Saturday, November 21, 2020

চন্দন পাল

ভাবনা (১) [ ধারাবাহিক ]
'পরশ্রীকাতরতা, প্রতিযোগিতা, পৃষ্ঠপোষকতা' অর্থাৎ তিন 'প'। 

পরশ্রীকাতরতা থেকে লোভ আসে, লোভ মিটানোর জন্য শুরু হয় প্রতিযোগিতা, সৎ প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে শুরু হয় বাকচাতুরী, বাকচাতুরীর অঙ্গ হিসাবে দেখা দেয় স্তাবকতা বা তৈলমর্দন।
,,,, এই তৈলমর্দন দেখেই দাতা বুঝে যায়, আমি নিম্নমানের হলেও অনেক মানসম্পন্ন উচ্চবিত্ত নিম্নবিত্ত  আমার পৃষ্ঠপোষক। 
সুতরাং যে করেই হোক আমাকে ক্ষমতা ধরে রাখতে হবে। শুরু হয় কূটনীতি, দলবাজি, বাহুবল, বক্তৃতা শিল্প  আর মায়াকান্না  ।  
,,,,,অথচ আমরা পরশ্রীকাতর না হলে উপরোক্ত একটাও সমস্যা আসে না। সমাজ রাজনীতি  আপন নিয়মে উন্নয়ন ঘটিয়ে চলবে। তার ছোঁয়া আমরা সবাই পাবো। আমরা শুধু যার যার প্রতিভা ক্ষমতা অনুযায়ী কাজ করে যা আহরন করবো তাতেই সন্তোষ থাকবো। একজন ডাক্তার, অধ্যাপক, ব্যবসায়ী, শিল্পী একদিনে বাড়ি গাড়ি অর্জন করেনি। এরজন্য তাঁকে অনেকদিন শৈশব কৈশোরের খেলা গুলি, আড্ডাগুলি, দূরদর্শনগুলি, স্বাধীনতা গুলি অনিচ্ছায়  বিসর্জন দিতে হয়েছে। আমরা যাঁরা পারিনি, নিজেরাও যদি সমকামনা করি তাহলে ঠিক হবে কি! জুকারবার্গ বা  এনড্রয়েড মোবাইল আবিস্কারকের কথাই ভাবা যাক্ না!
আজকে যাঁরা ঐশ্ব্যর্যবান, পুরুষানুক্রমে প্রজন্ম তার অধিকারী।  প্রজন্ম, তা রক্ষা করতে না পেরে, পরশ্রীকাতর হয়ে পড়লে,  ঠিক হবে কি! 
আবার এ জনমে একজন মিতব্যয়ী  স্বচ্ছতার সাথে যতটুকু এগিয়ে দিয়ে গেলো, তা আগামীদিনে প্রজন্মকে ঐশ্বর্য্যশালী করবে তাতেইবা অন্যকেহ পরশ্রীকাতর হওয়া ঠিক হবে কি!
 
দৈবযোগে ঐশ্বর্য্যশালী  বা পাকৃতিক দূর্যোগে সর্বশান্ত যে কেউ যে কোন সময় হতে পারে সেটা আলাদা বিষয়। সেজন্য স্বচ্ছ রাজনীতি ও প্রশাসন রয়েছে, যা আমরা আগেই তৈরী করতে পেরেছি। কারণ রাজনীতিজ্ঞরাও এখন আর পরশ্রীকাতর নয়।
,,,,আসুন পরশ্রীকাতরতা দূর করে সভ্যতাগর্বি সমাজ গড়ে তুলি। কখন যে আমার দেশ , ধনে, মানে, বিজ্ঞানে, সংস্কৃতিতে, সর্বোপরি  নিরাপত্তায় শ্রেষ্ঠ হয়ে যাবে বুঝতেও পারবো না। "আমরা সবাই রাজা"।

No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...