Thursday, August 13, 2020
সম্পাদকীয়
সুধীর দাস
বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি, সুঢ়সুঢ়ি ডাক দিয়ে কনকনে ঠান্ডা বাতাস বয়ে-ই চলল অবিরাম, হঠাৎ হঠাৎ বিদুৎ এর ঝলকানি, কালো অন্ধকার রাত, নিদ্রাহীন দুচোখে তাকিয়ে আছে ঐ রাস্তার দিকে অভাগিনী রাখী ঘরের দাওয়ায় বসে । আসবে সে এই সরু গলি পথে । এসে ডাকবে আয় রে আমার পাগলি বোন বাধ আমায় রাখী। সম্পূর্ণ কর বন্ধন। রাখী অপেক্ষারত বন্ধনের জন্য। তার মনে যেন অব্যক্ত অনেক কথা জমে আছে দাদাকে বলবে বলে। দাদা ওকে কথা দিয়েছে আসবে আজ। তার জন্য নিয়ে আসবে গিফ্ট। সে শুধু তার মনে এই অব্যক্ত আশা নিয়েই এই দিনটা আসলেই বসে থাকে দাদার আশায় ঘরের দাওয়ায়।
কিন্তু কে বলবে তাকে? কে বোঝাবে তাকে? কে শান্তনা দেবে তাকে? কে আদর করে ডাকবে? কে তাকে আদর করে খাইয়ে দেবে? সে যে নেই এখানে। চলে গেছে অনেক দূরে যেখানে তারারা খেলা করে, মিট মিট করে জ্বলে আর পৃথিবীকে আলোকিত করে।
ঝুমা সরকার
নারীর কবর সন্মান
একটা মেয়ে হলে ধর্ষিতা দোষটা হয় পার্টির ।
বলছি কী বাপু? মন্ত্রীরা কি বলেছিল করো বলৎকার নারীর ।।
দোষটা না হয় পরে ই দিও আগে মানুষরূপী অসুর গুলি করো মানুষ ।
পার্টি পার্টি করতে করতে ভুলে যাচ্ছ কার গুন কার দোষ ।।
তোমাদের এই দোষ গুনের ঘূর্ণপাকে হচ্ছে কত মেয়ের জীবন কালো।
দোষারূপ বন্ধ করে চলো করি নারীর জীবন একটু আলো।।
রাস্তা ঘাটে একা দেখলে নারীর করব না ধর্মনাশ।
ঘরে তো মেয়ে আছে আমার ও হতে পারে তার ও সম্মান হ্রাস ।।
বেশি না হয় একটু একটু করে করব নারীর কদর।
চলো না আজ করি প্রতীক্ষা করব না আর কোনো নারীর অনাদর।।
শিপ্রা দেবনাথ
প্রীতম শীল
নন্দিতা চক্রবর্তী
অতনু রায় চৌধুরী
সাগর চৌধুরী
মোহাজির হুসেইনচৌধুরী
পূজা মুজমদার
কথামালা
তুমি না এলেই পাল্টে যায় রোদ্দুর মাখা ডায়েরির পাতা,
ভীষণ হাপিত্যেশে মুখিয়ে উঠে প্রকৃতি।
স্ফুলিঙ্গের মায়ায় উজাড় জীবন-অরণ্য,
কোথাকার কোন সুরে কে বাজায় বেসুরো অভিমান।
কবেকার কথামালার বুনন বাধিয়ে আজ সুখী মানুষ,
অজস্র মায়ার নিলাম তুলে ফাঁকা হাটের খদ্দের।
দুমুঠো ছাই ছুড়ে কপটতার দরজায় খিল এটে দিয়ো প্রিয়,
বনস্পতির দেশ এখন রিক্ততায় ঠাসা।
জলছায়ার গভীরে মগ্নতায় তার নগ্ন শিহরণ,
প্রাক্তন জোনাকীর আলোয় ভাসে ভূত-ভবিষ্যত।
দোলকের তালে দুলে আজন্মের ভার,
তবু সে কিনে নেয় সাদাকালো সব ফানুস ।
মিয়ম্রাণ আলোক শিখার মতো কাঁপা কাঁপা ঠোঁট ,
দমকে উঠে হাজার বার ভালোবাসি বলে।
মস্তিষ্কের জাল কেটে বেড়োয় অভিশপ্ত মাকড়সা,
মিথ্যে আশ্বাস পরিণত হয় স্রষ্টার বিধানে।
বলো, কি বলে একে!
বিধান পাল
ইউসুফ আলম
অপেক্ষার রামধনু
এমনি কোনো এক বিবর্ণ উদাসী সকালে…
ভেজা কাক হয়ে তুমি-আমি,ক্যান্টিন ছিল সাক্ষী ।
আমাকে তোমার চাদরে মোড়ে নিয়ে…
উষ্ণতায় বুজেছিলাম আঁখি ।
খুঁজেছিলাম দীর্ঘশ্বাসের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন-
কোনো এক অচেনা পাহাড়, মুক্তোমাখা দুর্বাদল,
তোমার গাল বেয়ে নেমে আসা অবাধ্য ঝর্ণাধারা..
নিস্তব্ধতার কোলাহলে শুধু আদরের মাখামাখি ।
কোনো শব্দ ছিল না, ঠোঁট ও ছিল ক্লান্ত,
চা এর কাপ থেকে ধোঁয়া উঠা ও শেষ হয়ে গেছে,
আকাশের নৃশংস গুঞ্জন,ঠোঁটের কোণে আলতো হাসি_
”মনের আকাশে তখনো রামধনু উঠা ছিল বাকি“।
মুহূর্তে ঘন্টা কাটিয়ে যখন পঁয়ষট্টি প্রতি কিলোমিটার
বৃষ্টি তখন বড় বড় ঢিল ছুঁড়ছিলো মুখে..
আধভেজা চুল, মুখ লুকিয়ে আমার পিঠে _ কাঁপছিলে তুমি …
শুনো…
রামধনুটা তোমার থাকুক, আমি বৃষ্টিকেই রাখি ।
মাহমুদ মুকিত
চোখের যতই বয়স হচ্ছে
ঝরাচ্ছে জল ঝপা ঝপ।
ধূলিমাখা এই পথের প্রান্তে
বাঁশের সাঁকোর মাঝে
মেঘ রাঙানো আভা পড়েছে
লালচে কালো সাঁঝে।
পানকৌড়ি সব ফিরছে ঘরে
ক্লান্ত দিনের শেষে
শিশির কণা জড়াচ্ছে ঘাসে
নিবিড় এক আবেশে।
ভাঙা চশমার ঘোলা কাঁচে
ঘোলা আমার আকাশ
চোখের বুঝি সময় শেষ
তবু মিটলো না জীবনের আশ।
গোপাল বনিক
মাগো মানুষ হয়ে জন্ম নিয়ে মানুষ হতে পারলাম কোই।
স্বার্থ নিয়ে মগ্ন সবাই আত্মসুখেই মজে রই।
নিজেই নিজের আত্ম প্রচার নিজেকে নিয়েই মগ্ন বেশ।
অন্যের কথা ভাবতে গেলেই এখন আমার বেলা শেষ।
আমি খাই আমি বাঁচি অন্য সবাই চুলোয় যাক।
নীতিকথার জ্ঞান গল্প এইসব বই এর পাতায় থাক।
কার ঘরে চাল বাড়ন্ত এইসব জেনে আমার কি,
গরম ভাতে চাই যে আমার দেশি গরুর গাঁওয়া ঘি।
গরিব মরে ক্ষুধার জ্বালায় এইসব তাদের কর্মফল,
মন্ডামিঠাই মাছ মাংসে আমি বাড়াই দেহের বল।
প্রতিষ্ঠা আর প্রতিপত্তি এইসব আমার প্রাপ্য হউক,
দুঃখী যে জন মরুক সেইজন, মনুষত্ব মিথ্যে হউক।
মা তু্ই জন্ম দিয়েই ক্ষান্ত হলি শিক্ষা দিতে পারলি কোই,
তাইতো মা তু্ই নিত্য দুঃখী, এই দুঃখ তোর ঘুচলো কোই?
আকাশ ধর
সুব্রত রায়
চযন সাহা
অসীম দেববর্মা
প্রণব দাস
অন্তরা সাহা
ঈশিতা পাল
স্পৃহা ভট্টাচার্য্য
প্রিয়াংকা শীল
সঞ্জয় দত্ত
উর্মি সাহা
সম্রাট শীল
পিয়াল দেবনাথ
সৌরভ শীল
দীনেশ দাস
সাধন নমঃ
গৌতম মজুমদার
গৌরাঙ্গ রক্ষিত
মোঃ রুবেল
সুচিত্রা দেবনাথ
সুনন্দা দাস
কুমার নচিকেতা শীল
দুলাল চক্রবর্তী
তনুশ্রী দাস
সংগীতা শীল
দিপিকা রায়
উজ্জ্বল ভট্টাচার্য্য
নিকিতা সাহা
বিনয় শীল
উর্মি সাহা
মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...
-
আজ আশ্বিনের শেষ কার্তিকের শুরু এই দিনটা বিশেষ ভাবে বিশেষ, বাংলার এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে। জানি না বাংলার বাইরেও এইভাবে বিশেষ হয়ে উঠেছে কিন...
-
মূক ফেনীর মুখর পাঁচালি একটি বহুল প্রচারিত বাংলা প্রবাদ ‘ভাগের মা গঙ্গা পায়না’ ৷ প্রবাদটির মধ্য দিয়ে মায়ের অসহায়ত্বের যন্ত্রণাটিই ব্যক্ত হয়ে...