Thursday, September 13, 2018

ড. উমাশঙ্কর রায়

জীবন থেকে ধার নেওয়া

জীবনের পথ চলায় আছে কি কিছু অদৃশ্য সংকেত ? অথবা ঘটনার আনাচে-কানাচে তেমন কিছু ? হয়তো বা আছে ।

সেই সংকেতগুলো যেন ছোঁয়া যায় না কিছুতেই।কিন্তু জলকেলি করে ওরা ! আবার ছুঁতে গেলে ডুব দেয় ! মিলিয়ে যায় গভীরে !

মাছরাঙাটি তবুও গাছের ডালে বসে চোখ রাখে। ফের যদি মিলে সংকেত !

আশা-নিরাশার মাঝে সংকেতগুলোর ছোটাছুটি। ওরা বাসা বাধেঁ না। কারো পক্ষ নেয় না।অথচ আপামর সমস্যা নিয়েই ওদের সব ইঙ্গিত।তবুও কোনো সমস্যায় ওরা জড়িয়ে থাকে না।
আবার সমস্যার স্রোতে ওরা নৌকো ভাসায়।পাল তোলে।কিন্তু পথ চলে হাওয়ায় ভেসে নয়।পালে হাওয়া লাগিয়ে, তাকে বাগে এনে।

সেই পথে দৃশ্যমান - এ নদী, এ আকাশ, এ স্রোত, এ পাল তোলা স্বপ্নের ডিঙি - সবেতেই যেন সংকেত অধীশ্বর ! এ যেন স্বপ্ন আর সংকেতের হাতে হাত ধরে পথ চলা ! ঋতুরঙে ওদের এই মিতালীর যেন নানা রঙ, নানা রূপ ! কথা বলে ওরা !

আকাশে মেঘ জমে।সেই আকাশে কৃষকের চোখ।কী সংকেত মেঘের ? কোন মেঘ ? সে কি শ্রাবণের দড়ি ছিঁড়ে এলো ? না কি ভাদ্রের উষ্ণতায় ভেসে আসা ? কোন ঋতুরঙে ঝরবে ওরা বৃষ্টি হয়ে ? কৃষকের চোখ-মন আকাশে বাতাসে তখন স্বপ্ন হয়ে ভাসে।

স্বপ্ন আছে। সংকেতও আছে। স্বপ্ন আর সংকেতের সুতোয় বাধাঁ এ জীবন।ওরা কখনো ঝরে পড়ে। কখনো ছুঁয়ে যায়।তবুও স্বপ্নটাই যেন কাছে ঘেঁষে বেশি।হোক সে জটিল। অথবা অধরা।জীবন থেকে তো হারিয়ে যায় না।জীবনের ডালপালায় স্বপ্নগুলোই বারবার সবুজ হয়ে ফোটে। ডালপালা শুকিয়ে গেলে পাতা ঝরে। কিন্তু সেই ঝরা পাতায় জীবনের কথা লেখা হয়ে যায়।জীবন, ইতিহাস হয়ে গেলেও বেঁচে থাকে।জীবন তার জীবনের মানে খুঁজে পায় তখন ! কী লাভ ? - এ প্রশ্ন না করে, জীবন বলে - কী ক্ষতি ? তাইতো।

জীবনটা যে শুধুই-  ঘটমান নয়। অঘটিত আরো কিছু। এ জীবন - নয় শুধু 'এ সময়'। নয় শুধুই আজিকার।

No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...