আর কত!
উর্বর সমাজে নর রাক্ষসের বীজ বুনছে কন্যা শিশু বিদ্বেষী দল।
তপ্তকন্ঠে ভস্মীভূত হোক তোদের বিষাক্ত বল।
অন্ধকার কুয়োর তলদেশে ওদের বসবাস।
জ্ঞানের আলোতে শক্ত এলার্জি যেন জীবন্ত অভিশাপ।
ভোরের তেজোমূর্তির রক্তিম নির্মল স্পর্শ
স্নেহময়ী বসুন্ধরার স্নিগ্ধরূপ ওদের বাবার সম্পদ-
শ্রেণীগত ডিগ্রিধারী ওরা এই রূপ উপভোগ করে সারা বর্ষ।
ওরা চোখে ঘন কালো পর্দা বেঁধে বসে আছে,
সততা,মানবিকতা,বিশুদ্ধ রক্ত নেই তারার কাছে।
মাথা উঁচু করে বলে
কন্যা শিশুর পৃথিবীর রূপ দেখার অধিকার নেই,
ভূমিষ্ঠের পূর্বেই মৃত্যুর কোলে পাঠিয়ে দেয় সেই।
ভস্ম হয়ে যায় শিশুরা রক্ত চোখ ও কুকথার অগ্নিবাণে।
ওরা রক্ত পিপাসু মুখোশধারী আবার নানা দেবীর পরম ভক্ত।
দেবীর চরণে সর্বস্ব ঢেলে দেয়- ঐদিকে ভ্রুণ হত্যা পাপে যুক্ত।
এই নরপিশাচ আছে যত-
সুস্থ সমাজের অক্সিজেন,ভবিষ্যতের মা রূপীর মুখে মাটি দিচ্ছে শতশত।
একুশ শতকেও থামছে না এই মহাপাপ
ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গেছে,আর কত??
চলো সবাই কন্যা শিশুকে মার কোলে দেই ঠাঁই।
দেশ দুনিয়ায় কন্যার জয়গান গেয়ে যাই।
কন্যা শিশু হত্যা, অবহেলিত সমাজ
চলো চিরতরে মূলোৎপাটন করি আজ।
No comments:
Post a Comment