Thursday, August 13, 2020

গৌতম মজুমদার

ভাতৃ মিলন


আশি সালের জুন মাসে, ভাতৃ ঘাতী দাঙ্গা,
কোন কিছু বোঝার আগে, রক্তে মাটি রাঙা ।
শান্ত পাহাড় অশান্ত হলো, জ্বলছে চারিপাশে,
সৌভ্রাতৃত্ত্বের বিশাল সৌধ, ভাঙলো নিমেষে ।
কখনো বা পাহাড় কাঁদে, কান্না সমতলে,
দাঙ্গাবাজরা ঘর বাড়িতে, আগুন দিয়ে চলে ।
পাহাড়ীরা হত্যা করে, বাঙ্গালীদের ধরে,
বাঙ্গালীরা পাল্টা চালায়, উপজাতির ঘরে ।
পাহাড়ী বাঙ্গালী উভয় জাতির, রক্তে নামে ঢল,
হাজার হাজার লাশ ভেসে যায়, লাল গোমতীর জল ।
চারিদিকে করুণ চিত্কার, কোথাও কলরব,
কিসের নেশায় ? করছে কারা ? জানিনা এসব ।
' মার, ধর, কাট ' এই শব্দটি, আসছে শুধু কানে,
আতঙ্কিত আমরা সবাই, লুকিয়ে পড়ি বনে ।
বনের মাঝে শুনতে পেলাম, অনেক লোকের কান্না,
ভয়ে, ক্ষুধায় কাঁদছে সবাই, কয়দিন নেই রান্না ।
মা যে শিশুর কান্না থামায়, মুখটি চেপে ধরে,
শব্দ শুনে শত্রু পক্ষ, যদি এসে পড়ে ?
আমরা যেমন ভয়ে আছি, ওরাও আছে ভয়ে,
একই পথের পথিক মোরা, একজাতি না হয়ে ।
সবাই সবাইর দুঃখ শুনে, ভয় গিয়েছে উবে,
শত্রু বিনাশ করাই মোদের, আসল কার্য্য হবে ।
এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে মোরা, হাতটি ধরি সবার,
শিশুর মুখে সর্ব প্রথম, দিতে হবে আহার ।
' আমরা ওরা ' এক সাথ হয়ে, ফিরে আসি ঘরে,
মা বোনেরা রান্না করে, খেলাম তৃপ্তি ভরে ।
জাতি উপজাতি আমরা, গেলাম সবই ভুলে,
' আমরা ওরা ' এ শব্দটি, দিলো সবাই তুলে ।
জোট বেধেছি আমরা সবাই, রক্ষা করি গ্রাম,
দাঙ্গাবাজদের রুখে দিয়ে, শান্তি ফেরালাম ।
হিংসা নিন্দা নেইকো এখন, মিলন মালা নিয়ে,
সৌ ভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলি, ভালোবাসা দিয়ে ।
সব বোনেরা ভাইয়ের হাতে, পরায় এখন রাখী,
হাসি খুশী আমরা সবাই, যেন মুক্ত পাখি ।

No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...