দাগ
আমি মাকে জিজ্ঞেস করলাম , কি হল মা ? মা বলে উঠলো ,,, তোর জ্যেঠু আর তোর ভাই গাড়ি এক্সিডেন্ট করেছে ,তর অমুক কাকু এসে বলে গেলেন। আমি তখন কি করব, কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না ! বাড়িতে তখন ফোন ছিল না , সবাই শুধু কাঁদছি ।
একটু পর পাড়ার একজন এসে বললো , তারা (বাপ-ছেলে ) দুজনেই মারা গেছেন ! আর একটু পর আরেকজন এসে বললো না না বাবা ঠিক আছে , ছেলে মারা গেছে । কোনটি সঠিক কোনটি ব্যঠিক তখনো জানি নি ,,,
আমার পাশের বাড়িতে একজনের মোবাইল ফোন ছিল , হঠাৎ জ্যেঠু অন্য আরেক জনের মোবাইল ফোন দিয়ে কল করে ওনাকে এবং বলে আমি সুমন ( আমার ভাই)কে নিয়ে কুলাই হাসপাতাল থেকে এখন আগরতলা জিবি হাসপাতালে যাচ্ছি । ওদের কে বলো চিন্তা নি করতে ।
আর কোনো খবর নেই । জ্যেঠু ২ দিন পর বাড়িতে আসে , এবং কিছু জায়গা বন্দক দেয় ।
কারন ,,, ডাক্তার বলেছেন ,,,,, ভাই আমার কে বাঁচাতে গেলে অনেক রক্তের প্রয়োজন । অনেক টাকার দরকার । পাশাপাশি ঐ এক্সিডেন্ট র প্রভাব ভাইয়ের ডান হাতে পড়েছিল । ঐ হাত কে বাঁচাতে গেলে ও রক্তের প্রয়োজন।
জ্যেঠু টাকা নিয়ে গেছে ,,,, সব কিছু করার পর ও ডাক্তার বলে ,,, দুঃখিত । বাঁচবে কিনা সন্দেহ আছে!
তার সব টা হাত কাটতে হবে । তবে যদি কিছু ভালো হয় ।
কিন্তু জ্যেঠু সম্মতি দেয় নি।
ঐ দিন ই কলকাতা আপেলো হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার জন্য টিকিট কাটে ।
পরের দিন ভাইকে নিয়ে সেখানে যায় । কিছুদিন পর খবর পাই ,,, ভাই ভালো আছে , শুধু ডান হাতের অর্ধেক অংশ নেই । আজ ভাইয়ের অর্ধেক হাত নেই , তাতে কি জীবন টা তো আছে ।
এই ছিল আমার জীবনের একটা স্মরনীয় ঘটনা , একটা দুঃখময় কাহিনী , যা আমি কোনোদিন ভূলবো না ।
No comments:
Post a Comment