশাখে ভাবি এবার ঝাঁপাবো,
পরিচিত রবীন্দ্রসঙ্গীতে
ভুলে যাবো শোক, হিংসা, রিরংসার এই
সুপ্রাচীন জাদুবিদ্যা।
জৈষ্ঠ্য গিয়ে প্রবল আষাঢ়
সস্তায়, জলের দরে যত জিজীবিষা
ভেসে চলে যায়-
টিনের চালা বেয়ে গড়ানো বিষাদ,
পতন সুখ, অবরুদ্ধ হাহাকার,  আর
মাঝরাতে-
মনোপজ নারীর কাছে শেখা অলস সঙ্গম।

পাড়ায় পাড়ায় তবু, কে যেন রটায়
- এ বর্ষা ঋতুমতী খুব।

একেই ষড়যন্ত্র বলে,মাধুকরী-ভাষায়।

বিনয় শীল

আদর্শ জীবন

       [ ১ ]
নিষ্কল প্রেম দিয়ে-
যে কথা কয় ,
হিংস্রতায় তার -
কী বা আসে যায় |
বিধ্বংসী তাণ্ডবে-
নাহি যার ভয়,
বজ্রনাদে মধুগুঞ্জন-
সে শুনতে পায় ||

        [ ২ ]
উপলে যে পেয়েছে-
ষড় রস ধারা ,
অনলে শীতলতা-
বহে তাঁর তরে |
কন্টক প্রেমে যে-
হয় আত্মহারা ,
নীলিমায় নিত্য-নব-
সেইতো খেলা করে ||

        [ ৩ ]
দুঃখের আঘাতে যে-
পায় সুখরাশী ,
শরাঘাত তারে দেয়-
প্রসূন পরশ্  |
বেদন ক্রন্দনেতে-
বাজে যাঁর বাঁশী ,
নীরস মরু তার-
বিপুল সরস ||

       [ ৪ ]
কটু কথায় যে পায়-
স্নিগ্ধ প্রেমস্বর ,
করাল মৃত্যু তার-
নবীন কিশলয় |
জীবনের বৈভব যার -
নিতান্ত নশ্বর ,
জয়ঘোষ দেয় তারে -
নিত্য পরাজয় ||

       [ ৫ ]
অতীব বিচিত্র তার-
জীবন দর্শন ,
দুঃখ ই যার পরশমণি |
সুখাতঙ্কে যার হয়-
অশ্রু বরিষণ ,
জীবনের আদর্শ-
তাঁরেইতো গণি ||

অন্তিমা বৈদ্য

ভালোবাসো

ভালোবাসো ভালোবাসাকে,

ভালোবাসা যায় বুঝি
শুধু ভালোবাসার মানুষকেই ? 

একটিবার ভালোবেসে দেখোই না ভালোবাসাকে।

ভালোবাসা ফিরে ফিরে আসবে,

ভালোবাসা তেড়ে তেড়ে আসবে,


সকালে ঘুম ভাঙার পর,

কংক্রিট দেয়ালের বায়ুরন্ধ্রগুলো দিয়ে,

উকি মারার অভ্যাসরত,

আলোকরেখা গুলোকে ভালোবাসো।

মায়ের নুন দিতে ভুলে যাওয়া 

রান্নায়,

পাতে নেওয়া নুন মিশিয়ে,

বাবার খাওয়ার অভ্যাসটাকে ভালোবাসো।


বোনের সাথে ঝগড়া করে,

আমরণ আঁড়ির পণ ভুলে,

হঠাৎ খিলখিলিয়ে হাসো।

কারণ,তুমি ভালোবাসো।


হাজার ব্যস্ততার মাঝে,

সান্ধ্য ভ্রমনে বেরোনো নবীন-প্রবীনের,

করমর্দন দেখে হাসো,

সেই অনুভূতিটাকে ভালোবাসো।


বসন্তের হাওয়া যেভাবে তুড়ি মেরে,

ঝেড়ে ফেলা জড় পাতাগুলোকেও ,

চলন-গমনে সক্রিয় করে তোলে,

প্রকৃতির সেই বোঝাপড়াকে ভালোবাসো।


ভালোবাসো ভালোবাসাকে,

ভালো রাখো ভালোবাসাকে,

ভালোবাসাই পারে ভালোবাসতে তোমাকে।




পরিতোষ সরকার

মন পাখি

মন পাখি তুই কেন
বিচল পাখায় বিষাদের বাতাসে বয়ে
চন্দনের ঐ শুকনো ডালে বসে থাকিস?
সে চলে গেছে
তোর বুক বিদীর্ণ করে
একা এই মরা ডালে ফেলে।
পাখি রে -----
বকুল ফুলের মালাও যে আজ ছেড়েছে
তার স্নিগ্ধতা;
তুই কেন, শুকনো মালা গলায় নিয়ে
মনের আশায়---
চোখের বন্যায় ডুবে মরিস?
পাখি তুই যাস না উড়ে চন্দনের
ঐ সরু মরা ডালে,
একদিন শুকনো ডালও তোরে ফেলে যাবে দুঃখের সাগরে।

             

খোশনূর

চমকে যাইনা থমকে যাই

এখন আমার অন্য রকম জীবন
রুচি উপলব্ধি ইচ্ছে সবই বদলে গেছে
এখন অসুখ অনেক
ডাক্তার পাল্টানো এটা খাওয়া যাবে না
ওটা ছোঁয়া যাবে না, বেঁধে দেয়া দিন রাত
ঘুম জাগরণ ; এখন আমি জানালার বাইরে
চিলতে আকাশের তারা গুণতে পারি
তারা দেখি কম ধোঁয়াটে আকাশে
এখন সরষে ফুল সবুজ ধানের চারা দেখি
ছুঁয়ে দেখার আকাঙ্খা দুর্বল
কবিতা লিখি আরো লেখার অদম্য ইচ্ছে মনে
এখন কাঁদলে কেউ অশ্রু না মোছালে
একটুও কষ্ট পাই না ;
সন্তানদের বিনয় চাই না
তিলেক দায়িত্ব করলেও ধন্য হই
ওদের জন্য অস্থির থাকি অথচ ওরা এখন বড়
আমি এখন সব দিকেই ছোটো
তবুও আমার আকাশ সূর্য ভরা
চাঁদের জোছনায় আলোকিত শুভ্র উদ্যান
আমার জমিনে কতো ফুল
কতো উল্লাস প্রজাপতির
নদী বয়ে চলেছে সমুদ্র কবিতা শোনায়
আমি নৌকার পালে চোখ রাখি সময়ের
দলছুট খবর হয়ে আমার আমি
বিশুদ্ধ জল সেবনের মেঘ খোঁজে
বৃষ্টির আশায় তৃষ্ণা মেটাতে
আমি শব্দ দুষণে বন্দী
বিষাক্ত হাওয়ার মুখোমুখি
আমি সেই বালিকা হবো
ঝিলের শাপলা তুলে মার হাতে দেবো।


(উত্তরা, ঢাকা, বাংলাদেশ)

সামসুন্নাহার ফারুক

ভালোবাসা ডটকম

মোহগ্রস্ত জীবনের বিমোহিত ব্যঞ্জনায়
গোছগাছ সারতেই সন্ধ্যা ঘনায়
জোছনা জলে স্নানের হয় না সময়
দারুণ উষ্ণতার লোভে মাঝরাতে
ভেঙ্গে যায় সোহাগের ঘুম
কুয়াশা কান্নারা টুপটাপ বৃষ্টি হয়ে ঝরে

নৈসর্গিক অবয়বে হৈমন্তী আদরে
জীবনের গভীরতা পরিমাপনে
তোমাকে মিস্ করি ভীষণভাবে
মনের ট্রাপিজে প্রমত্ত অনুরাগে
এথ্নিক বাসনারা পাখনা মেলে
কুমকুম আবীর মাখা লাজন্তী কপোলে
আগাছা সরাতে সরাতেই ‘‘ভালোবাসা ডট্ কমে”
ই-মেইলের ঘোরলাগা চিঠি
নন্দন চত্ত্বরে হাত রেখে হাতে
কোন্ যেন যুবকের সাথে
আমাকে দেখেছে সে দ্বিধাহীন পূর্ণিমা রাতে
স্মৃতির উদ্ভাসে নিভৃতের কথাগুলো ছলাৎছল
অদৃশ্য মায়াজালে খোলাচুলে এলোমেলো
ঝলমলে জলতরঙ্গের চমকানো কোলাহল।

আবছা অন্ধকারে ধূসর শূণ্যতায়
রাতজাগা মেঘেরা তখনও ক্রীড়ারত
প্রভাতের ঊষশী আভায়।

(এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা, বাংলাদেশ)

রীনা তালুকদার

না ফেরার দেশে

আমাদের দুঃখ সুখে জড়িয়ে থাকে অসংখ্য মৃত্যু
চারপাশের অনাকাঙ্খিত পাহাদার
অবহেলা যায় না করা না ফেরার গন্তব্যটা

জীবন জাগিয়ে রাখে জন্মের আনন্দ
ভয়াল আঁধারে আলো ছড়ায় জীবনের ফসল
ধাবমান কাল বাঁচে কর্মে
ঝাঁক বেঁধে আসি আমরা সুবজের দেশে
ইত্যকার দাবীতে মিছিল মুখর সংগ্রামে থাকি
পৃথিবীর খাতা লেখে উত্তরাধিকারী ইতিহাস

দলছুট হয়ে যাই যাবার বেলায়
অনাদিকালের ফিরতি গন্তব্যে
পা বাড়াই শুধুই একা !
প্রতিটি মৃত্যুই মানুষের মধ্যে আত্মহত্যা করে

টুকরো কাঁচের এ পাশ ওপাশ
এ পাশটা স্বচ্ছ জগত জ্যোতি
ও পাশটা জলের ছাট্ কুয়াশা কুয়াশা
যেতে যেতে পিছনে থাকে পড়ে
অতৃপ্ত স্বপ্নের পায়ের ছাপ !

(এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা, বাংলাদেশ)

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...