অভিবাদন
দেখতে দেখতে সত্তরটি বছর অতিক্রান্ত
স্বাধীনতা তুমি কি এখনো কৈশোরে ?
নাকি যৌবন তোমার অঙ্গে ? ---
যখন তুমি হওনি স্বাধীন
সবার মনে ছিল আশা ; চোখে আকাশ স্বপ্ন
পরাধীনতা ঘুচিয়ে আসবে স্বাধীনতা
দেশ মাতৃকা হবে মুক্ত অধীনতা ;
সবার জন্যে হবে অন্নবস্ত্র বাসস্থান -- নিশ্চিত হবে কর্মসংস্থান ।
স্বাধীন দেশের স্বাধীন পতাকা
উড্ডীণ রবে 'চির উন্নত শির '
ভারত মায়ের দামাল ছেলেরা
হবে বিশ্ব বরণ্যে বীর ।
গণতন্ত্র শ্রেষ্ঠতন্ত্র সর্বতন্ত্র মাঝে
হানাহানি দলাদলি নয়
লাগবে মানব সন্পদ তৈরীর কাজে ।
সেদিনের কৈশোর আজকের প্রৌঢ়
হিসাব মেলাতে ব্যস্ত
'একবুক আশা একরাশ স্বপ্নের --
একটি শিশুও অভুক্ত থাকবেনা ' --
অথচ লক্ষ শিশু এখনো পথে পথে ঘুরে
যাওয়ার কথা স্কুলে শার্ট প্যাণ্ট বুট পরে--
যাচ্ছে রাস্তার মোড়ে খাবার কুড়োতে
একটা টাকা দাও বলে বাবুদের কাছে হাত পাত্তে ।
কুকুরের সঙ্গে একসাথে খেতে কোন লজ্জ্বা নয়
ফুটপাথ তাদের নিরাপদ আশ্রয় ।
যারা জীবন সংগ্রামে ঘাত প্রতিঘাতে
আজ দৈন্য থেকে দৈন্যতর
তাদের জন্য একটু আশ্রয় একটু ভালবাসা
সেদিন ছিল এমনই আশা ,
স্বাধীনতা, তারা একরাশ আশার বদলে পেল
একবুক দীর্ঘশ্বাস
একচোখ স্বপ্নের বদলে একরাশ হতাশা ।
কথা ছিল প্রৌঢ়ত্বেরকালে দেবে
নিশ্চিত আশ্রয় আর দুমুঠো অন্ন ,
অথচ তারা আজো অসহায়
দুমড়ে মুচড়ে ছিন্নভিন্ন ।--
আর সন্পৃতীর কথা ?
নাগিনীর বিষাক্ত নিশ্বাঃসে
কালোমেঘে ছেয়ে গেছে নীলাকাশ
অবিশ্বাসের বাতাবরণ সর্বব্যাপী,
সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি --
এক ভারত গড়ার নামে সান্প্রদায়িক বিদ্বেষ
ভাইয়ে ভাইয়ে হানাহানি --
তোমার অঙ্গে তৈরী করেছে ক্ষত
চায়' আজাদ কাশ্মীর ' ।
ওরা এত বিদ্রোহী কেন ?
খুঁজো খুঁজো উত্তর, পাবে সমাধান
দাও সবাকারে সমান সন্মান , দাও নিরাপদ আশ্রয়
ভেঙে চুরে দুমড়ে মুচড়ে দাও
সাম্প্রদায়িকতার বিষদাঁত ,
তবেই হবে 'এক ভারত ' ' শ্রেষ্ঠ ভারত ' সবার বাসযোগ্য ভারত-----
তবু তোমায় গোলাপী সেলাম সশ্রদ্ধ অভিবাদনসবার আশা পূরণ করতে পারবে যবে
সেদিন "ভারত আবার জগত্ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে ।
No comments:
Post a Comment