Thursday, December 24, 2020
সম্পাদকীয়
মোহাজির হুসেইন চৌধুরী
সুমতি দেবনাথ
রুবেল হোসেন
শাহেলী নমঃ
সংগীতা দাস
অমিত রুদ্র পাল
সুমিতা স্মৃতি
স্বপ্ন আমার অনেক বড়ো, অনেক বড়ো আশা
জানি স্বপ্ন পূরণ হবে, আছে মনে ভরসা।
দুর্বল আমি নই হে স্বপ্ন, আছে বুকে বল
তাই আমার বিশ্বাস হব একদিন সফল।
স্বপ্ন আমায় ঘুমোতে দেয় না, জাগিয়ে রাখে সদা
স্বপ্ন পূরণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাই সর্বদা।
জানি আমার স্বপ্নের রাস্তা এতটা সহজ ও নয়
তবুও আমি লক্ষ্যে পৌঁছাব আছে এই প্রত্যয়।
স্বপ্ন'ই মানুষকে জীবিত রাখে, জাগায় প্রাণে প্রাণ
স্বপ্ন ছাড়া মানুষের জীবন মৃত্যুর সমান।
জগন্নাথ বনিক
সুজন দেবনাথ
একমুঠো স্বপ্ন নিয়ে নেমেছি পথে,
বাস্তবতার ভিড়ে পূর্নতা পাওয়ার আশে।
মনে হয়,,
কুল হীন সমুদ্রের ঢেউয়ে ভেসেই চলেছি
একাকিত্ব আমি, কেউ নেই পাশে।
অসহায় অনুভব করেছি অনেক
কেটেছে জীবন একা।
চলতে পথে মিলেছে কত, ভেবেছি আপন
স্বপ্ন ভেঙে হৃদয়াতুর হলো।
আলো ভেবে আলেয়ার পিছে
ছুটেছি বহুকাল,
অবশেষে দেখি সব স্বার্থান্বেসির পাল!
নিস্বার্থে ভালোবেসেছি,
দিয়েছি মন উজার করে,
দু-হাত ভরে করেছি গ্রহণ সবাকার করুনা।
অবহেলায়, তাচ্ছিল্যতায়
একটা একটা করে কখন যে,
আমার মুঠোভরা স্বপ্নরা হারিয়ে গেলো
বাস্তবতার ভিড়ে বুঝতেই পারলাম না।
পিছন পানে তাকিয়ে সেই ভিড় থেকে
হাড়ানো স্বপ্ন কুড়িয়ে নেবার সাহস হয়নি,
মেটেনি সেই আশা দু-চোখে কুয়াশা,
আর স্বপ্ন নয় বাস্তব নিয়ে বাঁচা এবং
বাঁচানোর তাগিদেই চাই
এক নব উন্মুক্ত আলোকিত সূর্যোদয়।
জীবনের চরম শিখরে পৌঁছাবার বৃথা চেষ্টায়, শূন্যতার পথপ্রান্তে দাড়িয়ে আজও
কাজী নিনারা বেগম
গৌতম দাস
কাউচার খান
সঞ্জয় দত্ত
ঈশিতা পাল
মোঃ রুবেল
সৌরভ শীল
বর্ষা দে
মনচলি চক্রবর্তী
শান্তনু নমঃ
প্রতিকুল তুমি,গোপনে কপাটে
যেই জঠরে করেছে ধারন,
কুলে ধরেছে 'মা'।
সেই জঠরে প্রতিদানে তুমি,
মেরেছ আঘাত 'পা'।
যে কুলেতে রেখেছ মাথা,
করেছ দুগ্ধ পানl
পেল তার প্রতিদান।
যে যুগে বন্দি শিখলে নারী
পরে থাকত, শত শত।
বন্দি দ্বারের রক্তে লেখা,
হয়েছে ইতিহাস
ভাঙো নারী ঐ শিখলখানা
ধরো তুমি,নারীসাজ।
সাম্যের যুগ,
নর পরবে আজ বন্দিশালায়
কর্মের বৃক্ষে ধরিবে ফল,নির্মম পরিহাস।
পিংকী দাস
নদীর ধারে পাহাড়ের গায়ে অরণ্যের শূন্য বুকে
অবাঞ্ছিত অনাকাঙ্ক্ষিত রূপেই
দুটো সরু পাতা জুটি নামহীন আগাছা।
পথিকের চোখে আমার সৌন্দর্য মূল্যহীন,
বিধাতার চরনে নেই কোন স্থান।
প্রেমিকার হাতে প্রেমের উপহার আমি নই,
অযত্নের তিক্ততায় বেড়ে উঠা।
প্রকৃতির মাঝে আমি আগন্তুক অতিথি,
মানবের উদ্যানে আমার প্রবেশ নিষিদ্ধ
আমার সৃষ্টিই ধ্বংসহেতু , প্রানের মোহ বৃথা ।
আমার নেই কোন অধিকার ,
অবহেলিত, নিষ্পেষিত তুচ্ছ জীবদ্দশা।
প্রসেনজিৎ দে
শিখে গেছে বেঁচে থাকা কাকে বলে।
রোজ ভরসা'র পাত্র হাতে দাঁড়িয়ে থাকে।
দাঁড়িয়ে থাকে একই জায়গায় চাতকের মতো।
অপেক্ষার অবসান ঘটলে দুটো পোড়া রুটিতে সুখ খুঁজে নেই।
রাস্তার পাশে ড্রেনের জল গুলি হেসে বয়ে যেতে দেখা যায়।
এখন আর ব্যর্থতার অনুভূতি হয় না তার।
সেও বুঝে গেছে কারো না কারো কাছে তার মূল্য অপরিসীম।
সূর্যের আলোয় দগ্ধ হতে হতে,
রাস্তা গুলিও হঠাৎ কেঁদে উঠে,
ক্ষত হয়ে যাওয়া উলঙ্গ পা জোড়া বুকে জড়াতে।
রাস্তা প্রতিনিয়ত উদ্বাস্তুদের নিয়ে চলছে।
আজ সেও নিজেকে উদ্বাস্তু বলে দাবী করছে।
সংগীতা শীল
দিপিকা রায়
রাজীব পাল
আক্তার হোসেন
বধুয়া তোমাকে
তোর মেঘলা চোখে বন্ধু আমি
এখনো তাকিয়ে থাকি,
তোকে নিয়ে মনের গহীনে
হাজারো স্বপ্ন আঁকি।
অনেক বছর পেরিয়েও আজ
নতুন প্রেমে পড়ি,
ইচ্ছে জাগে পাখির মতো
আকাশেতে উড়ি।
বন্ধু তুই এতো মায়া
জানিস কেমন করে?
প্রতিটা ক্ষন আমার শুধু
তোকেই মনে পড়ে।
তোর মনেতে করিস বন্ধু
কোন ফসলের চাষ?
আমার মনে শুধু বন্ধু
তোরই বসবাস।
তোর মায়াতে পড়লে আমি
জগৎ ভুলে থাকি,
সকাল সন্ধ্যা ক্যানভাসেতে
তোরই ছবি আঁকি।
বন্ধু আমি তোকে ছাড়া
কেমনে ঘুড়ি উড়াই,
সারাটাক্ষন আমি শুধু
তোকেই খুঁজে বেড়াই।
আলমগীর কবির
সোনাই সরকার
বন্ধুত্ব
বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে একত্রে মিলে কত না কথা।
একটু দেরি হলেই যে বলত তারা কালকে থেকে যাস একা,
আবার ও পর দিন আমার জন্য করত অপেক্ষা।
প্রেম করতে রয়ে থাকে বন্ধুদের বড়ো অবদান ।
বন্ধু ছাড়া প্রেম করা "নো চান্স "।
যদি বলি আজকে আমি প্রেম করতে যাব ক্লাস দিয়ে পাঁকি।
বলত তারা তুই প্রেম কর তোর আবার ক্লাস করতে হবে না কি ।
তুমি তাদেরকে না বললেও বুঝে নিভে তোমার মনের ভাব ।
তোমাকে দেবে না কখনও খুশি অভাব ।
দুষ্টুমি করতে করতে পার করে আসলাম বিদ্যালয় জীবন ।
প্রথম দিকে কলেজ জীবনের লাগত না মন।
কিছু কিছু বন্ধু রয়ে গেল কাছে
কিছু বা চলে গেল দূরে,
কিছু হয়েছে বন্ধু নতুন করে ।
কিছু বন্ধুর হয়েছে বিয়ে কিছু আবার পড়েছে প্রেমে
আস্তে আস্তে বন্ধুত্ব গেল ভেঙে ।
নতুন কিছু বন্ধু পেয়েছি দিব্যি মজার বন্ধু গুলি।
বকলে ও রাগ করে না , সবাই মিলে থাকি খুশি।
তোদের ছাড়া মোর জীবনে নেই কোনো মূল্য ।
তোদের দিয়ে ই আমার জীবন নতুন করে পেয়েছে জন্ম ।
অভিজিৎ রায়
পূজা মজুমদার
জবাব দেহি
চেঁচাতেই হবে এর কোনো মানে নেই
নীরবতাও তো একধরণের ভাষা।
যে বোঝে, সে বোঝে। না বুঝলে ছেড়ে দাও।
কবিতার কাছে নতজানু হয়ে আসা।
অসুখের মতো সময়হীনের স্রোত
ছড়িয়ে গিয়েছে উদাসীন মৃদু হাসি।
প্রতিশোধহীন রক্তের স্রোত ছুঁয়ে
আমি যেন খুব শান্ত থাকতে পারি।
শাশ্বত চক্রবর্তী
সজীব পাল
রই আমি রোদের ভেতর দেখি কই আর চাঁদ?
চাঁদের আলোর ভেতর কান্দে কত মানুষ -
তাদের চোখেও একটু রোদ আসুক!
যেমন করে নারীর ভেতর মা আসে,
অথবা শিশির সকালে
শিউলি সুবাস ভাসে ।
আমাকে প্রায়ই যাযাবর পাখিরা বলেন,
'কেমন করে একলা খুশিতে মাতেন?'
সমস্ত সবুজ ঘাসে রক্ত মেখে
যারা দুমুঠো ভাত খান -
ইচ্ছে করে মন্দিরে ধর্মগ্রন্থ পুড়িয়ে
ওদের জন্য কিছু সুখ রান্না করি ।
এখন সমস্ত বেলা শেষে যখন
গৃহে ফিরে আবার প্রিয়তমার শরীরে লিপ্ত হই,
বিশ্বাস করুণ পৃথিবী তখন আমার
কঠিন পাথরের মতো লজ্জা লাগে ।
বিশ্বাসঘাতকতার আগুনে
নিজেকে অদ্ভুতভাবে নিজের ভেতর পুড়িয়ে দেই।
তখন কোথাও লুকাবার মতো এতটুকু
আশ্বাস কিংবা স্থান পাই না ।
স্নেহাশীষ রায়
এলিনা সাহা
লিটন শব্দকর
সঙ্গীতা নাথ
সোমেন চক্রবর্তী
রাজীব মজুমদার
অমিত সরকার
বিনয় শীল
অভীককুমার দে
অশোকানন্দ রায়বর্ধন
উর্মি সাহা
মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...
-
আজ আশ্বিনের শেষ কার্তিকের শুরু এই দিনটা বিশেষ ভাবে বিশেষ, বাংলার এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে। জানি না বাংলার বাইরেও এইভাবে বিশেষ হয়ে উঠেছে কিন...
-
মূক ফেনীর মুখর পাঁচালি একটি বহুল প্রচারিত বাংলা প্রবাদ ‘ভাগের মা গঙ্গা পায়না’ ৷ প্রবাদটির মধ্য দিয়ে মায়ের অসহায়ত্বের যন্ত্রণাটিই ব্যক্ত হয়ে...