Saturday, July 18, 2020

সৈকত মজুমদার

এখনো ভাবায়

         চতুর্থ শ্রেণীর শেষ মুহূর্ত , বার্ষিক পরীক্ষা অনাগত । শ্রেণীকক্ষ স্বল্পতার জন্য তখন প্রাথমিক বিভাগের ক্লাস মর্ণিং সেসন এ চলতো। আমার স্কুলে আসা যাওয়ার দুটো রাস্তা । স্কুল সংলগ্ন নলুয়া ছড়া হয়ে আলপথ, নতুবা নলুয়া বাজার হয়ে মেইন রোড। 

         একদিন স্কুল ছুটির  পর সহপাঠীদের সঙ্গে বাজার হয়ে বাড়ির  উদ্দেশ্যে রওনা  হই। উপর বাজার আসতেই দেখি- ওপেন শেড এর এক কোণায় বসে এক পাগলী ভাত রান্না করছে মাটির  হাঁড়িতে। অনেকদিন আগেই শুনেছি, পাগলীর আগমনের খবর । তখন থেকেই দেখার জন্য উৎসুক ছিলাম । যাইহোক, আজকে প্রত্যক্ষ করলাম; আমরা সবাই দূর থেকে ভয়ার্ত চোখে দেখছি । আর পাগলী বিড় বিড় করে কি সব বলছে। একদম অস্পষ্ট । 

         এক সময় কৌতূহলবশতঃ আমি আস্তে আস্তে ওর ভাতের হাঁড়ির কাছাকাছি চলে যাই। এমন সময় আমাদের মধ্যে কেউ একজন দূর থেকে একটা ঢিল মারে হাঁড়ি লক্ষ্য করে এবং সবাই এক দৌড়ে পালিয়ে যায়। আমি কিছু বোঝে ওঠার আগেই চোখের পলকে পাগলী তার বসার আধলা ইট হাতে নিয়ে আমার দিকে তেড়ে আসে! এক হাতে ইট অন্য হাতে আমার গায়ের  জামা আঁকরে ধরে ! মুহূর্তে আমি স্তম্ভিত , বাকরুদ্ধ (!) ভয়ার্ত স্বরে শুধু বলছি- “আমি মারিনি,,,,,” কিন্তু, পাগলী সেই কথা কিছুতেই  বুঝতে চাইছে না। বরং অগ্নিময় রূপ নিয়ে বলছে- “আর মারবি ??”

       আমার প্রাণ ওষ্ঠাগত ! এমন সময় একজন দোকানদার দৌড়ে এসে পাগলীর হাতের  ইট কেড়ে নেয় এবং আমাকে ওখান থেকে পালাতে বলে। 

No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...