Sunday, August 12, 2018

মিঠুন দেবনাথ



অণুরাধা

(শেষপর্ব)

 

পূবের আকাশ তখনও রক্তবর্ণ ধারণ করে নাই | সারা রাত্র নিদ্রাহীন গ্রামবাসী এদিকে ওদিকে খোঁজ করিতে করিতে দক্ষিণের গ্রামে বালকের সন্ধান পাইয়াছে বলিয়া খবর পাইল | গ্রামবাসী খবর খানি পাইয়া অতি দ্রুত বরেনের নিকটে খবর পৌঁছাইতে হন্য হইয়া ছুটিতে লাগিল | ভোরের আবছা আলো ছায়ায় কিছুদূর ছুটিতে ছুটিতে কুকুরের শব্দ শুনিয়া গ্রামবাসী থমকিয়া দাঁড়াইল | কুকুরের গর্জন সহসা বাড়িতে লাগিল দেখিয়া গ্রামবাসী জঙ্গলের রাস্তা ধরিল |

         তখনও রবির ঘুম ভাঙে নাই ! বরেনের কোলে তার স্নেহের একমাত্র কন্যার শান্তির বিশ্রাম দেখিয়া গ্রামবাসীর বয়োজ্যেষ্ঠ নটোবরলাল মূর্ছা গেল | কেন না ইতিপূর্বে দুই গ্রামের  কেহই এমন বিভৎস দৃশ্য দেখে নাই | 

         দুটি চিতা জ্বলিল ! মুখাগ্নি করিবার লোক পর্যন্ত খুঁজিয়া পাওয়া যাইতেছিল না | শেষ পর্যন্ত জ্যেষ্ঠ নটোবরলাল মুখাগ্নি করিয়া গঙ্গাস্নান সারিল |

       সেই হইতে গ্রামখানির যেন অন্তরদাহ চলিতেছিল | পুরো গ্রামে কর্মের হিসাব লইয়া চিত্রগুপ্ত যেন খরম পদে বেড়াইতেছিল | বহুদিন গ্রামে কাক পক্ষী ডাকে নাই ! তুলসীতলায় প্রদীপ জ্বলে নাই | বিচার  চাইবে কে ?  বিচার হবে কার ! 

          বরেনের বৌ গৃহ হারা হইয়া গ্রাম হইতে গ্রামান্তর ঘুরিয়া কেবল ঘটি বাটি ধুইতেই ব্যস্ত ছিল ! পূজা আর সমাপ্ত  হইয়া উঠিল না... অসমাপ্ত...

আবার কাক ডাকিল ! তাই লিখিলাম |









No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...