Saturday, July 18, 2020

সম্রাট শীল

শ্যামোলী কোচিং
              
আমার কাছে স্মরণীয় 
একটি কোচিং সেন্টার ছিল যার নাম,শ্যামোলী।
এত স্মৃতি জড়িয়ে তার সঙ্গে
কী আর বলি।।
সেই দিন গুলো আজও
অনেক মনে হয়।
শ্যামোলী কোচিং এর সঙ্গে সম্পর্ক
ছিল,অতি মধুময়।।
সেই কোচিং সেন্টারের অধ্যক্ষ ছিলেন আমার, প্রিয় দেবাশীষ স্যার।
শিক্ষা বিজ্ঞান ও দর্শনশাস্ত্রে উনার জ্ঞান ছিল অপার।।
শিক্ষা বিজ্ঞান ও দর্শনশাস্ত্র পড়তাম উনার কাছে।
এই দুই বিষয়ে জ্ঞান কিন্ত উনার ‌যথেষ্ট আছে।।
আরও প্রিয় দুজন, চিরঞ্জীব ও হিরন্ময় স্যার।
ইংরেজি ও বাংলা বিষয়ে বিদ্যা ছিল অপার।।
তাদের কাছে পড়েছি আমি নিজ আপন মনে।
ঐ সেন্টারে যেতাম ‌আমি, কয়েক বন্ধু একত্র জনে।।

আমরা কয়েক শুভার্থী ছিলাম  
ঐ সেন্টারে ,ভালোবাসা ছিল কিন্তু অপার।
এত আনন্দ পেয়েছি সেখান থেকে যে, কি বলবো আর।।
ঐ সেন্টারের পাশে কৃষ্ণচূড়া গাছের নীচে দাঁড়িয়ে, বন্ধুদের সঙ্গে কতো করতাম হাসি ঠাট্টা।
বেশ জমতো কিন্তু ঐ
খানিক সময়ের আড্ডা।।
সেই আড্ডায় কেউ ব‍্যস্ত থাকতো গ্ৰুপ স্টাডি নিয়ে।
আবার কেউ ব্যস্ত থাকতো প্রেম পাঠ নিয়ে।।

স‍্যার যখন এসে সেন্টারের দরজা খুলতেন তখন কে কোথায় বসবে তা নিয়ে করতাম বায়না।
কেউ বলতো এখানে বস,আবার কেউ বলতো এখানে বসনা।।
হঠাৎ করে আবার শুরু হতো বন্ধুদের মাঝে খুনসুটি, অভিমান।
কিছুক্ষণ পর সব ভুলে আবার
হয়ে উঠতাম এক প্রান।।

বর্ষাকালে সেন্টারে পড়ার সময় ,আকাশ হতে বৃষ্টি যখন নামতো।
তখন মনটায় কত না আনন্দ
জমতো।।
বৃষ্টির মূহুর্তে আমরা সকল বন্ধুরা যখন উল্লাসে মত্ত হতাম।
তখন কেউ ব্রেঞ্চ বাজাতে ব্যস্ত, আবার কেউ গান করতাম।।
পড়া শেষে বন্ধুরা মিলে কত আড্ডা দিতাম।

শীতকালের সকাল বেলা কুয়াশা যখন নামতো।
সেই সময়ে বন্ধুরা মিলে সাইকেল চালিয়ে পড়তে যেতে অনেক মজা হতো।।
দিঘীর পারের অমৃত রেস্টুরেন্ট,ডোনার্সে, বন্ধুরা মিলে স্যারদের সাথে গিয়ে কতকিছু খেতাম।। 
৫ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শিক্ষক দিবস,স্যারদের সাথে নিয়ে সেন্টারে পালন করতাম।
স‍্যারদের সাথে নিয়ে ক্ষানিক সময়ে ঐ দিন কিছু আনন্দ করতাম।।

 ২০১৮ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি ঐ দিন মনে ব্যথা,চোখে জল, হাসি, আনন্দের মাঝে কোচিং সেন্টার থেকে পাওয়া বিদায় সম্বর্ধনা।
ঐ দিন শেষ বারের মত সেন্টারে যাব ,এই কথা ভেবে অন্তরে হয়েছিল অনেক বেদনা।।
শেষের দিনে স্যারদের সাথে অনেক সময় কাটিয়েছিলাম।
সব কিছু ছেড়ে, স্মৃতি জড়িয়ে সেন্টার থেকে ঐ দিন বেরিয়ে পরেছিলাম।।

অনেক আনন্দ,ভালোবাসা
এখান থেকে পেয়েছিলাম।
এই সেন্টার থেকে আমি,
অনেক কিছু শিখেছিলাম।।
কেমন ভাবে যেন কেটে গিয়েছিল কয়েকটি বছর।
সেন্টার থেকে বেরিয়ে আসার পর কয়েকদিন থমকে গেছিল, আমার মনে আনন্দের মোহর।।

No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...