প্রাক্তন
সেদিন ছিল নবমীর রাত,
চারিদিকে বাজছে ঢাক, ঢোল,কাঁসর, ঘণ্টা,
আর উলুধ্বনিতে মত্ত সবাই,,
মা যেন ক্লান্ত না হয়ে পড়েন,
মাকে জাগিয়ে রাখতে হবে,
সকলে মগ্ন তখন সারা রাত পুজো দেখার তালে,
আমি আর ব্যতিক্রমী কোথায়,
আমিও ছিলাম তাদের মধ্যেই একজন,
সাঁঝের বাতি জ্বলে উঠতেই,
শুরু হলো সাজগোজ,
পরনে নীল রঙের চুড়িদার,
কপালে টিপ আর খোলা চুল,
বেড়িয়ে পরলাম বর্তমানের হাত ধরে,
এক পা দু পা করে পেড়িয়ে গেলাম খানিকটা পথ,
একগুচ্ছ গল্পরাশি ছিল আমাদের যাত্রার সঙ্গী,
চলতে চলতে যখন দুজনেই ক্লান্ত,
যখন পা গুলো হলো অসাড়,
তখন হঠাৎ আমার বাঁ পাশটা ঘেঁষে কে যেন গেল,
মনে হলো সে আমার বহুকালের আপন,
ফিরে তাকাতেই দেখলাম সেই ভুলে যাওয়া মুখটা আমার সম্মুখে দাঁড়িয়ে,
হ্যাঁ, চোখে চোখ পড়ল বটে,
জানিস, সেদিন আমার চোখ দুটোতে ছিল বহু জিজ্ঞাস্য চিহ্ন,
কিন্তু তুই তখন আমায় এড়িয়ে যাওয়াতে ব্যাস্ত ছিলি ভীষণ,
বুঝলাম, যুদ্ধে আমাকে পরাজিত করেও তুই খুশি হোস নি,
আর আমি সেই যুদ্ধ সৃষ্টির কারণ খোঁজাতেই ব্যাস্ত ছিলাম,
হঠাৎ ডান হাতে টান পড়ল তখন,
মন বলল, ভুলে যা এবার ওকে,
ও যে তোর প্রাক্তন ।
No comments:
Post a Comment