Friday, February 21, 2020
সম্পাদকীয়
প্রীতম শীল
পরিতোষ সরকার
আমি চাই না
আমি চাই না তোমার সেই ভালোবাসা
যে, ভালোবাসা শুধু আফিমের গন্ধ
আর নিকোটিনের ধোয়া মেখে রাখে।
কি হবে সেই মিথ্যে ভালোবাসায় জড়িয়ে?
শালিকের মন তৈরী হওয়ার আগেই যদি
দেহ মারা যায়, তাহলে কে করবে
প্রেমের সঞ্চার?
গোটা বছর লাঙল করা মাঠে
শস্য রোপণ না হলে সমাজ তাকে
বন্ধ্যা বলেই মানে।
কি হবে আমার ভালোবাসাকে বন্ধ্যা করে।
পাবে কি কিছু তুমি?
কিছুই পাবে না।
এক অমসৃণ স্মৃতির কড়াজালে
আটকে যাবে তুমি, শ্বাস বন্ধ হয়ে আসবে;
তবুও ভাঙতে পারবে না মরিচার মতো
ফুলে উঠা সেই স্মৃতির কড়াজাল।
তখন তুমি কাঁদবে, কেঁদেই যাবে
আর অশ্রু ঝরবে আমার।
সুজন দেবনাথ
বসন্ত
বসন্তের ঐ কোকিল ডাকে
আয়রে ছুটে আয়
গাছে গাছে সবুজ জামা
ফুলে রাঙা গা'য়
রঙ বেরঙের প্রজাপতি
উড়ছে কত আজ
সেজেছে আজ নতুন রঙে
বসন্ত ঋতু রাজ
নতুন গাছে নতুন শাখে
বাঁধছে পাখি বাসা
মুগ কলাই আর কতকিছু
চাষ করছে চাষা
চারিদিকে আজ কত ফুল
লতায় পাতায় ভরা
মনমুগ্ধকর প্রকৃতি আজ
যেন ভুবন মনোহরা।
অনুপমা দেবনাথ
সংগীতা দেব
Thursday, February 20, 2020
অনুপম দেব
গুণই পারবে
মানুষ আজ বড্ড আমি প্রিয়
নিমজ্জিত আপন বাহারে,,,
রূপের মায়া আর অর্থের খেলা
ভর করেছে তাহারেl
ভুলে আজ সব সামাজিকতা,,
ধন প্রাপ্তিতে তার সব ব্যকুলতাl
দিনরাত শুধু রূপ আর ধনে বরাই
ভুলে গিয়ে গুনের কথাl
হয়তো ভুলে যায় সবাই
ক্ষণস্থায়ী এই রঙ্গিন বিলাসিতা,,,
জেনেও আজ চায় না তারা
গুণের কদর করতে,,
ইতিহাস সাক্ষী আছে যে
গুণই পেরেছে সমাজের হাল ধরতেl
কল্যাণব্রত বসাক
দিপ্সী দে
বিপ্লব দে
অভ্রজিৎ দেবনাথ
প্রণব দাস
অভিজিৎ রায়
বিনম্র মেয়ে
মিষ্টি হাঁসি মুখে লাল শাড়ী পরে গেলে মাতা বাড়ী।
শত কষ্টের মাঝে তুমিই যে সংসারের মূল কান্ডারী।
যেখানে যাও সেখানে তুমি নিয়ে যাও পুজা দিদিকে।
পুজা দিদিও যে তোমাকে সময় দেয় কাজের ফাঁকে ফাঁকে।।
ছোট থেকে কত কষ্ট করেছ নিজেকে একটা জায়গাতে আনতে।
তাইতো অন্যায় কে সহ্য করতে পারো না কোনো জায়গাতে।
কষ্ট হলেও মেনে নাও এটাই হলো জীবন।
তাইতো এখনো ওর জন্য কাঁদে তোমার মন সারাক্ষণ।
কি বলে বুঝাব তোমায় ছেলেরা অনেকটা এমন।
সে হয়তো বুঝলো না আদও তুমি কেমন।।
বুঝবে ও সেইদিন যেদিন থাকবেনা ওর জীবনে তুমি।
তোমার জন্য ভালো কাউকে দেখে রাখলো হয়তো অন্তর্যামী।
ভুল হলে মাপ করো পারিনা লিখতে।
তোমাদের দেখে বাঁচতে শিখি পারিনা স্মৃতি ভুলতে।
সুধীর দাস
প্রীতম ভৌমিক
দেবব্রত চক্রবর্তী
১৪ই ফেব্রুয়ারী ২০১৯
গোলাপ দেবো
অপেক্ষার এপ্রান্তে আমি!
'ছ'বছর পর বলবো আজ
'ভালোবাসি তোমায়'।
১৪ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯
আমার ভ্যালেন্টাইনস ডে;
এক প্রান্তে ভালোবাসার উষ্ণ বাতাস
অন্য প্রান্তে তোমার ভালোবাসা।
যতক্ষণ গোলাপের কাঁটায় ;
রক্তিম আমার মুষ্টি বদ্ধ হাত ,
ততক্ষণেই দুর সীমান্তে,
আমার নিথর দেহ ছিন্নভিন্ন।
আমার ভালোবাসা অপ্রকাশিত রইলো
শহীদ পুলওয়ামা'য়।
ধন্যবাদ
যমুনা মজুমদার
সুচিত্রা দেবনাথ
চৈতী দে
শীতের বরণ
শিশির ভেজা ভোরের আকাশ
সূর্যের হাসির মিস্টি আভাস।
মিস্টি রোদের নীল আকাশ
দিচ্ছে ডাক অজানা উচ্ছ্বাস।
শিশির ভেজা ভোরের আলো
মন করেছে এলোমেলো।
শীতের বুড়ির স্নিগ্ধতায়
মন কেড়েছে মুগ্ধতায়।
সময় যে হলো এবার
জেগে ওঠো গৃহী আবার।
লাঙল গরু হাল ধরে
কৃষক যাবে মাঠের ঘরে।
ঋতু রানি হেমন্তে
বিদায় জানাই আনন্দে।
শীতের প্রভাত এমন রুপ
দেখতে লাগে বড় সুখ।
পিঠে, পায়েস, নারকেল, গুড়
খাবার হবে রং-মধুর।
মিস্টি খাবার মিষ্টি আলো
লাগছে মনে বেশ ভালো।
জমকালো রঙিন পোশাক
পৌষ আমায় দিচ্ছে ডাক।
আগমনীর গানের সুরে
তোমায় নিলাম বরণ করে।
নতুন শাকের গন্ধ ছুঁয়ে
সবজি বলে আমার বিয়ে,
কৃষক এবার যাবে নিয়ে।
বিদায় মোরে দিও হায়
আমি ফের আসব ঠাঁই,
সবাই থেকো অপেক্ষায়।
অজয় মিত্র
ছাত্র
আমরা ছাত্র
আমরা নতুন ভোর
আমরা আনবো নতুন ভোর
করবো জগতের ভালো
আমরা ছাত্র।
আমরা ছাত্র
আমরা হলাম প্রবীন গানে
নবীনের সুর
করবো সমাজ পরির্বতন
তা নয়কো বহু দূর
আমরা ছাত্র।
আমরা ছাত্র
ঝরাবো রক্ত
হবো শক্ত
করবো যুদ্ধ জয়
আমরা ছাত্র।
কৃষ্ণ শীল
সজীব পাল
ঘরে কোনো আরশি না থাকলে বোধহয় ভালো হত।মানুষ ওই আরশিতে তাকিয়ে নিজেকে কত সহজেই আরশিনগরের মানুষ করে তোলে । মুখে ভেংচিকাটে,হাসে, ও শরীরটারে কত যত্ন করে দেখে। যেন আয়নার ভেতরের ওই মানুষটা অন্য কেউ,যাকে ছুঁয়া যায় না অথচ ভেতরের সবটা দিয়ে অনুভব করা যায় ।
নয়ন সারাটা দিন নিজের ঘরেই বসে থাকে । খাওয়ার সময় খায়,আর বাকি সময় বই ,কখনো কখনো বাঁশিতে বেসুরের সুর, ইচ্ছে হলে গল্পে হাতপাকায় । এইটাই তার জীবন । এর বাইরে সে কখনো ভাবতে পারে না। যেন একাকিত্ব তাকে গ্রাস করতে আরম্ভ করেছে।
সেদিন ছিল কুয়াশার আকাশ ।এবং হার স্পর্শ শীত। নয়ন কলেজ ক্যান্টিনে সিগারেট ধরিয়ে আঙুলের ফাঁকে রেখে দিয়েছে । তন্ময় ভাবনায় সে মশগুল ।ক্যান্টিনের উত্তরের জানালার লোহার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে কলেজটিকে দেখছে ।
দেখতে দেখতে ছয় মাস হয়ে গেল।এর মধ্যে কত মায়া তাকে নিবিড়ভাবে বেঁধে ফেলেছে । মাঠের সেই কৃষ্ণচূড়া গাছটাকেও আজ বড্ড আপন মনে হয় ।যেন তার সাথে কতকালের আত্মার সম্পর্ক ।
মানুষ এই একটা কাজ খুব সচেতনভাবে করে ,মায়ায় জড়িয়ে ফেলা। আর যেটা পারে না সেটা হল মেনে নেওয়া।
যার পাশে দাঁড়িয়েও কোনদিন মনে হয় নাই তারে একদিন এই মনের ভালো লাগবে ,কিংবা ভালোও বাসবে।
মহাকাশ জুড়ে অনন্তকোটি ব্রহ্মাণ্ডের ভেতরে এই যে ক্ষুদ্র একটি পৃথিবী এবং তার ভেতরে আরো কয়েকশো কোটি মানুষের অস্তিত্ব।এই সবের মধ্যে দিয়েই কেন জয়াকেই তার ভালো লাগে ও হৃদয়ের গহীন তার স্মরণে এক অসম্ভব মোচর দেয় ? সে এই প্রশ্নের উত্তর জানে না।জয়া কি কোনোদিন নয়নের চোখে চেয়ে বুঝেছিল ভালোবাসার না বলা কথা? নাকি সেও নিঃশব্দ তাকে ভালোবাসে! যে ভালোবাসার শব্দ নেই,অথচ গল্প আছে।শ্বাস নেই অথচ প্রাণ আছে,!
মানুষ বুঝি এমন কইরাই জীবনের সবটা জমিন দিয়া গোপনে ভালোবসতে পারে!অথচ নয়ন ত এমন প্রেমেই দিবানিশি ডুবে আছে!
ভালোবাসা শব্দটা নয়নকে আজকাল দারুন বিস্মিত করে।শুইতে গেলে খাইতে গেলে তারে যেন বলে দেয়,ভালোবাসা বুঝি কবির কল্পনার "চাতক"পাখির মতো?
সে স্বপ্নের ভেতর দিব্যি শুনতে পায়, " ভালোবাসলে মনের সাথে এই দেহও কান্দে,যারে নারীবিহীন থামানো যায় না ।সে চরিত্রহীন হতে চায় দিনের শেষে রাতে ।
পুকুর খনন করলে যেমন জল লাগে,তেমন প্রেম করলে দেহের ক্ষুধার জন্য ভালোবাসার মানুষটাকেও কখনো কখনো লাগে ।"
ক্যান্টিনের জানলা দিয়ে দেখছে জয়া এখানে আসছে । তাকেই দেখলেই সে নিজেকে হারায় ।অসম্ভব জঘন্য অপরাধ বোধ করে । তার অজান্তেই তাকে ভালোবাসছে এই সত্য বাক্যটা সহ্য করতে পারে না ।
জয়া ভেতরে এসে নয়নকে জিজ্ঞেস করল," তুই এখানে !ক্লাস করবি না?
"না ভালো লাগছে না ।"
"কেন কি হয়েছে ?"
নয়ন বলতে পারছে না যে "তোকে দেখার অসুখে আমি অসুখী ।তুই কি বুঝিস না জয়া তোকে খুব ভালোবেসে ফেলেছি ।খুব ভালোবাসিরে । "
"এই বুদ্ধু কি চিন্তা করছিস!কবিতা মাথায় ঘুরছে নাকি ?"
"হুম ।আমার অসুখ ।"
"দাঁড়া এখন শুনবো ,একটা কেক কিনে নিই ।"
নয়ন কবিতা বলতে শুরু করলো ,
"আমার অসুখ গাঢ় হয়
তোকে না দেখার অনলে ,
তুই ত বুঝিস আমি অসুখী
তুই কি পারবি ওষুধ হতে,,,?"
খানিকক্ষণ পরে জয়া চলে গেল ।নয়ন আবার একা ।আবার লুকানো সিগারেটে আগুন দিলো ।
নয়ন খুব বুঝেছে,পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় অসুখ ভালোবাসার মানুষটিকে ভালো বাসি কথাটা না বলতে পারা ।
সে আবার আয়নার দিকে তাকিয়ে রয়েছে । একলা ঘরে কখন যে চাঁদ আসে সূর্য যায় ,সে এতটুকুও টের পায় না ।
জয়ন্ত শীল
সুব্রত দেববর্মা
সৈকত সরকার
দুলাল চক্রবর্তী
সংগীতা শীল
বিনয় শীল
অনির্বান রায় গুপ্ত
দীনদয়াল রবিদাস
বিজন বোস
ভাবনার জগৎ ভিন্ন ছিল বলেই
আমার জমিতে শস্য জন্মায়নি
বাগানটা নিজ হাতে সাজিয়েছিলাম বলেই
তছনছ করেছে আক্রোশে ।
গলার শেকলকে স্বর্ণালঙ্কার ভেবে
গলাটা এগিয়ে দিইনি বলেই
হাত পায়ে পরিয়েছে বেড়ি ।
চোখের সামনে প্রেমিকাকে ছিনিয়ে নিয়ে
বানিয়েছে ওদের সেবাদাসী ।
জং ধরা স্বপ্নের সহচরী হইনি বলে
লেপ্টে দিল কাপুরুষ তকমা ,
গৌরবান্বিত হতে নতজানু হইনি --
হয়েছি অভিমন্যু ।
উর্মি সাহা
মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...
-
আজ আশ্বিনের শেষ কার্তিকের শুরু এই দিনটা বিশেষ ভাবে বিশেষ, বাংলার এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে। জানি না বাংলার বাইরেও এইভাবে বিশেষ হয়ে উঠেছে কিন...
-
মূক ফেনীর মুখর পাঁচালি একটি বহুল প্রচারিত বাংলা প্রবাদ ‘ভাগের মা গঙ্গা পায়না’ ৷ প্রবাদটির মধ্য দিয়ে মায়ের অসহায়ত্বের যন্ত্রণাটিই ব্যক্ত হয়ে...