Sunday, June 10, 2018

শান্তনু চক্রবর্তী

ছায়া


সামনে একটা গভীর খাদ।
একটা ছায়া তার সামনে ঘোরাঘুরি করছে।
ঝাঁপ দেবে কি দেবে না। এই মৃত্যু উপত্যকা যাদের অনিবার্য গন্তব্যস্থল তাদের এক না এক দিন এই গভীর খাদের সামনে এসে দাঁড়াতে হয়।যেমন দাঁড়ানো এই ছায়াটি।হয়ত এই ছায়াটিরও একটা নাম থাকতে পারে। থাকতে পারে ঠিকানা। থাকতে পারে একটি অগোছালো পরিবার। ছায়াদের কোনো নাম হয় না। ছায়াদের কোনো ঠিকানা হয় না। ছায়া মাত্রেই নামহীন। ছায়া মানেই অনির্দিষ্টতা। ছায়া মানেই অন্ধকারে মিশে যাওয়া। প্রকৃত প্রস্তাবে আলো থেকে জন্ম নিয়ে তমসায় বীলিন হওয়া ছাড়া ছায়ার সাথে আমার আর কোনো মিল নেই। পেছন ফিরে তাকাই। দেখতে পাই কেউ একজন ধাক্কা দিচ্ছে আমাকে। বুঝতে বাকি থাকে না যে সে আর কেউ নয় সময়। সময়ের হাত ছায়াটিকে ক্রমান্বয়ে নিয়ে যাচ্ছে খাদের কিনারে। এভাবেই লেখা হচ্ছে মহাকালের ইতিহাস। এভাবেই জন্ম নিচ্ছে গল্প। গল্প আর ছায়া মিলেমিশে একাকার হলে একটি ব্যক্তির জন্ম হয়। ব্যক্তি ভেসে যায় কলসীর মত নদীর বুকে। পাড়ে যাবার ইচ্ছা তারও থাকে কিন্তু কোনো হাত সে কলসীকে টেনে নেয় না। কলসী ব্রাত্য থাকে। আর ব্রাত্য থাকে কলসির ভেতরে থাকা ছাইভস্ম। যে ছাইভস্মের প্রতিটি কণায় লেখা আছে একটি জীবনের গল্প। একটি উপন্যাস যে কিনা কোনো পাতার উপর কালিতে রূপান্তরিত হতে পারেনি।

No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...