Monday, September 27, 2021

প্রীতম শীল

মডেল দূর্গা
       
কাশবনে ঘাসকাটে রহিম চাচা। উনার নতুন গাভী বাচ্চা দিয়েছে। দুধ বৃদ্ধির জন্য কাটা ঘাস খাওয়ান উনি। উনার ধারনা যত ঘাস তত দুধ। হয়তো গরুর ভাষা বুঝেন "তোমরা আমাকে ঘাস দাও, আমি তোমাদের দুধ দেবো।

কাকা ভয় পেয়েছে। কাশ বন থেকে হটাৎ বেড়িয়ে আসছে মা দূর্গা। নাম মামন, দূর্গার নাম মামন হয়না। এটা নকল দূর্গা। মামন নামের মেয়েটি ফটোশুট করতে এসেছে। সাথে অসূর নেই, অশূর ছাড়া দূর্গার মন ফুরফুরে। যেনো সব ঝামেলা ফেলে দূর্গা মুক্ত।

কাকাকে দেখে ওরা হাসছে। কাকার শরীরের অর্ধেক লুঙ্গী ছেঁড়া।  গায়ে জামা নেই,মাথায় গামছা। এমন দরনের লোকদের শহরের মানুষ হটাৎ দেখলে হাসবে তা স্বাভাবিক।  হাসি তেমন জোড়ালো নয়। কাকা বুঝতে পারেনি। মৃদু হাসি বা মুচকি হাসি। যে হাসির সাউন্ড নেই। অর্থাৎ ভিতর ফেটে যাবেনা, তবে হাসির উদ্বেগ হবে। খানিকটা বাসে বমি বমি পাওয়ার মতো।কিন্তু বমি না করে থুতু ফেলার মতো।

কাকা তাদের জিজ্ঞাসা করলেন? 
--তোমরা কেডা?আমরার গ্রামে, কৈথেকা আইলা।
মামন মানে দূর্গা কিছু বলছেনা। ক্যামেরা ম্যান বলছে,
--কাকা আমরা আগরতলা থেকে এসেছি। ফটোশুটে।
-- ফটোশুট কিতা?
-- এই যে ছবি তুলছি।
-- ও ইডা কইলেই তো পারো।
মাইয়াডারে কি দূর্গা নি বানাইছ?
-- হুম কাকা।
-- এই মাইয়া কি  দুর্গার মতো? সারা গায়ে অর্ধেক পোষাক নাই, ইডি নি দূর্গা।
আমরা গ্রামে দুর্গা পুজা হয়। বাজার থেক্কা আওনের পথে দেখি। মুর্তিটা কতো সুন্দর। সারা গায়ে পোশাকে ভর্তি।
নাকে নূলক।গায়ে গহনা। আহ্ কি যে ভালা লাগে। 
আমি মুসলিম হলেও তোমাগো এই অপসংস্কৃতি মাইনা নিতে পারলাম না।

দূর্গা লজ্জায় মাথা নত করলো। ও সরি দূর্গা নয় নকল দূর্গা।

No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...