Thursday, January 24, 2019

প্রীতম শীল

অনুগল্প : লক্ষ বেকারের কথা

- হ্যালো! দাদা আমি প্রীতম বলছি। আমি গতকাল একটি প্রত্রিকায় কর্মখালি বিজ্ঞাপনে আপনার নাম্বার টি পেলাম।
- হ্যাঁ বলুন আমরাই বিজ্ঞাপন দিয়েছিলাম।  আমাদের একজন কর্মচারী প্রয়োজন ছিল।  একটি প্রতিষ্ঠিত কাপড় দোকানে কাপড় বিক্রির জন্য।

- হ্যাঁ দাদা আমিও আপনাদের বিজ্ঞাপনের অংশটা পড়েছি, আমি রাজি আপনার দোকানে কাজ করতে।
- তা আপনার পড়াশুনা কতদূর?
- আজ্ঞে দাদা আমি বি.এ পাশ।
- আপনার কী পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে?
- আজ্ঞে না দাদা,  এর আগে আমি কোথাও কাজ করিনি। এই তো এবছর পাশ করে বেরিয়েছি। বাবা কৃষক, সংসারের হাল টানতে পারছেনা বলেই কাজটা আমি চাইছি।  তবে আমার অভিজ্ঞতা না থাকলেও আমি আপনার কাজটা যে কোন ভাবেই করে দেব।
- আরে ভাই তা তো বুঝলাম, তবে তুমি যে একটু দেরি করে ফেললে।
- তার মানে বুঝলাম না দাদা। মানে কাল বিজ্ঞাপন দেওয়ার দু'ঘন্টায় আমি ত্রিশ টা উপরে ফোন রিসিভ করি, আবার কেউ কেউ তো এখানেও এসেছিল। আর আমি একজনকে নির্বাচিত করেও ফেলেছি। কাজ টা তোমার থেকে ছেলেটির প্রয়োজন মনে হয় বেশিই ছিল। ছেলেটির নাম রঞ্জিত,  বাবা নেই, বিধবা মা ও বোন আছে বাড়িতে। তুমি কি জান ছেলেটি এম.এ পাশ।
- তবে ঠিক আছে দাদা রাখছি।
- তবে শোনো প্রীতম আমার যদি ক্ষমতা ও অ্যাবিলিটি থাকতো তোমাকেও একটা কাজ দিতে, দিতাম তবে। তবে একটা বিজ্ঞাপন আজ আমার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, কতনা অজানা প্রীতম ও কতনা অজানা রঞ্জিত এর বেকারত্বের জ্বালায় নীরবে চোখের জল ফেলে বলছে "আমিও কাজ চাই! "

পরিচিতিঃ-
-----------------
প্রীতম শীলের জন্ম সোনামুড়া মহকুমার কাঁঠালিয়াতে। বিএ স্নাতক। পেশায় প্রাইভেট টিউটর। এই সংখ্যায় মননস্রোতেই তার লেখা প্রথম প্রকাশিত হয়।

No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...