নীড়
সেদিন বটগাছের ঝুরি বেয়ে
অসংখ্য বৃষ্টিবিন্দু ঝরে পড়েছিল
অবিরল ধারায় ।
ছায়ায় , স্নেহে , প্রেমে , আদরে , জড়িয়ে রাখা একঝাঁক পরাযায়ী পাখি
যখন উড়ে যাচ্ছিল দেশান্তরের পথে ,
তখন এক নির্নিমেষ গোপন ব্যথা
ফোঁটা ফোঁটা রক্ত হয়ে
জমাট বেঁধেছিলো
তার কালচে সবুজ পাতায় পাতায় ।
তার শক্ত , প্রাচীন গুঁড়িতে ,
তার ডালপালায় ,
তার কোটরে কোটরে
জড়িয়ে ছিলো নীল বেদনার এক অন্তহীন হাহাকার ।
অথচ সেই শালপ্রাংশু দেহের অন্তর্ক্ষরণ বোঝেনি কেউ ।
হয়তো বা বুঝতেই চায়নি ।
শুধু একটিমাত্র লতা ...
তার অক্ষম আবেগে ,
দুর্বল আকর্ষগুলি দিয়ে
আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরতে চেয়েছিলো
বটবৃক্ষের কঠিন শরীরটাকে ।
বুকের ঢাকনা সরিয়ে নির্দ্বিধায় দিতে চেয়েছিলো সেই উষ্ণতার আস্বাদ ,
যে উষ্ণতায় হয়তো কোনদিন
তৈরি হবে ,
এক চিরস্থায়ী পাখির বাসা ।
No comments:
Post a Comment