Saturday, January 23, 2021

দিপিকা রায়

কবি দিপিকা রায়ের জোড়া কবিতা

১. ট্রাফিক

ধবধবে সাদা পোশাকে
রাস্তার মোড়ে ভেসে আসে, 
ওই কোমল সিটির উত্তেজনা। 
কে জানি দাঁড়ায়ে হাত নাড়ে। 
আর বিরক্তিকর গাড়িগুলো
বসে বসে সময় গুনে। 
কিন্তু এই বিরক্তির গভীরে
নিজের জীবনটা তুচ্ছ হয়ে যায়। 
আর বিমুখতা হয় এই সিটির ধ্বনি। 
ভুলে যাই আমরা, 
এই রক্ষাকবচ আছে বলেই
আজও দেহে প্রাণ আছে। 

কত দিন কত রাত, 
এই পথকেই করলো ওঁদের ঘর। 
কত তপ্ত শিখা অঙ্গে অঙ্গে
বাহিত হয় ওঁদের। 
কত বর্ষিত মেঘের ছাদে
সৃষ্টি করে আশ্রয়স্থল। 
তবুও ওই সিগন্যাল পথে
ব্রেক ধরতেই, 
আবারও ফিসফিসানো থাকেই। 

পরিজনহীন সংসার সাজায়, 
পথ যাত্রীদের সঙ্গী করে। 
গোছানো নিজের সংসার ভুলে, 
কাটিয়ে দেয় জীবন
বিপদমুক্ত মনুষ্য জাতিকে নিয়েই। 

ঘোর কুয়াশার অন্ধকারেও
বেজে উঠে সিটির আওয়াজ। 
পৌঁছে দিতে আমাদের
সুরক্ষিত এপার থেকে ওপার। 
ওদের তৎপরতায় আজ সুরক্ষিত আমরা, 
যার দায়িত্বের বাড়ন্ত হাত চিরদিন
একটা স্যালুট তো হবেই
অন্তরের কৃতজ্ঞতা থেকে।


২. বিচ্ছেদ

ক্ষুদ্র পাথর চাপা হিমালয় শৃঙ্গ
ভাঙছে আজ প্রতিমুহূর্ত। 
বইছে বাতাস, উতাল পাতাল
এই শৃঙ্গভুমি। 
উন্মাদ হাওয়ায় ভাসছে আজ
বিন্দু বিন্দু জলের ঘ্রাণ। 
বিরহকন্টকে দ্বি-খন্ডিত এ বুক
অশ্রুশয্যায় বিভোর নিদ্রা, 
শুধু স্বপ্নে সজ্জিত প্রেম হৃদয়।

অন্ধকার আলোয় পথ খুঁজে
বিলীন হয় স্মৃতির অস্তিত্ব। 
নিশ্চিহ্ন ভগ্ন এই পর্বত চুড়া
তবু মৃদু শিখায় জলন্ত
খন্ডিত হৃদয় খানা।

No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...