ফেনী ব্রিজ (২য় পর্ব)
পাড়ার ছেলেরা যারা নদীর চরে বিকেলে খেলতে যায় তারা বখাটে ছেলে হিসেবে পরিচিত। রামগড়ের ছেলেদের সঙ্গেই,দারি বাঙা, কবাডি, বল খেলা চলত। ক্রিকেট খেলা তখনও খুব বেশী জনপ্রিয় হয়ে উঠেনি আমাদের পাড়ায়। খেলা নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া, হাতাহাতি, মারামারি হত।
ওপারের ছেলেদের কাছেই তখন ট্রেনিং পেয়েছি খিস্তি খেউরের। আমরা বলতাম 'মুখ খারাপ'। শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, সামাজিক সব সম্পর্ক উঠে আসতো সেই গালাগালি বা 'মুখ খারাপ' এ। ওদের সাথে গারাগালিতে কিছুতেই পেরে উঠতাম না। যাহোক ক্রমেই ওরা আমাদের বন্ধু হয়ে উঠে। সবকিছু ছাপিয়ে রামগড়ের বন্ধুদের আন্তরিকতা ছিলো অসাধারণ।
একদিন শাহ আলম, ফারুকের সঙ্গে আমরা ডানপিটে তিন বন্ধু ওপারে ওদের বাড়িতে যাই। বিকেলে। পিঠেপুলি, সেমাই এর পায়েস, আরো অনেক কিছু খেতে দেয়। শাহ আলমদের বাড়িতে আলাদা ঠাকুর ঘর নেই। জিজ্ঞাসা করলাম কি ব্যাপার? ঠাকুর ঘর কোথায়!
(সাব্রুমে এখন পর্যন্ত কোন মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের বসবাস নেই। তখন নিজেই জানতাম না আমি / আমরা কি?)
শাহ আলমের আম্মা বললো 'বাবা আমাদের ঠাকুর ঘর নেই - মসজিদ আছে'
বললাম --- সেটা কি?
আম্মা বললেন -- তোমাদের যেমন ঠাকুর ঘর তেমনই। তোমাদের যেমন পূজা হয় আমাদের হয় আযান।
বললাম --- আম্মা! আযান ঠাকুরকে আমাদের বাড়িতে খুব মানে।
চলবে..........
(পরের পর্ব - পরের সংখ্যায়)
No comments:
Post a Comment