Thursday, August 13, 2020

দিপিকা রায়

প্রেম দিবস

প্রেমের রংমশালে সেজেছিল এইদিন
ভালোবাসার আঙিনায় পড়েছিল বাঁধা
কত নতুন বাঁধন, 
সুরে সুরে বাজলো কন্ঠধ্বনি 
আলোর ঝলকানিতে। 

হঠাৎ এই আলোয় যেন অন্ধকারের বৃষ্টি। 
তীব্র বোমার বিস্ফোরণে, 
রামধনুর রং ও ফ্যাঁকাসে পড়ে গেল। 

একদিকে ছিল সম্পর্কের নতুন বাঁধন
আরেকদিকে বিচ্ছেদের আর্তনাদ। 
হাজারো গোলাপের আড়ালে যখন, 
প্রেম নিবেদন চলছিল, 
তখন বীর মায়ের সন্তানেরা কাফন বন্দি হয়ে, 
এই গোলাপের নিচেই শয্যা নিল। 
রাজ পথে বিছিয়ে ছিল, 
শত শত সৈনিকগণের ক্ষুদ্র দেহগুলো। 

শুনেছিলাম বিশ্বাসের মাঝে নাকি, 
সৃষ্টি ভালোবাসার ঘর, 
আর এইদিকে... 
বিশ্বাসহীনতায় কেড়ে নিল ওনাদের জীবন। 

কত মা, কত ভাই, কত বোন, কত স্ত্রী... 
তাঁদের চোখের জলে ভাসিয়ে দিল
ভারত মায়ের কোল। 
জানিয়ে দিল বীর পুরুষদের চিরবিদায়। 

আজ আর এই দিনে
রোমান্টিকতার উদ্বেগ জাগে না, 
বীর শহিদদের যন্ত্রনা গুলি
ভালোবাসায় আগলে রাখতে ইচ্ছে করে। 

আজ পুরো বিশ্ব যখন রাখী উৎসবে মাতোয়ারা, 
মনে পরে তখন... 
ওই ছোট্ট বোনটির কথা, 
সে ও হাতে রাখী নিয়ে তাঁর ভাইয়ের হাতটি খোঁজে।
ভাই ফোটার থালা সাজায়, 
কিন্তু ভাইয়ের ললাটের চিহ্ন যে
মিশে গেছে রণভূমির মৃত্তিকায়। 
জানে কখনো ফিরবে না, 
তবুও দিন কাটায় কত মা আজও, 
প্রহর গুণে গুণে। 
ভালোবাসার দিনে কত স্ত্রী
অশ্রুরঞ্জিত পুষ্প দিয়ে, 
স্যালুট জানায় ওনাদের চরণস্পর্শে। 

শত শত মানুষের অশ্রুজলে
আজ না হয় পালন হোক
ওনাদের নামেই এই ভ্যালেন্টাইন, 
ওনাদের নামেই হোক না পুষ্প বর্ষণ, 
ওনাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে
উদযাপিত হোক এই প্রেম দিবস।

No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...