Tuesday, February 28, 2023

মনন স্রোতে আপনাকে স্বাগতম

সম্পাদকীয়

ভাষার মাসের শেষদিন। এ শেষের কোনো শেষ নেই। জগতের যত শেষ আছে, তার কোনো সীমা নেই। ফুরিয়ে যাওয়া যেন আরেক সম্ভাবনা। নতুন সম্ভাবনা। কবিতার নীরবতা জেগে উঠে উচ্চারণে, আবৃত্তি শেষে আবার নীরবতা। প্রকৃত নিয়ম কোনটি শব্দ, নাকি নীরবতা। এ প্রশ্নটির কাছেই যত জগৎজিজ্ঞাসা। অভিপ্রায়। অভিমান। মনখারাপি। এ স্বাভাবিক সত্যটুকুই কঠোর। শেষ কোনোদিন শেষ হবে না। এ ভান্ডার শেষ হবার নয়।

দেবব্রত চক্রবর্তী

নষ্টালজিয়া

এই চকচকা দেয়ালে ঘেরা
নকল পৃথিবীর অট্টালিকায় 
হারিয়ে বসেছি আমি,আমার
চিন্তাহীন ভাবনা-বিহীন রং
বেরঙের কাঁচা যৌবন।
নিয়মের কাছে বাহনা দিয়ে
বে-নিয়মের স্কুল জীবন।
একবেলা ঘুম চুরি করে
ঘুরতে যাওয়ার বন্ধুরা আজ
ব্যস্ত ভীষণ।
খেলার মাঠ,ডাকছে কাক
লাল সূর্য দীঘির পার
আম,কাঁঠাল,লিচু বাগান
দিন গুলো কি ফিরবে আর।

এখন হয়তো,জীবনের বাকী নেই কিছু আর,
না পাওয়ার 
যত আবদার
যা কিছু ছিল শুধুই আমার।
নুন পান্তা ভাতের জীবন আমার
হারিয়েছি শহরের কোলাহলে রোজ নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে
তাকাই আমি গ্রামের দিকে।

সুশান্ত সেন

নবান্ন
             
প্রতিটি হৃহয় জুড়ে নতুনের আগমনী শুনে
মেতে ওঠে হেমন্তের কাল
হলুদ ফসল বোনে মাঠে মাঠে জ্বলন্ত বিকাল।
সফল শ্রমের শেষে জন্ম নিল শস্য ভরা মাঠ
দু চোখে তৃপ্তির ছায়া শ্রম সিক্ত কৃষক ললাট।
চাষী বউ চাষী বউ
তোমার হৃদয়ে ঝরে মৌ
এখন বরণ হবে নবীন শস্যের ডালা খানি
নবান্নের ঘ্রাণ নেবে প্রভাত সূর্যের নব বাণী,
পূর্ণ হবে আশা
দিকে দিকে মূর্ত হবে জীবন পিপাসা
প্রকৃতি ছড়িয়ে দেবে তাহার অনন্ত ভালোবাসা।
নবান্নের কাল
ভরাবে সকাল।
নবান্নের পূণ্য স্পর্শে আনিয়াছি টানি
জীবনের বাণী।

শতাব্দী দেবনাথ

আপনময়তা

 নারী তুমি বলোতো তোমার 
কোনটা আসল ঘর? 
ছোট্টবেলায় বাবার বাঁধন
নাকি যৌবনেতে স্বামীর ঘর !
নারী তোমার কে বা আপন
আর কে গো তোমার পর?
শিশু বেলা কাটলো তোমার 
মায়ের আঁচল,বাবার স্নেহের ছায়ায়, 
মাস ফুরিয়ে বছর ঘুরে 
বেড়ে উঠলে তাঁদের মায়ায়। 
যৌবনেতে ছাড়লে তুমি-
নিজ বাপ ও মায়ের ঘর, 
পর কে আপন করতে গিয়ে
তুমি নিজেই হলে পর। 
সাঙ্গ যখন জীবন তোমার 
পড়ল ভাটার দড়ির টান, 
ভুললো তোমায়  আপনজনা, 
 করলো তারাই অপমান।। 
শেষ পালাটা বৃদ্ধাশ্রমটাই 
 যে স্থান হবে তোমার, 
কার, জন্য করলে তুমি, 
ফেললে অশ্রুধার? 
তবুও কি বুঝলে না নারী 
কে ই বা আপন আর 
কে ই বা পর তোমার??

চন্দন পাল

বীক্ষণ

তুমি সীতা, সীতাও সীতা,
দুজনাই মাটির,,  জমিনে জনম, আরোহন
 চোখে তারা ছোঁয়ার স্বপ্ন আর বিলাস।

তুমি রাম, রামও রাম
দুজনাই নিপাট,,, পিতৃসত্বে সত্যবান ! 
চোখে তারা ছোঁয়ার স্বপ্ন আর বিলাস। 

 আত্মবীক্ষণ বার বার ভেদ খুঁজে যায়
 সীতা সীতায় !  রাম রামে ! 

আলো ভাঙার দিনে, আমিওকি বীক্ষণে সংক্রমিত!!
ভালবাসি, 
ভালবাসি, 
আপদ মুক্ত হোক সবার শিখরারোহন।

অভিজিৎ রায়

আজব দুনিয়া

সত্যিই অবাক লাগে ভাবতে
কত রাত কাটালাম কাঁদতে কাঁদতে

ছিলাম সেই ছোট্ট মাসুম অভি
জীবনের ছন্দ পতনে হয়ে গেলাম কবি

ভুল মানুষের হাতে পড়ে জীবন হয়েছিল অন্ধকার
ভগবান সাথে থাকতো বলে করে নিত প্রতিকার


কেউ বলতো টাকাই সব
 কিছুই তো হয় নি তোমার সাথে

মানুষ কে ঠকালে নিজেও ঠকতে হয় 
সময় চলে গেল দেখতে দেখতে

আজব দুনিয়া তে আছি সবাই
কত না মানুষ দেখতে পাই


বন্ধুত্বের নাম করে করতো ধান্দাবাজ
অসময়ে এসব বন্ধুদের করতে পারলাম আন্দাজ

আসলে তারা বন্ধু নামের ছিল কলঙ্ক
জীবনে শুধু করে গেল লাভ লসের অঙ্ক 

ভাবতেও পারলো না কেউ আবার ঘুরে দাঁড়াবো
ভগবান সাথে থাকলে দুষ্টদের মুখে আরো চুনকালি দেবো


কত মানুষ আমায় দেখে হিংসায় জ্বলে পুড়ছে আজ
সততা, নিষ্টা থাকলে বুক ফুলিয়ে বাঁচ।

আজ আমার সুখ দেখে জ্বলছে অনেকে
তোদের অভিষাপ আমাকে নিয়ে যাবে সামনের দিকে 

চুপি চুপি প্রোফাইল ঘেঁটে কি পাবি এখন
পাঁপ বাপকেও ছাড়ে না সময়ে বুঝবি যখন

বর্ষা দে

শীত সবার  সুখের নয়

শীত যে সবার 
সুখের নয়,
তারাই জানে!
যারা হাজার কষ্টে
এই শীতে রাত কাটায় রাস্তায়,
যাদের এই শীতে একটি গরম পোশাক জুটছে না শত সস্তায়।
যাদের এই শীতে পিঠাপুলি খাওয়া দূর,
সামান্য ভাতের জোগানে
এপাশ,ওপাশ মার খায়।
হতেই পারে এই শীত তোমার,আমার পছন্দের ঋতু,
তবে গ্রীষ্ম হোক আর শীত,
এদের মানে তারাই জানে
যাদের গরমে ঘাম,শীতে বিনা পোশাকে কুয়াশায় স্নানে,
দুটো ভাত খেতে পারলেই 
ওদের জীবন জিত।

সায়ন পাল

বেদনাসক্ত মন

মায়া পিপাসু হৃদয় মনি-
অবুঝ তবু শান্ত।
হৃদয়ের খুঁজে আমি ক্লান্ত!

মন নগরে উত্থান পতন-
আলো-আঁধারে লুকোচুরি।
মন বেদনায় মরি!

মন দিয়ে মন পেল না-
পেল শুধুই ছলনা।
করুন সুরে এক বুক বেদনা!

অন্যের ভালোবাসায় বাগিচা হল-
না চেয়েও সুখ পেল।
মন রসেতে মন মেলালো!

আপন আপন করে জীবন দিল - মন পেতে অসহায় হাত বাড়ালো।
অমায়াবী সুরে তিরস্কারের বাণে হত হল!

প্রীতম শীল


রক্ত ঝরার খেলা

আঘাত টা তবে করেই ফেললি,
ভাই হয়ে ঝরালি ভাইয়ের রক্ত।
সবটাই কি রঙ্গের ভালোবাসায়?
নাকি হয়েছিস নতুন প্রভু ভক্ত।

মেরেছিস পিছন থেকে কেন?
মুখ দেখে কি মায়া হতো?
নাকি সেদিনের উপকারের কথা,
তোর মনে পড়ে যেতো!

তুই পারলি রাজনীতির জন্য,
ঝরাতে আপন রক্ত?
আরে সব নেতাদের কাছে তোরা,
শুধুই পা চাটা ভক্ত!

যেদিন স্বার্থ ফুরিয়ে যাবে সব,
কোনো এক গলির নেতার।
তুইও হয়তো হবি সেদিন সুর বিহীন, 
ভাঙ্গা একটা পুরোনো সেতার!

আমি হয়তো তোর আঘাতে আজ,
চলে যাবো পৃথিবী ছেড়ে,
রাজনীতির এই যাতা কলে দেখিস, 
তুইও যাবি একদিন হেরে।

তখন সব কিছুর জন্য অনুতাপ ছাড়া,
কিছুই রবেনা হয়তো তোর।
তুইও চাইবি সেদিন অভিশপ্ত পৃথিবীতে, 
আবার আসুক নতুন ভোর।

অতনু রায় চৌধুরী

অপেক্ষায়

ভোরের সকাল হারিয়ে যায় সোনালী দিনের অপেক্ষায়
বুকের ক্ষত বুকেই থাকে, একাকীত্বকে ঘিরে আমি আমার।
ব্যস্ত সবাই, ব্যস্ত শহর ব্যস্ততা ঘিরেই জীবন এগিয়ে যায়
শুধু জীবনের সাথে মিশে না যেটা মিশে যাওয়া  দরকার।

তবুও আশায় থাকি, দীর্ঘশ্বাসে বাঁচি
বাঁচি গভীর রাতের নীরবতায়।
চোঁখে সামনে বদল দেখি,
শুধু দেখি না আমি আমাকে আর।

পায়েল সাহা

অজানা পৃথিবী

   মাতা পিতার হাত ধরিয়া আসিয়াছি,
                                     পৃথিবী নামক এক স্থানে। 
  তখনো জানি নাকো আসিয়াছি 
                                           কোন অপূর্ব স্থানে!
   তাকাইয়া থাকিতাম এদিক ওদিক, 
                                            চিনিতাম না কাউরে।
    মাতার কোলে শুয়ে থাকি;
                            সকলকে দেখিতে কী আনন্দরে!
    সকলে ডাকিয়া বলে মোরে, 
                            আসো নাকো মোদের কোলে।।
     তাদের কথা শুনিয়া হাসিলাম মিষ্টি স্বরে।         ওনারা বলিলেন  এমন করিয়া শুধু হাসিলে চলে?
এসো এসো কোলে এসো,
                        একটু আদর করিয়া দেই তোমারে।
 মা এক এক করিয়া সকলের সাথে পরিচয় করাইলো মোরে।।
                           এক এক করিয়া আমিও চিনিতে                
                                            লাগিলাম সকলেরে।
মাতা পিতার হাত ধরিয়াই 
                                  চলিতে শিখি।
চারিদিকের অপূর্ব সৌন্দর্য দেখিয়াই, 
                                             মুখরিত মোর আঁখি। ছোট্ট ছোট্ট পায়ে হাঁটিতে হাঁটিতে একদিন বড় হওয়া।
তখন থেকেই বাড়িতে লাগিল মোর চাওয়া পাওয়া;
                        প্রকৃতির হাজার মায়ায় জড়িয়াছি।
                       অপরূপ সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হইয়াছি।।
পৃথিবীতে ঘটিতেছে কতনা                        
লৌকিক অলৌকিক ঘটনা।
                    সম্পর্কের মায়ায় জড়ানো এই পৃথিবী,                           
                                         আজও মোর অজানা।।

মোঃ রুবেল

দীর্ঘশ্বাস

 অনন্ত-
আগে তোমাকে আঁকতে বসলে 
আনমনে আঁকা হতো প্রেম।
একটি শান্ত পাহাড়।
আঁকা হতো অপেক্ষারত প্রেমিক গাছ।
একটি মায়াঘর।
এখনো তোমাকে রোজ আঁকতে বসি।
তবে  ঠিক উল্টো অনন্ত।
রং তুলি প্রেমের গলা টিপে অপ্রেম আঁকে।
আঁকে বিশ্বাসঘাতকতা।
অসুন্দর।
অজান্তেই এঁকে অনমনীয় অভিমান। 

তখন আমি বুঝতে পারি অনন্ত!
তোমার যাবতীয় ঘৃণায় আমার বাস।
যেখানে ভালোবাসা ফেলছে অবিরাম দীর্ঘশ্বাস।

গৌতম মজুমদার

বাঘের বাচ্চা


শান্ত বনে অসুস্থ বাঘিনী
যন্ত্রনায় করে ক্রন্দন,
কোথা থেকে এক লোভী শিকারী
চালায় চরম নির্যাতন।

অসুস্থ বাঘিনী ব্যথা বেদনায়
চিৎকার করে উঠে,
হিংস্র শিকারীর হিংস্রতার রূপ
ফুটে উঠে মুখে ঠোঁটে।

বাচ্চারা ভয়ে চুপ করে থাকে
শিকারীর অত্যাচারে,
মায়ের উপর শত অত্যাচার
কতইবা সইতে পারে।

একদিন তারা ক্ষেপে গেল সব
শিকারীকে করে তাড়া,
হিংস্র থাবায় রক্ত ঝরায়
এক জোটে সব বাচ্চারা।

দাত নখ দিয়ে শরীরটা ছিঁড়ে
শিকারীকে করে আধমরা,
রক্তাক্ত শিকারী প্রাণপণে ছুটে
হয়ে যায় বন ছাড়া।

মায়ের যন্ত্রনা লাঘব করিতে
সন্তান হোক এমন সাচ্চা,
প্রতি ঘরে ঘরে জন্ম হোক
এমন বাঘের বাচ্চা।

সংগীত শীল

অ-আ-ক-খ

কাঙ্ক্ষিত মাতৃভাষার জন্য
রক্তস্রোত বইছিল সেদিন,
নির্মম ইতিহাস আজও সাক্ষ্য দিয়ে যায়
জোয়ার ভাঁটার ঝাজরা বাহান্নের সাল!

পলাশী বিজড়িত সেই রাত্রি
মাথাচাড়া দিয়ে দাঁড়িয়েছিল।
বর্ণমালার মিছিলে পড়েছিল
স্বৈরাচারী পুলিশের করাঘাত!

দামাল ছেলের রক্তের ঝঙ্কারে
বেজে উঠেছিল একুশের জয়গান।

শূন্য মায়ের কোলে নেমে আসে
কালঝরের বাতাস!
একুশের তরতাজা চাঁদটি 
তখনও ঠিক জ্বলছিল।

মোদের গরব, মোদের আশা,
আ মরি বাংলা ভাষা।

সজীব কুমার পাল

নন্দিত মৃত্যু
  
পাখির চলে যাওয়া সুন্দর, 
তুমি আমার মৃত্যু দেখো! 
এমন ধূসর আকাশ, মনে হবে -
একজন কবি প্রস্থান করছেন মহাজীবনে। 

মৃত্যুর গন্ধ এত রোমাঞ্চকর, 
এত স্নিগ্ধ, এত উজ্জ্বল মৃতের পাশে দাঁড়ালেই টের পাবে। 

আমার আর তোমার দূরত্ব
বেশি হলে একটা সমুদ্র সমান! 
অথবা  শরীর ছিঁড়ে তৈরি করা কয়েক সেন্টিমিটার।

এখন ক্লান্ত সব ঋতু! 
তবুও,যদি বলো পাখির মৃত্যু সুন্দর-
আমি বলব তুমি একজন শিল্পীর মৃত্যু দেখো। 
নিজের মৃত্যু নিয়েই লিখে ফেলে নন্দিত কাব্য!

সপ্তশ্রী কর্মকার

শক্ত হোক                      

চারিদিকে প্রচার আর ভোট চাষ, 
অথচ ভোট ঘোষণার পর থেকেই ভয়,

ভাত ও বেকার খিদে মিলেমিশে যেনো
বিজ্ঞাপনের খরচে,
 ঋনের চাপ বাড়াচ্ছে দেশ।

 অথচ কে কোন দিকে কাকে বাঁচাতে ছুটছে,
 গীতা ছুঁয়ে মিথ্যা রায় দিচ্ছে সজোরে।

বন্ধু শত্রুর মজলিশে সামিল নাগরিকদের, 
দেহরক্ষী বাহিনী কখন রক্তরুধি স্রোতে
একতন্ত্র শাসন রাষ্ট্রে পরিণত হয়
তা জানে না কেউ-ই।

তাই,
রথের দড়ির টানে,গতিময় জীবনে, 
নিয়ম মেনেই সভ্যতার শহরে,
অকৃতজ্ঞ জনরোষেও সমাজের মেরুদন্ড শক্ত হোক ভোটের দিন।

অভীককুমার দে

শব্দের দেশ

তোকে মনে করলেই মনে হয় চাহিদার স্রোত,
ভেসে আসছে ক্ষুধার্ত শব্দ।

তুই তো জানিস বহুরূপী মন হলেও
চলতি সময় বৃষ্টিকাতর,
কল্পনায় ফসলের ঘ্রাণ আর মিশ্র- আলাপ;
তবু নিঃশব্দ মাঠের গোপনাঙ্গ ছুঁয়ে দেখছে 
নষ্টকথার ধুলো।

মেঠো ইঁদুরের হেঁটে যাওয়া পায়ের ছাপ
মানচিত্র এঁকে যায় আনুমানিক,
শ'মন ক্ষত হয় গরম নিঃশ্বাসে।

অভাবের রাগ বলে ক্ষমতা চাই, কণ্ঠের ক্ষমতা,
বোকার মতোই হাসে শরীরের অচল ভিড়।

Wednesday, February 22, 2023

উর্মি সাহা

একুশ

একুশ আমার ঘুম হারানো
রাত ভাঙ্গানো
মায়ের কোল।
একুশ আমার পলাশ বনে
মুক্ত মনের 
দৃপ্ত বোল।
একুশ আমার আকাশ জুড়ে
পাথর দেশের
একলা পথ।
একুশ আমার রাজপথের ঐ
উবর খাবর 
বাংলা জপ।
একুশ আমার স্লোগান তুলে
রক্ত মেখে 
তরুণ দল।
একুশ আমার লাল মাটিতে
শক্ত মুঠোয় 
আওয়াজ তোল।
একুশ আমার ঝড়ো হাওয়ায়
বইয়ে আনে
জয় নিশান।
একুশ আমার লাল আবিরে
আর্দ্র শ্বাসের
অন্তকাল।
একুশ আমার বছর শেষে
অহংকারের 
ভাষার গান।
একুশ আমার দিন বদলে,
একুশ আমার ভাষার নাম।
একুশ আমার পদ্য লিখে,
একুশ আমার ভাষার নাম।।
                                                 

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...