Monday, April 27, 2020

সুব্রত দেববর্মা

পৃথিবীর ভীষণ জ্বর


এই পৃথিবীর জ্বর সারলে
আমায় দেখতে আসবি তো রিমন ?
জ্বরে কাঁথা বালিশ সব পুড়ে যাচ্ছে ক্যামন।

দিনে এক থালা ভাত আর
রাতে নিয়ম করে রুটি দিয়ে যান মা।
সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে পুরনো ব্যথা
জানান দিয়ে যায় আগাম সতর্কতা।

আমার তাতে কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই।
তুই তো জানিস আমি পাখি ভালোবাসি
কাচের জানলায় পাখি আসে যেই,
অমনি টুক করে সামনে এগিয়ে যাই।
কাছের ভেতর ওরা দেখতে পারেনাতো তাই।

আমাদের নুতন দোতালার ঘরের 
তিনপালি জানলা দিয়ে এখন মস্ত নীলাকাশ,
একদিন তুই আসবি বলে সেই ধবধবে 
সাদা টাইলসে আমার সকল অবকাশ।

এখন দুপুরে ঘুম আসেনা জানিস
শিমুল গাছটা শুকনো মাথা ঝাঁকায়,
আর তুই তো জানিস বাড়ির বা-দিকে 
মস্ত বড়ো এক কাঁঠাল গাছ আঁকা।

জ্বরের ঘোরে এখন এসবকিছু ঝাপসা দেখি 
আর পোহাতে থাকি জলপট্টির অন্তিম সাধ।
শুধু বাকি থাকে আমার কপালে
তোর সঞ্জীবনী দুখানি হাত...

তুই ছুঁয়ে দিলেই জীবনকাঠিতে
ঘুম ভাঙবে রাজপুত্তের,
আর সেরে উঠবে এই সবুজ পৃথিবী।

No comments:

Post a Comment

অনুপম রায়

সতেরো বছর পর সতেরো বছর পর কি অবসাদ সেটা ধারণা না থাকাই ভালো। যাদের তুমি রেখে গেছ আমাদের হয়ে, তারা এখন উন্মাদ শহরের এক কোণে বসে শ্বাস নেয়। জ...