Saturday, July 21, 2018

সামসুন্নাহার ফারুক

আষাঢ়ীর অর্কেষ্ট্রা

অফিস থেকে ফিরে চায়ের কাপটি ঠোঁটে ঠেকাতেই ছুটে এলেন মা . .."কেমন দুর্দান্ত লয়ে দেখ নেমেছে আষাঢ়  ...এমন সময় কেউ ঘরে বসে থাকে ? ছাদে যাও  ...এনজয় কর "। মায়ের কথায় চায়ের কাপ ফেলে পড়ি মরি করে ছাদে ছুটে গেলাম আমি আর মৌ। সে এক অভাবনীয় দৃশ্য। প্রায় চার হাজার স্কয়ার ফিটের ছাদটা পানি জমে পুকুর ...আর সেখানে চলছে ঝুম বৃষ্টির খেলা। শালিক, বুলবুলি, চড়ুই, কাক আরও কত ধরনের পাখী মনের আনন্দে যার যার ভাষায় সঙ্গীকে ডাকছে  ...পানি ছিটাচ্ছে  ...নাচছে  ...গড়াগড়ি কোরছে। অপরূপ এই দৃশ্যে স্থির থাকতে পারলাম না। নেমে গেলাম আমি আর মৌ। ভিজতে ভিজতেই মৌ উঁচু স্বরে গেয়ে উঠলো ... " মন মোর মেঘের ও সঙ্গী ...। আমিও গলা মেলাচ্ছি আর দুজনে ভীষণ ভাবে উপভোগ কোরছি আষাঢ়ীর সুমধুর এই অর্কেষ্ট্রা।

কিছুক্ষণ ভেজার পর শীত শীত লাগতেই দুজনে ছাদ থেকে নেমে এলাম। ঘরে ঢুকেই শুনতে পাচ্ছি চমৎকার গান ভেসে আসছে বাবা মার বেডরুমের ব্যালকনি থেকে। তাকিয়ে দেখি বৃষ্টির হাত ধরে উনারা ফিরে গিয়েছেন তুখোড় যৌবনে। দুজনে তন্ময় হয়ে গেয়ে চলেছেন ... "আজি ঝরঝর মুখর ও বাদল দিনে
জা ...নি ... নে জা ... নি--- নে ... "

No comments:

Post a Comment

দুলাল চক্রবর্তী

চির অমর রবে  . কাশ্মীরের মনোরম পর্যটন কেন্দ্র  পহেলগাঁও -- পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকে।  অনেকে গিয়েছে সেদিন  কেউ কি জানতো ছাব্বিশটি তাজা প...