মেঘ সোহাগী
পৃথিবীর কোনো তকমা লাগা শহরে
না-হয় তোমার উপবেশন।
আমি নির্জন বনানির মাঝখানে
স্বপ্নহারা এক চিলেকোঠায় থেকে গেছি।
বিশাল ব্যবধানের মাঝখানেও আমি
রোজ তোমার রূপের ভরা নদীতে সকল-
অভিমান ডুবিয়ে স্নান সেরে নেই।
আমার আকাশে এখন প্রতিদিন
ছোট ছোট মেঘের জমাট বাঁধার অনুষ্ঠান হয়।
সেই মেঘের ঘাঢ় প্রলেপে আমি তোমায় দেখি।
বিশাল এক বাগানে সারিবদ্ধ ভাবে দুলে যাওয়া
লাল, সাদা, হলদে আর সবুজের ফাঁকে ফাঁকে
বিনি চুলের বন্ধন খুলে দিয়ে তোমায়
হেঁটে যেতে দেখি।
আমার সমস্ত মনের শহরে তোমার
চোখের পলক পরে, ঠোঁটের হাল্কা হাসি ঝড়ে।
তোমার স্থায়িত্ব মনের আশা জুড়ে
সমগ্র দিবস হয়তো হয়-না।
বাতাসের ধাক্কায় ঘড়ির কাটার সাথে
তুমি ভেসে চলে যাও, ঐ শাল-সেগুন
আর গর্জন বনের উপর দিয়ে।
হঠাৎ বাঁশ বাগানের মাথার উপরে
চাঁদের বিপরীত হয়ে বিলীন হয়ে যাও তুমি।
তবু আমি চেয়ে থাকি উড়ে যাওয়া মেঘের পানে
তোমার সোনালী মুখ আকড়ে ধরে।
No comments:
Post a Comment