Saturday, November 21, 2020

প্রীতম ভট্টাচার্য্য

কথা রাখতে পারিনি      

যারা একটু নেতা টাইপের লোক, রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা পরিবর্তনে তাদের কোন অসুবিধা হয় না। তারাও সময় মত বদলে যায়। অসুবিধা হল আমার মতো সাধারণ মানুষের। হঠাৎ করে বদলির কাগজ হাতে এলো। ধারণা ছিল না। তবে সরকারী চাকরি, যেখানে পাঠায়, যেতে তো হবেই।কিছুই করার নেই।আগরতলা থেকে ধূপতলি। দূরত্বটা নেহাৎ মন্দ নয় । তার আগেও আমি বেশ কয়েকবার বদলি হয়েছি বটে, তবে শহরের বাইরে কখনো যাই নি। 

তুলামুড়াতে আমার এক বন্ধু থাকে,বিপ্লব। সেই আমার জন্য বাড়িটা ঠিক করেছে। বাড়ির মালিক নেপাল মুড়াসিং বয়স্ক মানুষ। গাল ভর্তি হাল্কা হাল্কা  পাকাপাকা দাঁড়ি। চোখগুলো ছোট ছোট। চোখের চাহনিটাওকেমন যেন এলোমেলো। কোথাও যেন স্থির হয়েতাকিয়ে থাকতে পারে না। দেখেই মনে হয় যেন লোকটিপুরো পৃথিবীর উপর বিরক্ত। যদি পুরো পৃথিবী ধংসহয়ে যায় তাহলে তিনি আরাম পাবেন। আমি উনার সামনে গিয়ে তাকাতেই তিনি  চোখ সরু করে আমারদিকে তাকিয়ে রইলেন । চোখে মুখে সন্দেহ। যেন আমিকোনো জেল পলাতক আসামী। বাড়িতে প্রবেশ করতেই নেপাল বাবু বলল-

 

- কি দরকার আপনের ?

- আপনিই কি নেপাল মুড়াসিং?

- হ। কেরে?

- আমার এক বন্ধু বোধ হয় আপনার সাথে কথা বলেছে। ভাড়া থাকার ব্যাপারে ।

- হও। কইছে তো।  নাম কি?

- আমার নাম আদিত্য কর্মকার 

- এই নেন চাবি। আর একটু সাবধানে থাইকেন।

খেয়াল করলাম চাবি দেয়ার সময় লোকটার হাতকাঁপছে। আমি বেশ অবাক হলাম

- আপনি কি একাই থাকেন?

- হও। ছেলে বউ নিয়া উদয়পুরে থাকে। মাঝে মাঝে আসে। নাতিটা ইংলিশ স্কুলে পড়ে।

- ও। ঠিক আছে।

আমি চাবিটা হাতে নিয়ে এগিয়ে এলাম ঘরের দিকে।

উদয়পুর শহর থেকে একটু দূরে হলেও ঘর ভাড়ার জন্য,যে বাসাটা ঠিক করা হল সেটা নেহাৎ মন্দ হবে বলে মনে না। ঘর গুলো কেমন হবে জানিনা, তবে চারদিকের পরিবেশ,দৃশ্যাবলী খুবই সুন্দর।একদিকে ক্ষেত, আরেকদিকে রাবার বাগান। ও এত কম দামেএখানে ঘর পাবো ভাবিনি। তাও আবার বিল্ডিং ঘর। যাই হোক ভালোই হয়েছে।

দরজাটায় চাবি ঢুকাতেই কেমন যেন অস্বস্থি হচ্ছে হটাৎ কেন জানি ঘরটায় ঢুকতে ইচ্ছে করছে না। যেনআমার অবচেতন মন আমাকে সাবধান করছে। অনেকবার চাবি ঘুরানোর পরও দরজাটা খুলছে না।অনেকদিন ধরে দরজা না খুলার কারণে মনে হয় মরিচাপড়ে গেছে। এসব ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ দরজাটা খুলেগেল। দরজাটা খুলে ভেতরে ঢোকার সাথে সাথেই একতীব্র পোড়া গন্ধ নাকে এসে বিঁধল। আমি দাঁড়িয়েপড়লাম। পরক্ষণেই গন্ধটা কেমন যেন কর্পুরের মতোউবে গেল। এটা কি মনের ভুল ছিল? নিশ্চয় মনেরভুল। এরকম বন্ধ একটা ঘর, যে ঘরে অনেকদিন কারোআসা যাওয়া নেই সেই ঘরে নিশ্চয় পোড়া গন্ধ থাকবেনা? আমি ঘরে ঢুকলাম ।  ঘরময় ধুলো বালিতেবাড়িতে নতুন ভাড়াটিয়া আসবে, ঘরটা পরিস্কার করে রাখলেই পাড়ত; মনে মনে বাড়িওয়ালার চৌদ্দ গোষ্ঠীনিয়ে বেশ কয়েকটা গালি হাঁকলাম। অফিস সেরেই এখানে এসেছি। সন্ধ্যা হয়ে আসছে।  

 

ঘরে  ইলেক্ট্রিসিটি  আছে কিন্তু বাল্ব গুলো জ্বলছে না।মনে হয়  সস্তার তিন বস্তা আর কি। গ্রামের কম দামেরভাড়া ঘরে এতো কিছু আশা করাও নিশ্চয় ভুল। এইসময়  আবার বাল্ব কোথায় পাবো। কি যে এক যন্ত্রণারমাঝে পড়লাম না। প্রচণ্ড  রাগ উঠছে। এখন আরবাইরে যেতে ইচ্ছে করছে না। আবার অন্ধকারে বসেথাকাও  সম্ভব  হবেনা।  অগত্যা যেতেই  ল 

 

বাজার বেশী দূরে নয় তবুও বাল্ব কিনে বাসায় ফিরতেফিরতে ৭ টা  বেজে গেল। প্রচণ্ড খিদে পেয়েছে।বাল্বগুলো লাগিয়ে  রান্না ঘরের দিকে এগুলাম। খাবারবাড়ি থেকেই নিয়ে এসেছি। রুটি আর আলু ভাজা।  আবার নাকে পোড়া গন্ধ আসছে! কোথাও তো কিছুইপোড়ছে না তাহলে গন্ধটা আসছে কোথা থেকে? বাইরেথেকেও আসার উপায় নেই। জানালা গুলোতো সববন্ধ।আস্তে আস্তে গন্ধটা কেমন যেন অসহ্য লাগছে।আমি আর থাকতে পারলাম না। এতো তীব্র গন্ধ? যেনহাজারটা টায়ার একসাথে পোড়ানো হচ্ছে।আমি গিয়েজানালা গুলো খুলে দিলাম যাতে গন্ধটা বাইরে চলেযেতে পারে। তাতেও বেশ সুবিধা করতে পারলাম না। আমি দাঁড়িয়ে ভাবতে লাগলাম কি করা যায়। তারপরযেমন হঠাৎ করে গন্ধটা এসেছিল ঠিক তেমনি হঠাৎকরেই গন্ধটা চলে গেল। আমি যেন হাঁফ ছেড়েবাঁচলাম।

 

খেতে বসলাম ।  কেমন যেন অস্বস্তি  হচ্ছে। মনে হচ্ছেকেও যেন ঠিক আমার পিছনে নিশব্দে দাঁড়িয়ে আছে।তার নিশ্বাসের শব্দ যেন পাচ্ছি। কেও যেন আমার ঘাড়েতার গরম নিশ্বাস ফেলছে। আমি পিছনে তাকালাম।না,পিছনে কেউ  নেই। সবকিছুকেও আমি নিজের মনেরভ্রান্তি হিসেবে ধরে নিলাম। সারাদিন অনেক ধকলগেছে। যার ফলে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। এই ক্লান্তমস্তিষ্কেরই হয়তো হেলুসিনেশন হচ্ছে। যে কারণেআমার এরকম অনুভুতি হচ্ছে। এসব নিয়ে মাথাঘামানোর কোনো কারণ নেই। আমি খাবার খেয়েল্যাপটপ টা নিয়ে বসলাম। অনেক কাজ পরে আছে।আজ যা যা হয়েছে সব মাথা থেকে ঝেড়ে ফেললাম।এখানে একা আসা ঠিক হয়নি। জয়াকে নিয়ে আসাউচিত ছিল। একা আছি বলেই কি এরকম অনুভুতিহচ্ছে। হয়তো তাই হবে। ভেবেছিলাম এখানটায়সবকিছু ঠিক করে তারপর জয়াকে নিয়ে আসবো।নতুন জায়গা । আগে সবকিছু গুছিয়ে নিই। এখন কিজয়াকে একটা কল করবো? কি জানি কি করছেআমার একটা মাত্র বউ।

 

- হ্যালো জয়া ?

- হুম। আমিই এখন তোমাকে ফোন করতাম হলে । যাইহোক ভালোই করেছো কল করে।  কি করছো?

- কিছুনা অফিসের কাজ করছি

- এক্ষণ আবার অফিসের কি কাজ?

- কাজ আছে জয়া। অনেক কাজ আছে।

- খেয়েছো?

- হুম কিছুক্ষণ আগেই খেয়েছি। তুমি খেয়েছো?

মাত্র আটটা বাজে। আরও পরে খাবো। 

 

হঠাৎ করে রান্না ঘর থেকে  কিছু একটা শব্দ কানেআসছে।

 

জয়া একটু পড়ে কথা বলি?

- কেন? কি হয়েছে?

- না এমনি আরেকটু পর কল করছি

- আচ্ছা সাবধানে থেকো

- আচ্ছা ঠিক আছে।

আমি ফোনটা রেখে পিছন ফিরে তাকালাম। আবারশব্দটা হলো। খুব ক্ষীণ কিন্তু স্পষ্ট যেন কেও আমারমাথার ভেতর চাপা স্বরে বলছে "চলে যা! চলে যা এখানথেকে! একটা শব্দই বারবার। শব্দটা কি শীতল! শেষ্মাজড়ানো। একেবারে বুকে গিয়ে বিঁধে যাচ্ছে শব্দটা।এসবি কি আমার উত্তপ্ত মস্তিষ্কের কল্পনা না সত্যি সত্যিএসব কিছু ঘটছে আমার সাথে? না এসব কি ভাবছি? নিশ্চয় আমার মনের ভুল! আমি আবার কাজে মনদিলাম। হঠাৎ বাল্বগুলো কেমন যেন কাঁপতে লাগলো।আমি বাল্বগুলোর দিকে তাকালাম। বাল্বগুলো কাঁপছে।যেন ভূমিকম্প হচ্ছে। তারপর হঠাৎ শব্দ করেবাল্বগুলো ফেটে গেল। ঘরময় অন্ধকার হয়ে গেল।নিকষ কালো। বাল্বের কাচগুলো আমার শরীরে এসেপড়েছে। হাত জ্বালা করছে। হাতে কি বিঁধেছে? আমিফোনের লাইটটা অন করলাম। হাতে কিছু কিছু জায়গাকেটে গেছে। আমি অবাক হয়ে বাল্বগুলো দেখছি। এরআগে কখনো বাল্ব এমনভাবে ফেটে যেতে দেখেনি। এইবাড়িতে আসার পর থেকেই কি সব অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনাঘটছে। এগুলোর কোনো মানে খুজে পাচ্ছি না আমি।হঠাৎ কি যেন ঝনঝন করে উঠলো। কে? কে ওখানে? খুব জোড়ে যেন কিছু একটা পড়ে গেছে। শব্দটা রান্নাঘর থেকে আসলো মনে হয়। আমি ধীরে ধীরে রান্নাঘরের দিকে এগুলাম।  কিসের যেন গন্ধ পাচ্ছি। আবারপোড়া গন্ধ? আমি ঘাড় ঘুরিয়ে বসার ঘরে চলেআসছিলাম। আমি থমকে দাঁড়ালাম। মনে হলো কেওযেন খুব দ্রুত আমার সামনে দিয়ে চলে গেল। এতঅন্ধকারের মাঝেও যেন আমি স্পষ্ট দেখলাম। লাললাল চোখগুলো যেন এখনো আমার চোখে ভেসেআছে। কি ছিল এটা? এটাও কি চোখের ভুল? আমিকিছুই বুঝতে পারছি না। আমার মস্তিষ্ক কি আমাকেনিয়ে কোনো মজার খেলা খেলছে? আমি বিষয়টাকেমন থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইলাম। নিজেকে বুঝাতেলাগলাম আমি যা দেখেছি সবই ভুল। আমার চোখেরভুল। আমি আবার বসার রুমে চলে আসলাম।ল্যাপটপটা এখনো অন করা। কাজগুলো করে ফেলাউচিত। কিন্তু কাজে কেন জানি মন বসছে না। কেমনজানি অস্বস্তি হচ্ছে। কেও যখন আপনার দিকেসারাক্ষণ কঠিন চোখে তাকিয়ে থাকে তখন যেরকমঅস্বস্তি হয় ঠিক সেরকম। কেও যেন আমার দিকেসবসময় তাকিয়ে আছে। খুব কাছ থেকে যেন আমারউপর নজর রাখছে। আমার পাশে দাঁড়িয়ে যেন আমারদিকে তাকিয়ে আছি। আমি যেন তার উপস্থিতি টেরপাচ্ছি। মাঝে মাঝে যেন সে আমার শরীরের উপর তারগরম নিশ্বাস ছাড়ছে। মেঝেতে কি যেন ধপাস করেপড়ে গেল। আমি বসা থেকে উঠে পড়লাম। কিসেরশব্দ ছিল টা? আমি খুজতে লাগলাম। অন্ধকারেবিশেষ সুবিধা করতে পারছি না। ফোনের লাইটটা দিয়েখুজছি। হঠাৎ দেখতে পেলাম মেঝেতে ফুলদানিটাভেঙে পড়ে আছে। ফুলদানিটা ভাঙলো কি করে? ফুলদানিটার ভাঙা টুকরো এদিক সেদিক ছড়িয়েছিটিয়ে আছে।এ ঘরে আবার ফুলদানিই বা আসলো কথা থেকে।  " চলে যা!" কেও যেন কানের কাছে এসেবলে গেল। আমি চেচিয়ে উঠলাম কে? আবার বলেউঠলো, " চলে যা! বাঁচতে চাইলে চলে যা! কি হাড়কাপানো হিমশীতল গলার স্বর! হঠাৎ খেয়াল করলাম,ঘরের কোনায় কেও একজন ঘুটি শুটি মেড়ে বসেআছে। কালো একটা অবয়ব। আমি কে? বলে আতকেউঠলাম। আমার চিৎকার শুনে অবয়বটি একটু নড়েউঠলো। আমি আমার ফোনের লাইটি অবয়বটির দিকেতাক করলাম। একজন মহিলা উলঙ্গ হয়ে বসে আছে।সারা শরীর দগ্ধ। আগুনে পুড়ে গেলে যেরকম হয় ঠিকসেরকম। সারা শরীরে লাল বর্ণের দগদগে ঘা। কি বিশ্রীদেখাচ্ছে। অবয়বটি যেন আমার দিকে হামাগুড়ি দিয়েএগুচ্ছে। আমার হৃদস্পন্দন থেমে যাবার উপক্রমহলো। আমি নিজেকে বুঝাতে লাগলাম যা কিছু দেখছিসব কিছুই আমার মস্তিষ্কের কল্পনা  আমার মস্তিষ্কউত্তেজিত। এর বেশি কিছু না। আমার হ্যালুসিনেশনহচ্ছে। আমি বিজ্ঞানের ছাত্র। ভূতে বিশ্বাস করি না। করা উচিত ও না।  আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম। নিজেকেবুঝাতে লাগলাম তুমি কিছুই দেখনি। যা দেখেছ সবচোখের ভুল। চোখ খুললেই সবকিছু স্বাভাবিক হয়েযাবে। চোখ খুলতে কেন জানি সাহস হচ্ছে না। মনেমনে প্রার্থনা করছিলাম যেন চোখ খোলার পর সবকিছুঠিক আগের মত হয়ে যায়।মনে মনে গুরুদেবকে ডাকলাম,  চোখ খোলার পর যেন আমার চোখেরসামনে কোন খারাপ  কিছু না থাকে। আমি ধীরে ধীরেচোখ খুললাম-

মনে এই আশা নিয়ে যে চোখের সামনে কিছু থাকবেনা। সত্যিই চোখের সামনে কিছু ছিল না। আমি একটাদীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম। তার মানে যা কিছু আমি দেখেছিতার সবকিছুই চোখের ভুল। কেমন জানি একটাপ্রশান্তি ছেয়ে গেল সারা মন জুড়ে। নিজের চোখকেভুল প্রমাণিত করে যেন আনন্দ হচ্ছিল। এখন পর্যন্তআমার সাথে যা কিছু ঘটেছিল তার সবকিছু মাথাথেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইলাম। আমি চাইছিলামসবকিছু ভুলে যেতে কিন্তু কেন জানি সেই বিশ্রী কুৎসিতচেহারাটা বারবার চোখের সামনে ভেসে উঠছিল।নিজেকে কিছুতেই বুঝাতে পারছিলাম না যে আমিএতক্ষণ যা কিছু দেখেছি সব কিছুই আমার মনের ভুল।আমি ঘরের বাইরে  গিয়ে দাঁড়ালাম। আমার এখনপ্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন। আমি জোরেজোরে নিঃশ্বাস নিতে থাকলাম। বারান্দায় প্রচুর বাতাসবইছে। শরীরটা মুহূর্তেই জুড়িয়ে গেল। হটাৎ দেখি ঘরের আলো জ্বলে উঠেছে। এই যে কিছুক্ষণ আগে ভূমিকম্পের মতো হল, বাল্ব ভেঙ্গে গেলো,সেটা কি? আমিতো হাতেও ব্যাথা পেয়েছিলাম। বা হাতটা ধরে দেখি, কই না তো, রক্তের কোন দাগ নেইতো।  

কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম। আজ আকাশটা সত্যি খুবসুন্দর লাগছে।বেশ বড় একটা চাঁদ উঠেছে।

 

এই পর্যন্ত এই বাড়িতে আসার পর থেকে আমার সাথেযা কিছু ঘটেছে সবকিছু ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করলাম।এখন আমার প্রয়োজন একটা দীর্ঘ ঘুম। সকালে উঠেআবার সবকিছু নতুনভাবে শুরু করব। নতুন বাড়িঅনেক কাজকর্ম পড়ে আছে। সবকিছু পরিষ্কারপরিচ্ছন্ন করতে হবে। ঘরটাকে থাকার মতো করে গড়েতুলতে হবে। কাজটা সহজ নয়। কালকে প্রচুর পরিশ্রমকরতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণেবিশ্রাম। তাই ঠিক করলাম তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়বো।

 

আমি বিছানায় শুয়ে পরলাম। ঘুমাতে চেষ্টা করছি কিন্তুকেন জানি ঘুমাতে পারছিনা। বার বার সবকিছু মনেপড়ে যাচ্ছে। সেই পোড়া দুর্গন্ধময় কুৎসিত অবয়ব টাচোখের সামনে ভেসে উঠছে। কিছুতেই ভুলতে পারছিনা। নিজেকে বারবার বুঝাচ্ছি সেটা ছিল উত্তপ্তমস্তিষ্কের নিছক কল্পনা। কিন্তু ভুলতে পারছি না।

কখন যে ঘুমিয়ে পরলাম টেরই পেলাম না। ঘুম ভাঙলোপ্রচন্ড কোন


No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...