Saturday, June 9, 2018

খোশনূর

চমকে যাইনা থমকে যাই

এখন আমার অন্য রকম জীবন
রুচি উপলব্ধি ইচ্ছে সবই বদলে গেছে
এখন অসুখ অনেক
ডাক্তার পাল্টানো এটা খাওয়া যাবে না
ওটা ছোঁয়া যাবে না, বেঁধে দেয়া দিন রাত
ঘুম জাগরণ ; এখন আমি জানালার বাইরে
চিলতে আকাশের তারা গুণতে পারি
তারা দেখি কম ধোঁয়াটে আকাশে
এখন সরষে ফুল সবুজ ধানের চারা দেখি
ছুঁয়ে দেখার আকাঙ্খা দুর্বল
কবিতা লিখি আরো লেখার অদম্য ইচ্ছে মনে
এখন কাঁদলে কেউ অশ্রু না মোছালে
একটুও কষ্ট পাই না ;
সন্তানদের বিনয় চাই না
তিলেক দায়িত্ব করলেও ধন্য হই
ওদের জন্য অস্থির থাকি অথচ ওরা এখন বড়
আমি এখন সব দিকেই ছোটো
তবুও আমার আকাশ সূর্য ভরা
চাঁদের জোছনায় আলোকিত শুভ্র উদ্যান
আমার জমিনে কতো ফুল
কতো উল্লাস প্রজাপতির
নদী বয়ে চলেছে সমুদ্র কবিতা শোনায়
আমি নৌকার পালে চোখ রাখি সময়ের
দলছুট খবর হয়ে আমার আমি
বিশুদ্ধ জল সেবনের মেঘ খোঁজে
বৃষ্টির আশায় তৃষ্ণা মেটাতে
আমি শব্দ দুষণে বন্দী
বিষাক্ত হাওয়ার মুখোমুখি
আমি সেই বালিকা হবো
ঝিলের শাপলা তুলে মার হাতে দেবো।


(উত্তরা, ঢাকা, বাংলাদেশ)

No comments:

Post a Comment

অনুপম রায়

সতেরো বছর পর সতেরো বছর পর কি অবসাদ সেটা ধারণা না থাকাই ভালো। যাদের তুমি রেখে গেছ আমাদের হয়ে, তারা এখন উন্মাদ শহরের এক কোণে বসে শ্বাস নেয়। জ...