Monday, September 27, 2021

মনন স্রোতে আপনাকে স্বাগতম

সম্পাদকীয়

আন্তরিক ব্যাকুলতা ছাড়া আমাদের কোনো বিশেষত্ব নেই!

ভারতবর্ষ ভক্তির দেশ। বিনম্রতা এ ভূখন্ডের অলংকার। গুরু শিষ্যের পরম্পরার সংস্কৃতির দেশে সেপ্টেম্বর এক উদযাপনের মাস। গুরু স্মরণের মাস। দিশারীদের শ্রদ্ধা জানানোর এক উল্লেখযোগ্য সময়। এ মাসে মনন স্রোতে লিখেছেন গুরু স্মরণের কথা। জীবনের কথা। অভিজ্ঞতার শব্দ। জীবন বিছিয়ে লিখেছেন কবিতা, কবিরা। সকলকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। পাঠক মহলের কাছে আমি নিমন্ত্রণ জানাই সংখ্যাটি পাঠ করার জন্য।


শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা-সহ
জয় দেবনাথ
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
মনন স্রোত

বাবলু মণ্ডল

আকর্ষ"

দাঁড়াও এসে লাইন শেষে
পূর্নচ্ছেদ পাশে
মনের ভাবে ছেদ খুঁজে যাও
এক নিঃশ্বাসে।

ছদ্মবেশেই ঘুরছি যে আজ
বাহবা পেতেই বারংবার
ছন্দে তোমায় বিভোর করে
সাবাসি পাবো আরও জোরে।

কারও চোখে সহজ সরল
কেউবা দেখে শুধুই গরল
ভাবনাতে যে সব আসে না
অকস্মাৎ যে তাদের আনাগোনা।

সৃষ্টি সুখের উল্লাসে
 মেতেই উঠি পূর্ণ-গ্রাসে
তোমার তৃপ্তি__আনন্দদায়ক
কঠিন পথই পথপ্রদর্শক।

মুখের ভাষায় গল্প খুঁজ
শরীরী ভাবে শিল্প রচি
জ্ঞানপিপাসুর জিজ্ঞাস‍্য রবে
পর্ব শেষে মুক্তি পাবে।।

কখন যে ঐ প্রাজ্ঞের দৃষ্টিতে
নিক্ষিপ্ত__লেখার রুপের সাজে
চশমার ফাঁকে চোখ রেখে ঐ
বলেই চলেন____সাবাস

'সৃষ্টিরা' সব আলোকিত যে
জাগ্রত সব মুক্তমনের কোণে
পছন্দগুলো যে__ ভেবেই আজ
 'কলম' চলেছে বারোমাস।

অমিত রুদ্র পাল

গর্ভপাত
             
ভোরের গর্ভ ফুটে সবেমাত্র 
জন্ম সদোজাত স্বল্প প্রাণের ।
সবুজের গন্ধ দেহ কোষে মেখে 
কচিকচি হাতে পায়ে চোখের 
আঙ্গিনা কুসুম তুলছে, হাঁটছে,
দৌড়ুচ্ছে ওরা 
শুধুমাত্র একটু পূর্বের উষ্ণতা ও 
সন্ধ্যার তারার স্পর্শ পাবে বলে
মুখে ঠোঁটে স্যাঁতসেঁতে হাসির 
স্তব্ধতা গেঁথে লাঙল নিয়ে 
বিন্দু বিন্দু রক্ত বপন করছে 
প্রাণগুলো।
ভোরের গর্ভ ফুটে সবেমাত্র 
জন্ম সদোজাত স্বল্প প্রাণের।

গৌতম দাস

পূজা আসছে

কঙ্কালসম তনু তার অনাহার অনিদ্রা একমাত্র সঙ্গী।
মনে বড় আশা নতুন জামা পড়বে পূজা আসছে।
গায়ের ছেঁড়া জামা,ব্যস্ত রেল স্টেশন তার হাতের পাঁচ।
মায়া ভরা চোখ,ক্ষুধার্ত কন্ঠে মাথা নত করে বারবার বলে;
একটু সাহায্য চাই  নতুন জামা কিনব পূজা আসছে।
           

পূজা মজুমদার

যদি কাফন হয়ে ফিরি

কাফন বন্ধি হয়ে আসলে পরিয়ে দিও লাল শাড়ি, কপালে বড় লাল বিন্দি, নাকে নোলক, কানে ঝুমকো দুল, মাথায় তিতলি,কোমরে বিছা, পায়ে আলতা - নূপুর,
দুহাত ভর্তি কাঁচের চুড়ি আর
  ছেড়ে দেবে চুল.....

এইভাবেই তো  আমায়  দূর্গা পূজার  চারটি দিনের একটি দিনে দেখার ইচ্ছেটা তোমারই  ছিলো।

আমি ঠিক মতো যদি তোমার ইচ্ছেটা পূরন না করতে পারি,
পূজোর আগে যদি কাফন বন্ধি হয়ে ফিরি....
কথা দাও আমাকে
তুমি তোমার মতো করে আমায় সাজিয়ে 
প্রথম ও শেষবারের মতো ওইভাবে   দেখে নেবে।

অমর দেব

শ্রদ্ধার্ঘ্য

প্রায় দু-তিন বছর ধরে চলছিল
একটা অতিমারির প্রারম্ভকাল।
সেই সময়টা থেকে গুরু-শিষ্যের
মধ্যে আগেকার মেলবন্ধন নেই।।

আর আমারও তখন চলছিল
কলেজ জীবনের প্রায় শেষ পর্ব।
তখন হৃদয়ে বাজতে লাগলো
গুরু-শিষ্যের মধ্যে বিচ্ছেদের সুর।।

তখন থেকে শুরু হলো একে-একে
প্রতিনিয়ত দূরে সরে যাবার পালা।
এর মাঝখানে প্রিয় গুরুজনেরাও
কর্ম বিদায় নিতে শুরু করলো।।

তখন যেন মন থেকে শ্রদ্ধার বিষয়টা
ধীরে ধীরে উঠতে আরম্ভ করলো।
কারন সেই সময়ের সাথে সাথে
পরিস্থিতিও তখন পাল্টে গিয়েছিল।।

'শিক্ষক দিবস' নামক শব্দটার সাথে
যোগাযোগ প্রায় দূরত্ব বাড়িয়ে চলেছে।
সেই দূরত্বটাকে কমিয়ে আনার জন্য
আবারও যথাযোগ্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।।

সমস্তকিছু'র বিচ্ছিন্নতা ভুলে গিয়ে
বিশ্ববিদ্যালয়ের পথ ধরতে শুরু করি।
অথচ আজ পর্যন্ত গুরুজনদের
মুখ দর্শন করার সুযোগ টুকু মিলেনি।।

সেই থেকে শ্রদ্ধার্ঘ্য শব্দের যে অর্থটা
বহন করে আসছিল তার হ্রাস ঘটেছে।
ক্রমশই দূরে সরে যেতে হয়েছে 
আন্তরিকতার সেই মেলবন্ধন থেকে।।

এই ব্যথা আজও বহন করে চলেছি
তবুও যদি গুরুজনদের সাক্ষাৎ মিলে।
হয়ত অতীতটাকে ফিরে না পেলেও
বর্তমান ও ভবিষ্যত কে পাবো ফিরে।।

পান্থ দাস

আনন্দ

নতুন দিনের
নতুন বেলায়,
আলোর পরশমণি
গুনছি যে দোলায়,
আশার বাণী
করছে দু-চোখ,
এই বছরই হবে সরতেজ
আবার এই ভূ-লোক ৷

উৎসবে আনন্দে
আর কল্লোলে কাটুক
আবার সবার
মন-প্রান,
হৃদয় গোচরে
বাজবে আবার
সেই খুশির
আনন্দ গান ৷

প্রীতম শীল

মডেল দূর্গা
       
কাশবনে ঘাসকাটে রহিম চাচা। উনার নতুন গাভী বাচ্চা দিয়েছে। দুধ বৃদ্ধির জন্য কাটা ঘাস খাওয়ান উনি। উনার ধারনা যত ঘাস তত দুধ। হয়তো গরুর ভাষা বুঝেন "তোমরা আমাকে ঘাস দাও, আমি তোমাদের দুধ দেবো।

কাকা ভয় পেয়েছে। কাশ বন থেকে হটাৎ বেড়িয়ে আসছে মা দূর্গা। নাম মামন, দূর্গার নাম মামন হয়না। এটা নকল দূর্গা। মামন নামের মেয়েটি ফটোশুট করতে এসেছে। সাথে অসূর নেই, অশূর ছাড়া দূর্গার মন ফুরফুরে। যেনো সব ঝামেলা ফেলে দূর্গা মুক্ত।

কাকাকে দেখে ওরা হাসছে। কাকার শরীরের অর্ধেক লুঙ্গী ছেঁড়া।  গায়ে জামা নেই,মাথায় গামছা। এমন দরনের লোকদের শহরের মানুষ হটাৎ দেখলে হাসবে তা স্বাভাবিক।  হাসি তেমন জোড়ালো নয়। কাকা বুঝতে পারেনি। মৃদু হাসি বা মুচকি হাসি। যে হাসির সাউন্ড নেই। অর্থাৎ ভিতর ফেটে যাবেনা, তবে হাসির উদ্বেগ হবে। খানিকটা বাসে বমি বমি পাওয়ার মতো।কিন্তু বমি না করে থুতু ফেলার মতো।

কাকা তাদের জিজ্ঞাসা করলেন? 
--তোমরা কেডা?আমরার গ্রামে, কৈথেকা আইলা।
মামন মানে দূর্গা কিছু বলছেনা। ক্যামেরা ম্যান বলছে,
--কাকা আমরা আগরতলা থেকে এসেছি। ফটোশুটে।
-- ফটোশুট কিতা?
-- এই যে ছবি তুলছি।
-- ও ইডা কইলেই তো পারো।
মাইয়াডারে কি দূর্গা নি বানাইছ?
-- হুম কাকা।
-- এই মাইয়া কি  দুর্গার মতো? সারা গায়ে অর্ধেক পোষাক নাই, ইডি নি দূর্গা।
আমরা গ্রামে দুর্গা পুজা হয়। বাজার থেক্কা আওনের পথে দেখি। মুর্তিটা কতো সুন্দর। সারা গায়ে পোশাকে ভর্তি।
নাকে নূলক।গায়ে গহনা। আহ্ কি যে ভালা লাগে। 
আমি মুসলিম হলেও তোমাগো এই অপসংস্কৃতি মাইনা নিতে পারলাম না।

দূর্গা লজ্জায় মাথা নত করলো। ও সরি দূর্গা নয় নকল দূর্গা।

দিপিকা রায়

নিরব প্রেম


হঠাৎ থমকে যাওয়া পা দুটি
উপচে পড়া ভিড়ে, 
ফিরে যাওয়ার একাগ্ৰতা খোঁজে। 
পথের ফুলকি গুলো
হৃদয়ে বিঁধে দেওয়ার, 
বাহানা সাজায়।
পেছনে ফিরে যাওয়ার লোভ 
হাতছানি দেয়, 
আর সামনের দূরত্ব নতুনভাবে
বাঁচতে শেখায়। 

অতীত, বর্তমানের লড়াইতে
বিষিয়ে যাওয়া প্রেম গুলো আজ, 
স্ট্যান্ডার্ডের দাড়িপাল্লা বহন করে। 
প্রেমের সিলমোহরে হৃদয় ভাঙার ছাপ, 
প্রস্ফুটিত হয় বিভিন্ন রং তুলি দিয়ে। 
কত ইতিহাসের স্বপ্ন সাজায়
টুকরো হয়ে যাওয়া হৃদয় কান্না দিয়ে। 

হাজারো অভিযোগে বেড়ে উঠা পা দুটি, 
নিরবতা কে আলিঙ্গন করে। 
পিছু টানের মায়ায় উন্মাদিত করে, 
আবছা দূরত্বে হঠাৎ বিলীন হয়ে যায়।

সংগীত শীল

অপর পৃষ্ঠার গল্প  (ট্রান্সম্যানের প্রেম কাহিনী)


শানের কলেজ প্রায় শেষ। সুনিতি সবে সেকেন্ড ইয়ার।  দুজনের বন্ধুত্ব এতটাই শক্ত যে ভালোবাসা এখনো টিকিয়ে রেখেছে। শান পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে তার সাথে চাকরির জন্য নানান চেষ্টাও করছে তবে ক্রমশই ব্যর্থ। সুনিতির বাড়ি থেকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে। বাবা মাকে বলতে পারছে না শানকে সে ভালোবাসে।

ভালোবাসা অপরাধ না, তবে এমন একজনকে সে ভালোবাসে যাকে নিয়ে সমাজ পরিহাস করে। ছেলে না মেয়ে জানার জন্য কৌতুহলপ্রবণে খিল্লি উড়ায়।

রীতিমতো সুনিতিকে দেখতে আসছে পাত্রপক্ষ। শানের কাছে ফোন আসে যেকরেই হোক সুনিতিকে যেন তার কাছে নিয়ে যায়। সে তাকে ছাড়া থাকতে পারবে না। 
শানের হাত পা বাঁধা। সুনিতিকে কোথায় রাখবে? কি খাওয়াবে? 

শান একজন ট্রান্সম্যান। সমাজ,পরিবার, বন্ধু-বান্ধব সবার সাথে লড়াই করে নিজের জায়গায় দৃঢ় থাকে সে। 
তারও একটা হৃদয় আছে। সেও ভালোবাসতে জানে। আর পাঁচটা ছেলের মতো সেও চায় সংসার করতে। কিন্তু সমপ্রেমীদের আজো সমাজ কু-দৃষ্টিতে দেখে। দাপিয়ে রাখে তাদেরকে। ভালোবাসার জন্য হৃদয় নয় লিঙ্গ খোঁজে! 
তারা এটা ভুলে যায় যে পুরুষ হয়ে জন্মালেই পুরুষ হওয়া যায় না পুরুষ হতে গেলে পুরুষত্ব থাকা দরকার।
ভালোবাসতে হলে সুন্দর একটি হৃদয় থাকতে হয়।

শান সুনিতির বাড়িতে যায়। সবার সামনে সুনিতির হাত ধরে বলে সুনিতিকে সে ভালোবাসে। এই কথা বলতে না বলতেই সুনিতির বাবা শানকে বেধোর মারধোর শুরু করে এবং সুনিতিকে ঘরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় ওর মা।
লোকজনের ভীড় লেগে যায়, পুলিশ ডাকিয়ে শানের নামে নানান অভিযোগ রটিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শান নির্দোষ; সে বারবার বলছে সুনিতিকে সে ভালোবাসে ভালোবাসে। যতবার ভালোবাসি বলে ততবারই তার উপর অত্যাচার শুরু হয়। 
পুলিশও মিথ্যা অভিযোগ ফাঁসিয়ে দেয় তাকে। সে নাকি ড্রাগস পরিসেবন করিয়ে মেয়ে পাচার করছে।

শানের একটি পরিবার আছে।  সে তো চেয়েছিলো নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে দুই পরিবারকে মানিয়ে নতুন এক জীবন শুরু করবে। ছোটো থেকে লড়াই করে আসা শান একদিন সফলতা অর্জন করবে। দেশের কাজে নিযুক্ত হবে। পাশে থাকবে বলে কথা দিয়েছিলো সুনিতিও। 

শান নির্দোষে অপরাধী। সুনিতিকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দেয়। সুনিতির কোনো দোষ নেই এতে। 
সমাজের দোহাই দিয়ে এভাবেই প্রেমগুলো হারিয়ে যায়।
জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সুনিতিকে সামনে দেখতে পায় এবং পাশে তার স্বামী দাঁড়িয়ে.....
শান চুপ ছিলো। সুনিতি কেঁদেই যাচ্ছে অনবরত। তাদের একসাথে আর থাকা হল না। শুধু একটি চিঠি দিয়ে যায় সুনিতিকে।

বহু বছর পর একটি অনুষ্ঠানে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বক্তব্য রাখছেন একটি ছেলে। মুখে চাপদাড়ি কন্ঠস্বরেও অনেক পরিবর্তন এসেছে। তার কাছে অর্থ,গাড়ি,বাড়ি বলতে গেলে সমস্ত অট্টালিকায় পরিপূর্ণ। সার্জারী করিয়ে সে একজন প্রতিষ্ঠিত পুরুষ। 

শানের দেওয়া শেষ চিঠিটি প্রায় আট বছর পর খুঁজছে সুনিতি। চিঠিতে লেখা ছিলো "আমি আবার আসবো সুনিতি। সেদিন সবকিছু থাকবে আমার সাথে এবং তুমিও; শুধু অধিকারটুকু হারিয়ে যাবে। সুখে থেকো।"

বর্ষা দে

শিক্ষক

শিক্ষক মানে
জ্ঞানী,গুণী
শিক্ষায় সুমহান।
শিক্ষক মানে 
জ্ঞান দিয়েছে,নাম দিয়েছে,
দিয়েছে হুশ,মান
শিক্ষক মানে শিখিয়েছে
ইংরেজি,বাংলা
নিমিষে গণিতের সমাধান।
শিক্ষক মানে ভালোবেসেছে
শাসন করেছে
তাইতো পাচ্ছি আজ
সুছাত্রীর সন্মান।

শিক্ষক মানে
প্রভুর সমান
দ্বিতীয় পিতা মাতা

শিক্ষক মানে বন্ধুর মতো
রোদ,বৃষ্টির ছাতা।

শিক্ষক মানে মনের কথা
ব্যাক্ত করার ডাইরি
শিক্ষক মানে তুমরা আছো বলেই আমি আছি, গড়ছি স্বপ্নের সিঁড়ি।

শিক্ষক মানে আমার ভালোবাসা
শিক্ষক আমার সন্মান
শিক্ষক তুমি ভালো থেকো
নিও আমার শত কোটি প্রণাম।

সৃজিতা নন্দী

অভিশাপ

ঘরের দরজা টা আলগা
বাজছে অভিশপ্ত তানপুরা। 

ধূলোমাখা কিছু শূণ্য ক্যানভাস
তুমি চাইলে ছবি এঁকে দিতে পারো! 
হাহাকার করে বুকের ভেতর
অন্ধকার ঘিরে ধরেছে নিস্তব্ধতার স্বর... 
সব কথা বলার প্রয়োজন হয় না
রক্তের রং লাল ই হয় চিরকাল। 

লাশের শরীর স্পর্শে ভয় পাবে
আমার কোনও অভিযোগ নেই খুনির কাছে... 

মিঠু মল্লিক বৈদ‍্য

কাশবনের উর্বশী
    

সময় একটাই,রোদ্র-ছায়ার খেলা
নীলাকাশে  সাদা মেঘের শতদল
বানভাসির নেই ভয়
নদীতটে বসে মাঝি,গায় গীত বাউলের।

শান্ত নীড় শিশির ভেজা ঘাস,
গাছে গাছে প্রজাপতির বাহার,
মঞ্জুরীত মকুলে ভ্রমরের কেলি,
সোনালী ফসলে ভরা মাঠ।

অদূরের বালুচরে
ধূসর শ্বেত কাশ বাগিচায়
নামলো বুঝি এক মুক্তকেশী উর্বশী;
কপালে রাঙ্গাটিপ,পড়নে নীল শাড়ি।

কাশবনের রাজকন‍্যা ,নাম শ‍্যামলী।
হাওয়ার তালে উড়ন্ত ঝালর,
পঙ্কিল চরণে নাচছে অবিরত
রেখে পদচিহ্ন ধরাধামে।

ঋতুচক্রের বর্ণিল দোলায়
মাতোয়ারা কাশবন।
বস হে শরৎ,স্নিগ্ধতার আবেশে
বিরস নগরজীবনে ,হিমেল আবেগ মেখে।

সম্রাট শীল

প্রশ্নে কলম

যখন প্রশ্নের সম্মুখে সম্মান হাঁড়ি,
আমার দেখা স্বপ্নে চলে তরবারি।
কলম শিখায় পুরো ক্ষতের সৃষ্টি,
ক্ষত হয়েছে চিন্তার কেন্দ্র।
মন যে বলে উঠে,
এইসব কি মিথ্যে আকাঙ্খার বৃষ্টি?
কলমের পরিচয় এখন মিথ্যে,
মিথ্যে তার উদ্ভাবন।
শৈশবের মধ্যে এক্ষুনি পথ অবরোধ,
প্রশ্নের গন্ডিতে পরে তো রয়েছেই,
প্রস্ফুটিত সুন্দর যৌবন।

সজীব কুমার পাল

আগুনের স্বপ্ন

কেউ যদি আমাকে ঘৃণা করার প্রতিশ্রুতি দেয়, 
আমি তাকে ভালোবাসা দেবো। 
জানি বিনিময়ে কিছু নিতে নেই
কিন্তু ওরা নিশ্চয়ই দেবে, ওদের হৃদয় বৃহৎ! 

একটি পোষা কুকুররের শিকল ছিঁড়ে গেলে
সে পরাধীনতা অনুভব করে। 
কেন তার এই বিপরীত সংঘর্ষণ, 
তা আজও রহস্য। 

কুকুরটার মতন আমাকেও রহস্যে ঢাকুক, 
কেন আমি ঘৃণা চেয়েছিলাম! 
আমি তো সুখ চাইতে পারতাম, 
অথবা আধুনিক প্রেমিকদের মতো
প্রেমিকার উত্তাপ ভরা রাত্রিযাপন! 

আমি চাই কিছু শতাব্দীর পর 
আমাকে নিয়ে দেশ জুড়ে উত্তেজনা ছড়াক! 
তুমুল যুদ্ধ হোক দেশব্যাপী। 
যে যুদ্ধ একদিন শান্তির সূচনা দেবে। 

বিশাল ঘর যেমন শূন্যতার জন্ম দেয়, 
তোমাকেও জন্ম দিলাম, আমার ভবিষ্যৎ। 
তুমি মানুষের ভেতর বয়ে চলো অনন্তকাল। 

এই প্রেমহীন শহরের দেওয়ালে বিজ্ঞাপণ দিয়ে গেলাম, 
'কবিকে প্রেমের বিনিময়ে তোমরা ঘৃণা দাও,ঘৃণা দাও। '

গৌতম মজুমদার

অসহিষ্ণু

জ্বলছে আগুন চারদিকে আজ
ভাইয়ে ভাইয়ে খুনোখুনী ,
উন্মাদনায় মত্ত সবাই
ঈর্ষা ক্রোধের জাল বুনি।

কীসের নেশায় করছে এমন
সন্ত্রাস করে কি লাভ বলো,
ধ্বংস হচ্ছে সভ্য সমাজ
থমকে যাচ্ছে আশার আলো।

মরছে মানুষ ক্ষুধার জ্বালায়
কারো মুখে নেইকো হাসি,
হঠাৎ করে দমকা হাওয়ায়
সব কেড়ে নেয় ছুটে আসি।

বাচাঁর জন্য লড়ছে মানুষ
কি লাভ বলো দ্বন্ধ করে,
ক্লান্ত দেহে দিনের শেষে
থাকনা হাসি প্রাণটা ভরে।

শিশুরা সব খোলা মাঠে
প্রাণ খুলে চায় হাসতে,
হিংসার আগুন নিভিয়ে এবার
দাওনা ওদের বাঁচতে ।

মারছে যারা মরছে যারা
নয় তো কেহ ধনীর জাত,
তাঁদের দিয়েই নাড়ছে কাঠি
অদৃশ্য এক কালো হাত।

ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্ধ ভুলে
নাওনা বুকে আপন করে,
শত্রুর মুখে জামা ঘষে
দেখাও নতুন সমাজ গড়ে।

বিনয় শীল

আরশী

এখানে বসেছি আমি-
তোমার ঘরে ,
তোমারি অন্তর তুমি
দেখিবার তরে ।

অন্তরেতে দেখো যদি
অমানবিক কিছু,
যা তোমাক তাড়া করছে
নিচতার পিছু ।

সমূলে উৎপাটন 
করো দেখি তারে,
নির্মল প্রতিবিম্বে
ফুটাও আপনারে ।

স্বীয় প্রতিবিম্ব দেখো
কথা মোর হেন,
নিজেরে দেখেছো তুমি
বলতে পারো যেন ।

দুলাল চক্রবর্তী

 জাগাও

সকাল বেলা বাইরে টুলে বসে ছোট
একটা চা দোকানে বসে বিনয়বাবু চা
খাচ্ছিলেন। এমন সময় একটা পথশিশু সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলল--বাবু আমাকে পাঁচটা টাকা দেন না! আমি কালকে সারারাত কিছু খাইনি আজও কিছু খাইনি । আমার খুব খিদে পেয়েছে। বিনয় বাবু চোখ বড় বড় করে ওর দিকে তাকালো।
ছেলেটার বয়স বড়জোর ৭/৮ বছর।
পথশিশু টা আবার হাত পাতলে তিনি
কটমটিয়ে ওকে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দিল। পথশিশু টা এবার একটু পাশে থাকা আর একজন লোকের কাছে হাত পাতল। লোকটা ওকে ঠেলা দিয়ে দুরে সরিয়ে দিল। তার পাশে আরেকজন বসে চা খাচ্ছিল। শিশুটি এবার তার কাছে পাঁচটা টাকা ভিক্ষা চাইল কিছু খাবার জন্য। লোকটা তার পকেট থেকে 5 টাকা বের করে শিশুটিকে দিল। শিশুটি দোকানিকে এই পাঁচ টাকা দিয়ে একটা ছোট পাউরুটি দিতে বলল। দোকানি ওকে পাউরুটি দিলে ও সেটা নিয়ে এক টুকরা ছিড়ে মুখে দেবে, পিছনে ফিরে তাকাতেই দেখে তার আরো চারজন পথশিশু বন্ধু হাত পেতে দাঁড়িয়ে আছে। সে পাউরুটিটাকে ৫ টুকরা করল।
চার পথশিশু বন্ধুকে দেওয়ার পর পাশে বসে থাকা কুকুরটির দিকে তার নজর গেল। কুকুরটিও ওর দিকে তাকিয়ে রইলো। হয়তো একটা টুকরা পাওয়ার আশায়। সে তার অংশের টুকরাটা কুকুরটিকে দিয়ে দিল। নিজের খুদা নিবৃত্তির আর কিছু রইল না। বিনয় বাবু বিষয়টা খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করলো।
নিজের মানিব্যাগটা বের করে দেখল ওতে প্রায় হাজার খানেক টাকা আছে।
তখন মনে খুব অনুতাপ হল। ছোট্ট ছেলেটির বিবেক দেখে তার নিজের মনে নিজের প্রতি খুব ধিক্কার এল। শিশুটাকে আমি আমার এত টাকা থেকে ৫ টাকা কিছু কিনে খেয়ে তার ক্ষুধা নিবৃতির
জন্য দিতে পারতাম। আমি কত বড় অমানুষ! আজকে এই শিশুটির কাছ থেকে আমি বিরাট বড় মনের পরিচয় পেলাম যা আমাকে সারা জীবন শিক্ষা দেবে। এই ভেবে বিনয় বাবু মনে খুব আক্ষেপ নিয়ে সেখান থেকে চলে গেলেন।

অতনু রায় চৌধুরী

ধুলো মাখা জীবন

পথের মাঝে বসে থাকা জীবন 
আমার মতই কোনো একজন।
ধুলো মেখে শুয়ে থাকে, 
বড়ই অদ্ভুত এই যাপন।

হারিয়ে যায় হেরে যাওয়ার ভয়, 
লেগে থাকে এক টুকরো কাপড়।
আকাশ কাঁপে বিদ্যুৎ এর ডাকে 
তবুও পথের মাঝেই বসে থাকে জীবন।

বেলাশেষে ভালোবেসে আসে না কেউ কাছে,
চোখের সাথে চোখ আকটে গেলে হাজারো প্রশ্ন জাগে।
তবু আরও একটি গভীর রাত
এই দৃশ্যের সাক্ষী থাকে।

ধুলো মাখা জীবন শুয়ে থাকে, 
মাঝপথে।

লিটন শব্দকর

টাইমলাইন
 
অগুনতি রাত ছিলো যখন শুধু সলতের আলো 
বাতাসে আজন্ম ছেলেমানুষী জমা রাখা ছিলো।
যদিও কখনো বিরাগের ঘর ভুলে আতিথ্য গ্রহণ 
ওয়াইফাই চেনে নি ছিলো যারা স্বজন পরিজন,
মাটিতে মেশার খেলাটা জিতেই চলে গেছে কবে
তীর্থরা কি আর গাছের মতো এমনতর জন্ম পাবে!
জন্মের পর থেকে তো মাটির কাছেই কিছু শেখা,
দোলঘড়িটা দুলে দুলে সম্বিত ভোলায় সময়রেখা।
যুগে যুগে ডাকতে চেয়েছে আকাশের নীল প্রশ্রয়,
তেমনি দুপুরে গাছের ছায়ায় বেড়ে উঠুক আশ্রয়। 

অভিজিৎ রায়

ভোলে বাবা
                      
স্বশান আমাকে দে অনেক তৃপ্তি থাকি আমি বহুদূরে
 হিমালয় থেকে কন্যা কুমারী ঘুড়ি মন ভরে
 
 মগ্ন হয়ে যাই আমি যখন থাকি ধ্যানে   
  বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের কথা ভবি বিচলিত মনে

ত্রিভুবনে অন্যায় যে সহ্য হয় না আমাদের
তাইতো বিপদে ভক্তের ডাকে আসতে হয় মোদের

গড, আল্লা  কিংবা ভগবান
 সবই একটা শক্তির ভিন্ন নাম
 
যার যাকে খুশী ডেকো শুদ্ধ মনে
সবাইকে হাসিখুশি রাখতে চাই এই ত্রিভুবনে

এত হিংসা নিন্দায় কেন জড়িয়ে যাচ্ছে এই সমাজ?
 আমার ভক্তরা  বাঁচার তাগিদে করছে নিরন্তন প্রয়াস
  
হারিয়ে যাই কোথাই আমি খুঁজে পাই না কোন দিশা
 বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের পাড়ি দিতে লাগে না আমার কোন ভিসা।

         

কৃষান নম:

পাখির স্বপ্ন

যে কত
রকমের পাখি, 
সব পাখিকে দেখতে পাই না।
আমাদের এই আঁখি, 
বক, টিয়া ময়না তোতা।
আছেনা হরেক রকম পাখি, 
আরো আছে অনেক পাখি যাদের। 




















আমরা এখনো আজনা আমাদের দৃষ্টিতে, 
গাছে বসে ডাকে ওরা হাজারো সুরে ।
কেউ ডাকে মধুর সুরে, 
কেউ ডাকে বিশৃঙ্খল সুরে। 
গাছের ডালে চুপটি করে বসে, 
আকাশ রাঙ্গিত হয় হাজার পাখির ছোঁয়াতে ।
মাঠে ঘাটে থেকে আনে  তারা ছন পাতা, 
গাছে বসে মনের সুখে বানায় তারা তাদের বাসা। 
সূর্য মামা উঠার আগেই তারা উঠে, 
আমাদের জাগিয়ে তাদের ডাকে। 
বাসা থেকে বাহির হয় মাঠে ঘাটে, 
খাবারের আশায়।। 

পায়েল সাহা

আনন্দ উৎসব

কী আনন্দ আকাশে বাতাসে!
ভরে আছে চারিদিক ফুলের সুবাসে।
পূবের আকাশে সূর্য হাসে,
নীল দিগন্তে মেঘভাসে।
পাখিরা উড়ে যায় ডানা মেলে।
সূর্যের কিরণ বনে লুকোচুরি খেলে।।
বসন্তে কুহু কুহু কোকিল ডাকে।
নদীর তীরে বকেরা যায় ঝাকে ঝাকে।।
সেখানে দার নিয়ে মাঝি ভাই ডাকে।
পার করো বলে লোকেরা ছোটে।।
বড়ো বড়ো জলের ঢেউ উঠে নদীতে,
বাউলেরা ব্যস্ত তাদের লোক সঙ্গীতে,
খুব জোরে হাওয়া বইছে,
ফলমূলে ভরা গাছে।
বৃক্ষেরা দেয় মনোরম ছায়া।
প্রকৃতি যে লাগায় বড়ো মায়া।।
তাল গাছ উঁকি মারে আকাশে।
প্রজাপতিরা আনন্দ ছড়িয়ে যায় বাতাসে।।
সন্ধ্যায় চাঁদমামা হেসে ওঠে মাথার উপরে।
পুকুর পারে ঝিঁঝিঁ  ডাকে ঝোপে ঝাড়ে।।
রাতের আকাশে তারারা ঝিকিমিকি করে।
আঁধারেতে আলো দেয় ঘরে ঘরে।।
এতো আনন্দ রাতের ঘুম উড়ায়,
তবুও প্রকৃতির কোলে প্রান জুড়ায়।
কখনো ক্লান্ত কাকের ডাকে,
মধুর ঘুম এসে পড়ে চোখে। 
রাতের পর সকাল হল।
প্রকৃতি বলে আনন্দ করবে চল।।
সবুজ বনানী সদা হাতছানি দিয়ে ডাকে।
কীটপতঙ্গ লুকিয়ে থাকে পাতার ফাঁকে।।
কখনো বা আকাশে কালো মেঘ ভাসে।
ময়ূর নাচে বর্ষার জলোৎচ্ছাসে।।
পাহাড়-পর্বতের গা বেয়ে ঝর্না ধারা নেমে আসে,
ঝর্নার জল নদীকে প্লাবিত করে অনায়াসে।
নতুন পলি, উর্বর মাটি।
শস্য খেতে ফসল খাটি।।
অঙ্কুরিত হবে আমের আঁটি,
প্রকৃতির সাজসজ্জা পরিপাটি।।
বর্ষা শেষে,
রামধনু হাসে।
সাত রঙেতে হোক না রঙিন।
এভাবেই ভালোবাসবে প্রকৃতি চিরদিন।।

আলমগীর কবীর

বিদায় বার্তা

আমি যখন যাবো হারিয়েপৃ

থিবীকে বিদায় জানিয়ে

তখন আমার স্মৃতি গুলো

থাকবে কি তোর হৃদয় মাঝে?


জানি আমায়, কেউ বোঝবেনা

এ দুনিয়ায় তুই বিহনে

যখন আমি আর থাকবনা

কাঁদবি কি তুই দুনয়নে?


আমায় নিয়ে, ভাবিসনে তুই

আমার বিদায়, বেলা নিয়ে

সকল কথা বলে যাব

"স্মৃতির পাতা" গ্রন্থ করে।


সেই গ্রন্থখানি, রাখিসরে তুই

আপন মনে, হৃদমাঝারে

সদা সর্বদা, ভাবিস তখন

আছি সর্বদা, তোর সঙ্গেতে।


জীবনের যত, ভুল গুলো মুই

করছি আমি, তোরই সনে

মার্জনা, করে দিস আমায়

পরিবারের একজন মনে করে।

গঙ্গা সাহা

সাধনা

বহু বছর ধরিয়া
করিয়াছিনু তব সাধনা।
দিবস রজনী করেছিনু ধ্যান।
মম মমে্‍ গেঁথেছিনু পুষ্পমাল্য-
তব গলে দিবা লাগি। 
খুঁজেছিনু তোকে হাজার ভীড় মাঝে,
শতকোটি নক্ষত্র তারার মেলাতে।
শহরের রাজপথে,‌অলিতে,গলিতে।
মেলেনি কোথাও হদিশ তব।
কাটিয়েছিনু কত দিবস রজনী
তব লাগি পথপানে চেয়ে।
অবশেষে পেলাম দেখা তোর
সমস্ত অপেক্ষার অবসানে।

দেবব্রত চক্রবর্তী

অবহেলা

শব্দেরা আঁকিবুকি কাটে 
ছেঁড়া ডাইরির পাতায়,
অনেক ভাষা হারিয়ে যায় নিঃশব্দে কিছু অভিমানে 
জমা প্রশ্রয়ে। 

কখনো ইচ্ছে করে কবিতায় তোমাকে আঁকি,  
ভালবাসার প্রতি ছবি।
কিন্তু,সেই ছবি অনর্গল ব্যাথিত করে হৃদয়ে।

তবুও এই মন ভীষণভাবে ভালোবাসে তোমাকে।
তোমার অবহেলার মধ্যেও খুঁজে নেই তোমার আনমনা
তোমার টগবগ করে ফুটে উঠা
বারন্ত বয়সের দুষ্টামি ঘেরা অবুঝ ভালোবাসা কে।
আটকে থাকে সেই ভালোবাসায়।
কখনো ইচ্ছে করে তোমাকে 
আলতো করে ছুঁতে চাই।
না; স্পর্শের ভালোবাসা আমাকে আকৃষ্ট করে না
আমাকে আকৃষ্ট করে দূর হতে অপলক দৃষ্টিতে তোমার দুটি চোখ।
আমি তোমাকে স্পর্শ করে 
জানতে চাই 
কতখানি গভীরতা এই অবহেলায়।

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...