স্বপ্ন-সেতু
কবিতা লিখতে বসলেই একটা স্বপ্নের সেতু দেখি ।
বর্ণমালাদের দৌড়-ঝাঁপ অবিচ্ছিন্ন মমতার হাত ধরে
দিন-রাত মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় সেখানে,
পাকা ধানের শব্দ আর সন্ধ্যাপ্রদীপ একসাথে গান গায়
চোখের জলের নীরবতা ভাঙতে
ডুবপুকুরে টুপ্ করে লাফিয়ে ওঠে অচেনা এক মাছরাঙা
মন কেমনের গায়ে লাগে প্রাণের ঢেউ। লেখনী এগোয়।
পাশ দিয়ে নূপুরে রুমঝুম তুলে কে যেন চলে যায়
সে মুখ দেখা হয়না, তাকে শুধু কল্পনায় আঁকি।
নিষিদ্ধপ্রেম জেনেও তার গায়ে মেখে দিই একমুঠো জোছনা
মেঠো দীর্ঘপথ পেরোনো সে এক অচেনা কৃষ্ণকলি
ভাটিয়ালি গানের সুরে-তালে বেঁচে থাক তার চলা।
অক্ষর জুড়ে চলে আমার অনন্ত মালাগাঁথা
দুঃখ ভুলে মন স্বপ্ন কুড়োনোর খেলায় মাতে। লেখনী এগোয়।
সেতু বানানোর শেষে বুক জুড়ে বয় মমতার স্নিগ্ধ ধারা
মায়ের ভাষা শীতের চাদরের মতো জড়িয়ে ধরে আমায়
মুগ্ধতার আবেশ আলো ঢেলে দেয় স্বপ্নের পথে
আমি কল্কেপেড়ে শাড়িতে নিজেকে সাজাই
বিভোর আমি পথ পেরোই --রোদ, বৃষ্টি, ঝড়
নীল আকাশ মিশে যায় আমার সেতুপথে
বসন্তশেষে আবার দাবদাহ আসবে জেনেও।
লেখনী শব্দ ছুঁয়ে থাকে --- সংগোপনে, স্বপ্ন দেখার ছলে।
No comments:
Post a Comment