পরাধীনতার শেকল
ভূমিষ্ট হবার পরই শুনলাম,
আমি নাকি ফেলনা,,
ছেলেবেলাতেই হাতের কাছে,
খুন্তি কড়াই ছিল আমার খেলনা।
কৈশোরে পা দিতেই,
ছেলে-মেয়ের পার্থক্য বোঝালে,
পায়ে এক খানা ভারী,
পরাধীনতার শেকল পরিয়ে দিলে।
খুবই কষ্ট হতো,
এটা বহন করতে,,
সেই কথা কি,
আদৌ তোমরা জানতে?
যৌবন দোরগোড়ায় এসে,
কড়া নাড়ল যখন,,
পাঁচ দিন নাকি,
আমি অশুচি জানলাম তখন।
ভীষন ইচ্ছে ছিল যে,
বিমানটা আমার হাত ধরে উড়বে,,
ইচ্ছে ছিল সীমান্তে আমি দাঁড়াবো,
আর রাইফেলটা কাঁধে থাকবে।
আশা ছিল বাকি পথটা,
স্ব- ইচ্ছায় করবো পার,,
এবং স্বাধীনতা হবে,
পরম বন্ধু আমার।
বদলে আরেক খানা,
পরাধীনতার শেকল পরিয়ে দিলে,,
শশুরালয়ই নাকি,
জীবনের মূলমন্ত্র জানালে।
এখন আমার সাথে আর,
কথা বলে না ইচ্ছেগুলো,,
নির্বাক নামের বন্ধুটি,
আমার খুব আপন হলো।
সন্তান টাকে আমার,
অন্ধের যষ্ঠি ভেবেছিলাম,,
বৃদ্ধাশ্রম নামের শেকলটা শুধু,
পড়ার বাকি ছিল,সেটাও পরলাম।
অবশেষে জং ধরল,
শেকল গুলিতে যখন,,
ওই নীল দিগন্তে গিয়ে,
পরাধীনতা হাত ছাড়লো তখন।
মৃত্যু তুমিই আজ শেখালে,
প্রকৃত স্বাধীনতা কাকে বলে।
No comments:
Post a Comment