আনন্দ উৎসব
কী আনন্দ আকাশে বাতাসে!
ভরে আছে চারিদিক ফুলের সুবাসে।
পূবের আকাশে সূর্য হাসে,
নীল দিগন্তে মেঘভাসে।
পাখিরা উড়ে যায় ডানা মেলে।
সূর্যের কিরণ বনে লুকোচুরি খেলে।।
বসন্তে কুহু কুহু কোকিল ডাকে।
নদীর তীরে বকেরা যায় ঝাকে ঝাকে।।
সেখানে দার নিয়ে মাঝি ভাই ডাকে।
পার করো বলে লোকেরা ছোটে।।
বড়ো বড়ো জলের ঢেউ উঠে নদীতে,
বাউলেরা ব্যস্ত তাদের লোক সঙ্গীতে,
খুব জোরে হাওয়া বইছে,
ফলমূলে ভরা গাছে।
বৃক্ষেরা দেয় মনোরম ছায়া।
প্রকৃতি যে লাগায় বড়ো মায়া।।
তাল গাছ উঁকি মারে আকাশে।
প্রজাপতিরা আনন্দ ছড়িয়ে যায় বাতাসে।।
সন্ধ্যায় চাঁদমামা হেসে ওঠে মাথার উপরে।
পুকুর পারে ঝিঁঝিঁ ডাকে ঝোপে ঝাড়ে।।
রাতের আকাশে তারারা ঝিকিমিকি করে।
আঁধারেতে আলো দেয় ঘরে ঘরে।।
এতো আনন্দ রাতের ঘুম উড়ায়,
তবুও প্রকৃতির কোলে প্রান জুড়ায়।
কখনো ক্লান্ত কাকের ডাকে,
মধুর ঘুম এসে পড়ে চোখে।
রাতের পর সকাল হল।
প্রকৃতি বলে আনন্দ করবে চল।।
সবুজ বনানী সদা হাতছানি দিয়ে ডাকে।
কীটপতঙ্গ লুকিয়ে থাকে পাতার ফাঁকে।।
কখনো বা আকাশে কালো মেঘ ভাসে।
ময়ূর নাচে বর্ষার জলোৎচ্ছাসে।।
পাহাড়-পর্বতের গা বেয়ে ঝর্না ধারা নেমে আসে,
ঝর্নার জল নদীকে প্লাবিত করে অনায়াসে।
নতুন পলি, উর্বর মাটি।
শস্য খেতে ফসল খাটি।।
অঙ্কুরিত হবে আমের আঁটি,
প্রকৃতির সাজসজ্জা পরিপাটি।।
বর্ষা শেষে,
রামধনু হাসে।
সাত রঙেতে হোক না রঙিন।
এভাবেই ভালোবাসবে প্রকৃতি চিরদিন।।
No comments:
Post a Comment