প্রায় দু-তিন বছর ধরে চলছিল
একটা অতিমারির প্রারম্ভকাল।
সেই সময়টা থেকে গুরু-শিষ্যের
মধ্যে আগেকার মেলবন্ধন নেই।।
আর আমারও তখন চলছিল
কলেজ জীবনের প্রায় শেষ পর্ব।
তখন হৃদয়ে বাজতে লাগলো
গুরু-শিষ্যের মধ্যে বিচ্ছেদের সুর।।
তখন থেকে শুরু হলো একে-একে
প্রতিনিয়ত দূরে সরে যাবার পালা।
এর মাঝখানে প্রিয় গুরুজনেরাও
কর্ম বিদায় নিতে শুরু করলো।।
তখন যেন মন থেকে শ্রদ্ধার বিষয়টা
ধীরে ধীরে উঠতে আরম্ভ করলো।
কারন সেই সময়ের সাথে সাথে
পরিস্থিতিও তখন পাল্টে গিয়েছিল।।
'শিক্ষক দিবস' নামক শব্দটার সাথে
যোগাযোগ প্রায় দূরত্ব বাড়িয়ে চলেছে।
সেই দূরত্বটাকে কমিয়ে আনার জন্য
আবারও যথাযোগ্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।।
সমস্তকিছু'র বিচ্ছিন্নতা ভুলে গিয়ে
বিশ্ববিদ্যালয়ের পথ ধরতে শুরু করি।
অথচ আজ পর্যন্ত গুরুজনদের
মুখ দর্শন করার সুযোগ টুকু মিলেনি।।
সেই থেকে শ্রদ্ধার্ঘ্য শব্দের যে অর্থটা
বহন করে আসছিল তার হ্রাস ঘটেছে।
ক্রমশই দূরে সরে যেতে হয়েছে
আন্তরিকতার সেই মেলবন্ধন থেকে।।
এই ব্যথা আজও বহন করে চলেছি
তবুও যদি গুরুজনদের সাক্ষাৎ মিলে।
হয়ত অতীতটাকে ফিরে না পেলেও
বর্তমান ও ভবিষ্যত কে পাবো ফিরে।।
No comments:
Post a Comment