Friday, June 8, 2018

সঞ্জীব দে

দক্ষিণ ত্রিপুরার যাত্রার অতীত ও বর্তমান
                   (1960--2017)

         যাত্রা শুরু ঠিক কবে থেকে হয় তার দিনক্ষণ সঠিকভাবে জানা না গেলেও তবে এটা জানতে অসুবিধা হয় না যে যাত্রার ইতিহাস সুপ্রাচীন। যখন থেকে মানুষ যাযাবর জীবন যাপন করতো শিকারে যাওয়ার আগে বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ করতো তখন থেকেই যাত্রার সূচনা । আনুমানিক ষোল শতাব্দী থেকে যাত্রার জয় যাত্রা। ব্রজেন্দ্রকুমার দে ঐতিহাসিক যাত্রাপালার সার্থক রূপাকার। তাঁর রচিত  প্রথম কাল্পনিক যাত্রাপালা রঞ্জন অপেরা'র জন্য- "রাজ নন্দিনী" অসাধারণ যাত্রাপালা।রাজন্য শাসিত ত্রিপুরায় যাত্রার প্রচলন হলেও ধন্য মানিক্যের আমল থেকে যাত্রার প্রসার শুরু হয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তবে তা ধীর গতিতে ।১৯৪৭ সাসে স্বাধীনতার পর তার গতি ধীরে ধীরে প্রসারিত  হতে থাকে গ্রামে গঞ্জে । ত্রিপুরার যাত্রাপালার মঞ্চ দ্বার উন্মোচিত হয় মোটামোটি পঞ্চাশের  দশকে। পঞ্চাশ থেকে সত্তরের দশককে ত্রিপুরার যাত্রা পালার সুবর্ণ যুগ বললে বেশি বলা হবে না।

    তবে এখানে দক্ষিণ ত্রিপুরার যাত্রাপালার আলোচনা করবো। পঞ্চাশের  দশক থেকে দক্ষিণ ত্রিপুরার যাত্রাপালার জয় যাত্রা,তবে তখন হতো ঢপ যাত্রা যেমন নৌকা বিলাস, নিমাই সন্যাস ইত্যাদি।পঞ্চাশের দশকে যাত্রার জয়যাত্রা শুরু হলেও তার মসৃণতা ঘটে ষাটের মাঝামাঝি সময়  থেকে।
       সাব্রুমের যাত্রাপালার সূচনা করেন 1955--56 সালে কালীমোহন সরকার , ঢপযাত্রার মাধ্যমে । উনি গঠন করেন সাব্রুম যাত্রা কমিটি। এতে ছিলেন যোগেশ চক্রবর্তী,রবীন্দ্র মজুমদার,মনীন্দ্র চক্রবর্তী,অনিল বণিক,যদু মজুমদার, অনাদি চৌধুরী নির্দেশক ললিত ভৌমিক, প্রণব
মজুমদার,প্রমুখ।

                ঢপ যাত্রার পর সত্তরের দশকে শুরু হয় যাত্রাপালা। ষাটের শেষ ও সত্তরের শুরুতে যারা যাত্রায় আসেন তারা হলেন যদুকারিগর, অশোকানন্দ রায়বর্ধন,সুভাষ দাস, প্রণব মজুমদার,নিতাই বড়ুয়া,বীরেন্দ্র নাথ,বেনুলাল দাস,নিধু চক্রবর্তী, কানু বণিক প্রমুখ উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন অভিনয় জগতে। অশোকানন্দ রায়বর্ধন ছিনেন সাব্রুমের একজন গুণী যাত্রা শিল্পী , তিনি বিভাগে ও রাজ্যভিত্তিক যাত্রা প্রতিযোগীতায় বহুবার বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।তিনি যে বইতে অভিনয় করেছেন যেমন চন্ডিতলার মন্দির , গরিবের মেয়ে, মানুষ কেন কাঁদে,রক্তে বোনা ধান, বিশে ডাকাত ইত্যাদি ৷বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তিনি কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা, দরিদ্র বামুন৷ পরিবারের বড়ো ভাই, রাজার মামাশ্বশুর ( ভাঁড় চরিত্র ) ইত্যাদিতে অভিনয় করতেন ৷ বিমল সিংহ যে দিন হত্যা হলেন সে দিন সাব্রুমের যাত্রা দল ভোলানাথ নাট্য সংস্থার শিল্পীদের  নিয়ে রাজ্য ভিত্তক যাত্রা প্রতিযোগীতায় যোগ দিতে  আগরতলা , সাথে ছিলেন তরুণ যাত্রা শিল্পী কল্যাণব্রত বসাক সহ  নিধু চক্রবর্তী ,শিবানী ভট্রচার্যী, কানু বনিক ,শেখর দেব,ঝুলন দাস,অজিত দেবনাথ, কানু মজুমদার প্রমুখ ৷ আশির দশকের পর সাব্রুমে যাত্রা পরিচালনা ও নির্দেশনার শ্রেষ্ঠ পরিচালের সম্মান পান কানু বণিক। ভোলানাথ নাট্য শিল্পীদের নিয়ে উনি যে সমস্ত যাত্রাপালা পরিচালনা করেছিলেন(ষাটের শেষ ও শূন্য দশক পর্যন্ত ) সেগুলি হল :শ্মশান চিতায় প্রিয়া,থামাও অগ্নি যুদ্ধ,সাওতাল বিদ্রোহ,মন্দির থেকে মজজিদ, গঙ্গায় অভিযাত্রা,পদধ্বনী,বিজয় মালা, মাও ছেলে,একটি পয়সা দাও,স্বামীর কোলে মৃত্যু,বিসর্জন,ময়না,মা-মাটি -মানুষ,জাল সন্যাসী,৪২ বিপ্লব,বিদ্রোহী বান্দা,ইত্যাদি।এগুলির মধ্যে --স্বামীর কোলে মৃত্যু" পালাটির জন্য দুই বার শ্রেষ্ঠ নিবেদন হিসাবে পুরস্কার পায়।

    ছোটখিলে ষাটের দশকে যাদের নাম উঠে আসে এখনো  ,,ভূবন হাজারী,ধীরেন্দ্র চক্রবর্তী,হরেন্দ্র চক্রবর্তী, সত্যেন্দ্র চক্রবর্তী,খোকন দেবনাথ প্রমুখ। ষাটের শেষ ও সত্তরের প্রথমে ছোটখিলের যাত্রা দল বিভিন্ন স্থানে ঢপ যাত্রা পরিবেশনার মধ্যে শ্রেষ্ঠ নিবেদন ছিল--' কাঁকন তলার মেয়ে" । এতে ভৈরবের শিষ্যের অভিনয় করেছেন শ্রীদাম সূত্রধর, সাধুর ভূমিকায় বিকাশ রায়, সুভাষ দেবনাথ, প্রমুখ।

       শ্রীনগরের গুণী যাত্রা শিল্পী রাখাল নাথ,(বর্তমান  এডভোকেট) ,রাখাল সেন(শিক্ষক) অজিত মজুমদার (শিক্ষক ) উনাদের হাত ধরে  শ্রীনগর সমসের গাজীর মুলুকের যাত্রার জয় যাত্রা।

    অন্যদিকে সাতচাঁদে যাত্রার অভিযাত্রা ষাটের দশক থেকে  অজিত ঘোষ, কবিপদ দেবরায় ,মানিক দেবরায় ,রবি দেবরায়, অলক সেন  , দিলীপ সাহা,অরুন সরকার, কৃষ্ণা বণিক, কালু মজুমদার, মিহির পাল, প্রমুখ অভিনের হাত ধরে।
পঙ্গপাল যাত্রা পালায়,অজিত দেবনাথ ,সুলিল বিশ্বাস,মনোহর বর্মন, কৃষ্ণ কমল সরকার ,রমেশ রায় , শিবপিরসাদ মজুমদার, হরিভুযন চক্রব্রতী, গৌরহরি দাস, হারাধন মল্লবর্মন, প্রমুখরা মনুবাজার থেকে আগরতলা পর্যন্ত মঞ্চ কাঁপিয়েছেন। শ্রীমা নাট্য সংস্থা ১৯৮২ সালে আগরতলা বইমেলায় রবীন্দ্র হলে 'পঙ্গপাল' যাত্রা পরিবেশন করেন। এতে অভিনয় করেন----
অনিমা ও মমতা বিশ্বাস,নিতাই বড়ুয়া, রতন চক্রবর্তী,যদু কারিগর,কৃষ্ণা বণিক ,কালু মজুমদার , ভিলেনের অসাধারণ অভিনয় করে  মঞ্চ কাঁপিয়েছে  শিব প্রসাদ বাবু সহ আরো অনেকে।

     তবে সাব্রুমে প্রথম শিশু যাত্রা পরিবেশিত হয় ষাটের দশকে বর্তমান নং টু সাতচাঁদ স্কুলের ছাত্রদের নিয়ে শিক্ষক রুহিনী সরকারের পরিচালনায় ও নির্দেশনায় শিশুদের পরিবেশনায় যাত্রাপালা " চট্রগ্রাম অস্রগার লুন্ঠন" । এই যাত্রাপালায় অভিনয় করেছিলেন সূর্য সেনের ভূমিকায় - কাজল সরকার ,শাওনওয়াজ সেনাপতির ভূমিকায় মনোরঞ্জন দে, এছাড়া অন্যান্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন - হেমেন্দ্রয পোদ্দার,শচীন্দ্র দেবনাথ,হরকুমার রায়, রমেশ রায়, মনিন্দ্র রায়, রবি দেবরায়, প্রমুখ। এই রবি দেব রায় পরবর্তীতে সাতচাঁদে গঠন করেন অঞ্জলী  নাট্য সংস্থা । ষাটের দশকের শেষ দিক থেকে আশির দশক পর্যন্ত এই সংস্থা দারুণ সাড়া জাগিয়েছেন শিল্পে।

  ষাটের  দশকে রূপাইছড়িতে গঠিত হয় একদল তরুনের উতসাহে পার্বতী নাট্য সংস্থা। এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন নানা গুণের অধিকারী প্রয়াত কবি হরিহর দেবনাথ।এই সংস্থা সুনামের সাথে দীর্ঘদিন সাব্রুম সহ দক্ষিণ ত্রিপুরার মঞ্চ কাঁপিয়েছেন। ষাটের দশকের শেষ দিকে ও সত্তরের দশকের প্রথম দিকে যাঁরা ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক যাত্রাপালায় দক্ষিণ ত্রিপুরার দর্শকের মনে যায়গা করে নিয়েছেন তারা হলেন -- সুনিল দেবনাথ, হরিহর দেবনাথ,নারায়ন দেবনাথ ,দীপক রায়, যুধিষ্ঠিরের ভূমিকায় মানিক দে, মধুসূধন আঁইচ,জগদ্বীশ দেবনাথ, মাখন ভৌমিক(প্রধান),সুনিল মজুমদার,স্বপন দেবনাথ(প্রধান),গোপেশ্বর ভট্রাচার্য,তপন শীল, ঘন্টারাম দারোগার অসাধারণ অভিনয় করেছেন ভবরঞ্জন নাথ প্রমুখ। ষাটের দশকের শেষ দিকে উনারা যে যাত্রাপালা মঞ্চস্থ করেছেন বিভিন্ন স্থানে সেইগুলি হল --সামাজিক যাত্রাপালা 'গরীবের মেয়ে', রঘু ডাকাত, কার দোষ,বাগদত্তা, ঐতিহসিক যাত্রা "রক্ত নদীর ঢেও"প্রভৃতি শ্রেষ্ঠ পরিবেশনা।এছাড়া" হে অর্জুন গান্ডিব" এ কৃষ্ণ-প্রানেশ দেব, অর্জুন- সুনিল দেবনাথ, যধিষ্ঠির--মানিক দে ,শকুণী -- জগদ্বীশ নাথ  অভিনয় করে যাত্রাকে দর্শকের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তোলনেন। কালু মজুমদারের নির্দেশনায়  কপাল কুন্ডলা " যাত্রা পালাও রতন চক্রবর্তী, প্রদীপ চক্রবর্তী , রাখাল দেবনাখ, বিজলী ভৌমিক, শ্রীধন বিশ্বাসের অভিনয়ে সুন্দর উপস্থাপনা। বাগদত্তাতে সাড়া জাগানো অভিনয় করে দর্শকের মন ভরিয়ে দিলেন সুনিল মজুমদার ষাটের দশকের প্রধান মাখন ভৌমিক।  অবশ্য ষাট থেকে নব্বই দশকে রাজ্যে  যাত্রা ও ফুটবলে রূপাইছড়ির দারুণ নাম যশ ছিল।

          সত্তর থেকে শূন্য দশক পর্যন্ত পার্বতি নাট্য সংস্থার যে সমস্থ শিল্পীরা যাত্রাকে আরো বেশি করে মানুষের কাছে নিয়ে গেলেন ও যাঁরা দর্শকের মন কেড়েছেন সুন্দর অভিনয় কৌশলে তারা হলেন- উদয় সংঘ যাত্রা গোষ্ঠির পক্ষে--বিলোনীয়ার বিশ্বেশ্বর মজুমদারের পরিচালনা ও নির্দেশনায় --সুনিল মজুমদার , নারী চরিত্রে মধুসূধন আঁইচ ও কবি হরিহর দেবনাথ, শিবানী ভট্রাচার্যী,প্রাণেশ দেব (ভিলেন চরিত্রে), তপন দাস, সঞ্চিতা মজুমদার,মিতা মজুমদার, তরুন শীল, প্রদীপ চক্রবর্তী,গৌতম দেবনাথ, সন্তোষ নাথ, বোচা দে , অরবিন্দ দে, সতীপ্রভা দে,পরিমল দে , অমল নন্দী,সুচিত্রা আঁইচ, প্রমুখ। উদয় সংঘের শ্রেষ্ঠ নিবেদন ছিল "ভিক্ষুক" যাত্রা পালা। সাব্রুমে বিভাগের শ্রেষ্ঠ যাত্রা পালা হিসাবে আশির দশকে ভিক্ষুক " যাত্রা পালা পুরস্কৃত হয়েছিল।

      তবে বড়দের সাথে যাত্রা নিয়ে আলোচনা করলে এখনো অনেকের মুখে উঠে আসে ঢোলক বাদকের অভিনয়ে হরিহর দেবনাথের কথা, কেন্দ্রিয় চরিত্র তপন দাসের কথা, সুনিল দেবনাথের উনাদের চমতকার অভিনয়ের কথা এখনো বলতে শুনা যায়, এছাড়াও অভিনয় করতেন গোপেশ্বর ভট্রাচার্য। সত্তরের দশকের রুপাইছড়ির পার্বতী নাট্য সংস্থা রাজ্যের মধ্যে দারুণ সুনামের সাথে মঞ্চ দখল করেছেন। এই সংস্থার পরিবেশনায় সামাজিক যাত্রাপালা "শাখা দিওনা ভেঙ্গে" রাজ্যভিত্তিক যাত্রা প্রতিযোগীতায় প্রথম হয়েছিল। এই পালায় জগদ্বীশ নাথ কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করে রাজ্যের শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন।সহ শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন স্বপন দেবনাথ, বিবেকের অভিনয়ে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পেয়েছেন কেশব গোস্বামী, এবং মহিলা খল নায়িকার ভূমিকায় নজর কাড়া অভিনয় করেছেন নারায়ন দেবনাথ, হরিহর দেবনাথ,সুনিল দেবনাথ।

     এরপর আশির দশকে  কিছু নতুন মুখ যাত্রাতে এলেন, নবীন প্রবীনের মিলনে আবার নব উদ্যোগে     যাত্রার নব দিগন্ত। এলেন অরবিন্দ দে,সন্তোষ নাথ,মনি শীল, সঞ্চিতা মজুমদার, গোতম নাথ, ভবরঞ্জন নাথ, যিনি নব্বইর দশকে ডাম সেট বাজাতেন  উনি নিজের টাকায় যাত্রার সমস্ত মিউজিক ইন্ট্রোমেন্ট ,ডাম সেট সহ কিনেছিলেন পার্বতী নাট্য সংস্থার জন্য। সাংস্কৃতিক জগতের প্রতি তীব্র টান আছে বলেই তা সম্ভব হয়েছে। এই সংস্থাও আশির দশক থেকে শূন্য দশক পর্যন্ত দাপিয়ে দক্ষিণ ত্রিপুরার বিভিন্ন স্থানে আমন্ত্রণ মূলক যাত্রা করে দর্শকের হৃদয় জয় করেছেন।এই দশকে শ্রেষ্ঠ পরিবেশনা" দুর্গাবতি অঞ্চল প্রধান", এছাড়া  কলিকাতার রঞ্জন দে রচিত এবং  বিশ্বেশ্বর মজুমদারের পরিচালনা ও নির্দেশনায় "ভিক্ষুক" , 'গলি থেকে রাজ পথ', তপন দাসের পরিচালনায় দূযোগ(নরক), মেঝ বউ , দারুণ পরিবেশনা।

       এই সংস্থা শেষ যাত্রা করেছেন বিলোনীয়ার  গজারিয়া 2001সালে, শেষ দিনের এই সংস্থার শেষ ও শ্রেষ্ঠ নিবেদন ছিল দুর্গাবতি অঞ্চল প্রধান।এই পালার মধ্য দিয়েই  পার্বতী নাট্য সংস্থার তিরিশ বছরের নাটক ও যাত্রার জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটলো। তিনদিন ধরে পার্বতি নাট্য সংস্থা সেখানে যাত্রা করেছিল । টিকিট ছিল 20 টাকা। প্রচুর দর্শক ছিল এমন কি বাংলাদেশ থেকেও যাত্রা দেখতে আসতো তখন। আমি তখন কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আমি তবলজী হিসাবে গিয়েছিলাম। সেখানে যারা অভিনয় করেছিল সঞ্চিতা ও মিতা মজুমদার, তপন দাস, অরবিন্দ দে, প্রানেশ দেব , সন্তোষ নাথ, গৌতম দেবনাথ সহ আরো অনেকেই। ডামসেটে ছিলেন ভবরঞ্জন নাথ, ঢোলক  শুভঙ্কর দাস, তবলায় ছিলেন আলোচক সঞ্জীব দে, সহ আরো অনেকেই।
এই সংস্থার হয়ে আরো যারা যাত্রা করতেন শূন্য দশকে  পুনম মজুমদার, (শিশু শিল্পী,) , মিতা মজুমদার, শিবানী ভট্রাচার্য,মনি শিল , অমল নন্দী, সন্তোষ দেবনাথ, প্রমুখ।
      আশি থেকে শূন্য দশকে হরিণাতেও যাত্রার দারুণ সাড়া ছিল গোপাল বসুর নেতৃত্বে।উনি ছিলেন গভীর শিল্প অনুরাগী। উনাদের নিজস্ব কোন যাত্রার দল না থাকলেও  বিভিন্ন টীমের সাথে যাত্রা করতেন । হরিণার আরো যারা করতেন তারা হলেন পরিমল দে,শচীন্দ্র আচার্যী,শিশির রায়,খোকন মজুমদার, সাধন মজুমদার, প্রমুখ। বিজন বসুও এক সময় যাত্রার সংগঠক ছিলেন।

               ষাটের দশক থেকে  বাইখোড়ার যাত্রার বিকাশ লক্ষ করা যায়, ঐ সময়ের তরুণ ,ছটফটে যুবক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও জনপ্রতিনিধি অমল মল্লিকের উতসাহ ,উদ্দিপণায় গঠিত হয় "জগন্নাথ নাট্য সংস্থা" । ঐ সময়ে এই সংস্থার শ্রেষ্ট নিবেদন- 'রহিম বাদশা- রূপবান'। এই পালায় যাঁরা অভিনয় করে মঞ্চ কাঁপিয়েছেন ও দর্শক স্রোতাদের মন জয় করেছেন ,তারা হলেন - রূপবানের  ভূমিকায় পান্নালাল চক্রবর্তী, রূপবানের স্বামী তাজেলের ভূমিকায় বিমল বৈদ্য, নায়কের ভূমিকায় বলরাম সাহা, এছাড়া অভিনয় করেছিলেন সারদা আচার্যী, নারায়ন দেবনাথ,বাসুদেব দাস, রাসু দাস, নিখিল দেবনাথ,  নারায়ন দত্ত, সুনিল দেবনাথ,প্রফুল্ল দেবনাথ,রাজেন্দ্র দেবনাথ,হরিহর ভট্রাচার্য,সিধু মিঞা প্রমুখ,এদের মধ্যে অনেকেই রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষে অভিনয় করতেন।বাইখোড়া নব্বইর দশক থেকে শূন্য দশকে যাঁরা যাত্রায় এলেন তাদের মধ্যে দিলীপ দেবনাথ , যিনি এখনো অভিনয়ে আছেন।তবে প্রফুল্ল দেবনাথের পরিচালনায় চরকবাই রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের যাত্রা পালা 'রূপবান' ছিল উনাদের শ্রেষ্ঠ নিবেদন। এছাড়া একটি পয়সা,জনতার আদালতে যাঁরা অভিনয় করেছেন--নিখিল নাথ,কালু বিশ্বাস,বাসুদেব, প্রফুল্ল দেবনাথ ,দিলীপ দেবনাথ প্রমুখ। আবার জোলাইবাড়ির যাত্রা দলের শ্রেষ্ঠ নিবেদন ছিল এগার বারের পরিবেশনা 'নটীবিনোদিনী"। পরিচালনায় রতন দাস বৈষ্ণব। যাঁরা অভিনয় করেছেন তপন দাস গিরিষ ঘোষের ভূমিকায়, রাঙ্গাবাবুর ভূমিকায় দিলীপ দেবনাথ, রতন দাস বৈষ্ণব রামকৃষ্ণের ভূমিকায়, শিবু দাস, হারাধন সাহা,অজয় দাস,অমর কৃষ্ণ নমঃ,উতপল ,কৃষ্ণধন নমঃ,সুদীপ দেবনাথ প্রমুখ।

  সত্তরের দশকে জগন্নাথ নাট্য সংস্থার সদস্যদের মতানৈক্যে জন্ম হলো আরেকটি নাট্য সংস্থা যার নাম "বিদ্যুত ঝিলিক নাট্য সংস্থা। এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা হলেন মন্টু ধর। সত্তরের দশকে এই সংস্থার শ্রেষ্ঠ নিবেদন "রক্ত দাগ", দেবী চৌধুরানী।

ষাটের দশক থেকে  বাইখোড়ার যাতনী,সিরাজের স্বপ্ন, ইত্যাদি। এইগুলিতে নাদিরা বেগম, দেবী চৌধুরানীও ক্লাইভের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন --পান্নালাল চক্রবর্তী।অন্যান্য ভূমিকায় সাড়া জাগানো অভিনয় করেছিলেন --অনিমা দাস, জয়ন্ত কুড়ি, বাসু দেব, নিখিল দেবনাথ প্রমুখ ।
এক দশক তারুন্যের উচ্ছ্বাসে বিভিন্ন মঞ্চে দাপিয়ে অভিনয়ের পর এই সংস্থার শেষ নিবেদন 1980 তে বাইখোড়ার কলসী নামক স্থানে -বিদ্যুত ঝিলিকের শেষ যাত্রা পালা " রূপাই দিঘী" । এতে নায়কের ভূমিকায় ছিলেন --ব্রজেন্দ্র রুদ্র পাল, রাসু দাস,বাসু দাস।রুপাইয়ের বাবার ভূমিকায় ছিলেন পান্নালাল চক্রবর্তী,ভিলেনের ভূমিকায় ছিলেন নারায়ন দত্ত ও নারায়ন দেবনাথ।

  অন্যদিকে বিলোনীয়ায় 1965 সালে প্রথম যাত্রা দল গঠিত হয় মনমোহন দাসের নেতৃত্বে -- জহর দেবনাথের যৌথ উদ্যোগে " ভারত নাট্য সংসদ"। যার আজীবন সম্পাদক ছিলেন জহর দেবনাথ(৭৩),আলাপচারিতায় জহর চক্রবর্তী, মনমোহন দাসকে উনার যাত্রার গুরু হিসাবে উল্লেখ করেন। ভারত নাট্যের প্রথম নিবেদন ১৯৬৫ সালে জিতেন বসাক রচিত পালা "মানুষ'। ১৯৪৮ সালে মঞ্চস্থ করেন "গলি থেকে রাজ পথ " , নিচু তলার মানুষ, রাজা হরিশ্চন্দ্র, মানুষ কেন কাঁদে ইত্যাদি যাত্রা পালা। এই দলের শ্রেষ্ঠ নিবেদন হলো--রাজা দেবদাস,ফুল ওয়ালী, রাইফেল প্রভৃতি। ১৯৮০ সালে আগরতলা চিল্ডেন পার্কে "ফুল ওয়ালী" রাজ্য ভিত্তক যাত্রা প্রতিযোগীতায় পুরস্কৃত হন। এতে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেণ ছবি ভট্রচার্য, বিমল দাস প্রমুখ। এই দলে যাঁরা অভিনয় করতেন তারা হলেন --মনমোহন দাস,জহর দেবনাথ , ছবি ভট্রাচার্য, বিমল দাস,ভোলা দাস,ঠাকির কৃষ্ণ বিশ্বাস,নারায়ণ চক্রবর্তী,বিনোদ নাথ প্রমুখ শিল্পীরা। তবে এই সংস্থার যাত্রা জীবন ছিল একুশ বছর। ১৯৮৬ সালে "রাইফেল" যাত্রাপালার মাধ্যমে ভারত নাট্যমের মঞ্চের সমাপ্তি ঘটে। এর পর নব্বইয়ের দশকে বিলোনীয়ায় জন্ম নিল আরো দুটি যাত্রা দল-- প্রথমটি পিনাকী নাট্য সংস্থা ,দ্বিতীয়টি শ্রীমা নাট্য সংস্থা। শ্রীমার শ্রেষ্ঠ নিবেদন "রিক্সাওয়ালা"। জহর দেবনাথ এতে অভিনয় ও পরামর্শ দিয়ে এই দলকে গৌরবের আসনে প্রতিষ্ঠিত করেন। ২০০০ সালে বিমল দাসের নেতৃত্বে গঠিত হয় আবার নতুন যাত্রা দল। ২০১৬ সালে মতাই যাত্রা উতসবে এই দল দারুন পরিবেশনা করেণ।তবে জহর দেবনাথ যাত্রা জগতে প্রবেশ করেন পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি
সময়ে ১৯৫৪ সাল। তখন জহর চক্রবর্তী বয়স ৭/৮ বছর। তখন তিনি সুরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর পরিচালনায় ও নির্দেশনায় ঢপ যাতায় অভিনয় করতেন। বইগুলি যেমন, নৌকা বিলাস, নিমাই সন্যাস ইত্যাদি।

    শূন্য দশকে এসে দক্ষিণ ত্রিপুরায় যাত্রায় ভাটা পড়ে। তবুও যে যাত্রা দলগুলো এখনও সক্রিয় সেগুলি হল--- কাকলী শিল্পী গোষ্ঠী (রাধানগর)পালা--গরীবের ছেলে, রামকৃষ্ণ নাট্য সংস্থা (জোলাইবাড়ি)-নটিবিনোদিনী, যাত্রা ইউনিট(গৌরাঙ্গবাজার)-ভক্ত দ্রুব ,মতাই সংস্কৃতি সমন্বয় কেন্দ্র যাত্রা দল---মা-মাটি মানুষ, অগ্রগামী যাত্রা তীর্থ(শ্রীনগর)পালা---মানুষ কেন কাঁদে ,ত্রিপুরা চুবালাই বুথুব (দেবদারু) ---থাপা বেরাইমানি--ককবরক যাত্রা পালা, ত্রিপুরেশ্বরী এমেচার (জোলাইবাড়ি)-ভক্ত ও ভগবান প্রভৃতি। অনেকগুলি ফাঁকা মঞ্চ পেরিয়ে 2016 সালে যাত্রা শিল্পকে পুনরুজ্জিবিত করে তোলার জন্য তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর ও সংস্কৃতি সমন্বয়ের উদ্যোগে হয়ে গেলো বিলোনীয়ার মতাইয়ে সাড়া জাগানো যাত্রা উতসব। হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিকে ফিরেয়ে আনার জন্য সরকারীভাবে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রথম হয়েছে মতাই স্থানীয় যাত্রা টিম। দ্বিতীয় গৌরাঙ্গ বাজারের ভক্ত দ্রুব, তৃতীয় ভাতখোলার যাত্রা দল। 2017 সালে ডিসেম্বরের ২৫,২৬,২৭,২৮ তারিখ তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে জেলাভিত্তিক যাত্রা উতসব অনুষ্ঠিত হয় সাব্রুম মেলারমাঠে।এতে দক্ষিণ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট সাতটি যাত্রা দল অংশগ্রহণ করে।
  প্রথম দিন রাধানগরের নিবেদন ছিল হীরেন্দ্রকৃষ্ণ দাস রচিত ঐতিহাসিক যাত্রা পালা--"গরীবের ছেলে"।এই পালায় মোট চরিত্র ছিল--২৪টি।

      দ্বিতীয় সন্ধ্যায় গৌরাঙ্গ বাজারের যাত্রা ইউনিটের নিবেদন ছিল অসাধারণ যাত্রাপালা --"ভক্ত দ্রুব "।
রচনা---প্রসাদ কৃষ্ণ ভ্রট্রাচার্য ।এই যাত্রা দলের জয়যাত্রা সত্তরের শুরুতে। প্রতিষ্ঠিতা ছিলেন ননীগোপাল নম।নির্দেশনা ও পরিচালনায় সাধন শর্মা যিনি দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে যাত্রার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন। এই পালায় বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয়ে ছিলেন---
অতুল দেবনাথ (নারায়নের চরিত্রে)
কেশব দেবনাথ (দেবর্ষি) /রতন দত্ত(উথানপাদ)
হৃদয় দেবনাথ(উত্তমের চরিত্রে) /শুভজিত দত্ত(দ্রুব)/ বাসুদেব দেবনাথ(কঙ্কন)/ বিকাশ মজুমদার(তাম্রকেতু) /শংকর শীল(অনঙ্গ)/ নারায়ন দেবনাথ(রুদ্রপীড়)/স্বপন নম (ষটপুর) /বাসুদেব দাস (ত্রিলোচন) /প্রদীপ দত্ত (সুনীতকুমার) প্রতাপ দেবনাথ(বুধন সর্দার) /মিতা দেবনাথ (ডমরু) /সুস্মিতা দত্ত (সুনীতি) /
কনিকা দেবনাথ(সুরুচি) /প্রতিমা দেবনাথ(বগলামূখী) /  -প্রহরী --- প্রসেনজিত শীল /  ভৈরবি ---নন্দিতা নম:

     তৃতীয় সন্ধ্যায় শ্রেষ্ঠ নিবেদন ছিল শ্রীনগরের অগ্রগামী যাত্রা তীর্থের যাত্রা পালা --- প্রসাদ কৃষ্ণ ভট্টাচার্য রচিত--"মানুষ কেন কাঁদে"। পরিচালনা ও নির্দেশনা ---সুনিল রায়। সার্বিক পরিচালনায় --সাচীরাম মানিক। মোট ১৮ জন অভিনেতা, অভিনেত্রীর অভিনয়ে সার্থক উপস্থাপনা। বিভিন্ন চরিত্রে যাঁরা অভিনয় করেন, তারা হলেন -- বেচুরাম দেবনাথ (রাজগড়ের রাজা -রামেশ্বরের ভূমিকায়) , সুনিল রায় (মধ্যম ভাই মহেশ্বরের ভূমিকায়), যদুগোপাল দেবনাথ (রাজার কনিষ্ঠ ভাই বীরেশরের চরিত্রে), টিটন সরকার (গৌতমের চরিত্রে), হরিধন মজুমদার (কেষ্টা ভৃত্যের ভূমিকায়) , সজল ভৌমিক(রামেশ্বরের শ্যালক কেশবের ভূমিকায়) , বিপুল ভৌমিক(রামেশ্বরের মাতুল দুর্মুখের ভূমিকায়) , দীপক দত্ত(ভৈরব পুরের রাজা দশানন রায়ের চরিত্রে) বিকাশ বৈদ্য রাজা দশাননের পুত্র সৌমিত্রের ভূমিকায়) , রঞ্জিত দে(বেকার যুবক সুধাময়ের চরিত্রে) , রত্নেশ্বর নাথ (সেনাপতির ভূমিকায়) , মতিলাল নাথ(সেনাপতির ভূমিকায়) , অসীম পাল (ডাকাতের ভূমিকায়) , সঞ্জু নাথ(রক্ষীর ভূমিকায়) , শিপ্রা ঘোয(রামেশ্বরের স্ত্রী বাসবীর চরিত্রে) , সীমা সরকার(রামেশ্বরের শাশুড়ী অহল্যার চরিত্রে ), শিপ্রা মজুমদার়(সেলিমের  স্ত্রী গোলাপের চরিত্রে), তাপসী দত্ত( সৌমিত্রের স্ত্রী কেতকীর চরিত্রে ) প্রমুখ।

    ২০১৭ সালের  দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা ভিত্তিক যাত্রা উৎসবের সর্বশেষ পালা সাব্রুমের যাত্রা দলের পরিবেশনা, নির্মলকুমার মুখপাধ্যায় রচিত ও জন্টু ভৌমিকের পরিচালনায় --- অসাধারণ যাত্রা পালা "কুমারী মায়ের কান্না" । সবার দক্ষ অভিনয়ে পালা অন্য মাত্রা পেয়েছে। তবে একদম নতুন যাত্রা শিল্পী হিসাবে স্ত্রীর ভূমিকায় কঙ্কনা চক্রবর্তী অসাধারণ অভিনয় করে দর্শকদের নজর কেড়েছেন। ভিখারীর ভূমিকায় শঙ্কর চক্রবর্তী শৈল্পিক গুণে দক্ষ অভিনেতার পরিচয় দিয়েছেন।এছাড়া বড়় ভাইয়ের ভূমিকায় ছিলেন স্বপন দে, ছোটভাই বাবুল দেবনাথ, সম্মন্ধি জন্টু ভৌমিক, পারুলের ভাই অপু মিত্র, ঘটক বাদল বণিক, জমিদার নিধু রঞ্জন চক্রবর্তী, চাকর ভবতোষ দেবনাথ, ভিকারী শঙ্কর চক্রবর্তী, ডাক্তার রতন দেবনাথ, পারুলের ছেলে চয়ন শীল, দারগা রতন দেবনাথ, উত্তমের স্ত্রী কঙ্কনা চক্রবর্তী, পারুল (ইন্গ্রজিতের মেয়ে অমিমা মজুমদার, বকুল (গৌতমের স্ত্রী) শিবানী চক্রবর্তী প্রমুখ। মিউজিকে বলাই দা সহ যারা ছিলেন সবাই দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন।তবে যাত্রাটিকে মঞ্চে দাঁড় করানোর জন্য নেপথ্যে যাঁরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন, তারা হলেন অশোকানন্দ রায়বর্ধন, কল্যানব্রত বসাক(যীশু) প্রমুখ। সব মিলিয়ে জমজমাট আজকের উৎসব সন্ধ্যা।
         আজকের প্রথম পালা ছিল দেবদারু থেকে ৩৪ জন অভিনেতা /অভিনেত্রীর দ্বারা অভিনীত ককবরক যাত্রা পালা পূর্ণচন্দ্র ত্রিপুরা নির্দেশিত "থাপা বেরাইমানি"  (দল--ত্রিপুরা চুবলাই বুথু), অনেককাল পর দক্ষিণ ত্রিপুরায় পুনরুজ্জীবিত হলো ককবরক যাত্রাপালা। হারিয়ে যাওয়া যাত্রা সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার জন্য তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর ও ত্রিপুরা সংস্কৃতি সমন্বয় কেন্দ্রের উদ্যোগে রাজ্যজুড়ে যাত্রা উৎসব যাত্রার চর্চার ইতিহাসে এক নতুন দিগন্ত খোলে দিয়েছে। যাত্রা সংস্কৃতি বিকাশে ও প্রসারে এক দারুন গতি উৎসাহ সঞ্চারে এই উদ্যোগ দারুণ ফলপ্রসূ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
-------------------------------------------------------------------
        ঋণ স্বীকার: জহর চক্রবর্তী, চন্দন পাল, সুনিল দেবমাথ, গৌতম, সুমন দেবনাথ, মনোরঞ্জন দে, অশোকানন্দ রায়বর্ধন, কানু বণিক ,শ্রীদাম সূত্রধর,বিজন বসু,  দুলাল দেবরায় ,সতিপ্রভা দে,

No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...