Friday, July 20, 2018

ড. উমাশঙ্কর রায়

জীবন থেকে ধার নেওয়া


ইস্ - স্বপ্নগুলোর কোনো জাত নেই ! কিন্তু বে-জাত বলি কী করে ! কেননা জাতের দেশে, জাতের ব্যবসায়, তাদের যে রমরমা ! দারুণ চাহিদা !

তাছাড়া ইদানীং হাইব্রিড স্বপ্নগুলো ফলছেও ভালো। তাতে ইচ্ছায় হোক, আর অনিচ্ছায় হোক, স্বপ্নগুলো নানাবিধ ঝোলায় ঢুকে পড়ছে টপাটপ। ওরাই এখন সামগ্রী। বিকোতে হবে তাই।লেনদেন হলে পরে- ওরা চোখে বাসা বাঁধবে।তারপর চোখ যখন ঢলে পড়বে নিদ্রায় - তখন ওরা স্বাধীন হবে ! আহা! স্বপ্ন স্বাধীন হবে তখন !

কিন্তু সমস্যা যে অন্য জায়গায়।স্বপ্নগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রপ্তানী হয় ঐ নেইয়ের দেশে ! নেই বাজারে ! তাই কাড়াকাড়ি। ঠেলাঠেলি।মারামারি।সেই সুযোগে ঢুকে পড়ে ওরা আমজনতার চোখে।যাদের নেই- তাদের মনে। তাদের চোখেই ওদের ঠাঁই হয়ে যায় পাকাপাকি !

এমনটা হলেও খারাপ ছিল না।স্বপ্নে স্বপ্নেই ভরে যেত দেশটা।ভেসে যেত ওরা।নৌকো বিহার হতো দিব্যি ! তা-ও যে হচ্ছে না।শুধু একটি মিথ্যে কথা। মানে, যাদের কিছু নেই - তাদের দিকে কেউ তাকায় না।একেবারেই ভুল।বরং যাদের আছে - তারা সবসময়ই তাকিয়ে থাকে তাদের দিকে - যাদের নেই। সেই তাকানো সোজাসুজি নয় অবশ্যই। তারা সবসময়ই তাকায় নীচের দিকে। ঈগলের মতো।তাতে ঐ সাম্রাজ্যের স্বপ্ন পাখীরা উড়তে গিয়ে ভয়ে মরে।ডানা মেলতে পারে না যথেচ্ছ।গাইতে পারে না আনন্দে।

আসলে নেই সাম্রাজ্যের স্বপ্নেরা ডানা মেললেই ঘটে - বিপত্তি। ওদের যে আছে এক নিয়তি ! ওরা যে শুধু থাকবে সযত্নে খাঁচায় বন্দী ! নানা রঙের - নানা মাপের খাঁচায় !

এই সভ্যতায় স্বপ্নগুলো যে আর লালিত হয় না ।পালিত হয় বটে ! বিভিন্ন কায়দায়। বিভিন্ন ভাষায়।দেখার বিষয় এই - সেই কায়দাটা কার ।

No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...