Friday, April 16, 2021

দিপিকা রায়

চেনা অচেনা

সময় সকাল ৭ টা টিউশনে যাবো বলে বেড়িয়েছি। জিরানিয়া থেকে গাড়ি ধরে যেতে হয়। দাঁড়িয়েছি গাড়ির অপেক্ষায়। পাশে দাঁড়িয়ে একটি ছেলে। ভদ্রই মনে হল। দেখতেও ভারি মিষ্টি। না জানি সে কোথায় যাবে। মনে হয় গাড়ির অপেক্ষায় সময় গুনছে। কারোর দিকে তার দৃষ্টি নেই, শুধু ঘড়ি দেখেই চলছে। 
অবশেষে একটা গাড়ি এল, উঠে পড়লাম। পাশের ছেলেটাও উঠলো । আমরা কিন্তু একসাথে বসিনি, আলাদাই বসেছিলাম। তারপর পৌঁছলাম আমার গন্তব্য স্থলে (টিউশনে)। ছেলেটা জানি কোথায় যাবে?  কে জানে। 
    রাত ১১ টা ,ফেসবুক টা একটু ঘাটাঘাটি করছিলাম। তখনই ওই ছেলেটার দেখা। আজ যাকে বাজারে দেখেছি।
প্রোফাইলের সব ফোটোগুলো দেখলাম। দেখতে তো ভালোই, আবার ডিটেইলস এ গিয়ে দেখলাম তার বাড়ি জিরানিয়া। তখন একটু অবাক হয়েছিলাম। এরপর রিকুয়েস্ট পাঠালাম, সাথে সাথে এক্সসেপ্ট ও করে নিল। মনে হয়েছিল, ওনি যেন আমারই রিকুয়েস্টের অপেক্ষায় ছিল। 
 এরপর Hi, Hello  দিয়ে কথাবার্তা শুরু। কিছুদিন পর আমার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর টা চাইলো, প্রথম আমি নম্বর টা দিলাম না। 
এরপর কথা বলতে বলতে দেখি, না ছেলেটা বেশ ভালোই, নম্বর টা দেওয়া যায়। আরেকদিন হঠাৎ আবার আমার নম্বর টা চাইলো, তখন আর না বলতে পারিনি। নম্বর টা দিয়েই দিলাম। 
    কথা বলতে বলতে একদিন ওনি আমায় প্রপোজ করে দিলেন। অবশ্য আমি কিন্তু প্রথমে রাজি হয়নি। আস্তে আস্তে আমার প্রতি তার যত্ন নেওয়া, তার ভালোবাসা, অজান্তেই যেন মনে একটা জায়গা করে নিল। তখন আর কোনো বাঁধন বেঁধে রাখতে পারেনি আমায়। শুধু এই প্রিয় মানুষটির ভালোবাসাই বেঁধে নিলাম নিজেকে। 
     আজ এই বাঁধন টা তিন বছরের পূর্ণতা পেল। শুধু তিনটা বছর না এই বন্ধনটা যেন জন্ম জন্মান্তর ধরে থেকে যায়। ভগবানের কাছে এই প্রার্থনাই করি।

No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...