Wednesday, October 17, 2018

খোশনূর

নদী-পাহাড়-আমি

এদিকে নদী ওদিকে পাহাড়
বসলাম নদীর তীরে গাছের ছায়ায়
পাখির কলরবে বিকাশ আনন্দের
ছায়াচ্ছন্ন আমার স্তব্ধতা এখানে
পরিণত কাব্য ; বিচিত্র ভঙ্গিতে এক ঢেউ
অন্য ঢেউকে ছুঁয়ে যায় চলার রূপরেখায়
কালের জলছবি স্তরে স্তরে যেনো
আদি অন্তের ইতিবৃত্ত খুঁজতে ছেয়েছি
নদী গল্প করবে মনে হলো
নদীর গান শোনা হবে
জানি না কখন কবে নদীর সময় হবে
পাহাড় সবুজ অরণ্য বুকে ডাকলো মনে হলো
কাছে যেতেই রুমঝুম ঝংকার শুনলাম
দেখি ঝকমকে ঝর্ণা চঞ্চল
বালিকা হয়ে নেচে নেচে ছুটছে
পিছু না দেখেই;
মধুর যৌবনে মোহিনী
ঊষসী অতন্দ্র প্রজ্ঞাদীপ্ত ঝংকৃত লয়ে
স্তব্ধ পাহাড়, গেরুয়া পথ জানা-অজানা
বৃক্ষলতা রকমারী ফুল হাওয়ার দোলা
ভাবনার সাঁকোতে আলোর আখর
ঘনশিখরে নিঃসঙ্গের প্রহরী অনন্ত
প্রপাত দেখে শৌখিন অমনোযোগে
শিল্পের বিলাসী উপকরণ কুড়িয়ে নিলাম
এখন নদী, পাহাড় আর আমি
ক্রমাগত একাকার হবো।

No comments:

Post a Comment

দুলাল চক্রবর্তী

চির অমর রবে  . কাশ্মীরের মনোরম পর্যটন কেন্দ্র  পহেলগাঁও -- পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকে।  অনেকে গিয়েছে সেদিন  কেউ কি জানতো ছাব্বিশটি তাজা প...