Saturday, July 18, 2020
সম্পাদকীয়
সজীব পাল ( ধারাবাহিক)
পর্ব : দুই
অফিস বন্ধের দিন ঘুম ভাঙতে চায় না সহজে নীপার।কোনো দিন বেলা দশটাও বেজে যায় উঠতে।ঘরিতে নয়টা চল্লিশ বাজে।সে এখনো ঘুমিয়ে আছে।
গতকাল রাতে সবিতাকে নীপা বলে রেখেছে তার অফিসের এক বন্ধু আসবে এবং দুপুরের খাবার খেয়ে যাবে।তাই সবিতা মেয়ের অফিসের সহকর্মী বন্ধু মনীষ আসবে শোনে খুব সকাল সকাল উঠে যায়।
নীপাকে কয়েকবার দরজা থেকে ডাক দিয়ে যায় কিন্তু এখনো ওঠেনি।সবিতা এবার তার ঘরে ঢুকলো।নীপার পড়নের নাইটি একেবারে হাঁটুর উপরে উঠে আছে।কি একটা বিশ্রী ব্যাপার! আজকাল সবাই বাড়িতে নাইটি পড়ে ।কিন্তু একটু বেশি ঢিলেঢালা হওয়ার দরুণ যাদের ঘুম খুব ভারী এবং ঘুমের মধ্যে ঘন ঘন একাত ওকাত করে,তাদের একটু সমস্যা হয় ।সবিতা নাইটিটা টেনে নামিয়ে পিঠে ধাক্কা দিয়ে ডাকলো,'আচ্ছা কয়টা বাজে তোর খবর আছে!"
নীপা একটু শব্দ করে বলল,' উঁহু '
'কি উঁহু!ওঠ তোর বাবা বসে আছে ।তুই জানস না তোর বাবা ইদানিং তোকে ছাড়া সকালে চা খায় না !যা ওঠ ওঠ।"
সবিতা ঘর থেকে বের হয়ে গেল।
সৌরাংশ বাবু ব্যাংকের চাকরি করত।গত মাসে তাকে দুই লক্ষ্য টাকার চুরির অপবাদে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দেয়।কিন্তু সৌরাংশ বাবু ব্যাপারটা ব্যাংকেই সীমাবদ্ধ রাখেননি কোর্ট পর্যন্ত নিয়ে ছেড়েছেন।দুই লক্ষ কেন সে তার আঠারো বছরে কর্মজীবনে কোনোদিন দুই টাকা এইদিক সেদিক করেনি।তার বিশ্বাস তার সহকর্মীই কেউ তাকে ফাঁসাচ্ছে।এতবড় একটা মিথ্যা অপবাদ তাকে একটুও ভাঙতে পারেনি।মানসিকভাবে এখনো সে যথেষ্ট দৃঢ় আছে।হয়তো অপবাদটা মিথ্যে বলেই।
চাকরিটা যাওয়ার পর থেকে সে পরিবারের সাথেই বেশ দিন কাটাচ্ছে ।
নীপা বাবার সামনে এসে বসল।বারান্দাটা বেশ বড়ো।'ইন্দো-জার্মান' বাঁশের তৈরি চারটে চেয়ার এবং একটি টি টেবিল।সৌরাংশ বাবু মেয়ের দিকে স্নিগ্ধ চোখে তাকিয়ে বললেন ," এত দেরিতে ঘুম থেকে উঠলে হবে মা?"
"কেন হবে না বাবা !"
"দেরিতে ঘুম থেকে উঠলে শরীর ব্যথা হয়।এবং অল্প বয়সে বুড়ি হয়ে যাবি।"
"তোমাকে এইসব কথা কে শেখায় বাবা ?যুক্তি ছাড়া কথা ।আচ্ছা মাকে চা দিতে বলো ।"
চা আগেই রাখা ছিল ।তার চোখে পড়েনি।সৌরাংশ বাবু মৃদু হেসে বললেন,' তোর ঘুম তো এখনো ঠিক মতো কাটেনি মা।যা আরেকটু ঘুমিয়ে আয়।আমি বসি আরেকটু ।নীপা বাবাকে চওড়া গলায় বলল,' বেশি কথা বলছ ত ।এখন দেখবে ঘরে চলে যাবো সত্যি সত্যি।"
বাপ মেয়ের সকালটা এইভাবে রাগ অভিমান দিয়ে শুরু হয়।মানুষ কতটা সরল হলে শিশুর মতো আচরণ করতে পারে এবং কতটা ভালোবাসা থাকলে অভিমান করা যায় তা বোধহয় এই বাপ মেয়ের সম্পর্ক না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।সৌরাংশ বাবু চা-এ চুমুক দিয়ে মেয়েকে জিজ্ঞেস করলেন," আচ্ছা মা তোর অফিসের খবর কী?শুনলাম তোর প্রমোশন হতে পারে ব্যাঙ্গালোর?"
" হতে পারে কিন্তু আমি যাবো না।এত দূরে একা একা থাকতে পারব না।ভাবছি বসকে বলে এইটা মনীষকে পাইয়ে দেবো।"
"আচ্ছা মা তুই কি ছেলেটাকে মন টন দিয়েছিস?আমাকে বল,তাছাড়া তোকেও ত বিয়ে দিতে হবে মা । তোর যদি কোনো পছন্দের ছেলে থাকে তাহলে বলতে পারিস।"
নীপার মুখের হাসি হঠাৎ মলিন হয়ে গেল।মনীষকে কি সে কোনোদিন ভালোবেসে ছিল!তার প্রতি একটু দুর্বলতা কাজ করতো কিন্তু সেটা প্রাণবন্ত নয় ।সেটা নিছক অভ্যাস।দীর্ঘদিন এক সাথে কাজ করার কারণে।কিন্তু বাবার মুখে তার কথা শুনেই বুকটা এমন করল কেন ?তবে কি নিজের অজান্তেই মন নেওয়া দেওয়া হয়ে গেছে ?না এইটা হতে পারে না!মন কি এত সস্তা নাকি।
তার ছোটবেলার একটা কথা মনে পড়ে গেছে।নীপা তখন ক্লাস নাইনে পড়ে ।সবাই বলে নাইনে উঠলে নাকি প্রেম প্রেম ফুল ফোটে ।ক্লাসের টপার ছিল অমন।অমন যেমন ব্রিলিয়ান্ট তেমনি চঞ্চল দুরন্ত ।কম বয়সি মেয়েরা এই রকম ছেলেদের প্রতি একটু বেশি আকর্ষণ অনুভব করে।স্কুল ক্যান্টিনে বসে নীপা বান্ধবী পূজাকে বলছিল ," তোর অমনকে কেমন লাগে?"
তখন পূজা বলল,'" তুই কি তাকে ভালোবাসিস ?
তখনও পূজার মুখে এই কথা শুনে আজকের মতো হয়েছিল।নীপা বাবাকে কোনো উত্তর দেয়নি।চা-য়ের কাপ না নামিয়ে টেনে যাচ্ছে।
সৌরাংশ বাবু বুঝতে পেরে প্রসঙ্গ পাল্টে বলে," মনীষকে আজকে কি খাওয়াবি?"
" কেন বাজার করোনি?"
সৌরাংশ বাবু ক্ষাণিক রসিকতা করে বললেন," তোর বন্ধু আসবে তুই বাজার করবি তুই রাঁধবি।আমার বন্ধু আসলে আমি করতাম।"
"ওহ"সে বাবার রসিকতা বুঝতে পেরে বলল," কিসের মাংস আনলে বলো ।
" খাসির মাংস।আর জাটকা ইলিশ।"
নীপা আর কথা বলল না।রান্না ঘরে চলে গেল মাকে সাহায্য করার জন্য ।
এগারোটার মধ্যে রান্না কমপ্লিট।নীপা স্নান করতে বাথরুমে ঢুকে কিন্তু তোয়ালে নিতে মনে নেই।বাথরুম থেকে বের হয়ে তোয়ালে নিয়ে পুনশ্চ ঢুকলো ।
সকালে মনীষকে যখন ফোন দেয় সে বলেছে এগারো কি বারোটার মধ্যে এসে যাবে।মনীষ নীপাকে শাড়িতে দেখতে খুব পছন্দ করে।তাই সে গোলাপি ডোরাকাটা শাড়ির সাথে মেসিং ব্লাউজ পড়েছে।বেশ মানিয়েছে ।সে নিজেই অনেকক্ষণ আয়নার ভেতরে মানুষটাকে দেখল।কিন্তু ওই আরশিনগরের মানুষটা সে নয়।ওই আরশিনগরের মানুষটার কোনো নিজস্ব পৃথিবী নেই ।মন নেই,ভালোবাসা নেই ।তার কেবল চেয়ে থাকার প্রতিবিম্ব আছে।যাকে ইচ্ছে করলেও এক জনমে ছুঁয়ে দেওয়া যাবে না ।তবুও তার দিকে এইরকম নিষ্পলক চেয়ে থাকার মধ্যে যেন নিজের মনের মানুষটার কথা ভাবার একটা আনন্দ আছে ভালো লাগা আছে।
এইসব কথা ভেবে সে হঠাৎ আঁতকে উঠলো!মনের মানুষ কে তার?
সবিতা পেছন থেকে তাকে ডাক দিলে সে হঠাৎ চমকে উঠে!অকারণেই ।
" কিছু বলবে মা ?"
"কিরে একটা ত বেজে গেল কই ছেলেটা ত এখনো এলো না !আরেকটা ফোন কর ।তোর বাবা সকালেও খায়নি ,কতক্ষণ আর বসে থাকবে ?"
" ফোন করেছিলাম মা ফোন সুইচ অফ ।মনে হয় চার্জ নেই ।বাবাকে খেয়ে নিতে বলো।আমি মনীষ আসলে খাবো।"
"আচ্ছা দেখি তোর বাবাকে বলে ।"
পেছনের দেয়ালে ওয়ালঘড়িটাতে সময় দেখে মনটা বিষন্ন হয়ে গেল ।মোবাইলটা হাতে নিয়ে আবার মনীষের নাম্বারে ফোন দিলো ।কিন্তু এখনো সুইচ অফ ।
রাত নয়টা বেজে গেল মনীষ এখনো আসেনি।নীপা নিজের ঘরে মন খারাপ করে বসে আছে।পৃথিবীর সবকিছু পলকে যেন মূল্যহীন মনে হচ্ছে!বুকের ভেতর এক করুণ নিশব্দ আর্তনাদ!এই আর্তনাদ কেবল সে শুনতে পাচ্ছে!তার এখন খুব চিৎকার করে কাঁদতে মন চাইছে!কিন্তু কেন কাঁদবে!সে কে ?কিন্তু মন মানছে না।তাকে অনেকবার সবিতা এবং সৌরাংশ বাবু বলেছে ভাত খাওয়ার জন্য ।কিন্তু সে খায়নি।মনীষ আসবে রাত হলেও আসবে।অনেকবার ফোন করা হয়েছেকিন্তু এখনো সুইচ অফ বলছে।তবুও তার মন বলছে সে আসবে।
ধীরে ধীরে ঘড়ির কাঁটা ঘুরে যাচ্ছে কিন্তু মনীষ আসছে না।মা বাবার সামনে দাঁড়াতে এখন তার খুব লজ্জা লাগছে।বিকাল থেকে সে দরজা বন্ধ করে বসে আছে ঘরে।
মনীষ আজ তিনদিন আসছে না অফিসে।যে বাড়িতে ভাড়া থাকে ওই বাড়ির মালিক প্লাবন বাবুকে অফিস থেকে ফেরার পথে নীপা বাড়ি গিয়ে জিজ্ঞেস করে ," আপনার এখানে যে ভাড়াটিয়া মনীষ সে অনেকদিন অফিসে যায় না ফোনেও পাওয়া যায় না এখানেও নেই আপনে কি জানেন সে এখন কোথায় আছে ?"
" তুমি কে ?"
"আমি উনার সহকর্মী এবং বন্ধুও।আমার নাম নীপাঞ্জনা বর্মন ।"
" গত রোববার তোমাদের বাড়িতে কি ওর নিমন্ত্রণ ছিল ?"
"হ্যা ছিল কিন্তু ও যায়নি।"
" কিন্তু সে তো তোমাদের বাড়ি যাবে বলেই বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল সকাল সকাল ।কি মুশকিল ছেলেটা গেল কোথায়?"
" আপনার কাছে ওদের গ্রামের বাড়ির নাম্বার বা ঠিকানা আছে ?"
" নাম্বার নেই ,তবে সে একবার বলেছে ওর গ্রামের নাম দুলব নারায়ন।কিন্তু মা এর থেকে বেশি আমি জানি না।"
নীপা ব্যর্থ হয়ে ফিরে এলো প্লাবন বাবুর বাড়ি থেকে।একটা মানুষ হঠাৎ করে তো আর ভ্যানিশ হতে পারে না।এখানে কেউ তার আত্মীয় নেই ,যে ওখানে গিয়ে খোঁজ করবে।যদি বাড়িতে না গিয়ে থাকে তাহলে সে কোথায় যাবে !সে এখন কোথায় খুঁজবে তাকে!এতবড় একটা শহরের বুকে সে কোন কোণে আছে,কে জানে তার ঠিকানা ?
এতটা মন খারাপ নীপা র কোনোদিন হয়নি।যেন কতকাল মনীষকে সে দেখে না !বুকের ভেতর এক অদৃশ্য হাহাকার !চোখের মনি কোঠায় কান্নারা এসে ভীর করছে ,কিন্তু বৃষ্টির চেয়ে যে মেঘের আকাশ কঠিন,রুক্ষ এবং ভয়ার্ত তা বোধহয় বুকের গহীন জানে।তবুও কচি বৃক্ষের পাতার মতো মাটি মাংসে ঢাকা যে প্রাণটা দিবানিশি ঘড়ির কাটার মতো টিক টিক করে যাচ্ছে অনবরত,সে কোমল অনিশ্চিত হৃদয় তো মানছে না !সে কাঁদছে!
রাস্তায় গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে মনীষের কথা চিন্তা করছে ।যেন পৃথিবীর এখন তার একমাত্র ভাবনা মনীষ।হঠাৎ মোবাইল ফোন বেজে উঠল নীপার।সে তারাতারি ফোন বের দেখলো মা'র নাম্বার ।কলটা রিসিভ করে বলল," বলো মা "
সবিতা গাঢ় কণ্ঠে বলল," তুই কোথায় এখন ?"
"এই ত আসছি ।গাড়ির জন্যে অপেক্ষা করছি।সব ঠিক আছে মা ? তুমি এইভাবে কথা বলছ যে ?"
সবিতা এইবার ফোনে জুরে কেঁদে ফেলে বলল," তুই তারাতারি হাসপাতালে চলে আয় ,তোর বাবা হার্ট অ্যাটাক করেছে।ডাক্তাররা কিছু বলছে না ।আমার ভীষন ভয় করছে মা ,তুই আয়।"
নীপা কোনো কথা না বলে কলটা কেটে একটা অটো ডেকে উঠে গেল,ড্রাইভারকে বলল সিটি হাসপাতালে যাওয়ার জন্য ।
চয়ন ধর
পিনাকী ভৌমিক মুন
দিবাকর পাল
ভূপৃষ্ঠ হওয়ার পর
প্রথম দেখা তুমি মা,
তোমার ভাষায় প্রথম যে -
কথা বলি আমরা মা।
একাধারে তুমি মা
সৃষ্টির পালক
অন্যধারে তুমি আবার
বাংলা ভাষার সংহারক।
মায়ের ভাষায় মধুর নেশা
তাইতো সবার কবিতায়,
আ-মরি বাংলা ভাষা।
বাঙ্গালী ওই ঘরে ঘরে রয়েছে
বাংলা ভাষা
আন্তজাতিকতায় স্থান পেয়েছে
শত মায়ের আশা
মায়ের ভাষাই , নিজের ভাষা
বর্ণমালার সংকলন
তাইতো আজ স্মরণ করি
মায়ের ভাষার উৎকলন
ভাষার জন্য কতো বিদ্রোহী প্রেমিক
দিয়েছিলেন প্রাণ
তাদের অবদানে আজ
রয়েছে ভাষার ওই মান।
রবি ঠাকুরও বাংলা ভাষার
করেছেন কদর,
বিশ্বচরাচরে আজ বিশ্বকবি সমাদর।
বর্তমানে অনেক কবির
কদর নেই দেশে ,
ভালো লিখে ও
ঠায় হয়না,
কোন কবিতা আর উপন্যাস-এ।
কারন তাদের নেই পরিচয়
নাই কোন বেশ,
নুন আনতে পান্তা পুরায়
মনে তাদের ক্লেশ।
কাউচার খান
বাঁচার লড়াই
জীবন মানে সংগ্রাম, জীবন মানে লড়াই,
এই সংগ্রাম লড়তে হয় শেষ শ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত |
কখনো কখনো আমি, তুমি কিংবা আমরা
নানান প্রকার ডিপ্রেশন এ ভোগী,
এই ডিপ্রেশন এর চাপে আমরা অনেকে বাঁচার স্বাদ ভুলে যাই আর বেছে নিই মুক্তির পথ হিসাবে আত্মহত্যার মতো নিছক কাজ |
মানুষের জীবনে ডিপ্রেশন আসাটা স্বাভাবিক এতে অস্বাভাবিক কিছু নেই,
ডিপ্রেশন এর চাপে আত্মহত্যা করা মানুষের ধর্ম নয় |
বিভিন্ন প্রতিকূলাতার সম্মুখীন হয়ে লড়াই করে বেঁচে থাকাটা হল মানুষের প্রকৃত ধর্ম |
সব ব্যর্থতা মানে হেরে যাওয়া নয়,
কিছু ব্যর্থতা সাফল্যের পথ সূচনা করে.
তুমি ব্যর্থ না হলে নিজের তুমিটাকে চিনতে পারবে না,
তাই জীবনে একবার হলেও ব্যর্থ হওয়া প্রয়োজন।
গৌতম দাস
আমি আত্মহত্যা করব
বর্বরতার মায়াজালে বিষাক্ত মন্ত্র ঢুকল
মনের গহিনে।
নিজেকে একা মনে হয় প্রিয়া তোমার বিহনে।
তব সুধাময় আলতো স্পর্শের স্মৃতি আজ জীবন্ত।
শোকের জলে ডুবুরি সেজে তোমায় খোঁজা একান্তই ভ্রান্ত।
বয়ঃসন্ধিতে নেশার জলে নিজেকে হারিয়েছি।
ভরা যৌবনে পরিপূর্ণ শোকে রেল লাইনে মাথা রেখেছি।
এই ধাপেও ব্যর্থ হলাম শুভাকাঙ্ক্ষীর চোখে।
সমাজ বলে কুলাঙ্গার, কাপুরুষ ,নিষ্কর্মারা নিজেকে নিজে হারায়।
ছোট বাচ্চারও শুনে মুখ ফিরিয়ে নেয় ,কেঁদে বুক বাসায়।
মানসিক অবসাদের তরে আত্মহত্যা করতে চাই।
জানি এটা বড় মহাপাপ এর নেই কোন মাফ।
মা বলে সব সমস্যার সমাধান মৃত্যুতে নয়।
অন্যায়,শোক,হতাশাকে কেন কর ভয়?
সমস্যাকে আঁকড়ে ধরে এগিয়ে যেতে হয়।
বৃদ্ধ বিধবা আমি কুড়িটি বছর শূন্যতা বুকে পোষে আছি
আর তুমি আত্মহত্যা পথের পথিক হতে চাও।
মনের অন্ধকারে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালাও।
চন্দ্র, সূর্য ,পৃথিবীও অসহায় চিত্তে থমকে দাঁড়ায়
এই শোকেতে।
কী সুখ পাবে তুমি আত্মহত্যা করাতে?
কেন বার বার বল আমি আত্মহত্যা করব?
সম্রাট শীল
সঞ্জয় দত্ত
চয়ন সাহা
সুজয় ঘোষ
মন্দিরা শর্মা
রাহুল শীল
পরিতোষ সরকার
মঞ্জিলা বসু
শূণ্য চোখে যেদিন এসে
দাঁড়িয়ে ছিলাম নীল আকাশের নীচে
সেদিন তুমি হাতটি ধরে দাঁড়িয়ে ছিলে পাশে এসে।
চোখের তারায় জ্বালিয়ে আলো
তাকিয়ে ছিলে যখন
হৃদয়ের দ্বার খুলে দিয়ে আমি
করে ছিলাম তোমায় আপন।
হাজার হাসি সুখ দুঃখ
মান অভিমান শেষে
বর্ষশেষে আজ আবার আমি
দাঁড়িয়ে আছি নীল আকাশের নীচে।
কিন্তু আজ স্থানটি খালি
হাতটি আমার রিক্ত
তুচ্ছ কথায় তুমি আমায় করে দিলে
হাজার অশ্রুতে সিক্ত।
সেদিন দুচোখে স্বপ্ন এঁকে
আমি তাকিয়ে ছিলাম তোমার তরে
তুমি ভুললে আমায় মোহের টানে
মরুভূমির বুকে জলবিন্দু সম।
আজও সে গল্প অজানা তোমার
মনের গভীরের এ লড়াই শুধু যে আমার
থাকুক যতই বেদনার জ্বালা
হৃদয় চিরে তা দেখাতে মানা।
আমার ভাগের সকল ভালো
তোমার আকাশে উদয় হোক
তোমার যত বালাই ছিল
নিয়ে আমি বিদায় হলাম।
অদিতি সাহা
প্রদীপ-শিখা
জন্মেছি যখন আমি কান্নায় চোখের জলে,
বাবা তখন ছুটে এল নিতে আমায় কোলে।
মায়ের তখন হুঁশ নেই,ঘুমে পরেছিল ঢুলে।
প্রতিবেশীরা সব দেখতে এল,আমায় দলে দলে।।
পেছন থেকে একজন হঠাৎ বললো আমায় চেয়ে,
ছেলে নয়তো অমুকের হায়!হয়েছে যে মেয়ে।।
মেয়ে মানেই তো অনেক ভেজাল,আস্ত হাতির বোঝা।
অমুক তোমার জীবন কঠিন,
রইল না আর সোজা।।
ঠাকুরমা বললো নাতনি হায়রে-
আমি কি যে করি?
স্বামীর ঘরে পাঠাতে হবে দিয়ে কয়েক ভরি।।
নাতি যদি হত তবে,হতো বংশের আলো।
নাতনি মানে কপাল পুড়েছে,আর হলো না ভালো।।
ছেলে হলে বাজত শাঁখ,দিতাম উলু পাঁচ।
মেয়ে যখন তিন উলু দাও,
এটাই তো ধাঁচ।।
বাবা তখন চুপচাপ !সব কথা শুনে,
নিজ অন্তরে রাখলো ব্যাথা পুষে গুনে গুনে।
পারতাম যদি তখন বলতে কথা,দিতাম আমি জবাব।
মেয়ের জন্য কেমন করে স্নেহের এত অভাব?
আদর করো,যতন করো,ভালোবাসো আমায়।
খরতাপে আগলে রাখো স্নেহের শীতল ছায়ায়।।
একদিন আমি থাকবো না বোঝা,হব অনেক বড়।
এখন না হয় কষ্ট করে আমায় বড় কর।।
সমাদরে পালো আমায়,মায়ায় করো ঋণী,
আমিও তো একদিন হতে পারি "ডাক্তার কাদম্বিনী"।।
তোমরা যদি ভাবো এমন হয়ে নিজে নারী,
সমাজের দাড়িপাল্লায় পুরুষরা সব হয়ে যাবে ভারী।।
ছেলে মেয়েতে করিও না ভেদ,
সমান নজরে দেখো।
বাঁচতে দাও,বাঁচিয়ে রাখো,নিজে বাঁচতে শেখো।।
নিজ হাতে টেনেছে বিধি আমার কপালের রেখা।
ছেলে যদি হয় বংশের প্রদীপ,মেয়ে তাহার শিখা।।
সংগীতা শীল
দিপিকা রায়
সমীর ভাদুরী
মোহাজির হুসেইন চৌধুরী
রুবি দেববর্মা
আমার শৈশব কেটেছে নব্বইয়ের দশকের সোনালী দিনে।
তখনই বোধহয় মধ্যবিত্তের ঘরে কেইক কেটে জন্মদিন উৎযাপন শুরু।
বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় পরিজন, সবার বাড়িতে কেইক কেটে জন্মদিন পালনের ধুম।
ব্যতিক্রম কেবল আমাদের বাড়ি।
বাবার সামনে জন্মদিনের কথা বললে ভীষন চটে যেতেন।
একবার বড়দির তৎপরতায় ব্রিটেনিয়ার ফ্রুট কেইক দিয়ে আমার জন্মদিন পালিত হয়।
ব্যপারটা বাবার কাছে কতটুকু মনোগ্রাহী হয়েছিল জানিনা।
জন্মদিন পালন না হওয়া নিয়ে কষ্ট থাকলেও, তার থেকে বেশী কষ্ট ছিল বাবার ব্যবহার নিয়ে।
জন্মদিন ঘনিয়ে এলে, চোখের জলে বালিশ ভিজতো।
সময় গড়ালো।
স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি, জীবনকে বুঝতে শিখলাম।
বুঝে গেলাম, আট বছরের যে ছেলেটা চোখের সামনে বাবাকে নির্মমভাবে খুন হতে দেখেছে, ভিটেমাটি হারা ছিন্নমূল হয়ে, রিক্ত হাতে দেশান্তরি হয়েছে, তাঁর কাছে জন্মদিন নামক বিলাসিতা, কতটা বিরক্তিকর।
কালের স্রোতে জন্মদিন শব্দটা, আমার কাছেও তাৎপর্যহীন।
দু'বছর আগে কয়েকটা ছেলেমেয়ে আমার অজান্তে, আমার জন্মদিনকে বিশেষ করার চেষ্টায় মেতেছিলো।
বিষয়টা বেশিক্ষণ চাপা থাকেনি।
দুপুর গড়াতেই শুরু হয় ফিসফাস।
কয়েকজন সহকর্মীকে বলতে শুনলাম,
এই ধরনের আদিখ্যেতাসম্পন্ন শিক্ষকদের জন্যই শিক্ষকদের এতো বদনাম।
কেউ এই ঘটনার জবাবদিহি করলে, বলার মতো কথা থাকবে না আমাদের কাছে।
ছাত্রদের টিফিনের পয়সায় কেনা গিফ্ট নিতে, বিবেকে বাঁধলো না নির্লজ্জটার?
বাচ্চাগুলি ভীষন গা ঘেঁষা ছিলো বলে, তাঁদের কাছে মনের কষ্টটা লোকানো গেলো না।
বলেই দিলাম,
যদি সত্যি আমায় ভালোবাসিস, আর এক টাকারও জিনিস কিনবি না আমার জন্য।
পরের বছরটা, দুই হাজার উনিশ।
ক্লাশে ঢুকতেই সিলিং ফ্যানের উপর থেকে অসংখ্য গোলাপের পাপড়ি ঝড়ে পরলো মাথায়।
কোনোটাতে কলম দিয়ে আই লেখা, কোনোটাতে লাভ, কোনোটাতে ইউ, তো কোনোটাতে মেম।
বাচ্চাগুলি একসাথে চিৎকার করে উঠলো হ্যাপি বার্থ ডে মেম।
পয়সা দিয়ে কেনা জিনিস না, ভালবাসা দিলাম।
নেবেন তো?
ছোট্টছোট্ট সেই হাতগুলি যে ভালবাসা সেদিন দিলো, সমগ্র পৃথিবীর সম্পদ দিয়েও তা কেনা যাবে না।
আমার কাছে সেই দিনটা অবিস্মরনীয় হয়ে থাকবে সারাজীবন।
শিপ্রা দেবনাথ
গৌতম মজুমদার
আক্তার হোসেন
দেখতে চাই
তুমি দেখতে চাও আমাকে কাছ থেকে অনেক কাছে,
আমি দেখতে চাই অনাবিল দূর থেকে দূরান্তে।
তুমি দেখতে চাও আমাকে তোমার হাতে বসে থাকা এক পাখির মতো,
আমি দেখতে চাই দূর আকাশে ক্রমাগত উড়তে থেকে।
তোমার স্পর্শটা যেনো আমার কাছে অমাবস্যার চাঁদের মতো হয়ে থাকুক।
যখনি তুমি আমার মুখপানে চেয়ে দেখবে তোমার মনে যেনো জোয়ার, ভাটার মতো ঢেউ বয়ে বেড়ায়
আমিতো সেটাই চাই।
তুমিতো দেখতে চাও আমাকে গোধূলির শেষে সন্ধ্যার আঁধারে জোনাকিপোকার আলোর মতো,
আমিতো দেখতে চাই রাতের আধারে দূর আকাশের নক্ষত্রের মতো।
তুমি দেখতে চাও তোমারই আঙিনায় থাকা কুমোড়ের ফুলের মতো,
তুমি দেখতে চাও আমাকে খুবই কাছাকাছি,
আমার জন্য সীমাবদ্ধ তোমার আঁকি।
অতনু রায় চৌধুরী
সৌরভ শীল
কবিতা সাহা
রূপালী মান্না
অগোচরে
জীবন জুড়ে ক্ষতের পাহাড়
হাসির প্রলেপ মাখি ।
দৃষ্টির ভাঁজে বৃষ্টি জমে
যা - অগোচরে রাখি । ।
মনের আয়নায় মুখ দেখলে যে
দাগগুলোই চোখে পরে ।
এমন কোন ক্রীম কি নেই ?
যাতে - মনের ক্ষত সারে । ।
অপমানের উচ্চস্বরে
গাইলি কোরাস সপ্তম সুরে ।
স্বপ্ন হলো উড্ডীয়মান
যন্ত্রনারই বায়ুস্তরে । ।
জীবন ঘরে তোর দুয়ারে
শান্তিটুকু কাম্য ছিল ।
সবটুকু ধ্যান উজার করে
এটাই কি আজ প্রাপ্য ছিল ?
বাস্তবতার ভিড়েতে আজ
আবেগ গুলো মানছে যে হার ।
সিদ্ধান্ত দাঁড়ায়ে সম্মুখ
কবিত্ব আজ জীবনবিমুখ । ।
অসীম দেববর্মা
সৈকত মজুমদার
সৌরভ দে
প্রণব দাস
দিপ্সী দে
তনুজা রায়
অনুপম রায়
গল্প
তখন। আরে তখন।। যখন বইয়ের সাথে কাটাকুটি খেলা হত।কোনো একটা কারণে বাবা-মা দুজনেই একপক্ষে আর অন্যপক্ষে আমি। বয়স সম্ভবত সাড়ে পাঁচ। রাগ হয়েছিল।অনেক রাগ। রাগের বশে সিদ্ধান্ত নিয়েছি বনবাসে চলে যাব। কিন্তু বন নাই। কী করা যায়?অনেক ভাবার পর মাথায় আরেকটা প্ল্যান এল।
বনবাসে আর যাব না। আমার যে পাঁচ নম্বর সাইজের ফুটবল টা আছে ওটাকে বালিশ বানিয়ে খাটের নীচে লুকিয়ে থাকব।।দীর্ঘ দুই বছর আমায় কেউ খুঁজে পাবেনা। এই দুইবছর আমি এখানেই কাটাবো। মা-বাবা আমায় অনেক খুঁজবে। খুঁজে না পেয়ে খু্ব কান্না করবে। তারপর দুইবছর পরে আমি বের হব। আমায়
দেখলে অনেক চকলেট, চিপস কিনে দেবে।
আর দেরি না করেই প্ল্যান মত কাজে নেমে পড়ি। এখন আমি খাটের নীচে। কোনো মানুষজন নাই। আমি একলা মানুষ একটা খাটের নীচে। খাটের নীচে অন্ধকার। অন্ধকারে আমায় কেউ খুঁজে পাবেনা। মাথার নীচে ফুটবলটাকে বালিশের মত সেট করে দিলাম একটা ঘুম।
দু'ঘন্টা শেষ হয়ে গেছে। কেউ এখনো আমায় খুঁজতে আসেনি। প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছে। ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী ক্ষুধাময়। তবুও বের হওয়া যায় না। মান সম্মানের একটা ক্লাস আছেনা! লোকে দেখলে কী ভাববে !কিন্তু ক্ষুধার কী হবে?
দূর থেকে আইসক্রিমওয়ালার শব্দ। পঁত পঁত বাঁশির আওয়াজ। এ এক অদ্ভুত আওয়াজ। কখনো বিরক্তি লাগেনা। বেরিয়ে দৌড় দিয়ে ছুটে গেলাম মায়ের কাছে।মা একটা আইসক্রিম কিনে দিল। দাম দশ টাকা।
আমি আইসক্রিমটা খাওয়া শুরু করলাম। আইসক্রিমটা ছিল লাল রঙের।অনেকটা কমলার ফ্লেবার। কী যে মিষ্টি আইসক্রিম। পৃথিবীতে যে কত রকমের তৃপ্তি আছে তা বোঝা দায়!
আইসক্রিম খাওয়ার পর এখন আমার ঠোঁট মুখ লাল। জিহ্বাও লাল। এখন কী আবার চলে যাব খাটের নীচে? না থাক। আর যাব না। আমার মান সম্মানের ক্লাসে এখন আইসক্রিমের রঙ। মানুষেরও অনেক রঙ। রঙে রঙে একাকার। ঠিক কি না?
অনুপম দেব
পাগলামী
কোন ব্যক্তির জীবনের সাফল্য ও ব্যর্থতার মাঝে ফারাক এনে দিতে পারে ছোট একটি পাগলামি।
হ্যাঁ, পাগলামি।
জীবনের কোন একটা সময়ে পাগলামি করে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে নেওয়া সিদ্ধান্ত জীবনটা বলদে দিতে পারে। আপনি যদি কোন সিদ্ধান্ত নিতে সময় নষ্ট করেন তা জানি না, তবে হঠাৎ করে কিছু করে ফেলার সিদ্ধান্ত আপনার জীবন চিত্র পাল্টে দিতে পারে।
আমি যদি পাগলামি করে একগম শেষ মিনিটে বি.এড কোর্সে ভর্তি না হতাম তবে এই সাহিত্য মহলের সাথে যুক্ত হওয়া ও একটি সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে পারলাম না হয়তো।
বিকেল 3.35 পর্যন্ত ভর্তি না হওয়ার ভাবনায় অনড় ছিলাম, কিন্তু 3.36 এর আগেই সিদ্ধান্ত নেই ভর্তি হবো।
তারপর ভর্তি হয়ে যাই। না হলে হয়তো নিজেকে হারিয়ে ফেলতাম কিছুটা সময়ের পর।
তাই জীবনের কোন প্রধান সিদ্ধান্ত পাগলামিতে নিতে হয়। জীবনের গতি প্রকৃতি বদলে দিতে পারে একটা পাগলামি।
সমীরণ বিশ্বাস
প্রিয়াঙ্কা শীল
জয়ন্ত শীল
স্পৃহা ভট্টাচর্য্য
দেবব্রত চক্রবর্তী
স্মৃতি তে গাঁথা
বয়স তখন উনিশ!
কলেজের প্রথম বর্ষ, গোঁফ না পাকালে ও মনের মধ্যে কলেজ সম্পর্কে ভাবনা গুলোর বাস্তবিকতা বয়ে চলছিল।
নতুন বন্ধু নতুন পাকা বাড়ির বিশাল বড় রুমে ক্লাস করা, লাইব্রেরী নামক বদ্ধঘরে অনেকটা সময় কাটানো, আর টিচার থেকে প্রফেসর সব কিছু যেন বড় হওয়ার কথাই জানিয়ে ছিল সেদিন।
মনে আছে এখনও বাংলায় সাম্মানিক নিয়ে পড়া ছাত্র আমি, তখন বিকেলের বিজ্ঞান ক্লাসের পাশে বসে মোবাইলে ব্যস্ত, ড.নন্দিনী ম্যাম ডাক দেয় ''এই তোমরা ক্লাসে এসো''
হঠাৎ আমি আর আমার বন্ধু তাকিয়ে দেখি, বিজ্ঞানের ক্লাসে আমাদের কেন ডাক,,,,,;
অবশেষে বুঝলাম এটা সেমিনার ,তাই ডুকে পরলাম আগ্রহী ছাত্র হিসেবে, কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করার পর আমাকে বললো তুমি বিজ্ঞান মেলায় প্রোজ্যেক্ট নিয়ে যাবে কি কলেজের হয়ে, আমি সঙ্গে সঙ্গে হ্যাঁ বললাম তখনও কিছু বুঝি নি ঘটনা কি!
যথারীতি পর দিন থেকে প্রস্তুতি ডিসেম্বরের ২৬ , ২০১১ ইং।
পর পর ৪- ৬ দিন সার্ভে , তারপর প্রোজ্যেক্ট নিয়ে প্রস্তুতি করে মেলায় যাওয়া কি ছিল এই ৭-৮ দিন ওফঃ জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তির আগে এই দিন গুলো অনেক বড় অভিজ্ঞতা, এই প্রস্তুতির ৭-৮ দিন এখনও মনে পরে, যে ঐ দিন গুলি সত্যিই দাগ রেখে গেছে।
৪ ঠা জানুয়ারি ২০১২ ইং সকাল ৭টায় রওনা দেই, উমাকান্ত স্কুলে রাজ্য ভিত্তিক বিজ্ঞান মেলা আয়োজন করা হয়েছিল সে'বারে।
৫দিন মেলা চলছিল ৪ঠা জানুয়ারি থেকে ৮ই জানুয়ারি পর্যন্ত, এই পাঁচ দিনে আমার প্রোজ্যেক্টে Writing pad এ ৪৪ জন মন্তব্য করেছেন, যেখানে অন্যদের ২৫০-৩০০ মন্তব্য ছিল।
হতাশ হওয়ার ই কথা কিন্তু একজন ছিল যিনি হতাশ হন নি তিনি সেই ম্যাম যার ডাকে ইতস্ততঃ হয়ে সেমিনারে ডুকেছিলাম প্রোজ্যেক্ট গাইড তথা ড. নন্দিনী গুপ্তা ম্যাম।
তারপর মেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান, যেহেতু তেমন সাড়া পাই নি তাই অপেক্ষা না করে বাড়ি চলে আসি। গাড়ি থেকে নামবো ঠিক তখনই ম্যাম এর ফোন ''দেবব্রত কোথায়! তুমি তো সারা ত্রিপুরাতে উচ্চ ও কারিগড়ি শিক্ষায় প্রথম পুরস্কার পেয়েছো''
ওফঃ কি মিস করলাম সেদিন তবে আফসোস নেই কেন না পুরস্কার টা বিজ্ঞান মন্ত্রীর হাত থেকে তুলে নেন ড. নন্দিনী গুপ্তা, আমার গাইড টিচার।
তারপর ২৮ শে ফেব্রুয়ারি ২০১২ ইং আগরতলা সুকান্ত একাডেমী অডিটোরিয়ামে বিশেষ সম্মান স্বর্ণ পদক সহ ''হোমি জাহাঙ্গীর'' পুরস্কারে ভূষিত করেন ত্রিপুরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পর্ষদ।
এটা আমার জীবনের স্মৃতি তে গাঁথা অনেক বড় প্রাপ্তি ।
রুবেল হোসেন
ভাশ্বতী হান্দল
উজ্জ্বল ভট্টাচার্য্য
মোঃ রুবেল
দেবাশীস চৌধুরী
রনিতা নাথ
মিঠুন দেবনাথ
অভীককুমার দে
উর্মি সাহা
মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...
-
আজ আশ্বিনের শেষ কার্তিকের শুরু এই দিনটা বিশেষ ভাবে বিশেষ, বাংলার এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে। জানি না বাংলার বাইরেও এইভাবে বিশেষ হয়ে উঠেছে কিন...
-
মূক ফেনীর মুখর পাঁচালি একটি বহুল প্রচারিত বাংলা প্রবাদ ‘ভাগের মা গঙ্গা পায়না’ ৷ প্রবাদটির মধ্য দিয়ে মায়ের অসহায়ত্বের যন্ত্রণাটিই ব্যক্ত হয়ে...