Tuesday, February 23, 2021
সম্পাদকীয়
Monday, February 22, 2021
জয়দেব দাস
মোঃ রুবেল
দেবব্রত চক্রবর্তী
জগন্নাথ বনিক
সোমা চক্রবর্তী
উর্মি সাহা
বিটু মজুমদার
মিঠু মল্লিক বৈদ্য
দিপিকা রায়
সুপর্ণা কর
প্রীতম শীল
সঞ্জয় দত্ত
আক্তার হোসেন
আমরা সবাই এক
সর্বক্ষেত্রে আমরা কেনো করছি বিচ্ছেদ?
কখন জানি ছিন্ন হবে মানবিকতার অবাধ বাঁধন!
সে দিন হয়তো আর বেশী দূর নয়।
বিদ্বেষের তপ্ত দহন ক্রমশই ঘনীভূত হয়ে আসছে,
পৃথিবীর মেল বন্ধনের মাঝে চির ফাটল তৈরী করে দেবে।
—এই দুশ্চিন্তায় কেটে যায় আমার বিনিদ্র নিদ্রা!
ছিন্ন ছাড়ার মতো ছুটতে থাকি সকাল সন্ধ্যা।
হাজার অঙ্ক কষেও মিলছে না হিসেব,
কেনো এতো বৈষম্য এতো বিবাদ?
যাহা হতে উৎপত্তি একদিনতো সেখানেই বিলিন হয়ে যাবো।
সমস্ত অহংকারের অবসান ঘটবে সে দিন,
যে দিন সমস্ত প্রচেষ্টা ধুলোয় মিশে জর্জরিত হবে,
আমরাতো সবাই এক —
কেনো করছি বিবাদ?
অরিন্দম চক্রবর্তী
প্রসেনজিৎ দে
সরীসৃপ বয়স
তোমার বয়স এখন এক(১),
তোমরা সরীসৃপের মতো হেঁটে যাও
বুকের ওপর,
ভেঙ্গে যায় আমার ২০৬ টি শিকড়।
অদম্য চিৎকার ধূলিসাৎ হয় মাটির জলে।
তারা বড়ো হয়,
তাঁরা ছোট ছিল।
আমি দেখেছি চৌ-রাস্তার মুখে
শূন্য জনতার ভিড়,
কিছু আশা ও পরিত্যক্ত অনুভূতি।
আমি দেখি
কারো আর্তনাদ ভিজিয়ে তোলে
সহস্র মায়ের আঁচল।
সমুদ্রের মতো ঢেউরা আসে,
মুছে যায়,
সেই আঁচলের সোহাগ।
রাস্তার মাটি লেপে থাকে
অশ্রু ভেজা ঘামে।
আমার বয়স এখন ষাট(৬০)!
দম আটকে যায়,
আসে অন্ধকার
ঘন অন্ধকার;
আজ আমিও সরীসৃপ!
লিটন শব্দকর
প্রাণেশ দেবনাথ
পিসির পিঠে
দীর্ঘ ৫ বৎসর আগের কথা । আমি যখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়তাম তখন একবার পিসিমনির বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমার পিসুমশাই নেই, তিনি দাদার বয়স যখন ১২ তখন এই পৃথিবী ছেড়ে দূরের অসীম ওই আকাশের উদ্দেশ্যে রওনা দেন । আমার দাদা এমনিতে একটু দুষ্টু কিন্তু মন থেকে খুব ভালো । যাইহোক আমার পিসিমনিই আমার দাদাকে এই সুন্দর ভবিষ্যত প্রদান করল পিশুমশাইয়ের অনুপস্থিতিতে । দীর্ঘ ৫ বৎসর আগে আমি যখন পিসিমনির বাড়িতে গিয়েছিলাম তখন ছিল পৌষ মাস, আর পৌষ মাস মানেই হল বাঙ্গালিদের কাছে পৌষ সংক্রান্তি বা মকরক্রান্তি, আর মকরসংক্রান্তি মানেই হল পিঠের মেলা । আহ্ ...... বলতেই মুখে মিষ্টি রসালো ভাব চলে এলো । আমি যখন পিসিমনির বাড়িতে যাই তখন দেখলাম পিসিমনি আমি যাওয়ার আগেই বিভিন্ন রকমের পিঠে বানিয়ে বসে আছেন । আমি তাদের বাড়ির প্রধান দরজা পেরোতেই আমাকে দাদা এবং পিসি দুইজনই ঝাপটে ধরলেন । পিসিকে প্রনাম করে ঘরে প্রবেশ করলাম । এরপর পিসি আমাকে বিভিন্ন রকমারি পিঠে খেতে দেয় যা পিসি নিজের হাতে সকাল থেকে বানিয়ে রেখেছেন । সরাই পিঠের সঙ্গে খেজুর রস ....... আহ্, কী স্বাদ । তখন অনুভূতিটা এমন হচ্ছিল যেন আমি সেই খেজুর রসে ডুবে যাচ্চি। পাটি সাপটা, গোকুল পিঠে, পুলি আরো কত রকমারি পিঠে যে পিসি বানিয়েছে তা আমি চিনিও না । খাওয়া শেষ করার পরে দাদা বলল " চল ভাই এখন একটু ঘুরে আসি " । পিসিমনির বাড়ির কাছে একটি মাঠ ছিলো ওইখানে দেখলাম ছোটো ছোটো ছেলে মেয়ে ঘুড়ি উড়ানোর প্রচেষ্টা করছে । দাদা একটু দুষ্টু স্বভাবের আমার সাথে রাস্তা দিয়ে কথা বলতে বলতে কখন যে আঁখ খেতে ঢুকে গেলো আমি টেরও পাইনি । ওই আঁখ খেত থেকে দাদা খানিকের মধ্যে আঁখ তুলে এনে একটি অংশ আমাকে দেয় আর বাকিটা নিজে চিবোতে লাগলো । যখন বেলা ২ টো বাজে তখন হল স্নান করার পালা ।সেখানে গিয়েও দাদার দুষ্টুমীর শেষ নেই । আমি যতবার স্নান করে উঠে আসতে লাগলাম ততবার দাদা আমাকে কাদা দিয়ে ভরিয়ে দিতো । শেষমেষ আমাকে রেহাই দিলো আর নিজেও স্নান সেরে বাড়ির পথে রওনা দিলো । অনেক সময় কাটলো পিসিমনির বাড়িতে এবার নিজের গন্তব্যস্থলে অর্থাৎ নিজের আবাসিক বাসভবনে ফিরে যাওয়ার পালা । ভাত খেয়ে যওয়ার কথা বলল পিসিমনি কিন্তু ওইদিন ছিলো ওইদিনের শেষ বাস যেটা ধরতে না পারলে আমার আর বাড়ি যাওয়া হবে না সেইসঙ্গে আমার আগামীকালকের ক্লাসটাও হারানো হবে, যেটা আমি কোনোমতেই হারাতে চাই না । শেষে বাস আসল এবং আমাকে পিসিমনির সকল মায়া-মমতা ত্যাগ করে নিজের গণ্ডিতে ফিরে আসতেই হল । আজকের এই মকরসংক্রান্তির দিনে আমার আবার কথা গুলো মনে পড়ল। জানিনা দাদার ও পিসিমনির কতটুকু মনে আছে কিন্তু আমার পক্ষে ওইসব ঘটনা ভুলে যাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার । বর্তমানে আমি দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠ্যরত এবং দাদাও নাকি টেট পাশ করে শিক্ষকতার কাজে নিযুক্ত হয়েছেন এবং আমার পিসিমনি ছেলের জন্য মেয়ে খুজতে ব্যস্ত আছেন ।
সুজন দেবনাথ
'মোদের গর্ব মোদের আশা
আহ্ মরি বাংলা ভাষা।'
কি অপরূপ রূপ মাধুর্যে
রূপসী বাংলা গড়েছেন চাষা।
যে ভাষাতে এতো সুধা
অমৃত ময়ীর স্নিগ্ধ সুর।
মায়ের কথা শুনলে পরে
সকল ক্লান্তি হয় যে দূর।
মৃত্যুর পরে বাংলার বুকে
মানুষ, যদিওবা হই আবার।
সোনার বাংলা মধুর ভাষায়
জন্মে আসি যেন বারংবার।
গর্বিত আমি এই ভাষাতে
আমরা মা ডাকি এক সুরে।
শত দুঃখেও মনে শান্তি মেলে
প্রিয় বাংলারই এই মধুপুরে।
জীবনানন্দের পল্লি প্রেমে
এই বাংলাই আমার খাঁটি।
মরনেও আমি ধন্য হবো মাগো
নিথর অঙ্গে জড়িয়ে তব মাটি।
সজীব পাল
এক
এখন তুমি চলে গেলে ভালোই হবে
জন্মাবধি দুঃখ আমার সাথেই রবে ।
দুই
কবিতার জন্য সংসার ছেড়েছি ছেড়েছি তোমায়,
শুধু বুকের ভেতর দুঃখের সাগর হবে বলেই।
তিন
এখন আমার অসুখ হলেই তোমায় ভাবি রোজ,
সেই অসুখের হও যদি অ্যান্টিব্যটিক ডোজ!
চার
তোমার কণ্ঠ কি আমার মতোই কাঁপে,
'ভালোবাসি' বলতে গেলেই উঁচু নিচু মাপে?
পাঁচ
এখন যারা দুঃখ দেয় দুঃখ তাদের আমিও দেবো,
হঠাৎ একদিন মরে গিয়েই ওদের কাঁদিয়ে দেবো।
ছয়
আমার সাথে হাঁটতে পারবে কাঁচের উপর?
যে কাঁচ ভেঙেছ তুমি "পারুলের" মতন!
সাত
তোমার চোখটি লাল হলেই ঝাঁপিয়ে পড়ব,
যৌবনের ওই উত্তাপটুকু পাবো বলেই।
আট
যে কবিতা লিখে তাকে তুমি মন দিও?
মনের বদলে কবিতা একটা চেয়ে নিও!
নয়
আমার এখন প্রেমিকা লাগে গভীর রাতে
যার ঠোঁটে চুমু খেলে শিহরণ জাগে !
দশ
তুমি বলবে আমি বলব এইভাবেই হয় না বলা,
'ভালোবাসি প্রিয়তমা ভালোবাসি চন্দ্রমালা।'
টিটু বনিক
সংগীতা শীল
মোহাজির হুসেইন চৌধুরী
শর্মিষ্ঠা চৌধুরী
বিপ্লব গোস্বামী
সোনার শিক্ষা
বর্ণ শিখে ছোট্ট সোনা
মায়ের কাছে বসে ;
বাবার কাছে সংখ্যা শিখে
সোনা অঙ্ক কষে ।
আমার কাছে বসে সোনা
শিখে মজার ছড়া ;
বাবার কাছে গিয়ে শিখে
শতকিয়ার পড়া।
মায়ের কাছে জানে সোনা
কোথায় কোন দেশ,
বাবার কাছে শিক্ষা পায়
যত সৎ উপদেশ।
কাজী নিনারা বেগম
মিঠুন দেবনাথ
কালো মেঘ বৃষ্টি আনে,
গাছ জাগে আপন মনে।
টপটপ বৃষ্টি পড়ে,
থরথর করে পাতা নড়ে।
হঠাৎ বাতাস বইতে থাকে,
গাছের পাতা নড়তে থাকে।
হঠাৎ রোদ,হঠাৎ বৃষ্টি,
দুনিয়াটা এইভাবে সৃষ্টি।
আসে গ্রীষ্ম,আসে শীত,
ছয়টি ঋতু গায় গীত।
মুষলধারে বৃষ্টি হলে,
সব নোংরা নিয়ে যায় নদীর জলে।
আসে ঝড় কালবৈশাখীর বৃষ্টি,
দুমড়ে মুচড়ে মুছেই নতুনের সৃষ্টি।
আসে দুঃখ,কত রোগ,
প্রাণীরা করে সেটা ভোগ।
বেঁচে আছি যত দিন,
সুখ দুঃখ তত দিন।
রূপালী মান্না
নাফিসা খান
অভিজিৎ রায়
সনৎ কুমার কুন্ডু
আজকের এই ভালোবাসা দিবসে
কী নিয়ে তোমার সাথে দেখা করব প্রেয়সি?
কাঁটা মাড়িয়ে গাছ থেকে তুলে নিলাম
তোমার সামনে আসতে আসতে কুড়িটা
একটা পূর্ণাঙ্গ গোলাপে পরিণত হলো
চারিদিকে কি সুন্দর ঘ্রাণ বাতাসে বাতাসে ছড়াচ্ছিল,
হৃদয়ের আবেগে কিছু সময় ধরে তাকে
ভালবাসা দিতেই সে আস্তে আস্তে
পড়ন্ত বেলার মত স্তিমিত হয়ে
বিবর্ণ রংয়ে জীবন সন্ধিক্ষণে....
মুহূর্তে চোখ তুলে দেখি সূর্য অস্তাচলে
চিত্রশিল্পীর তুলিতে মাখানো রংয়ে
আকাশটা যে রঙিন হয়ে যাবার দৃশ্য
অবলোকন করতে করতে দেখি
তুমি প্রেয়সী!
তোমার চিবুক স্পর্শ করে বললাম
''এতদিন পর তুমি''!
আর এই ভালোবাসা দিবসে?
দিন গড়িয়ে রাতে
প্রস্ফুটিত গোলাপ আর পূর্ণিমা চাঁদ হয়ে
বিস্ময়ের বার্তা নিয়ে এসেছ তো??
সুব্রত রায়
বিনয় শীল
সুব্রত দেববর্মা
রামপ্রসাদ কুন্ডু
উর্মি সাহা
মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...
-
আজ আশ্বিনের শেষ কার্তিকের শুরু এই দিনটা বিশেষ ভাবে বিশেষ, বাংলার এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে। জানি না বাংলার বাইরেও এইভাবে বিশেষ হয়ে উঠেছে কিন...
-
মূক ফেনীর মুখর পাঁচালি একটি বহুল প্রচারিত বাংলা প্রবাদ ‘ভাগের মা গঙ্গা পায়না’ ৷ প্রবাদটির মধ্য দিয়ে মায়ের অসহায়ত্বের যন্ত্রণাটিই ব্যক্ত হয়ে...