Saturday, December 22, 2018

দীপক দাস

বই ও বইমেলা - (শেষ পর্ব)

প্রবন্ধটি শেষ হয়ে আসছে । শেষ করার আগে উদ্যোক্তাদের একটি পরামর্শ দিতে চাই । এই বই মেলা প্রাঙ্গনে  এমন শিশু কি আসেনি থাকে তার বাবা একটি বই কিনে দেয় নি , এমন কিশোর কি  আসেনি যে রামের সুমতি পড়েনি । এমন যুবক কি পাওয়া যাবে না যে আনন্দমঠের  ' ভরানন্দের' নাম শোনেনি । এমন প্রেমিক বা প্রেমিকা কি পাওয়া যাবে না যে 'বনলতা সেন ' বা 'কেউ কথা রাখেনি ' পড়েনি এমন বৃদ্ধ কী নেই  যে গীতবিতান  চায় অথচ কিনতে পারছে না । তাদের কী একটি করে বই উপহার দেওয়া যায় না ? আসুন না তাদের একটি করে বই উপহার দিই।

চুপি চুপি একটা কথা বলে রাখি -আগেই বলা যেত - তখন মনে ছিল না  কিন্তু এটা না লিখলে প্রবন্ধটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। হঠাৎ একদিন এক বন্ধুর বাড়ি থেকে নিয়ে এলাম হুমায়ুন আহমদের ঔপন্যাস সমগ্র । আমি আবার বিস্মিত আমার কথায় হারিয়ে যায়।

এ আমি কী পড়েছি !  এভাবে সাহিত্য লেখা যায় এই বই আনন্দ ভাষায় অবর্ণনীয় । প্রতিটি উপন্যাস পড়ছি  মনে হচ্ছে আমি কোনো তীর্থ  থেকে স্নান করে উঠলাম মন পবিত্রতায় ভরে যায়। লেখক যেন পবিত্র মানুষ সৃষ্টি করার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। সার্থক আমার উপন্যাস পর্বে।

উপসংহারে পাঠকদের জানাচ্ছি, অবশ্য যদি কেউ পাঠ করে  আমার যা বলতে ইচ্ছে করছে - তবে অন্যের থেকে ধার নিয়ে ।
আমার চোখের পাতা
মাঝে মাঝেই জড়িয়ে আসে আর
এই যে আমি ধূলোর উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি,
এই ধূলোর মধ্যেই আমার ঘুমিয়ে পড়তে ইচ্ছে করে। আমি শুনতে পাই ছায়াচ্ছন্ন এই পথের ধারে মন্দিরে বাজছে ঘন্টা। আমি বুঝতে পারি
পিছনের ওই ছায়ার মধ্যেই দাঁড়িয়ে আছে আমার আপন জনেরা আর আমার বুকের মধ্যেও তখন বিদায় বেলার ঘন্টা বেজে  ওঠে। আমার তখন ঘুম পেয়ে যায়, আমার ভারী ঘুম পেয়ে যায় ।
            

No comments:

Post a Comment

উর্মি সাহা

মন ব্যাথা . বক্রের মত বেঁকে গেছে আমার জিহ্বা৷ আর কথা আসে না! শুনি শেষ প্রার্থনা নয়তো বেজে ওঠা গির্জা ঘণ্টা। তবু দেখি যন্ত্রণা... যদি কোনো হ...