ধূসর আলতায় দূর্গা
ছন্দেরা সব নিজের মতো উড়তে থাকে
কেউ শব্দ হয়, কেউ পাখি হয়
কেউ কুয়াশাভেজা মাঠ হয়,
কেউ আধভাঙা ঘর, সব ভাঙা প্রেম হয়।
শারদীয়ার আগমনের খুশিতে
ঝড় উড়িয়ে নিয়েছে ঘরের চাল।
কুয়াশাস্নিগ্ধ সকালে বাইরে বসে
হাফরুটি ভিজিয়েছি চায়ে।
বাবার ঘামে ভেজা উঠোনে প্রবেশ করে,
ধূসর রাঙা পায়ে মা দূর্গা।
দাঁড়িয়ে আছে মাটিতে মা-সকল
লজ্জা ঢাকতে লজ্জা পাচ্ছে,
আঁচলে মোছা সিঁথির সিঁদুর, ছেড়া মেঘের কাপড়ে গিঁট।
লক্ষ্মীর চুল এলোমেলো, জামা ছেঁড়া
সরস্বতী বোবা, কথা বলতে পারে না।
কার্তিক বিকলাঙ্গ, মাথা বেঁকে আছে পাশে।
গনেশ অপুষ্টিতে ভুগছে, করুন চেহারা।
চতুর্দিকে ঢাকের দামামা আওয়াজ,
সমস্তই ভোঁ ভোঁ।
বাবা কিছু খেতে দেবে !
আজ দু'দিন হলো কিছু খাইনি !
আমার নীলকন্ঠধারী শিব
ফুটপাথের মর্গে শুয়ে আছে,
ময়নাতদন্তের জন্য অপেক্ষা করছে
উনার লাইনবন্দী লাশ !
টুক করে খাঁচা থেকে বেরিয়ে
একটা টিয়া
ভাগ্য গণনা করে দিচ্ছে আমাদের ।
পূজো শেষে এখন হরিবোলের জায়গায়
বলোহরির রমরমা।
আমি ওসব পূজোপাঠের মধ্যে নেই।
বাবার ঘামে ভেজা উঠোন
দেহ পেতে রাখে।
দূরে, অদূরে, ঘরেদুয়োরে
শাঁখ বাজছে, ঢাক বাজছে
একের পর এক।
ছন্দেরা সব নিজের মতো উড়তে থাকে কেউ শব্দ হয়, কেউ পাখি হয়,
কেউ কুয়াশা ভেজা মাঠ হয়,
রাহুর মাথার চালে ঘাড় কাত করে আছে
ধর্মের কল।
No comments:
Post a Comment