Saturday, July 18, 2020

দিপিকা রায়

জীবনের স্মৃতি

ধোঁয়াশায় ঘিরে থাকা স্মৃতিগুলো
কলমের শিখায় আজ ধরলাম তুলে। 
গোপন ঘরে কত স্মৃতি কন্ঠ দিয়েছি খিল, 
সুযোগগুলো হাতছানি দিয়ে
ভাঙলাম এই কন্ঠ দ্বার। 

কালো মেঘে আবছা সেই রাত
নাচে,গানে, চিত্রপটে ঝলমলে ছিল
পূর্ণিমার ওই চাঁদ। 
তার মাঝে ঘোর অন্ধকার ছিলাম আমি, 
নাচ না জানা নর্তকী, 
গান না জানা গায়িকা, 
চিত্রকল্পে হাত না দেওয়া আর্টিস্ট ছিলাম আমি। 
সবার সামনে প্রশংসার বৃষ্টি ছিল
সর্ব বিদ্যায় পারদর্শী
তার মাঝে কন্ঠ বিহীন ছিল
আমার ধ্বনি। 

নতুন সুরে গানের কন্ঠ,দেখবো বলে
গিয়েছিলাম ওঁদের ঘরে
গান না জানা গায়িকা বলে, 
কটু কথায় দিল তাড়িয়ে। 

যোগ্য নেই ওনাদের মতো আমার
তাই বলে হাজারো অবতারণার বোঝা আজও নিয়ে বেড়ায়। 
ওনাদের জায়গায় দাঁড়াতে পারিনি বলে, 
যোগ্যহীন ট্যাগটা দিল আমার গায়। 

রাস্তার ধারে পাথরটাকেও আঘাত করে
দিল চোখে জল, 
জীবন্ত লাশের বুক চিরে
দাঁড় করালো ওঁদের শহর। 
কোটি কোটি টাকায় চাপা পড়ে
মরছে কত অহংকার। 
আজও বুকের দম্ভ নিয়ে 
পথে পথে ঘুরে বেড়ায়।

তবুও ভাগ্যের কি খেলা
মিথ্যের ছলনা সাজিয়ে, 
সবার মনে করল বিষ আমায়। 

আপনজনের আঘাতে চাপা পড়ে গেছি আমি
পিতার ছায়ার পথটুকুও
দিল করে অন্ধকার। 
মুখ ফিরিয়েছিল ওই দিন
বাবা আমার, 
চা নিয়ে গেলাম তাতেও চুমুক দিল না একবার।
সন্তান হয়ে এটাই কি পাওনা?
ওঁদের কথায় অন্ধ হয়ে
হৃদয় থেকে করল দূর আমায়। 

দোষ ছিল এইটুকু
বড়ো লোকদের সামনে দাঁড়িয়েছি। 
ওঁদের মতো পারিনি হতে অহংকারী। 
তাই তো লাঞ্ছনা, অবহেলার ঘরটা, 
দিল সবাই। 

হ্যাঁ, যোগ্যহীন আমি সবার কাছে
ঘুমোতে পারিনি টাকার উপর। 
মাটির ঘরেই খুশি আমি, 
বুক ফুলিয়ে অহংকার করিনি কোনোদিন। 
দানে পাওয়া সব কিছুই শেষ হবে জানি, 
মিথ্যের প্রাসাদ যতই সাজাও
গরিবের সুখ পাবে না চিরদিন।

No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...