Saturday, September 12, 2020

গৌতম দাস

এই দিন আসছে

অন্ধকার প্রিয় মানুষজন অন্ধকারই ভালোবাসে।
জ্ঞানের আলোতে তারার উল্টি আসে।
নাতির বেলায় বড্ড জল 
নাতনির বেলায় গা মুছে ঘরে চল।

বাবুরার  দাঁত মাজার ফাঁকে
জল চলে নিজ পথ এঁকে।
জলের মৃত্যুতে পাড়া যখন শূণ্য।
ওরা চিৎকার শুনে না হেডফোনের জন্য।

ভদ্র বাড়ির অন্নপ্রাশনটা হল পন্ড
জলের অভাবে ঘটল এই কান্ড।
টাকার কুমীর ও বিছানা আছে যত
পাড়ায় পাড়ায় জল নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে শত শত।

হবু বরের একমাত্র পণ-
একশ লিটার বিশুদ্ধ জল।
শত চেষ্টার পরও কনের বাবা হল বিফল।
সোনা,রূপা চায় না বর
বিয়ে হবে সেখানেই যে দেবে খাবার জল।

আধুনিক যুগের বর্বরতা
ভুলে যাচ্ছে জলের মর্মকথা
অপচয়ের জগতে এতই মশগুল
শুকনো খাবার খেয়ে দিচ্ছে ভুলের মাশুল।
তিন দিনের স্নান চলে এক বালতি জলে
এটাও জোগাড় হল বহু কষ্টের ফলে।

ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাঁচাতে চাও যদি ভাই
কাজের ফাঁকেও চলো জলকে বাঁচাই।
জীবন নিয়ে যারা হেলার ভেলায় ভাসছে।
চিন্তার কারণ নেই এই দিন আসছে।

No comments:

Post a Comment

অনুপম রায়

সতেরো বছর পর সতেরো বছর পর কি অবসাদ সেটা ধারণা না থাকাই ভালো। যাদের তুমি রেখে গেছ আমাদের হয়ে, তারা এখন উন্মাদ শহরের এক কোণে বসে শ্বাস নেয়। জ...