Tuesday, October 9, 2018

শান্তনু চক্রবর্তী

হ্যাপাজারড কনভারসেশন উইথ শ্যাডো

এই এত এত কথা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে চারপাশে। চারপাশে এলোমেলো শুয়ে আছে কথার গন্ধ। কই আমি তো যেতে চাইনি ওদের পাশে! ওরা ছুটে আসে মনে হয়। দোষ ভাগাভাগির পর যে বিকেলটা একা পড়ে থাকে তার পাশ দিয়ে যেতেই সে বলে উঠে কিছু রঙ আর গন্ধ। ঠিক এমনই এক রঙ আর গন্ধের নাম চুলা। আমাদের বেড়ে উঠা থেকে শুরু করে শেষ অব্দি নিঃশব্দে যে নিজেকে পুড়িয়ে চলেছে। আসছে শীতকালে আবার সে আমাকে মনে করিয়ে দেবে ছেলেবেলা। কাঠ পুড়িয়ে ছাই তৈরী করে। প্রকৃতিকে সে পোড়ায়। মানুষও এই প্রকৃতির অঙ্গ। আমাদের আশা, ভালোবাসা, ঘৃণা, অহংকার সব এক করে যে দেয় তাকেই চুলা বলে। মুক্তির দোসর সে।

মনের ভাব অর্থপূর্ণভাবে বলাকেই ভাষা বলে। ভাষার চলাচলের জন্য তৈরি হল মোবাইল। আর আজ সেই ভাষার লেনদেনের মত লোক নেই। এখন ভাষা আঙুলে থাকে। থাকে কিপ্যাডের ফন্টে। অনেকভাবের জন্য একটা চিহ্ন। ইমোশনগুলোও কেমন যেন সমগোত্রীয় হয়ে চলেছে। একলা বিকেলে আর ওরা পায়চারি করে না। কোল বালিশের শীতঘুমও ওদের কাছে অজানা। এখন ভাষা আছে, আছে মোবাইল, আছে দু দুটো লোক তবু তারা কথা বলে না। শুনলাম ফনেটিক্স নাকি এখন হাতে ঘর করেছে।

যাকে এই কথাগুলো বলছি সে কিন্তু ফিরিয়ে দিতে পারবে না আমাকে কিছু। সে বোবা। ওর ভাষা নেই। ঠিক যেমন মূক বলেনা কিন্তু কথা ওর ভেতরেও আছে। ও গন্ধ আঁকে একাকী। ছায়ায় ওর বাস। সে ছায়াতে কালো রঙ দিয়ে অবিরত এঁকে চলেছে গল্প। আমিও মাঝে মাঝে ছায়া সেজে যাই সে গল্পে কান পাতব বলে। ছায়ার অন্ধ প্রদীপ শূন্য পানে চেয়ে আছে যে।

যে মহিলা বটতলার বাজারে বাতিল কাগজ আর প্লাস্টিক কুড়োয় তার কাছে পূজো মানে একটু বেশি অর্থ। সে পরিত্যাক্ত জিনিস দিয়ে সাজাতে শিখেছে সংসার। মানুষ কেনে আর হা চোখে দেখে থাকে কখন লোকেরা বাড়তি বোঝা মনে করে কাপড়ের প্যাকেট কিংবা ব্যাগটা ফেলে দেবে। টুক করে উঠিয়ে নেবে সে আর ছেলে কিংবা মেয়ের মুখে হাসির দাগ করবে আরেকটু প্রসারিত। এভাবে যে লোকটি বাঁচে তারও কথা আছে আছে একটি দৃশ্যত সুনীল অন্ধকার আলো যা টুনি বাল্ব আর রাস্তায় সাজানো ঝকমকি থেকেও অনেক বেশি উজ্জ্বল।

এই কথাগুলো হয়ত না বললেও হত কিন্তু একটা ছায়া আমাকে দিয়ে এসব লিখিয়ে যাচ্ছে যার হদিশ আমি গুগল সার্চ করেও পায়নি।

No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...