Saturday, July 18, 2020

দেবব্রত চক্রবর্তী

স্মৃতি তে গাঁথা 

বয়স তখন উনিশ!
কলেজের প্রথম বর্ষ, গোঁফ না পাকালে ও মনের মধ্যে কলেজ সম্পর্কে ভাবনা গুলোর বাস্তবিকতা বয়ে চলছিল।
নতুন বন্ধু নতুন পাকা বাড়ির বিশাল বড় রুমে ক্লাস করা, লাইব্রেরী নামক বদ্ধঘরে অনেকটা সময় কাটানো, আর টিচার থেকে প্রফেসর সব কিছু যেন বড় হওয়ার কথাই জানিয়ে ছিল সেদিন। 
মনে আছে এখনও বাংলায় সাম্মানিক নিয়ে পড়া ছাত্র আমি, তখন বিকেলের বিজ্ঞান ক্লাসের পাশে বসে মোবাইলে ব্যস্ত, ড.নন্দিনী ম্যাম ডাক দেয় ''এই তোমরা ক্লাসে এসো''
হঠাৎ আমি আর আমার বন্ধু তাকিয়ে দেখি, বিজ্ঞানের ক্লাসে আমাদের কেন ডাক,,,,,;
অবশেষে বুঝলাম এটা সেমিনার ,তাই ডুকে পরলাম আগ্রহী ছাত্র হিসেবে, কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করার পর আমাকে বললো তুমি বিজ্ঞান মেলায় প্রোজ্যেক্ট নিয়ে যাবে কি কলেজের হয়ে, আমি সঙ্গে সঙ্গে হ্যাঁ বললাম তখনও কিছু বুঝি নি ঘটনা কি! 
যথারীতি পর দিন থেকে প্রস্তুতি ডিসেম্বরের ২৬ , ২০১১ ইং।
পর পর ৪- ৬ দিন সার্ভে , তারপর প্রোজ্যেক্ট নিয়ে প্রস্তুতি করে মেলায় যাওয়া কি ছিল এই ৭-৮ দিন ওফঃ জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তির আগে এই দিন গুলো অনেক বড় অভিজ্ঞতা, এই প্রস্তুতির ৭-৮ দিন এখনও মনে পরে, যে ঐ দিন গুলি সত্যিই দাগ রেখে গেছে। 
৪ ঠা জানুয়ারি ২০১২ ইং সকাল ৭টায় রওনা দেই, উমাকান্ত স্কুলে রাজ্য ভিত্তিক বিজ্ঞান মেলা আয়োজন করা হয়েছিল সে'বারে। 
৫দিন মেলা চলছিল ৪ঠা জানুয়ারি থেকে ৮ই জানুয়ারি পর্যন্ত, এই পাঁচ দিনে আমার প্রোজ্যেক্টে Writing pad এ ৪৪ জন মন্তব্য করেছেন, যেখানে অন্যদের ২৫০-৩০০ মন্তব্য ছিল।
হতাশ হওয়ার ই কথা কিন্তু একজন ছিল যিনি হতাশ হন নি তিনি সেই ম্যাম যার ডাকে ইতস্ততঃ হয়ে সেমিনারে ডুকেছিলাম প্রোজ্যেক্ট গাইড তথা ড. নন্দিনী গুপ্তা ম্যাম। 
তারপর মেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান, যেহেতু তেমন সাড়া পাই নি তাই অপেক্ষা না করে বাড়ি চলে আসি। গাড়ি থেকে নামবো ঠিক তখনই ম্যাম এর ফোন ''দেবব্রত কোথায়! তুমি তো সারা ত্রিপুরাতে উচ্চ ও কারিগড়ি শিক্ষায় প্রথম পুরস্কার পেয়েছো''
ওফঃ কি মিস করলাম সেদিন তবে আফসোস নেই কেন না পুরস্কার টা বিজ্ঞান মন্ত্রীর হাত থেকে তুলে নেন ড. নন্দিনী গুপ্তা, আমার গাইড টিচার। 
তারপর ২৮ শে ফেব্রুয়ারি ২০১২ ইং আগরতলা সুকান্ত একাডেমী অডিটোরিয়ামে বিশেষ সম্মান স্বর্ণ পদক সহ ''হোমি জাহাঙ্গীর'' পুরস্কারে ভূষিত করেন ত্রিপুরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পর্ষদ। 
এটা আমার জীবনের স্মৃতি তে গাঁথা অনেক বড় প্রাপ্তি ।


No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...