Saturday, January 23, 2021
সম্পাদকীয়
বিটু মজুমদার
সে দিন আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম
পুরানো এক স্বপ্নের সিঁড়িতে,
হঠাৎ চেয়ে দেখলাম তুমি
দাঁড়িয়ে আছো গোলাপ বনে ।
ফুটন্ত গোলাপের সাথে মিশে
চেহারা'টা হয়েছে আরও মিষ্টি,
চোঁখে চোঁখ রাখতে পারিনি
ঝাপসা হয়ে এসেছিল দৃষ্টি ।
আলোক বর্ষ পরে আবার যখন
দেখলাম তোমায় স্বপ্ন ঘোরে,
ইচ্ছা হলো জড়িয়ে ধরি
মাধুরি লতার মতন করে ।
টপকে গেলাম তোমার কাছে
তুমি ধরা দিলেনা প্রিয়া,
কোথায় যেন হারিয়ে গেলে
ভেঙে দিয়ে হিয়া
২. কন্যা বাঁচাও কন্যা পড়াও
কন্যা বাঁচাও, কন্যা পড়াও,
কন্যা হত্যা রোধে রুখে দাঁড়াও।।
কন্যারা হয় বধূ ভগ্নিমাতা,
পুরুষ-নারীর জন্মদাতা।
রোগে শোকে তারাই পবিত্রতা,
তাদের আরো শক্তি জোগাও।।
মায়ের পেটে আছে যে ভ্রুন কন্যা।
তাকে হত্যার কত পরিকল্পনা।
খুনি পিতা-মাতা চায়না কন্যা।
তাদের কঠোর শাস্তি দাও।।
কন্যা আছে প্রতি ঘরে,
সব দেশে সব পরিবারে।
কন্যা নাই সৃষ্টি নাই শান্তি হবে চির উদ্ধাও।।
প্রতিদিন কন্যা হচ্ছে নিধন,
চলছে শোষণ আর নির্যাতন।
পনের শিকার হয়ে পড়ছে কন্যা,
হিংস্র অসুরদের ঘুম ভাঙাও ।।
সজীব পাল
কী নাম ? কৃষ্ণচূড়া? বকুল ফুল?
আমরা কেউই তার নাম জানি না!
চোখ তার দিঘির জলের পদ্মকমল
যেখানে লেখা নিশীথ পাখির গান।
হেমন্তের সংসারে তোমাকে দেখেছি,
হেমন্তের মতো সবুজ থেকে হলুদ হতে।
তোমাকে দেখেছি নির্জন গলির পথে,
এই আমাকেই ঘৃণা করে চলে যেতে ।
ফুলের রেণুর মতো নীরবে ঝরলে
প্রশ্বাসে বাড়ালে কি কষ্ট!
এই দারুণ বিষাদে নদীর মতো শুকালে ,
খাঁচার পাখির মতো হারালে,
লোকালে দূরত্বে খুব;
বুঝবে কে ছিলাম আমি তোমার ভেতর!
বুকের রক্ত মাংস কতটুকু খেয়েছি!
বুঝবে সজনী তুমি বুঝবে।
চোখ তো মানুষের সব নয় ?
তবুও তোমার চোখেই দেখেছি ,
প্রণয়ের ভাস্কর্য,শিল্পীর মৃত্যু ।
অতনু রায় চৌধুরী
জগন্নাথ বনিক
সুকান্ত বসু
উজ্জ্বল ভট্টাচার্য্য
গৌতম দাস
শুধু তোমায় ভালোবেসে।
জলন্ত বহ্নিতে মুক্ত চিত্তে হাত রেখেছি।
জ্যোৎস্নাময় যামিনীতে তন্দ্রাহারা হয়েছি;
শুধু তোমায় ভালোবেসে।
নির্জন পথের স্তব্ধতা মেপেছি আমি
অহংকারের সিংহাসনে বসেছি;
শুধু তোমায় ভালোবেসে।
ক্ষুধাকে শিকার বিদ্যা শিখেছি আমি,
তোমার চাঁদমুখের হাসিতে নিজেকে হারিয়েছি
উত্তপ্ত মরুভূমিতে মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করেছি;
শুধু তোমায় ভালোবেসে।
আজ এই শুভ ক্ষণে তোমার শূন্য উপস্থিতি
অকৃত্রিম ভালোবাসার এই নির্মম পরিণতি?
আহা! উন্মুক্ত চিত্তও আজ দ্বিধাবোধ করছে
কন্ঠরোধ হয়েছে তার,বলতে সে অক্ষম
শুধু তোমায় ভালোবেসে।
কীরে অন্ধকার ঐসেরে নাতি।
তাড়াতাড়ি জ্বালা একটা মোমবাতি।
কই যে কিতা করস্।
সারাদিন শুধু বই পড়স্।
আমার মাথা এমনই চড়া।
বাদ্ দেলা তর্ লেহাপড়া।
অ দাদু এই পিঁড়িডাত্ ঠান্ডা মাথায় বৌ।
কিতা কইবা কৌ।
তরে কইছিনা সকালে ক্ষেত যাইবি।।
আর দুপরে দুইল্ল্যা পান্তাভাত খাইবি।
পইড়া কী চাকরি পাইবি?
আমার বয়স ঐল আশি।
কবে জানি হই স্বর্গবাসী।
ঐ একটা কথা শুন্ নাতি।
তুই আমার বংশের শেষ বাতি।
বয়স তর চৌদ্দ, কেউ কয়না মন্দ।
অহনে তর পড়া একবারে বন্ধ।
বুড়া বয়সে আমার শেষ ইচ্ছা।
তরে করাইতাম বিয়া।
নাতি বউ এর ভাত খাইতাম
তর শ্বশুর বাইত্ গিয়া।
না !দাদু করন যাইতনা এই বিয়া।
আগে লেহাপড়া শেষ করি
হাতো সময় আছে ভুরিভুরি।
কিতা?
বড় কথা কস্ সুডু মুখ দিয়া।
আমার মরা মুখ দ্যাখবি শ্মশান গিয়া।
না!না!দাদু পূরণ করুম তোমার আশা।
দুঃখ ডা এহান-
তুমি বুঝলানা আমার মনের ভাষা।
ভাবছিলাম বড় ঐয়্যা চাকরি করুম।
অহনে অকালে বিয়া কইরা
একবারে মরুম দাদু!
একবারে মরুম।
প্রীতম শীল
দিপিকা রায়
লিটন শব্দকর
গাঁয়ের বাড়িতে পোষা
হাঁস,মুরগী,ছাগল গোরু
এসবের কথা মনে পড়ে,
দাদুর ইচ্ছেতেই সেগুলি বিক্রি করে
তারপর দু'চারজন আমাকে বললো
-তোকে বড় নদীতে জুুুরিন্দা নৌকো চড়িয়ে আনবো,
অনেক শব্দমালা আর
শিশিরের অবসর দেবো আর ভালোবাসা।
আমি যখন উৎসাহে আর
বহু কষ্টে উচ্চারণ করলাম
ভা-লো-বা-সা,
তখন টের পেলাম গ্রহ জুড়েই শুধু
একের পর এক রাত্রি ভ্রমণ খেলা।
চোখ সব ধুলো মেনে নিল
সারাটাদিন আমি সানগ্লাস পড়তেই ভুলে গেলাম।
বলার তো ছিল যদিও সব অকারণ
বাতাসে এখনো শুধুই ফুলেল বারণ।
তাই সুরেলা ঢেউ আশ্চর্য কুয়াশাকে
আপন ভেবেই 'প্রিয়' বলে ডেকেছে,
নীল রং রইল পড়ে সমুদ্রের জলে
প্রয়োজন আজ দু'বেলাই সেজেছে
মরসুমি আয়নায় দাঁড়িয়ে
-একবেলা রূপসী একবেলা উপোসি,
অক্ষরমালারা চুপ,সন্ধ্যেয় ঘরে ফিরে
যত্ন চারাগাছ পোঁতে আশ্চর্য সুরচাষী।
গল্পে শোনা নৌকোর পালে করে
মন্ত্রমুগ্ধ হাওয়া জানালার বন্ধু হবে
সে আশা ঠোঁটে নিয়ে নিরুদ্দেশ
সব কুয়াশার রাত ও জ্যোৎস্নারা,
জোর ভল্যুমের গান বেজে যায়
শাখায় জেগে আছে শালিকেরা।
প্রসেনজিৎ দে
লোকে লোকারণ্য যে শহরে
কেউ নিজের স্থান খুঁজে পায় না
তার ঈষৎ লাল চোখে
ধৈর্য আর মহত্বের অপেক্ষা রাখে কোথায়!
এই শহর ব্যস্ততার,
সুখ-দুঃখের আদান-প্রদান ঘটে।
যে মন পুষে রাখে অহংজ্ঞান
সে শহরের জঞ্জালের মতো।
জঞ্জাল হারিয়ে যায়
হারিয়ে যেতে হয় তাকেও।
লোকের ভিড়ে নিজেকে খোঁজা কঠিন।
পরিযায়ী পাখিরা মিশরে যায় আর আসে।
২. নৈরাশ্য
শরীর জুড়ে কালো মেঘ বাঁধলে
বৃষ্টি নামে..
আকাশের মতো তুমুল বৃষ্টি,
জোয়ার আসে বুকের মাঝে।
গাছের ডালের মতো ভেঙ্গে পড়ে স্বপ্ন গুলি,
মরে যায়..
সময়ের পর সময় এলে নতুন স্বপ্ন দেখি।
যেভাবে গাছেদের নতুন ডালপালা বেরিয়ে আসে।
শিপ্রা দেবনাথ
মিঠু মল্লিক বৈদ্য
অসীম দেববর্মা
মনচলি চক্রবর্তী
আলগমীর কবীর
গোপাল দে
রাজীব পাল
মোহাজির হুসেইন চৌধুরী
সনৎ কুমার কুন্ডু
২. মশা মাছির সংগ্রাম চলছে
পূজা মজমুদার
কবি পূজা মজুমদারের জোড়া কবিতা
১. আগলে রাখবো যত্নে
তোমার শরীরের সেই গন্ধটা যেনো আমায় ডাকছে,, আগলে রাখার কথা নিজেই বললে,, দিনশেষের ক্লান্তি ভরা চোখে , মুখে হাজার চুম্বন দিয়ে বলেছিলে "তুমি চাইলেও দূরে যেতে পারবে না"। সত্যি আমি ঔ একই জায়গায় রয়ে গেলাম। দূর হতে চাইনা,,, আরোও গভীরে যেতে চাই। যেখান থেকে ফেরা যাবেনা। চাইলেও না।
তোমার ছিলাম না তবে হয়ে গেলাম।
তবে কি এটাই ভালোবাসা?
যার সন্ধানে ছিলাম সে কি তুমি??
যেদিকে তাকাই তোমায় দেখি, হাওয়াতে গন্ধ পাই তোমার শরীরের।
২. আমি অবাক
কি হয়েছিলো আজ?
দূরত্ব প্রয়োজন ছিলো,
তবে আজ এতো কাছে ছিলাম যে তোমার ঠোঁটের পাতলা আভরন আমার ঠোঁটে স্পর্শ হয়েছিলো,,
তোমার ওই উষ্ণ স্পর্শে নিজেকে সঁপেছিলাম,,
এর আগে কখনও কেউ এতো কাছে আসেনি,, আসতে দেইনি,, দূরত্ব থাকার চেষ্টা বিফল ,, তোমার দুই হাত ছিলো আমার গালে,, আর চোখে ছিলো অজানা নেশা,, কি নেশা? আমার চুলের ভাঁজে তোমার চুম্বন, আমার গলায় তোমার গাল,,
আর.....
আর তেমন কিছুনা,,, তবে এর আগে কেউ এতো কাছে আসেনি,, আসলেও চলে গিয়েছে একা করে। নিজের করে রাখেনি কেউ,, তবে তুমি রাখলে,, আর বললে সবার সামনে আমায় ভালোবাসি বলবে।
এমন করে কেউ বলেনি কেউ,, এমন করে কাছে টেনে নেয়নি কেউ। তুমি নিলে। আর চাওয়ার কিছু নেই,, তোমার শুরুটা হয়তো আমাকে দিয়ে না হলো তবে কথা দিলাম শেষটা আমিই রইবো। তোমায় নিজের করে আগলে রাখবো।
মাম্পী সরকার
দুলাল চক্রবর্তী
নিলাঞ্জনা দেবনাথ
মোঃ রুবেল
Friday, January 22, 2021
দেবাশিস চৌধুরী
রণিতা নাথ
উর্মি সাহা
মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...
-
আজ আশ্বিনের শেষ কার্তিকের শুরু এই দিনটা বিশেষ ভাবে বিশেষ, বাংলার এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে। জানি না বাংলার বাইরেও এইভাবে বিশেষ হয়ে উঠেছে কিন...
-
মূক ফেনীর মুখর পাঁচালি একটি বহুল প্রচারিত বাংলা প্রবাদ ‘ভাগের মা গঙ্গা পায়না’ ৷ প্রবাদটির মধ্য দিয়ে মায়ের অসহায়ত্বের যন্ত্রণাটিই ব্যক্ত হয়ে...